সমাজ ও সংস্কৃতি - পুরাণ কাহিনি
মার্চ ৩০, ২০১৫
অমর-কথা
পল্লব চট্টোপাধ্যায়
(১)
চিত্রকুটের এক নিভৃত কোণে অত্যন্ত মায়াময় পরিবেশে ঋষি বাল্মীকির আশ্রম। স্বচ্ছতোয়া তমসা নদী কুলুকুলু স্রোতে বয়ে চলেছে আশ্রমের গা ঘেঁষে। প্রাত:স্নান সমাপন করে ঋষি বাল্মীকি ও শিষ্য ভরদ্বাজ এসে বসলেন কুটির-সংলগ্ন বটবৃক্ষের তলাটিতে। এবার শুরু হবে তাঁদের শাস্ত্র আলোচনা। এমন সময় দুটি বালক এসে উপস্থিত, ঋষিদ্বয়কে প্রণাম করে তারা দাঁড়ালো তাঁদের সামনে। পরিধানে তাদের আশ্রমবাসী-সুলভ কৌপিন মাত্র, কিন্তু এই বয়েসেই চেহারার মধ্যে থেকে যেন ক্ষাত্রতেজ ফুটে বেরোচ্ছে। বাল্মীকি তাদের সম্বোধন করে বললেন-
-বৎস লব-কুশ, সব কুশল তো? মা জানকী ভালো আছেন? তা তোমাদের 'পৌলস্ত্য-বধ' গাথাটি শিখিয়েছিলাম তার অভ্যাস করছ তো প্রতিদিন?
-আজ্ঞে হ্যাঁ মাতামহ। কাল সন্ধ্যেতেই আমরা সমস্ত কাহিনীটি কণ্ঠস্থ করে জননী সীতাদেবিকে শুনিয়েছি। তাঁর কিছু জিজ্ঞাস্য আছে আপনার কাছে।
- গুরুদেব, এই 'পৌলস্ত্য-বধ' ই কি সেই মহাকাব্য যার সম্বন্ধে ভগবান নারদ ও ব্রহ্মা আপনাকে বলেছিলেন? ভরদ্বাজ বললেন। তাই যদি হয়, এতে তো শ্রীরামের সমস্ত জীবন তুলে ধরা হয়েছে। তা হলে আর শুধু পৌলস্ত্য* বা রাবন-বধের কাহিনী না বলে একে শ্রীরামচরিত বা রামায়ণ বলতে ক্ষতি কি?
- তোমার কথায় যুক্তি আছে, ভরদ্বাজ, আমাকে ভেবে দেখতে হবে। তবে এখন তুমি একটু দেখো গিয়ে আশ্রমবালকেরা শয্যাত্যাগ করে গাভীদোহন, কুটির-পরিচর্যা ইত্যাদি সম্পন্ন করেছে কিনা, আমার অবর্তমানে তোমাকেই তো সব দায়িত্ব নিতে হবে।
ভরদ্বাজ চলে যেতেই সীতাদেবীর আগমন। মহর্ষিকে প্রণাম করে তিনি পাশটিতে গিয়ে দাঁড়ালেন।
- কি গো মা-জননী, সকাল থেকেই মুখ মেঘাচ্ছন্ন দেখছি। কাব্যটি বুঝি পছন্দ হয়নি? ঋষি বললেন।
- ও কথা বলে লজ্জা দেবেন না। পিতা জনকের পর পিতৃজ্ঞানে আপনারই সেবা করেছি ও ততোধিক স্নেহ পেয়েছি আপনার কাছে। আপনার রচনার সমালোচনা করার অধিকার ও যোগ্যতা কোনোটাই আমার নাই। তবু কয়েকটি স্থানে যেন কেমন অন্যরকম শোনাচ্ছে। যদি আপত্তি না করেন, আমি একটু বুঝতে চাই।
