সম্পাদকীয়
ওঁ ক্রতো, স্মর, কৃতং স্মর; ক্রতো, স্মর, কৃতং স্মর!
আমরা যখন অগ্নির কাছে আমাদের প্রিয়জনকে সমর্পণ করি তখন এই অনুরোধ করি, হে অগ্নি তুমি এঁকে, এই মানুষকে স্মরণ করো, এঁর কৃতি স্মরণ করো।
আজ থেকে ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগে পশ্চিম বাংলার বিনোদন জগতে বিকাশ রায় ছিলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। ১৯১৬ সালে জন্ম নিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে তাঁর একশোতম জন্মদিন, এই বছরটিকে তাঁর জন্মশতবর্ষ বলা যায়। সেই শতবর্ষে আমরা এই মন্ত্র মনে রেখে অবসরের পক্ষ থেকে তাঁকে স্মরণ করছি। মন্ত্রে শুধু যে সেই মানুষের কীর্তির কথা মনে করতে বলা হচ্ছে তাই নয়, এও বলা হচ্ছে যে মানুষ হিসেবেও তাঁকে স্মরণে আনার কথা। আমাদের এই বিশেষ সংখ্যায় আমরা তারই চেষ্টা করবো যথাসাধ্য -- অভিনেতা হিসেবেই বিকাশ রায় শ্রুতকীর্তি, আমরা অবশ্যই অভিনেতা হিসেবে তাঁকে স্মরণ করবো। তার সঙ্গে পর্দা, মঞ্চ আর মাইক্রোফোনের বাইরের মানুষ বিকাশ রায়কেও জানা আর জানানোর কাজে উদ্যোগী থাকবো।
আমাদের এই সঙ্কলনে অতিথি লেখকদের লেখার মাধ্যমে আমরা কী ভাবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে চেয়েছি তা নিয়ে কিছু বলার আগে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে এই কাজে বিকাশ রায়ের নিজের রচনাবলী থেকে আমরা অপ্রত্যাশিত মাত্রায় সহায়তা লাভ করেছি। তাঁর লেখা চারটি বইয়ের একটিতে ("আমি") আত্মকথা আর দুটিতে ("মনে পড়ে", "কিছু ছবি কিছু গল্প") তাঁর কর্মজীবনের স্মৃতিমন্থন -- তার মধ্যে সহশিল্পী আর সহকর্মীদের কথাই বেশী -- এই তিনটি বইতে বিকাশ রায় আর তাঁর কালের বিনোদন জগতের মানুষদের "প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ" তো আছেই, মন দিয়ে পড়লে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী, তাঁর মূল্যবোধ আর তাঁর মানবিকতা সম্বন্ধেও অনেক কিছু জানা যায়। সে কথা মনে রেখে আমরা তাঁর লেখার থেকে কিছু কিছু অংশ সযত্নে চয়ন করে এই সঙ্কলনের চারটি রচনায় ("নিজেকে নিয়ে লেখা", "অন্যদের নিয়ে লেখা", "প্রসঙ্গ রেডিও - কিছু কথা " ও "বই - পড়া আর লেখা ") অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের জন্য সাজিয়ে দিয়েছি। চতুর্থ একটা বইতে ("প্রসঙ্গ:অভিনয়") তিনি অভিনয়কলা নিয়ে অন্য তত্ত্বের সঙ্গে তাঁর চার দশকের অভিজ্ঞতা-প্রসূত উপলব্ধির কথাও লিখেছেন। তাঁর এ বইটি অভিনয়কলা সম্পর্কে সাধারণভাবে কৌতূহলী পাঠকদের ভালো লাগার কথা, তাছাড়া সেখানে বিকাশ রায়ের ব্যতিক্রমধর্মী (অন্তত সেই কালের পটভূমিকায়) চিন্তাধারারও স্বাক্ষর আছে। এই ভেবে আমরা সেখান থেকেও উদ্ধৃতির পসরা আমাদের এই সঙ্কলনের আর একটি রচনায় ("অভিনয় নিয়ে লেখা") প্রকাশ করেছি।
