বইয়ের খবর
মার্চ ৩০, ২০১৭
রহস্য সমগ্র: শবর ও অন্যান্য রহস্যকাহিনি
ঋজু গাঙ্গুলি
জঁর ফিকশন, বিশেষত রহস্য-রোমাঞ্চ এবং থ্রিলার যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের পছন্দসই বাংলা থ্রিলার বা রহস্যকাহিনির তালিকা আলো করে থাকেন ‘বড়োদের’ ব্যোমকেশ, কিশোরপাঠ্য ফেলুদা, কিছুটা কর্নেল, অতি বিরল ক্ষেত্রে বাসব বা ইন্দ্রনাথ রুদ্র, আর পুরোনো প্রজন্মের কাছে কিরীটী।
তাঁরা কেউ শবর দাশগুপ্তর নাম শুনে তাকে চট করে চিনতে না পারলে ব্যাপারটা মোটেই অস্বাভাবিক ঠেকত না কয়েক বছর আগেও।
কিন্তু “এবার শবর”, বা আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে অরিন্দম শীলের তুখোড় ফিল্মমেকিং, এবং বাংলা চলচ্চিত্র জগতের গর্ব শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের সৌজন্যে আমরা হঠাৎ জানতে পারলাম এই নীরব-নিপুণ-নিঃসঙ্গ সুপারকপ-এর সম্বন্ধে।
আর তখনই আমাদের, এবং নিঃসন্দেহে আনন্দ পাবলিশার্স-এর মাথাদের খেয়াল হল, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কিন্তু প্রায় পঁচিশ বছর ধরে রহস্য কাহিনি লিখে চলেছেন!
অতঃপর আত্মপ্রকাশ করল তাঁর যাবতীয় রহস্যকাহিনি সম্বলিত একটি হাত টনটন করানো সুমুদ্রিত হার্ডকভার, যা নিয়ে আমার এবারের লেখা।
বইয়ের নাম: রহস্য সমগ্র: শবর ও অন্যান্য রহস্যকাহিনি
লেখক: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
হার্ডকভার, ৮৩৯ পৃষ্ঠা আনন্দ পাবলিশার্স থেকে এপ্রিল ২০১৫-য় প্রকাশিত
|
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা খারাপ লাগে, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমাদের ছোটোবেলা, এবং অনেকটা বড়োবেলাও ভরে আছে “মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি” থেকে শুরু করে “পাতালঘর”। অনেকে আবার “দূরবীন”, “মানবজমিন”, “পার্থিব” বুকে নিয়ে চলেছেন। বহু পাঠক শীর্ষেন্দুর ছোটোগল্প পেলে আর কিছু চান না।
কিন্তু রহস্যকাহিনি লেখা যে কতটা কঠিন তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি রয়েছে বইয়ের একেবারে গোড়াতেই থাকা ‘নিবেদন’-এ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, কার্তিক নির্মাণে দক্ষতা না থাকলে পেছনের কাদা আর বাঁশ দৃশ্যমান হওয়ার নজির দিয়েই শুরু হয় এই বই।
প্রথমেই রয়েছে শীর্ষেন্দুর লেখা প্রথম রহস্যকাহিনি “বিকেলের মৃত্যু”।
এই লেখাটির একটি ইতিহাস আছে। পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় মৌলিক রহস্য উপন্যাসের প্রচার ও প্রসারে যে বিভাগটির বিশাল ভূমিকা ছিল, সেই রবিবাসরীয় ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস শুরুই হয়েছিল এই লেখাটি দিয়ে। রমাপদ চৌধুরীর সম্পাদকীয় দূরদৃষ্টির বদলে এই লেখাটি পড়লে অবশ্য আতঙ্ক জাগাই স্বাভাবিক, কারণ:
১) লেখাটি রহস্য কাহিনি হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, কারণ এতে না আছে রহস্য, না সাসপেন্স, না বিট্রেয়াল-জনিত কোনো অপ্রত্যাশিত ট্যুইস্ট।
২) লেখাটির তথাকথিত বৈজ্ঞানিক ব্যাপারস্যাপার টেকনো-থ্রিলার হিসেবে হাস্যকর তো বটেই, এমনকি পঁচিশ বছর আগেও এটিকে কল্পবিজ্ঞান হিসেবে না পড়ে খিল্লি হিসেবেই পড়া যেত।
৩) গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তথা নায়ক ববি রায় এমনই এক সুপারহিরো, যে তার কার্যকলাপ পড়তে গেলে রীতিমতো একঘেয়েমি আসে, বিরক্ত লাগে।