- তা বেশ তো। রামের জীবন আমার চেয়ে তোমারি তো ভালভাবে জানার কথা । তবে জান তো, এই কাহিনী রচনা করি আমি ভগবান ব্রহ্মার নির্দেশে, শুধুমাত্র লোকশিক্ষার উদ্দেশ্যে, লোকরঞ্জনের ভূমিকা এখানে গৌণ। তাই স্থানে স্থানে আমায় রূপকের আশ্রয় নিতে হয়েছে। তা তোমার প্রশ্নগুলি তুমি স্বচ্ছন্দে রাখতে পর, আমার সাধ্যমত উত্তর দেব।
* - পুলস্ত্য মুনির বংসজাত বলে রাবণ পৌলস্ত্য নামে অভিহিত ছিলেন।
(২)
- মহর্ষি, প্রথমেই জানাই এই অপূর্ব মহাকাব্যটি আমার খুবই মনোমত হয়েছে, সীতা বললেন, তবে পৌলস্ত্য-বধ বা সীতা-কাহিনী না করে এর নাম রামায়ণ রাখলেই তা মনে হয় যথোপযুক্ত হবে। আর অপরাধ নেবেন না, আমি অযোনিসম্ভুতা, গতজন্মে বিষ্ণু-আকাঙ্খিনী রাবন-দ্বারা লাঞ্ছিতা বেদবতীর রাবণ-বিনাশের উদ্দেশ্যে পুনর্জন্ম-ধারণ, একথা কি সত্যি? আর রামের গাত্রবর্ণ আপনি বর্ণনা করেছেন নব দুর্বাদলঘনশ্যাম বলে, কোথাও বা মেঘনীলশ্যাম তার মানেও বুঝলাম না। কোনো সুস্থ মানুষের গাত্রবর্ণ এরূপ হতে পারে বলে তো আমার ধারণা ছিল না।
- খুব রেগেছ মনে হচ্ছে, মহর্ষি মৃদু হাসলেন। দেখ, আমি জানি, কোনো অপ্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান উৎপন্ন হয় না, সে হিসেবে তোমার মা-বাবাও কেউ নিশ্চয় ছিলেন। হয়ত তুমি কোনো সংকল্পচ্যুত ঋষিরই সন্তান। শাস্ত্রানুসারে যে তাকে পালন করে সে তারই সন্তানের পরিচয় পায়, আর সে হিসেবে তুমি রাজর্ষি জনকের পুত্রী। তবে তিনি তোমাকে হলের অগ্রে অর্থাৎ সীতায় পেয়েছিলেন তাই তুমি ধরনীর বুকে হলাকর্ষণের রূপ। আর রাম কি? রম্যতে ইতি রাম:। তোমাদের মিলনকে যদি আমি মাটির বুকে হলাকর্ষণ থেকে উৎপন্ন সীতা আর শস্যশ্যামলা বসুন্ধরারূপী নবশ্যাম রমনীয়-কান্তি রামের মিলন রূপে দেখাই, কি ক্ষতি তাতে? আমি তো বলেইছি, এই রামায়ণ শুধুমাত্র রামের জীবনকাহিনী নয়, লোকশিক্ষার্থে রচিত একটি রূপকও। মনে আছে, দেবর্ষি নারদ শ্রীরামের রূপ-বর্ণনাকালে স্নিগ্ধবর্ণ কথাটির উল্লেখ করেছিলেন, যাকে উজ্জ্বল শ্যামকান্তি বলা যেতে পারে। আমার রচনায় পাবে-
"সম: সমবিভক্তাঙ্গ স্নিগ্ধবর্ণ: প্রতাপবান।
পীনবক্ষা বিশালাক্ষ: লক্ষ্মীবান্ শুভলক্ষণ:।"
সীতা খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর একটু অনুযোগের সুরে বললেন- 'তাহলে পিত:, দেবর্ষি তো আপনাকে সীতার নির্বাসনের কথা বলেননি। আপনি উত্তরকাণ্ড লিখতে গেলেন কেন? পুরুষোত্তম রামচন্দ্রকে এ কলঙ্ক ধারণ না করলে কি চলছিল না!'
