বইয়ের খবর

ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
আতঙ্ক
আলোচনা - ঋজু গাঙ্গুলি
শীতটা এবার বেশ ঠিকঠাক সময়ে এসেছে। ফ্যানের গায়ে ধুলো জমছে। এসি-র
রিমোটটা অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকছে তাকের এক কোণে। এইরকম সময়ে পড়ার
পক্ষে আদর্শ জিনিস কী?
রহস্য, রোমাঞ্চ, ভূত, ফ্যান্টাসি, এসব জঁর তো আজকাল আমরা সারা
বছরই পড়ি। তাহলে কি টেকনো-থ্রিলার? পলিটিক্যাল থ্রিলার? সুপারন্যাচারাল
থ্রিলার? ডার্ক ফ্যান্টাসি?না কি সোজাসুজি ভয়ের গল্প?
আলো-জ্বলা ড্রইং রুম বা বেডরুমে বসে যখন নজর পড়ে জানলার কাঁচে,
যেখানে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আসা রাস্তার আলো আর জমে ওঠা হালকা
ধোঁয়াটে ভাব কিছু বিচিত্র নকশা তৈরি করে চলে এই সন্ধে-পেরোনো-রাতগুলোয়,
তখন এমন একটা বই হাতে নিয়ে কুণ্ডলী পাকাতে ইচ্ছে করে, যেটা বাইরের
গা-শিরশিরে অনুভূতিটার সঙ্গে মানানসই অবস্থা তৈরি করবে অন্তরমহলেও।
এমনটাই ভেবে আমি হাতে তুলে নিলাম একটা বই, যাকে প্রকাশক বর্ণনা
করেছেন এই ভাষায়ঃ
A book of collection of terror. By Thirty two experienced renowned
Bengali writers.
গোলমেলে ইংরেজির দেওয়াল টপকালে বোঝা যায়, প্রকাশক বলতে চাইছেন
যে বত্রিশ জন অভিজ্ঞ ও বিখ্যাত বাঙালি লেখকের ভয়ের গল্পের সংকলন
এটি।
তারপর ‘নিবেদন’ অংশে আরো বলা হয়েছে, “আমাদের এই সংকলনের আয়োজন
‘আতঙ্ক’ নিয়ে। তবে সবগুলিই গল্প নয়। লেখক/লেখিকারা তাঁদের জীবনের
সত্য ঘটনাও বলেছেন। সেই সত্য ঘটনাও গল্পের মতো রোমাঞ্চকর। আতঙ্ক
জীবনেরই অঙ্গ। সে সামনে এলে তাকে জয় করতে হয়।“
এত ভ্যানতাড়া দিয়ে যে বই শুরু হল, তার পরিচয় আপনাদের কাছে আগে
তুলে ধরি।
বইয়ের নামঃ আতঙ্ক
সম্পাদকঃ নাম নেই
প্রকাশকঃ মিত্র ও ঘোষ
প্রকাশঃ অগস্ট, ২০১৫
হার্ডকভার, ৩৪২ পৃষ্ঠা
আই.এস.বি.এনঃ 978-93-5040-591-8
|
কী কী আতঙ্কজনক গল্প, তথা ‘গল্প-হলেও-সত্যি’ অভিজ্ঞতা পড়তে পেলাম
এই বইয়ে? এবার আসি তাদের কথায়, একেবারে ‘রানিং কমেন্ট্রি’ স্টাইলে।
(১) সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-এর “কী আশ্চর্য!”: ভদ্রলোকের এবার লেখা
ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। নিজের লেখার প্যারডি লিখে আমাদের কষ্ট আর নাই
বা বাড়ালেন মানুষটি।
(২) বাণী বসু-র “মাঝ রাতে”: আমার এমন শ্রদ্ধার ও ভালো-লাগা লেখকের
কাছ থেকে এই জিনিসও শেষে পড়তে হল? উনি সোজা ভাষায় লিখতে অক্ষমতা
প্রকাশ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত, প্রকাশক অন্য কোনো “নামি”
লেখককে খুঁজে নিতেন পাতা ভরানোর জন্য।
(৩) ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর “মহানিশার রাত”: এই বস্তুটি নিয়ে
কিছু না লেখাই ভালো।
(৪) অমর মিত্র-র “হত্যাকাণ্ড”: লেখক কি সুস্থ মস্তিষ্কে এ জিনিস
লিখেছিলেন? আর সম্পাদক, বা প্রকাশকের তরফে কেউ-না-কেউ কি বই হিসেবে
ছাপানোর আগে একবারও পড়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি দ্রব্যগুণের
প্রভাব সর্বাঙ্গে জড়ানো এই অসংলগ্ন, অশ্লীল, এবং রেলের কামরা-র
দেওয়ালে আটকানো হ্যান্ডবিলের অধম জিনিসটিকে?