তবু, এই সম্পূর্ণ অখাদ্য লেখাটিতেও রয়েছে শীর্ষেন্দুর কিছু সিগনেচার টাচ, যেমন একটি অক্ষম গোয়েন্দা গোছের চরিত্রের মুখে কিছু উইটি ও কমিক সংলাপ, এবং একটি ভালোলাগার মতো, ভালোবাসার মতো নারী চরিত্র। এই লেখাটি যে পাঠকের অনুগ্রহ পেয়েছিল, তা বোধহয় ওই জন্যই।
এই বইয়ে এর পরেই স্থান পেয়েছে উপন্যাসিকা “কাপুরুষ”। এই লেখাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়, কারণ প্রথাগত রহস্য বা রোমাঞ্চের ধাঁচে লেখা না হয়ে বরং এর আকর্ষণীয় নন-লিনিয়ার ন্যারেটিভ কাঠামোয় ধরা পড়েছে কিছু অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক চরিত্র, কিছু স্থান-কাল-পাত্র ও পাত্রী, এবং বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ উপেক্ষিত ভারতের ইতিহাসের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়। প্লাস, এই গল্পে প্রটাগনিস্ট বিশ্বরূপকে শীর্ষেন্দু তাঁর অন্যান্য নায়কদের মতো করে গড়েছেন: বিষণ্ণ, ভাবুক, স্মৃতিমেদুর, নরম, কিন্তু ভেতরে একেবারে খাঁটি ইস্পাত। অন্যান্য নারী ও পুরুষ চরিত্রগুলো, বিশেষত বাঙালি চরিত্রগুলোর মতো সব কিছুতে নাক গলানো ন্যাগিং চরিত্র আজ থেকে বছর পঁচিশ আগে ট্রেনে-বাসে আকছার পাওয়া যেত বলে আরো বেশি করে এই গল্পের পটভূমিটা বুঝে নেওয়া যায়। আমাদের সবার অপার সৌভাগ্য, এখন বাঙালি আগের তুলনায় আধুনিক হয়েছে, ফলে সহযাত্রীর সঙ্গে আজাইরা প্যাচাল পাড়া সেই সময়ের উপন্যাসের অন্যতম উপজীব্য হলেও এখন আর গল্প-উপন্যাসে বিশেষ পাওয়া যায়না।
এই বইয়ের তৃতীয় লেখা, সম্ভবত রহস্যকাহিনি নির্মাণের ক্ষেত্রে শীর্ষেন্দুর এযাবৎ শ্রেষ্ঠ লেখা, “ঋণ”। এখানেই আমরা প্রথম সাক্ষাৎ পাই গোয়েন্দা শবর দাশগুপ্ত-র। “এবার শবর” সিনেমাটি এই কাহিনি নিয়ে তৈরি হলেও শবরের কাহিনি শীর্ষেন্দু লেখেন বিশুদ্ধ সংলাপ দিয়ে, যা নিয়ে সিনেমার বদলে শ্রুতিনাটক হলেই মানায়, যাকে অরিন্দম নিজস্ব দক্ষতায় এক সুপারহিট ফিল্ম তো বানিয়েইছেন, সঙ্গে তাতে অন্য এক মাত্রাও দিয়েছেন।
গল্পকে স্রেফ চোর-পুলিশের খেলার থেকে অনেক বড়ো, অনেক ব্যাপ্ত করার যে প্রক্রিয়া শরদিন্দু বারংবার প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়া প্রযুক্ত হয়েছে এই উপন্যাসে, যেজন্য এটি পড়ার পর গল্পের দুই সবচেয়ে ভালোবাসার মতো চরিত্রের মতো আমাদের মনেও ছেয়ে যায় দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, শান্তি মেশানো এক রঙিন কুয়াশা। যদি শবর, বা শীর্ষেন্দুর একটি রহস্যকাহিনি পড়বেন বলে ঠিক করেনে, তাহলে এটাই পড়ুন, যদিও এত মোটা বইটা হাতে থাকতে মাত্র একটা লেখা পড়ে থেমে যাওয়ার কোনো মানেই হয়না।
পরের লেখা, আবার শবরের মাধ্যমেই, “আলোয় ছায়ায়”। চিত্রকলা ও কিছু অসুখী-নিঃসঙ্গ মানুষের এই নভেল্লাটি নিতান্তই দুর্বল, কারণ এতে এত বেশি লুজ এন্ড রাখা হয়েছে যা রহস্য কাহিনিতে একেবারেই মানায়না। তবে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, মাত্র ক’দিন আগে এই সময়ের অন্যতম প্রধান কবি ঋজুরেখ চক্রবর্তী-র লেখা রহস্য উপন্যাস “ক্ষতমন্থন” পড়তে গিয়েও মুখ্য শিল্পী চরিত্রটির যা বিবরণ পেয়েছিলাম তা প্রায় হুবহু এক! বাঙালি লেখকদের কাছে কি তাহলে চিত্রশিল্পী মানে একটা স্টিরিওটাইপ? এই নিয়ে একটা রহস্য কাহিনি কেউ লিখবেন কি?
