“বাঙ্গালীর পুজো – গানে, পাঠে”!!

সম্পাদকীয়
দেখতে
দেখতে এসেই গেল পুজো। এই পুজোতে “অবসর” এর বিশেষ নিবেদন – “বাঙ্গালীর
পুজো – গানে, পাঠে”!!
একথা
নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবেনা যে আমরা বাঙালীরা পুজোতে শুধু উৎসবের
আনন্দের প্রতীক্ষাতে দিন গুনি না, আমদের অপেক্ষা থাকে আমাদের প্রিয়
গায়ক গায়িকাদের সুকণ্ঠে গীত গান বা লেখক লেখিকাদের লেখা গল্প-উপন্যাস-কবিতা-রম্যরচনা
গুলির জন্য। একুশ শতকের এই বিশ্বায়নের যুগে হয়তো ষাট- সত্তর- আশির
- সে উন্মাদনা অনেকটাই স্তিমিত, কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম একটু ফিরে
দেখতে, ধরতে চেয়েছিলাম সেই যুগটাকে।
তার
জন্য আমাদের লেখাকমণ্ডলী সাজিয়েছেন তাদের অর্ঘ্য। কারুর কলমে উপন্যাস
বা কবিতা পাঠের স্মৃতি, কারুর কলমে গানের, কারুর কলমে দুইই একসাথে।
কেউ আবার ব্যক্ত করেছেন বিশেষ কোন শারদীয়া চরিত্রের প্রতি অনুরাগ।
প্রখ্যাত লেখকের কলমে সত্তরের দশকে তাঁর প্রথম শারদীয়া উপন্যাস
রচনার অমূল্য স্মৃতি। এছাড়া আছে যে দেবীকে নিয়ে পুজো, তাঁর উৎস
সম্পর্কে সুতীব্র কৌতূহল ও তা নিরসনের এক ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।
সব মিলিয়ে আশা করছি ‘অবসর’ এর এই বিশেষ সংখ্যা আপনাদের মনোমত হবে।
আপনাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ আমাদের পাথেয় ও অনুপ্রেরণা হবে।
সবাইকে
জানাই শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছা। ‘ক্ষণিকের অতিথি’ আমাদের জীবনকে
প্রতিবারের মত এইবারেও রাঙিয়ে দিয়ে যাক – প্রার্থনা এটুকুই -
রঙ যেন মোর মর্মে লাগে
,
আমার সকল কর্মে লাগে ,
সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে ,
গভীর রাতের জাগায় লাগে ।
যাবার আগে যাও গো আমায়
জাগিয়ে দিয়ে
রক্তে তোমার চরণদোলা
লাগিয়ে দিয়ে ।
ভাস্কর
বসু