ভ্রমণ
মার্চ ৩০, ২০১৭
পায়ের নিচে রয়েছে তুষার
রিমি পতি
যখন পায়ের নিচে তুলোর মতে এক রাশ তুষার, চোখ মুখে বরফ কুচি, তখন স্বস্তিতে থাকার কথা নয়। “মৌজমস্তি” আরও দুরস্থান মনে হতেই পারে। আমি গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মানুষ হয়ে জন্মেছি, কাজেই চিরকাল তুষারপাত দেখে অভ্যস্ত, এমন দাবি করতে পারি না। তুষার পাতের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় সিমলাতে। তখন নিতান্ত ছোট,কাজেই তুষার বল বানিয়ে ছোঁড়া এবং শীতের কামড় অসহনীয় হলে কান্নাকাটি করে রুম হিটার চালিয়ে ভেতরে বসে থাকা, এই ছিল আমার দৌড়।
অনেক পরে স্কটল্যান্ডে থাকা কালীন প্রচুর তুষারপাত দেখেছি। তবে তুষার সম্পর্কিত কোন ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব, এটা মাথায় আসেনি। ওটা দূরদর্শনেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেরকম কারো সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি যারা স্কি করতে যান। আরও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকাপাকি বসবাস করা শুরু হলে, আমাদের কলোরাডো রকি মাউন্টেন রেঞ্জে নানা স্কি রিসোর্ট যাওয়ার সুযোগ হয়।
ডেনভার থেকে গাড়ি নিয়ে গেলে ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যেই বেশ কিছু নামীদামি রিসোর্ট আছে। তখন নব্বইয়ের দশক। গন্ডোলা চড়ে প্রত্যেকেই যাচ্ছেন পাহাড়ের উপর দিকে। আমরাও গেছি। অনেকে এই পর্যন্ত গিয়ে থেমে যান। আমরা আরো দু;সাহসী, তাই স্কি কী করে করা যায় তার খোঁজ নিতে গেছি। অচিরেই টের পেলাম, অনেক প্রস্তুতি প্রয়োজন। শুনলাম প্রথম ধাপ হোল স্কি ও স্কি বুট ভাড়া করা। এখানে প্রথমেই স্বীকার করা ভাল যে স্কি বুট পরে, স্কি ঘাড়ে করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছতে আমি গলদঘর্ম হয়ে উঠেছিলাম ওই ঘোর শীতের মধ্যেও।
আল্পাইন স্কি বা ডাউন হিল স্কি কী বস্তু, সেটা খানিকটা বুঝিয়ে ইন্সট্রাক্টর সাহেব স্কি সহ আমাদের দলের সবাইেকে এগিয়ে চলতে বললেন। সবাই নুতন শিখতে এলেও, এলেম সবার এক রকম নয়। এগিয়ে যেতে বললেই কি যাওয়া যায়? ঠিকঠাক স্কি পরে দাঁড়িয়ে থাকা মোটেই মুখের কথা নয়। ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারলে পতন অথবা পেছন দিকে গড়িয়ে যাওয়া। এক স্কি ও স্কি বুট নিয়ে হিমশিম, তারপর আবার হাতে আমার হাইট অনুযায়ী দুটো লম্বা পোল ধরিয়ে দিয়েছে।“ বল মা তারা দাঁড়াই কোথা” গাইলে চলবে না । এজিং, স্নো প্লাউ মোগুল, পোলিং এসব নতুন শব্দ অনর্গল আউড়ে যাচ্ছেন আমাদের ইন্সট্রাক্টর। তাঁর ঝকঝকে হাসিটি, পায়ের নিচে তুষারের মতোই শুভ্র,অমলিন। তবু যেন ভরসা পাই না।
মোগুল কথাটা শুনলাম, আন্দাজ করলাম এখানে মুঘোল সামরাজ্যের কথা হচ্ছে না। এখানে সামান্য পাদটিকা দিয়ে দিই। পর্বতাঞ্চলের স্থানীয় ভাষায় ‘মুগেল’ শব্দের অর্থ ছোট টিলা। স্কি স্লোপে কিছু কিছু অংশ পরিপাটি করে সমান না করে , এমনি ফেলে রাখা হয়। স্কিয়ার দের পায়ে পায়ে স্নো জমে জমে ছোট ছোট টিলা বা মোগুল তেরী হয়। সেইগুলির পাশ কাটিয়ে কায়দা করে নামতে পারলে কেউ এই বিদ্যায় যথেষ্ট এগিয়েছে বলে ধরা হয়।