এরকম মানুষদের পর্দার আড়ালে প্রতিভাত দিক সম্বন্ধে জানবার এক বড়ো উৎস তাঁদের সহকর্মীরা, যাঁরা তাঁদের কর্মরত অবস্থায় দেখেছেন কিন্তু দেখেছেন মানুষ হিসেবে, ছায়াছবি হিসেবে নয়। শতবার্ষিকীর সময়ে মুস্কিল এই যে তাঁর সত্যিকারের সতীর্থপ্রতিম যাঁরা, তাঁরা সবাই হয় গতাসু নয় জরাগ্রস্ত। বিকাশবাবুর ক্ষেত্রে আমাদের সৌভাগ্য যে সরাসরি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জি এবং অপর্ণা সেনের কাছ থেকে বিকাশ রায়কে নিয়ে কিছু কথা জানা গেছে। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন বিকাশ রায়ের কাজের রীতি আর প্রতিভা নিয়ে। আরো বলেছেন বিকাশ রায়ের একটি বিশেষ কৃতি নিয়ে যেটি সাধারণত তাঁর অভিনেতা রূপটির পিছনে ঢাকা থাকে। বিস্ময়কর! অপর্ণা সেন অনেক বয়োকনিষ্ঠা, তিনি বিকাশ রায়ের সঙ্গে কাজ করার দুয়েকটি গল্প বলেছেন। মাধবী মুখার্জী এক অনবদ্য আলোচনায় বিকাশ রায় নামের মানুষটির প্রায় সবদিকই অল্প কথায় সুন্দর করে আমাদের দেখিয়েছেন -- কলাকুশলী, সহকর্মী, শিল্পী, ব্যক্তিত্ব, এমন কী তাঁর স্ত্রীকে নিয়েও মধুর কাহিনী। সব মিলিয়ে মাধবীর এই অনুলিখিত সাক্ষাৎকার তাঁর অনুভূতির ঔজ্জ্বল্যে দীপ্ত এবং অবশ্যপাঠ্য। সহকর্মী হিসেবে তাঁরা ছিলেন খুব কাছের মানুষ।
বিকাশ রায়ের কীর্তি নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী রচনার কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় শক্তি সেনগুপ্তের বিস্তারিত ও গভীর লেখাটির কথা। প্রথাসম্মত গবেষণামূলক বিশ্লেষণের পন্থা নিয়ে শক্তি প্রথমে বিকাশ রায়ের "দক্ষতা ও অভিনয়শক্তির" একটা খতিয়ান দিয়েছেন। ন্যায্যতই তাঁর মনে হয়েছে যে এই খতিয়ান সেই সময়ের বাংলা সিনেমার পশ্চাৎপটে দেখা দরকার, সেই উদ্দেশ্যে আমেরিকায় বসে এখানে অতি দুষ্প্রাপ্য তথ্য সংগ্রহ করে তিনি দিয়েছেন বাংলা সিনেমার একটা চটজলদি, সংক্ষিপ্ত সুখপাঠ্য ইতিহাস। তারপর অভিনেতা বিকাশ রায় সম্পর্কে আগে যা বলেছেন তার সমর্থনে বিকাশ রায়-অভিনীত আটটি ছবির বিশদ ব্যাখ্যান আর সূক্ষ্ম বিচার পেশ করেছেন। এক আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অমূল্য প্রবন্ধ।
এই ইতিহাসের পথ ধরেই দিলীপ দাস লিখেছেন তখনকার কিছু বিশেষ-খ্যাত সিনেমা পত্রিকায় বিকাশ রায় সম্পর্কে কী লেখা হয়েছিল তার সাহায্য নিয়ে অভিনেতা হিসেবে বাংলা ছায়াছবির জগতে বিকাশ রায়ের প্রবেশ ও প্রতিষ্ঠার কাহিনী। সে পথ যে কিছুটা বন্ধুর কিন্তু বিকাশ রায়ের যে সে পথেই উত্তরণ এসেছিলো, দিলীপের প্রবন্ধে তার কথা বলা হয়েছে। ঈশানী চক্রবর্তীর বিশ্লেষণ অন্য ধরণের, তিনি শুরুতে প্রশ্ন করেছেন শুধু কার্যকারণ বিচার করলে বিকাশ রায় এত জনপ্রিয়, এখনো এত জনপ্রিয় কেন। তারপর তার উত্তর খুঁজেছেন। ঈশানী আবার বিকাশ রায়ের নিকট পরিবারের লোক, সে সূত্রে বাড়ীতে বিকাশ রায় সম্বন্ধেও কিছু জানা গেছে।
অভিনেতা বিকাশ রায়ের কৃতির মাপ ধার্য করে বিশ্লেষণের ক্ষেত্র আরো সংহত করে এনেছেন উজ্জ্বলকুমার মজুমদার। বিকাশ রায়ের কিছু বিখ্যাত ছবির বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন যে সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক, বিশেষত পরিচালকের ভূমিকা নেবার সঙ্গে একযোগে যখন বিকাশ রায় অভিনেতার ভূমিকাও নিয়েছেন তখন তিনি বিশেষ সফল, এবং সেই পথে উজ্জ্বলকুমার আরো কিছুটা অগ্রসর হয়েছেন। পর্দায় প্রতিফলিত যে ব্যক্তি বিকাশ রায়, তাঁকে নিয়ে আলোচনা করেছেন নরসিংহপ্রসাদ শীল, তুলনামূলক ভিত্তিতেও বিকাশ রায় সুপ্রতিষ্ঠ, তারই হেতুর খোঁজে। সেই একই পথে গেছেন সুগত মারজিৎ, তাঁর বিশ্লেষণ আরো ব্যক্তিগত, সংহত ও তীক্ষ্ণ।