- ধন্য তুমি, সীতা, বাল্মীকি হাসলেন, এর পরেও তুমি রামকে আদর্শ পতি রূপে দেখাতে চাও জগতের সামনে। মনে করে দেখো সেই অগ্নিপরীক্ষার মুহূর্ত, তোমার উদ্দেশ্যে অকথ্য শব্দের প্রয়োগ করেছিলেন তিনি বিভীষণ সহ সমবেত বানর-ঋক্ষ সৈন্যদের সামনে....
- আর শুনতে চাই না, তাতঃ, ক্ষমা করুন, কানে হাত চেপে অসহ্য মানসিক ব্যথা নিয়ে প্রায় ছুটে পালিয়ে গেলেন সীতা।
(৩)
বাল্মীকি শান্ত অথচ উদ্বিগ্নভাবে সীতার চলে যাওয়া দেখলেন। তারপর শিষ্যের দল বেদপাঠের জন্যে এসে পড়ায় তাদের দিকে মনোনিবেশ করলেন। তারপর মধ্যাহ্নভোজন, দ্বিপ্রাহরিক ধ্যান আর লেখালেখির মধ্যে কিভাবে সময় কেটে গেল কিছুই বুঝতে পারলেন না।
সন্ধ্যে নামল। পশ্চিমে চিত্রকুট-শীর্ষ থেকে দিনমণি একটু শীঘ্রই যেন এগিয়ে যান অস্তাচলের দিকে। স্নান-আহ্নিক সেরে তিনি কুটিরে প্রবেশ করলেন। সেখানে আর এক দৃশ্য। লব-কুশ সুললিত-কন্ঠে গেয়ে চলেছে সূর্পনখা বৃত্তান্ত, আর সীতা তাই শুনে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। ঋষিকে দেখে তিনি সংযত হয়ে প্রণাম করলেন।
- যাক, তাহলে রাগ ভেঙ্গেছে মেয়ের, সস্নেহে বললেন বাল্মীকি।
- আমি তো রাগিনি, পিত:। সেসব ভুলে যাওয়া দু:খের কথা মনে পড়ায় বেদনাবোধ করছিলাম। তা পিতা, এতসব যখন লিখলেন লব-কুশের কাহিনী, ও তার পরেও কি ঘটতে চলেছে সব কিছুরই বর্ণনা করতে পারতেন।
- দেখ মা, আমি তো লঙ্কাকান্ডের শেষে রামের রাজ্যাভিষেক পর্যন্ত রচনা করে থামিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ ততদিনে প্রায় একুশ হাজার শ্লোক রচনা হয়ে গেছে। এত কে শুনবে ধৈর্য ধরে, বল। ইতিমধ্যে তুমি এলে এই কুটিরে। তখন ভাবলাম, এই কাহিনী যদি না আনি লোকসমক্ষে, আমায় সবাই মিথ্যাচারী বলবে। তখন উত্তরাকান্ড রচনা শুরু করি। তাতে রাম কর্তৃক সীতা পরিত্যাগ ও চিত্রকুট অঞ্চলে তাঁর নির্বাসনটুকু রচনা করে ক্ষান্তি দিই। তবে আমি জানি, আমার উত্তরসুরীরা এখানেই থামবে না, তারা অনেক কিছুই প্রক্ষিপ্তভাবে লিখে যাবে। তাতে কাব্যমাধুর্য ক্ষুন্ন হবে আর লোকশিক্ষাও হবে না। কিন্তু উপায় কি, ভবিষ্যতের উপর তো কারো হাত নেই! দেখ আমি রামায়ণের একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে একটা শ্লোক রেখেছিলাম এর গোড়াতেই,
'একাবিংশ সহস্রানি শ্লোকানাম উক্তবান ঋষি।
তথা সর্গ শতাংচতুর্ পঞ্চাশত ষট কান্ডানি।।'
পরে তাকে বদলে ফেললাম, এখন জোড়াতালি দিয়ে শ্লোকটা এরকম দাঁড়িয়েছে-
'চতুর্বিংশ সহস্রানি শ্লোকানামুক্তবান ঋষি।