মাস্টার বলে দিয়েছেন, হাঁটু সবসময় বুটের সামনের দিকে ঠেকানো চাই। শরীরটা সামনে একটু ঝুঁকে থাকবে, বুটের মধ্যে পা বেশি নড়াচড়ার কোন প্রয়োজন নেই। আঁটসাঁট থাকাই মঙ্গল। নভিস স্কিয়ারের জন্য হাল্কা, নাতিদীর্ঘ স্কি চাই। স্কি চলাকালীন সেটাকে ইচ্ছে মতো থামাতে পারা চাই। স্নো প্লাউ, মানে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে স্কি দুটো ত্রিকোণ আকৃতি করে ফেলতে পারলেই, স্কি তোমার বশে। শুনতে মন্দ লাগছে না, তবে প্রথম দিকে পদে পদে বোঝা যাবে এইসব নির্দেশ পালন করতে গেলে শতকরা একশ ভাগ মনোনিবেশ দরকার। আমার চিরকেলে অভ্যাস মত এদিক ওদিক চেয়ে, অন্যমনস্ক হলে বিপদ অবশ্যাম্ভবী।
কলোরাডোর ভেল-এ স্কি
কলোরাডোর বীভার ক্রীক-এর স্কি স্লোপে গন্ডোলায় যাত্রা
সবুজ , মানে সহজ- সদ্য জ্ঞ্যানপ্রাপ্তদের জন্য। এরপর ট্রেলের আগায় নীল রং বোর্ড দেখলে বুঝতে হবে এটা পরের ধাপ। এখানে স্লোপ মাঝারি রকম খাড়াই ও কিছুটা বিপজ্জনক। তারপর আসছে, কালো রঙ অর্থাৎ ব্ল্যাক ডায়মন্ড। এখানে খাড়াই পাহাড় ও মুগোল-লাঞ্ছিত স্লোপ। আমাদের পরিচিত এক দম্পতি আপন ভাবে বিভোর হয়ে স্কি করছিলেন, ভুল করে এমন কোন কালো হিরে চিহ্ন দেওয়া স্লোপে নেমে পড়েন। স্কি খুলে, ঘষটে নামতে হয়েছে তাদের। সেই অভিজ্ঞতার পর তারা আর ওমুখো হননি। পার্টিতে স্কি র বিষয় কোন আলোচনা হলে বিরস মুখে সরে যান। মূল মন্ত্র হল নিজের যোগ্যতা বুঝে চলতে পারলে, এ ভারি মজার খেলা। নইলে খেলা মাটি এবং পদে পদে বিপদ।
পরের দিন যদি বা একটু এগিয়েছি, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কেমন যেন বৃক্ষ প্রেমী হয়ে উঠেছি। পইপই করে বারণ করা সত্ত্বেও হোয়াইট আস্পেন বা পাইন গাছে গিয়ে ঠেকে যাচ্ছি। কাতর ভাবে স্কি শিক্ষককে জানিয়েছিলাম,“ দাদা আমায় রেখে আসুন, এ আমি পেরে ঊঠব না ।” তিনি অক্লেশে বললেন, “এ খেলায় উপরে রেখে আসার ব্যাবস্থা নেই, শুধু নিচে নামতে হবে, কেন না এ হল ডাউন হিল স্কি।”
প্রথম দিকে শিক্ষানবিশরা অল্প ঢালু পাহাড়ে স্কি করা অভ্যাস করতে থাকে। সেগুলো হল- বানি স্লোপ। সে যাত্রা আরও কয়েক দিনের চেষ্টায়, পড়তে পড়তে, নিচে নামতে শিখলাম। বেশ কয়েক বছর ধরে নানা জায়গায় ঠোক্কর খেয়ে, গত দশ বছর হল,ইন্টারমিডিয়েট লেভেল-এ উঠতে পেরেছি। এখন বুক ঠুকে বলতে পারি, “নীল চিহ্ন তোমাকে ভয় পাই না”। মাঝারি গোছের পাহাড় এখন আমার বুকে আতঙ্ক জাগায় না। তরতর করে স্কি পায়ে নেমে যাই, প্রথম দিকের মত “ওগো, কে কোথায় আছ” গোছের ভাব উধাও। আরও বলে রাখি, ওই প্রতি মিনিটে ত্রিভুজ আকারে স্কি জোড়া থামানো এখন বন্ধ । পা দুটো সমান্তরাল রেখে স্কি করতে পারা দরকার নইলে উন্নতি করা অসম্ভব। কেউ কেউ প্রথম চেষ্টাতে রণে ভঙ্গ দেন। তাদের আমি বিন্দুমাত্র হেয় করি না। এই বিদ্যা পরিণত বয়সে আয়ত্ত করা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য, ধৈর্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