খুনের পদ্ধতির ব্যাপারে আগাথা ক্রিস্টির প্রবাদপ্রতিম উপন্যাস “টুওয়ার্ডস জিরো”-র কথা মনে করালেও আদতে একটি অত্যন্ত সহজ ও ফর্মুলাইক উপন্যাস “সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে” স্থান পেয়েছে এর পরেই। লেখাটা যখন রবিবাসরীয়তে ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছিল তখনও প্রথম দুটো এপিসোডের পরেই বুঝতে পেরেছিলাম খুনটা কে করিয়েছে। এখন লেখাটা পড়তে গিয়ে মনে হল, এই কাহিনির মধ্যে রহস্য-টহস্য কিস্যু নেই। যা আছে তা হল কয়েকটা পুড়ে খাক হওয়া চরিত্র, যাদের মতো একই সঙ্গে অপদার্থ-হয়েও-পদার্থ সচরাচর দেখা যায়না। ওয়ান্স এগেইন, উপন্যাসে গতি-জটিলতা-বেগ-আবেগ সবই এসেছে শবরের নিক্তিমাপা সংলাপের মাধ্যমে। লেখাটা একবার পড়ার পক্ষে ভালোই, তবে থ্রিলের আশা করবেননা।
পরের নভেল্লা “প্রজাপতির মৃত্যু ও পুনর্জন্ম” শিরোনাম থেকে শেষ অবধি মাত্র একটিই বিষয় নিয়ে: কীভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্ত্রী ও স্বামীকে একসঙ্গে নিয়ে আসা যায়। তারই জন্য নেহাত উপলক্ষ হিসেবে একটি ধর্ষণ ও মৃত্যু, একটি গণধোলাই, একটি পুলিশি ধোলাই, কিছু হাতাহাতি, কিছু গরমাগরম ডায়লগ, কিছু হাস্যকর-রকম অসংলগ্ন যুক্তি বা তার অভাব, একাকিত্ব ও বিশ্বাসভঙ্গ গোছের কিছু ছেঁদো কথা: এসব এসেছে। লেখকের মতো পাঠকও একেবারে প্রথম থেকেই বোঝেন কী হতে চলেছে। শবর দাশগুপ্ত-র উপস্থিতিধন্য হলেও এই লেখাটাকে রহস্যকাহিনি বলতে স্পষ্টতই দ্বিধাবোধ করছি। তবে লেখাটা পড়তে, যথারীতি, খারাপ লাগেনা।
অবশেষে, প্রচুর ট্রায়াল অ্যান্ড এরর করে, অবশেষে শীর্ষেন্দু একটি উপভোগ্য রোমাঞ্চকাহিনি তৈরি করলেন এবং আমাদের উপহার দিলেন “কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল”, যা এই বইয়ের সপ্তম কাহিনি। “বিকেলের মৃত্যু”-র মতো একই চরিত্রে কৃষ্ণ আর অর্জুন পাঞ্চ না করে এখানে শীর্ষেন্দু বেশ ক’টি উল্লেখযোগ্য পুরুষ চরিত্র তৈরি করলেন, যাদের কেউ আত্মভোলা-অথচ-ফিট বিজ্ঞানী, আর কেউ একই অঙ্গে গুড কপ ও ব্যাড গায়সঙ্গে অবশ্যই রইল তাঁর ফেভারিট ছাঁচে ঢালা সুন্দরী, ব্যক্তিত্বসম্পন্না, রুচিশীলা, দক্ষ নায়িকা ও প্রতিনায়িকা। গল্পের পটভূমি আর অ্যাকশনের প্রকৃতি মুহূর্মুহূ বদলে গেল। রইল শিলীত আইনানুগ যৌনতা এবং লাল চোখে দেখা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সঙ্গে খুচরো রসিকতাও। সব মিলিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ-রোমান্সের একটি উপাদেয় ককটেল আমরা পেলাম লেখকের কাছ থেকে, যেমন লেখা পড়ার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। শবর নেই এই গল্পে, কিন্তু লেখাটা পড়তে বেশ লাগে, সত্যি।