(৫) রামকুমার মুখোপাধ্যায়-এর “জোবের আতঙ্ক”: আচ্ছা, এই বইয়ের
সব গল্পই কি আসলে শুকনো ও তরল বস্তুর ধুনকিতে মনে হওয়া ভাবনার
গদ্যরূপ হতে চলেছে? তাহলে আমি ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। বইটা
বরং..., কিন্তু নগদ ৩০০/- টাকা দিয়ে কেনা বই এত সহজে ছেড়ে দেব?!
পড়া চলুক।
(৬) সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়-এর “স্পর্শ”: নাঃ, এর চেয়ে সুলিখিত
গল্প ফেসবুকে ঢের পড়া যায়, তাও আবার বিনামূল্যে।
(৭) ভগীরথ মিশ্র-র “জলদানব”: এই বইয়ের প্রথম লেখা যা সাসপেন্স
এবং বর্ণনানৈপুণ্যে আমাকে টেনে নিয়ে গেল গল্পের শেষ অবধি। ভালো
লাগল।
(৮) তপন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর “বাঘের ডেরায় পৌঁছে”: অসাধারণ লেখা!
সুন্দরবনের ভয়ংকর সুন্দর পরিবেশ, আর সেখানে জীবন-মৃত্যু পায়ের
ভৃত্য করে বেঁচে থাকার কয়েকটা মুহূর্ত একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠল
লেখাটা পড়তে গিয়ে।
(৯) অনিতা অগ্নিহোত্রী-র “শীত-বসন্ত”: মাঝেমধ্যে মনে হয়, জঁর
ফিকশন আর ছোটোদের লেখা নিয়ে থাকি বলে এইসব অখাদ্য পড়ার হাত থেকে
বেঁচে যাই। এইরকম যাচ্ছেতাই লেখার লেখকেরা যেসব পাঠকের (এবং পক্ষপাতদুষ্ট
সম্পাদকের) কৃপায় ‘নামি’ ও ‘বিখ্যাত’ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের পৃথিবীতে
আমার কোনো স্থান নেই।
(১০) প্রচেত গুপ্ত-র “জঙ্গল”: খুব চেনা গল্প, কিন্তু লেখকের দক্ষতায়
অন্য মাত্রা নিয়েছে। এটাও পড়তে ভালো লাগল।
(১১) নলিনী বেরা-র “আর মাত্র আধ ইঞ্চি ফাঁক”: নেহাত উন্মাদ না
হলে এই লেখা কেউ ছাপে না। নেহাত স্যাডোম্যাসোকিস্টিক না হলে এ
জিনিস কেউ পড়ে না। কয়েকটা পাঠযোগ্য লেখার পর বই নিজের ফর্মে ফিরেছে,
বুঝতে পারছি।
(১২) ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়-এর “এক টুকরো স্লিপ”: হে ঈশ্বর! ভয়ের
গল্প পড়তে বসে এ কীসব পোস্ট-ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার উৎপাদক গল্প পড়তে
হচ্ছে? এরকম জানলে তো এই বই শেলফে রেখেই ভয়ে কম্বল দিয়ে মাথা ঢাকতাম।
(১৩) কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর “ইসাবেলা”: আহ! কী আরাম যে পেলাম
এমন একটা সুলিখিত, প্রমিত, অথচ মনের কোণে ভয়ের ছাপ রেখে যাওয়া
গল্প পড়ে, তা লিখে বোঝাতে পারব না।
(১৪) সৌরভ মুখোপাধ্যায়-এর “অভয়”: না, এটা ভয় পাওয়ানোর গল্প নয়,