স্কি করা কিন্তু একশো বছর আগেও শুধু মাত্র মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ তুষারের উপর চলা ফেরার প্রয়োজন কিন্তু মানব সভ্যতার আদিকাল থেকেই। নরওয়ে ও রুশ দেশে প্রাগৈতিহাসিক গুহা চিত্রে স্কি পায়ে পশুশিকার করতে যাওয়ার ছবি দেখা যায়। প্রাচীনযুগের সেই স্কি প্রস্তুত হত কাঠের টুকরোকে গাছের শক্ত শিকড় বা পশুর চামড়া দিয়ে শক্ত করে বেঁধে। তুষারঢাকা পাহাড়ে, প্রান্তরে রেন ডিয়ারের পায়ে চলা তুষার রেখা ধরে আদিম মানুষ দ্রুত এগিয়ে যেতে পারত শিকার যোগ্য পশুর উদ্দেশে। তুষারঢাকা পথসহীন প্রান্তরে মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে দ্রুতগামী হতে চেয়েছে । স্কি উদ্ভাবন হয়েছে সেই আদিম তাড়না থেকেই। এই আদি স্কি অবশ্য সমতলে চলার জন্য, এল্পাইন বা ডাউন হিল স্কি নয়। স্কি তখন শিকার, বা রণক্ষেত্রে দ্রুতগামী একটি যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করা হত। এখানে উনবিংশ শতাব্দীর একটি তৈলচিত্রের কথা বলার লোভ সামলান গেল না। ছবির বিষয় হল, সেই বিখ্যাত বারকেবাইনার কিংবদন্তী। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নরওয়ের শিশু রাজপুত্র হাকন-কে তার পিতার রাজনৈতিক বিরোধীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য টরস্টেন ও স্কারভাল্ড নামে দু’জন বিশ্বস্ত যোদ্ধা একটি কাপড়ে শিশুটিকে গলায় ঝুলিয়ে ৫৪ কিলমিটার দূরে নিরাপদ স্থানের দিকে ছুটে চলেছে স্কি পায়ে। তাদের স্কি বুট বাঁধা হয়েছে বার্চ গাছের ছালে। চিত্রকর নুড বারগস্লিয়েন তুলির আঁচড়ে সেই বহু যুগ আগের ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে আজকের সুইডেনে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ শিশু রাজপুত্রের ভার সমকক্ষ একটি কাপড়ের পুঁটলি গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে ক্রস কান্ট্রি স্কি রেস করেন, সেই ৫৪ কিলমিটার রেস্কিউ রুট ধরে।
নরওয়েকে স্কির জন্মস্থান বলে ধরা হয়। সুইডিশ ও নরওয়েজিয়ানরা এই বিশেষ দক্ষতা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন অন্যান্য মুলুকে। শিকার বা রণক্ষেত্র ছাড়িয়ে ক্রস কান্ট্রি স্কি মানুষের বিনোদন হিসেবে দেখা দিল ১৮০০ শতাব্দীতে। ১৮৬৮ নাগাদ স্কি জাম্পিং জনপ্রিয় হতে শুরু করল। নরডিক স্কির সামনের অংশটি চওড়া ও পেছনের অংশটি সরু। প্রথম দিকে নরডিক স্কি শুধু দ্রুত যাতায়াত করার জন্য ব্যবহার হত। সন্দ্রে নরহাম, আজকের প্রচলিত আধুনিক নরডিক স্কি প্রথম উদ্ভাবন করেন। তবে আল্পাইন স্কি বা ডাউন হিল স্কি-র প্রচলন করেন অস্ট্রিয়ান মাথিয়াস ইয়াডারস্কি। ডাউন হিল স্কি জনপ্রিয় হতে দেরি হয়, তার কারন স্কি পরে পায়ে হেঁটে পাহাড়ে চড়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।স্কি করে নিচে নামতে চাইলে প্রথমে উপরে উঠতে হয়। সেখানেই যত গেরো। অতএব প্রথমে ট্রেন, বৈদ্যুতিক চেয়ার ও আরো পরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গন্ডোলার প্রচলন হল। এখন স্কি না পরেও অনায়াসে আপনি উপরে ঘুরে আসতে পারেন। তবে আরও উপরে যেতে গেলে স্কি পরা অবস্থায় চেয়ার লিফট থেকে নামতে জানা চাই।