নায়ক থেকে খল নায়ক, মুখ্য চরিত্র থেকে পার্শ্বচরিত্র – এমন কোনও ভূমিকা নেই, যেখানে বিকাশ রায় তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন নি। কেয়া মুখোপাধ্যায় চলচ্চিত্রে বিকাশ রায়ের ‘ভিলেন’-এর চরিত্র নিয়ে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা করেছেন। খল নায়কের চরিত্র যেখানে জটিল - ভালো মন্দ মিশিয়ে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য করে ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ নয়। বিকাশ রায় এসব চরিত্র করতে পেরেছেন অনায়াস দক্ষতায়।
বিকাশ রায়কে পর্দায় দেখে বা ব্যক্তিগত কোনো সাক্ষাতের সূত্রে তাঁদের অনুভূতির কথা লিখেছেন কয়েকজন। বিমোচন ভট্টাচার্য তাই দিয়েই তাঁর রচনা শুরু করেছেন। কিন্তু তারপর মর্মস্পর্শী কিছু ঘটনার সৎ ও সাহসী বিবরণ দিয়ে বিকাশ রায়ের মানবিকতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, যার মূল্য বিচার করা যায় না। এই নতুন জানালাটি খুলে দেবার জন্য বিমোচনকে ধন্যবাদ। বিকাশ রায়ের একটি ছবি ছেলেবেলায় শেখর বসুর মনে দাগ কেটেছিল। তাঁর প্রবন্ধটির যাত্রা শুরু সেখান থেকে। অন্য অনেক বাঙালীর মতো রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যাল বিকাশ রায়ের ছবি দেখেছেন, তাঁর মুখোমুখিও হয়েছেন দুয়েকবার। তিনি বিকাশ রায়ের আত্মজীবনী খুঁটিয়ে পড়ে তাঁর জীবনযাত্রা নিয়ে কিছু ধারণা করেছেন, বিকাশ রায়ের সেই বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর ধারণাও লিপিবদ্ধ করেছেন।
ছবিতে কী গান দেওয়া হবে তা নিয়ে সঙ্গীত পরিচালক ছাড়াও প্রযোজক আর পরিচালকের মতের মূল্য দেওয়া হয়। বিকাশ রায় দশটি ছবি প্রযোজনা/পরিচালনা করেছিলেন। সেই সময়ে বাংলা সিনেমার গানের জগতের কথা বলে পুষ্পেন্দুসুন্দর মুখোপাধ্যায় সেসব ছবির গানের যা খবর এখন পাওয়া যায় তা লিখেছেন ও লিঙ্ক দিয়েছেন, বিকাশ রায়ের সেসব গানের সৃষ্টিতে কিছু হাত ছিলো, এই কথা স্মরণে রেখে।
ছায়াছবি ছাড়াও বিনোদনের আর এক মাধ্যমে বিকাশ রায়ের উপস্থিতি ছিলো, তা হলো বেতার। অভিনেতা হিসেবে তাঁর সুন্দর কণ্ঠস্বরের কথা সবাই বলেন, সেই কণ্ঠস্বর তৈরী হয়েছে এই বেতারভবনে, বিকাশ রায় নিজে তাই বলেছেন। তিনি আবার প্রভাবিত করেছেন পরের প্রজন্মকে। একটি মরমী লেখায় বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় তাঁর নিজের অভিনয়শিক্ষার মূলে বিকাশ রায়ের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন অকপট ভাবে । পর্দা, মঞ্চ আর বেতার -- এই তিন মাধ্যমের বিকাশ রায়কেই তিনি স্মরণ করেছেন, নির্ভুল বিশেষণে বিশিষ্ট করেছেন বিকাশ রায়ের প্রতিভা। বেতার আর কণ্ঠস্বর নিয়ে বলেছেন অনেক কথা। আর তার ফাঁকে ফাঁকে মানুষ বিকাশ রায়ের কাহিনীও শুনিয়েছেন। তবে বেতারে এবং শুধুই বেতারে বিকাশ রায়ের উপস্থিতি নিয়ে লিখেছেন ভাস্কর বসু। শুধু কণ্ঠস্বরের ওঠানামা আর বাচনভঙ্গী দিয়েই বিকাশ রায় কেমন বিভিন্ন চরিত্রের ছবি শ্রোতার কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন, অনেক কথার মধ্যে এ কথাটাও বলেছেন তিনি।