বরং সলিলকি-র স্টাইলে লেখা, এক তথাকথিত অসমসাহসী মানুষের ভয় পাওয়ার
গল্প। পড়তে খারাপ লাগল না।
(১৫) বিনতা রায়চৌধুরী-র “কেউ আছে আশে পাশে”: গল্পটা ভয় পাওয়া
নিয়েই, এবং পড়তে মন্দ লাগল না।
(১৬) জয়ন্ত দে-র “ভয় ধরানো সেই সাড়ে তিন ঘন্টা”: টানটান, নির্মেদ,
কয়েকটা ঘন্টার গল্প। চমৎকার লাগল, সত্যিই।
(১৭) সায়ন্তনী পূততুণ্ড-র “টিক-টক”: এইরকম স্বচ্ছন্দ ও স্মার্ট
ন্যারেটিভ দিয়ে পাঠককে ধাপে-ধাপে সাসপেন্স আর চমকের শেষে নিয়ে
যাওয়া গল্প আরো পেলে এই বইটা কেনা সার্থক হত।
(১৮) তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়-এর “রক্তের গন্ধ”: এই সময়ের অন্যতম
দক্ষ গদ্যকারের কাছ থেকে একটা চমৎকার গল্প পাওয়া গেল, শুধু কথা
কিছু কমিয়ে কাজ আরেকটু বাড়ালে গল্পটা সর্বাঙ্গসুন্দর হত।
(১৯) চিন্ময় চক্রবর্তী-র “অপুর গল্প”: এও এক ট্রেকিং-এর গল্প।
এও এক মৃত্যুর দরজায় কলিং বেল বাজিয়েও চোখে দুষ্টুমি-ভরা হাসি
নিয়ে পালিয়ে আসার গল্প। ভালো লাগল।
(২০) সফিউন্নিসা-র “জাতিস্মর”: এই যুগেও কোনো লেখক যে সচেতনভাবে
‘ক্ষুধিত পাষাণ’ কপি-পেস্ট করার মতো বুদ্ধি বা তার অভাব দেখাতে
পারেন, স্রেফ সেটা দেখার জন্যেই এই গল্পটা পড়া যায়! গা-হাত-পা
ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে লেখক ও লেখার ব্যাপারে প্রকাশকের মনোনয়ন দেখে।
(২১) গৌর বৈরাগী-র “বক্তিয়ারপুরে একটি রাত”: গল্পটা ড্রইং রুমে
বসে চায়ের কাপ হাতে শুনলে হয়তো উপভোগ্য হত; কিন্তু এই সময়ে, সমকালীন
লেখকদের নির্মেদ গদ্য পড়ে অভ্যস্ত চোখে, এই ‘স্মৃতিকথা’-র অজস্র
তথ্যগত ভুল এবং লেখার স্থলিত শিথিলতাই চোখে পড়ল।
(২২) অহনা বিশ্বাস-এর “সেলফি”: হ্যাঁ, এতক্ষণে একটা সত্যিকারের
ভয়ের গল্প পড়লাম! বনের বাঘে নয়, মনের বাঘে খাওয়ার ভয়ের গল্প। আমার
সচরাচর পড়া বইপত্তরের দুনিয়ার বাইরে এক অন্য গ্রহের লেখা, কিন্তু
কুশলী শিল্পীর নির্মাণ বটে এটি।
(২৩) অরিন্দম বসু-র “সেই কুয়াশায়”: অথেন্টিক জিনিস! লেখার গুণে,
লেখকের ভাষায়, গল্পের চরিত্ররা, তাদের কথা, তাদের পরিবেশ, তাদের
ভয়, এসব একেবারে জীবন্ত হয়ে আমাকে ঘিরে ধরল এই ভরদুপুরেও। এমন
লেখার জন্যই তো এই বই পড়া।
(২৪) শুভমানস ঘোষ-এর “জলের বিপদ”: জানিনা এই গল্প কাল্পনিক, না
স্মৃতিচিত্রণ, তবে যেটাই হোক না কেন, পড়া শুরু করে শেষ না হওয়া
অবধি ছাড়তে পারলাম না, এমনই রুদ্ধশ্বাস এই লেখা। কোথায় লাগে ভূতের
গল্প এর কাছে!