হিন্দি ছবিতে নায়িকা হামেশাই শীতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্রেফ পাতলা শিফনের শাড়ি পরে নেচে কুঁদে আমাদের আমোদিত করেন। হাই হিলও বাদ দেন না। বাস্তবে এমন হাল্কা পোষাকে মিনিট দুয়েকের বেশী টিকে থাকা অসম্ভব। স্কি স্লোপে কাউকে লম্বা ঝুলের পোশাক পরতে দেখা যায় না, হাই হিল তো নয়ই। স্কি স্লোপে পা রাখার আগে শীতের বিরুদ্ধে নিয়মমাফিক প্রস্তুতি নেওয়া চাই। নারী বা পুরুষ প্রত্যেকেই একটা ‘বেস লেয়ার” পরতে পারেন। থার্মাল হতে পারে, নয়ত সিল্ক। তারপর আরও গরম আরেকটি হাল্কা লেয়ার, এবং সবশেষে স্কি জ্যকেট। ঠিক মতো নিয়ম মেনে পোষাক পরলে শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকে। মাথায় হেলমেট ও চোখের জন্য স্কি গগলস এবং হাতে স্কির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী দস্তানা ও মোজা। বেশ কয়েকটি স্কি সিজন পার করে দেখেছি, হাতে বা পায়ে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা লাগে, বাকি শরীরে তেমন কিছু নয়। পায়ের মোজারও বায়নাক্কা আছে। সুতির মোজা নৈব নৈব চ। উলের আঁট সাঁট মোজা জ্রুরি স্কি বুটের মধ্যে ঠিকঠাক চেপে বসার জন্য। স্কি রিসোর্টে সান্ধ্যভোজের সময়, সাজগোজের ঝামেলা নেই, দিনের পোশাকটাই চলতে পারে, অল্পবিস্তর এদিক ওদিক করে। বিনামূল্যে রিসোর্ট বাস কাছাকাছি সব জায়গায় নিয়ে যায়।
বীভার ক্রীক-এর প্রকৃতি
|
স্কি করতে কোথায় যাওয়া যেতে পারে সে কথায় আসা যাক। কমপক্ষে ২০০০ স্কি রিসোর্ট আছে ৫৭ টা দেশ মিলিয়ে। কানাডার দশটি প্রভিন্সেই স্কি করা যায়। সুইস আল্পস-এ ক্লস্টারস স্কি রিসোর্ট এ ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য থেকে প্রথম সারির হলিউড অভিনেতা, যে কোনও তারকার সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঞ্চলে, ভেল, আস্পেন, বিভার ক্রিক, কি স্টোন বা স্টিম বোট ইত্যাদি ঘুরেছি। এই সব স্কি স্লোপে, লম্বা রান, স্নো বোল, নাইট স্কি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবশ্যই থাকে। আর প্রত্যেকটি স্কি ট্রেল মন ভাল করা নাম নিয়ে স্কিয়ারদের যেন আপ্যায়ন করে কাছে ডাকে। উদাহরণ হিসেবে নাম করতে পারি, সান আপ, সান ডাউন, টি কাপ, চায়না বোল, সাইবেরিয়া, গ্রিন মেডো কিংবা কাইয়োটি রান। ইউটার পার্ক সিটি, বা ক্যলিফরনিয়ার লেক টাহো গিয়েছি। যারা এই রসে বঞ্চিত, তাদের জন্য স্কেটিং, স্নো বোর্ড, স্নো টিউবিং, স্নো শু ওয়াকিং অথবা নিছক শপিং ও ভাল ভাল রেস্তরাঁয় খাওয়ার প্রচুর অবকাশ।
বীভার ক্রীক-এর ফায়ারপ্লেস
স্টীমবোট, কলোরাডোর সন্ধ্যা
ভারতও এ ব্যাপারে আগের মতো নেই। এখন গুলমার্গ ছাড়াও বারো, তেরোটি স্কি স্লোপ আছে। তবে সেখানে ভিনদেশি মানুষ এর দেখা পাওয়া যায় বেশি। এই পড়ে গেলাম, ওই বুঝি গড়িয়ে নিচে পড়লাম এই স্তর থেকে খানিকটা উঠতে পারলে, এই খেলার জুড়ি মেলা ভার। যখন স্কি বুটের নিচে নরম শুভ্র তুষার, আকাশ যখন নীলিমায় নীল, তখন খেলা চলতেই পারে পাহাড় থেকে পাহাড়ে।
লেখক পরিচিতি - ২০ বছরেরও বেশি বসবাস ও কাজ সাউথ ক্যারোলিনায়। কর্মসূত্রে স্পার্টনবার্গ স্কুল ডিস্ট্রিক্ট-এর সঙ্গে যুক্ত। লেখালেখি ও বেড়ানোতে খুব আগ্রহ।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।