তথা সর্গ শতাংপঞ্চ ষটকান্ডানি তথোত্তরম।।'
অর্থাত চব্বিশ হাজার শ্লোক, পাঁচশ সর্গ, ছয় কান্ড এবং উত্তর কান্ড, আশা করি বুদ্ধিমান লোকে ইঙ্গিতটা ঠিকই ধরতে পারবে।
না, সীতার এ ব্যাপারে কোনো কৌতুহল নেই। তিনি জানতে চাইলেন রাক্ষসদের কথা, মুনির রচনায় তারা নরখাদক বীভৎস জীব হিসেবে কেন প্রকাশ পেল, রাবণের বিচিত্র উপাখ্যান....বস্তুত: যেসব ঘটনা বা কাহিনী জানকীর অভিজ্ঞতার সাথে মিলছে না, তাতেই তাঁর আগ্রহ বেশী।
ঋষি বুঝলেন তাঁর অন্তর্দ্বন্দ। বললেন, মা, আজ রাত্রি হয়েছে, কাল প্রত্যুষেই তোমাকে শোনাব রাক্ষসদের আসল কাহিনী আর এছাড়াও যা তুমি জানতে চাও।
(৪)
-বল, কোথা থেকে শুরু করি? বাল্মীকি জিজ্ঞাসা করলেন সীতাকে।
-পিতা, রাক্ষস সম্বন্ধে যে ছবি আপনি এঁকেছেন আপনার কাব্যে, তার সাথে আমার চোখে দেখা রাক্ষসের তো সেরকম কোনও মিল পাচ্ছিনা। তারা অধিকাংশই দেখতে কুৎসিত ঠিকই, গাত্রবর্ণ ঘোর শ্যাম, কিন্তু সুপুরুষ ও সুন্দরীরও অভাব নেই তাদের মধ্যে। আর নরখাদক, আমি তো মনে করতে পারছি না। অবশ্য তারা ঘোর তামসিক, মদ্য-মাংসে অরুচি নেই। আমার তো মনে হয় তারাও মনুষ্য জাতীয় জীব। তাহলে তারা কারা, কোথা থেকে তাদের উৎপত্তি, এসব আমায় একটু বুঝিয়ে বলুন।
- তুমি ঠিকই বলেছ, মা। রাক্ষস একপ্রকার মনুষ্য বই কি। সভ্য কিনা জানিনা, তবু তারাই হয়ত এ পৃথিবীর আদিমতম জাতি। আর্যেরা এদেশে প্রবেশ করার মুহূর্তেও তারা এই বিশাল প্রদেশে রাজত্ব করত। জনশ্রুতি আছে, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা আদিতে সমুদ্র, নদী ও বিশাল জলাধার সৃষ্টি করেন। তারপর সেই জলের রক্ষা-হেতু বিভিন্ন জল-জন্তুর সৃষ্টি হয়। তাদের মধ্যে অনেকে স্থলে বাস করতে শুরু করে। তারাই একসময় ব্রহ্মার কাছে গিয়ে প্রার্থনা করে, তাদের জীবিকা, খাদ্য ও জীবনধারণের উদ্দেশ্য কি এসব জানতে চায়। ব্রহ্মা তাদের বলেন, তোমরা এই সসাগরা পৃথিবী ও তার বসবাসী প্রানীদের রক্ষা ও বৃদ্ধি-উন্নতির সহায়ক হও। তাদের মধ্যে দুই জাতি ছিল। একদল ক্ষুধার্ত ও অন্যদের ক্ষুধাতৃষ্ণা সেরকম ছিল না। যারা ক্ষুধিত, তারা বলল 'বযং রক্ষাম:', অর্থাত আমরা রক্ষা করব, আর যারা ক্ষুধাহীন তারা ঘোষণা করলো 'বযং যক্ষাম:', তারা অন্য প্রানীদের সমৃদ্ধ করবে।
'রক্ষাম: ইতি যইরুক্তম রাক্ষসাস্তে ভবন্তু ব:|
যক্ষাম: ইতি যইরুক্তম যক্ষা এব ভবন্তুব:।।'
এই বলে ঋষি থামলেন। সীতা বললেন, 'এত ভালো কথা। তাহলে রাক্ষসরা হঠাত করে দুরাচারী হয়ে পড়ল কিভাবে?'