(২৫) অনিন্দিতা গোস্বামী-র “শিকার”: গল্পটা অতি-সরলীকৃত না হলে,
আর আরেকটু বোধগম্য ভাষায় লেখা হলে হয়তো প্যারানয়েড ফ্যান্টাসি
হিসেবে উপভোগ করতে পারতাম। কিন্তু যে অবস্থায় আছে তাতে পড়তে গিয়ে
এটিকে রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিহীন আদ্যন্ত কৃত্রিম একটি কন্সট্রাক্ট
ছাড়া কিছু মনে হল না।
(২৬) সাত্যকি হালদার-এর “পাহাড় চূড়ায় একা”: আরো একটি ট্রেকিং-এর,
তথা একাকিত্ব আর অসহায়তার গল্প। পাহাড়ের স্ট্রাইক রেট খুবই ভালো
বলতে হবে, কারণ সংকলনের এই তৃতীয় পাহাড়ি আতঙ্কের গল্পটিও পড়তে
ভালোই লাগল।
ভালো কথা, ‘নামি’ বাঙালি সাহিত্যিকেরা মনে হচ্ছে ট্রেকিং নিয়ে
খুবই ভয়ে-ভয়ে থাকেন। আমার পাঠকদের মধ্যে যদি কোনো সম্পাদক থাকেন,
তাহলে তাঁকে সৎ পরামর্শ দিচ্ছি এইবেলাঃ লেখকদের পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে
ভয় দেখান, পুজোসংখ্যার লেখা হালখাতার সঙ্গেই পেয়ে যাবেন।
(২৭) নীহারুল ইসলাম-এর “সাপের মাথায় পরি নাচে”: গেল! বেশ কিছু
ভালো এবং প্রায় নির্মেদ ন্যারেটিভ পড়ে বইটার সম্বন্ধে ধারণা বদলাচ্ছিল,
কিন্তু এই ‘গল্প’টির মাধ্যমে আবার আমরা ফিরে এলাম সেমি-সেন্টিমেন্টাল
গ্যাদগ্যাদানিতে।
(২৮) শংকরলাল সরকার-এর “উৎকণ্ঠা”: ট্রেন ধরতে গিয়ে দেখলাম যে
কামরা-র দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, এদিকে ট্রেন স্টেশনে দাঁড়াবে মাত্র
দু’মিনিট। সঙ্গে আমার সন্তান, স্ত্রী, বাবা-মা, এবং লটবহর। কী
হবে? টেনশন হবে, কিন্তু তাই নিয়ে, এবং সঙ্গে আরো একরাশ বাজে কথা
জুড়ে যে ৮ পাতার গল্পও হবে, তা বুঝতে গেলে আপনাকে এই গল্পটা পড়তে
হবে। তবে আমার অনুরোধ, পড়বেন না।
(২৯) মোনালিসা ঘোষ-এর “ভালোবাসা”: একটি অত্যন্ত বাজে ভাবে ও কাঁচা
হাতে লিখিত ভালো গল্প। আমি লেখকের লেখার সঙ্গে পরিচিত নই, হবার
খুব একটা শখও নেই যদি না তিনি জঁর ফিকশন লেখেন। তবে হ্যাঁ, একটা
খুব জটিল, খুব বাস্তবিক, খুব ভয়ের জায়গাকে ছুঁয়ে গেছেন লেখক, যেটা
এই সংকলনে খুব-খুব কম জন পেরেছেন। গল্পটা পড়ার মতো, নিঃসন্দেহে।