পরের গল্প “পদক্ষেপ”। এই গল্পেও রহস্য-টহস্য গৌন, কারণ খুনিকে চিহ্নিত করতে আপনার কয়েক পাতা পড়াই যথেষ্ট। এই গল্পেও এসেছে সেই এক ছাঁচে ঢালা কিছু সুন্দরী-অথচ-অসুখী নারীচরিত্র, কিছু সফল-অথচ-অক্ষম পুরুষচরিত্র, এবং শবর। এই গল্পের কার্ডিনাল সিন অবশ্য এটাই যে গল্পটা প্রায় মাঝপথে থেমে গেছে, বেশ কিছু আভাস দিয়ে, আর পাঠকের জ্ঞান-বুদ্ধির ওপর বাকিটা ছেড়ে। প্রশ্ন হল, পাঠকের জ্ঞান-বুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিলেই যদি রহস্যকাহিনি হয়, তাহলে বলে দিলেই হয় যে এটা শবরের গল্প। আমরা নিজেরাই বুঝে নেব, কে-কোথায়-কবে-কীভাবে খুন হয়েছে, মোটিভ আন্দাজ করে নেব, আর তারপর খুনিকে ধরে ফেলব।
এরপরের কাহিনি “রূপ”। এই গল্পটির বিশেষত্ব হল, এটি শবর ও গার্গী নাম্নী এক সুন্দরীর কথোপকথন মাত্র। ষড়রিপুর যাবতীয় কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে। এখন চলছে স্রেফ কথার মাধ্যমে, শবর যা ইতিমধ্যেই জেনে গেছে সেগুলোকেই একতরফার বদলে দু’তরফা চেহারায় পেশ করা।
বুঝতেই পারছেন, এখানে পাঠকের তরফে মগজাস্ত্র প্রয়োগের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। তাই এটাকেও ঠিক রহস্যকাহিনি বলতে পারছিনা।
তারপর আমরা পাচ্ছি “মারীচ”-কে। এই গল্পের বিষয়বস্তুও সেই একই রকম। একটি ‘ব্যবহৃত’ পুরুষ চরিত্র সাসপেক্ট, কারণ যে মহিলার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল সে খুন হয়েছে। অ্যাজ ইউজুয়াল, শবর এত সহজ সমাধানে বিশ্বাসী নয়, তাই সে তলিয়ে দেখছে। বেরিয়ে আসছে প্রথম দুটি বাদ দিয়ে বরং অন্য একটি রিপুর খেলা। দেখা দিচ্ছে কিছু ক্রীড়নক চরিত্র। পাশে থাকছে একটি রোমান্টিক সাবপ্লট, যা আমরা এর আগে প্রায় প্রতিটি কাহিনিতে দেখেছি। সংক্ষেপে, এরকম গল্প আমরা আগেও পড়েছি, এবং এতে কোনো নতুনত্ব নেই।
এই বইয়ের শেষ কাহিনি “ঈগলের চোখ”, যা ইতিমধ্যেই অরিন্দম শীল-এর সৌজন্যে চলচ্চিত্রায়িত। এই লেখাটা নিয়ে কীই বা বলব, কারণ এর আগের প্রতিটি শবর কাহিনি, বিশেষত “মারীচ” ছেঁচেই পাওয়া গেছে এই কাহিনিটি। আর সিনেমাটা, সমালোচকদের হাতে কিছু ব্যাপারের জন্য একেবারে ‘কিমা’ হলেও, এই নভেল্লার চেয়ে অনেক-অনেক ভালো।
সব মিলিয়ে এটাই বলার যে আপনি যদি “ঋণ” আর “কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল” পড়ে থাকেন, তাহলে শীর্ষেন্দুর কলমে তৈরি হওয়া সেরা দুটি রহস্যকাহিনিই আপনার পড়া হয়ে গেছে। বাকিগুলো স্রেফ ফিলার। হাতে করার মতো আর কিছু না পেলে পড়ে ফেলুন। নইলে, অপেক্ষা করুন অরিন্দম শীল-এর পরবর্তী সিনেমার জন্য। শাশ্বত আর অরিন্দমের যুগলবন্দি সত্যিই দেখার মতো হয়, এটুকু দায়িত্বের সঙ্গে বলতে পারি।
ভালো থাকুন।
আলোচক পরিচিতি - আলোচক এক উদ্যমী পাঠক, যিনি বিপ্লব, চোখের জল, মানবচরিত্রের অতলস্পর্শী গভীরতা, সিন্ডিকেট, সারদা, ধোনি, ইত্যাদি তাবড় বিষয় থেকে দূরে, স্রেফ বেঁচে থাকার গল্প পড়তে চান। নিজের ভালবাসা থেকেই দীর্ঘদিন বইয়ের রিভিউ করছেন।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।