-সে আর এক কাহিনী। তাহলে তোমায় এদের পুরো ইতিহাস শোনাতে হয়, যা রামকে শুনিয়েছিলেন ঋষি অগস্ত্য। যক্ষরা অনন্তর চলে গেল সুমেরু প্রদেশের দিকে, সেখান থেকে তারা মাঝে মাঝে এসে সবার শিক্ষা-দীক্ষা, ধনসম্পদ বৃদ্ধির উপায় এসব বিষয়ে দেখাশুনা করতে থাকলো। রাক্ষসজাতি সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়, তাদের থাকার কোনও নির্দিষ্ট স্থান নেই। ইতিমধ্যে রাক্ষসকূলে হেতি-প্রহেতি নামে দুই ভাইয়ের জন্ম হলো। তারা নিজেদের বল-বীর্যের প্রভাবে রাক্ষসদের অধিপতি হয়ে উঠলো। তবে ধর্মপরায়ণ প্রহেতি একদিন সংসার ত্যাগ করে তপস্যা করতে চলে গেলেন।
এদিকে হেতি বিবাহ করলেন কালের ভগ্নী ভয়াকে। তাঁর পুত্র ছিলেন মহাপরাক্রমশালী বিদ্যুৎকেশ। তাঁর বিবাহ হলো সন্ধ্যা নাম্নী রাক্ষসীর কন্যা সালকটঙ্কটার সাথে। তাঁরা যখন হিমালয়ে প্রমোদে ব্যস্ত, সালকটঙ্কটা একটি পুত্রের জন্ম দিয়ে তার আর খোঁজ না নিয়ে বিদ্যুত্কেশের কাছে চলে এলেন। সেই ছেলেটিকে শিব কুড়িয়ে পান ও পার্বতী তাকে মানুষ করেন। তার নাম হয় সুকেশ। তিনি বয়:প্রাপ্ত হলে মহাদেব তাঁকে একটি আকাশচারী বিমান, অমরত্ব বর ও প্রভূত ধনরত্ন দিয়ে স্বগৃহে ফেরত পাঠান।
- আচ্ছা পিত:, এই অমরত্বে আপনি বিশ্বাস রাখেন? জানকী হঠাৎ প্রশ্ন করলেন।
- ধীরে, বৎসে, ধীরে। অমরত্ব সত্যি আছে কিনা জানিনা, প্রাকৃতিক নিয়মে জীবমাত্রেই নশ্বর। একমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কেউ কোথাও সত্য-সত্যই অমর আছে বলে আমি মনে করিনা। আমার কাছে অমরত্বের সংজ্ঞা অন্যরূপ, সে কথায় পরে আসছি। এই 'রাক্ষস-কুলকথা' সত্যই বেশ দীর্ঘ, তুমি বোধকরি শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছ!
- তা নয়, মহর্ষি, সীতা লজ্জিত হয়ে বললেন। আপনি বলুন, আমার শুনতে বেশ ভাল লাগছে।
- তা হোক, অনেক বেলা হলো, আমার শিষ্যদল এখনি ছুটে আসবে। তোমার পাকের সময় হলো, সময়ান্তরে এ বিষয়ে আরো কথা হবে।
(ক্রমশঃ)
লেখক পরিচিতি - জন্ম ও বেড়ে ওঠা বিহার (অধুনা ঝাড়খন্ডের) ধানবাদ কয়লাখনি ও শিল্পাঞ্চলে, সেখানে 'নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান' হলেও বাংলা ও বাঙালিদের প্রাধান্য ছিল একসময়। ১৯৮২ সালে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে পেট্রোলিয়াম লাইনে চাকুরী, বর্তমানে কুয়েত অয়েল কোম্পানিতে কর্মরত। শখ-গান-বাজনা আর একটু-আধটু বাংলাতে লেখালেখি। কিছু লেখা ওয়েব ম্যাগাজিনে (ইচ্ছামতী, আদরের নৌকো ও অবসর) প্রকাশিত ।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।