(৩০) সৌম্যশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর “এনকাউন্টার”: ভালো গল্প।
ভালো লেখা। খুব ভালো লাগল পড়তে। এ গল্পে সুপারন্যাচারাল নেই, নেই
মনের অন্ধকারের তত্ত্বতল্লাশ, কিন্তু আছে রোজ আমার-আপনার জীবনকে
ছুঁয়ে থাকা শীতল ও মসৃণ সাপের মতো একটা ভয়। হ্যাঁ, এই হল আতঙ্কের
গল্প।
(৩১) বিনোদ ঘোষাল-এর “সেই রাত”: ভয় আর মন-কেমন ভাবের অনুভূতি
নিপুণভাবে মিশে গেল কুশলী গল্পকারের হাতে এই গল্পে। ভালো লাগল।
(৩২) পল্টু দত্ত-র “লালসার হাতছানি”: একটি বোকা লোকের স্বখাত
সলিলে প্রায় ডোবার সত্যি বা কাল্পনিক অভিজ্ঞতাঃ লেখাটার এই নাম
দিলেই বেশি লাগসই হত। এছাড়া গল্পটা নিয়ে আর কিছু লেখা যাচ্ছে না।
সবমিলিয়ে এটাই বলার যে, শ’তিনেক টাকা গচ্চা দিয়ে এই বইটা কেনার
কোনো মানেই হয়না, বিশেষত যেখানে মোটে গোটা দশেক পড়ার মতো গল্প
আছে, যাদের মধ্যেও আবার এমন গল্প একটাও নেই যাদের দ্বিতীয়বার পড়ার
জন্যে আপনি খুঁজে নিতে চাইবেন।
কৃষ্ণেন্দু আর সায়ন্তনীর গল্পদুটো বরং তাঁদের গল্প-সংকলনে পড়ে
নিলে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
বাকি ভালো গল্পগুলো ট্রেকিং-এর, বা অন্য কোনোভাবে বেড়ানোর। মনে-মনে
কল্পনা করুন যে বেড়াতে বেরিয়ে স্টেশনে বা এয়ারপোর্টে পৌঁছে আবিষ্কার
করেছেন যে পার্স বাড়িতে রেখে এসেছেন, দেখবেনঃ কী ভীষণ রকম ভয়ের
অনুভূতি হবে!
তার চেয়েও বড়ো কথা, প্রকাশক ‘নামি’ লেখকের হাতের কাজ হিসেবে যেসব
জিনিস এই বইয়ে শামিল করেছেন তা দেখে আপনি এতটাই হতাশ হবেন যে হিমেশ
রেশমিয়ার গানও আপনার ভালো লেগে যেতে পারে তারপর। সেটা হলে কী হবে
ভেবে দেখেছেন?!
পড়বেন না।
আলোচক পরিচিতি - আলোচক এক উদ্যমী পাঠক, যিনি বিপ্লব, চোখের জল, মানবচরিত্রের অতলস্পর্শী গভীরতা, সিন্ডিকেট, সারদা, ধোনি, ইত্যাদি তাবড় বিষয় থেকে দূরে, স্রেফ বেঁচে থাকার গল্প পড়তে চান। নিজের ভালবাসা থেকেই দীর্ঘদিন বইয়ের রিভিউ করছেন।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।