লোকের বিনোদন করতেন যে বিকাশ রায় তাঁর নিজের বিনোদনের উপায় ছিল বইপড়া। তিনি ছিলেন অভিধানের সংজ্ঞামাফিক গ্রন্থকীট, বই কিনতেন, পড়তেন, জমা করতেন। অরবিন্দ দাশগুপ্ত একভাবে এই গ্রন্থকীটের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনি বিকাশ রায়কে বই সরবরাহ করতেন। সেই পরিচয়ের অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি ঘটনা সাজিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্মৃতির অর্ঘ্য। বইয়ের কথাই যখন উঠলো, একসময়ে বিকাশ রায় বাংলা পত্রিকায় কিছু স্মৃতিচারণ করেছিলেন, তাদের সুখ্যাতিও হয়েছিলো। তাতে ভরসা পেয়ে সেসব সংগ্রহ করে দুটি বই ছাপা হয়, আর তিনি আরো দুটি বই লেখেন। এই চারটি বইয়ের (বস্তুত একটি একত্রিত খণ্ডের) সমালোচনা করেছেন ঋজু গাঙ্গুলি। সেখানে তিনি যথারীতি বইয়ের সংক্ষিপ্তসার দিয়েছেন, বিষয় আর শৈলীর গুণমান নিয়ে মন্তব্য করেছেন কিন্তু তার পর উপসংহারে এই লেখার মাধ্যমে মানুষ বিকাশ রায়ের যে ছবিটি দেখা যায় তার এক বর্ণনা দিয়েছেন যা আমাদের চমৎকৃত করে।
সংক্ষিপ্ত কিন্তু সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক একটি লেখায় পবিত্র সরকার তাঁর দেখাতে বিকাশ রায়ের কিছু ছবি/নাটক কেমন লেগেছিলো তা বলেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে বলেছেন বিকাশ রায়ের বই প্রীতির কথাও। সেই সূত্রটি ধরে আমরা লেখাটিকে এইখানে স্থাপন করলাম। আমাদেরই স্খলনে তাঁকে লেখার জন্য খুব স্বল্প সময় দেওয়া হয়, তবু যে তিনি লেখা দিয়েছেন, এজন্য আমরা তাঁর কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞ।
আমাদের সৌভাগ্যক্রমে চারটি বইয়ের একত্রিত খণ্ডের সংযোজনে বিকাশ রায় সম্পর্কে তাঁর কিছু সহকর্মীর কথা লিখেছেন অমিয় সান্যাল । এছাড়া সেখানে আমরা পেয়েছি বিকাশ রায়ের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত আলোচনার কিছু অংশবিশেষ। এই দুই উৎস থেকে আমরা তাঁর সমকালীন অনেক কথা জানতে পারি। এই সঙ্কলনের একটি রচনায় ("বিকাশ রায়কে নিয়ে লেখা -- সঙ্কলন") তারই সদ্ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে বিনোদনের ক্ষেত্রে বিকাশ রায়ের জীবনায়ন তো বটেই, মানুষ হিসেবে তাঁর অভিঘাত নিয়েও অনেক কথা বলা হয়েছে যা আমাদের প্রসঙ্গানুগ।
বিকাশ রায়ের একমাত্র পৌত্র শমীক রায়ের জন্ম ও লালন আমেরিকায়। কয়েক বছর অন্তর অন্তর দেশে বেড়াতে গিয়ে সে খুবই সামান্য সময়ই ঠাকুর্দার সঙ্গ পেয়েছে। সেই দেখার ছোটো ছোটো মধুর স্মৃতির কথা সে বলেছে।কিন্তু এই সামান্য পরিচয় সত্ত্বেও সে তার জীবনে তার পিতামহের উপস্থিতি আর প্রভাব অনুভব করে। কেন আর কীভাবে, সে বলেছে তার কথাও।
তাঁর অভিনেতা জীবনের শেষের দিকে প্রায় দশ বছর বিকাশ রায় পেশাদার মঞ্চে অভিনয় করেছেন। সবকটি নাটকই মঞ্চ ও বাণিজ্যিকভাবে সফল। আমাদের আপশোশ রইলো যে সেই পর্যায়ের স্মৃতি বিবৃত করার কোনো উৎস আমরা জোগাড় করতে পারলাম না। স্মরণিকার সংযোজন হিসেবে তাঁর অভিনীত সব ছবির একটি তালিকা দেওয়া গেলো, পাঠকের সুবিধার জন্য সেটিকে তিন ক্রমিক রূপে দেখা যাবে।
বিকাশ রায়কে আমরা সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে এই বিশেষ সংখ্যাটি পাঠকদের দৃষ্টিগোচর করলাম!
(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।
Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.