জ্যোতিষশাস্ত্র
প্রবেশিকা (অন্যান্য
অনুচ্ছেদ)
অনুচ্ছেদ - ৬
বিভিন্ন বর্গ ও নবাংশ
কুণ্ডলীর
অন্যান্য কাঠামো
৪র্থ অনুচ্ছেদে গ্রহদের
অবস্থান যে ভাবে জন্মকুণ্ডলীতে দেখান হয়েছে, তা ছাড়াও অন্য রকম
ছকের প্রচলন আছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ও নানান বইতে জন্মকুণ্ডলীর
বিভিন্ন রকমের কাঠামো ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণতঃ
যে ভাবে গ্রহদের অবস্থান নির্দেশ করা হয় তা চিত্র ৬(১)-এ দেখান
হয়েছে।
চিত্র ৬(১)
এখানে উপরের সারির চারটি
বর্গক্ষেত্রের বাম দিক থেকে দ্বিতীয়টিতে মেষ রাশির অবস্থান ধরে
ডান দিক থেকে ঘুরে (clockwise) পরপর বাকী রাশি গুলিকে ( বৃষ,
মিথুন, কর্কট ইত্যাদি ) দেখানো হয়। ৩য় অনুচ্ছেদের ৪(১) চিত্রতে
প্রদর্শিত কুণ্ডলীটি এই বিন্যাস অনুযায়ী যেমন দেখা যাবে সেটা
চিত্র ৬(২)-এ দেওয়া হল।
চিত্র ৬(২)
৬(৩)-এ দেখানো অন্য এক ধরণের কাঠামোও প্রচলিত
আছে। সাধারণতঃ উত্তর ভারতের জ্যোতিষীরা এটা ব্যবহার করে থাকেন।
এখানে লগ্ন সব সময়েই উপরে মাঝখানের চতুষ্কোণে দেখানো হয় এবং
সেখানে রাশির সংখ্যা নির্দেশ করা হয়। লগ্ন যে সংখ্যক রাশিতে
হবে, তার পর থেকে অন্যান্য রাশিগুলি যে ভাবে বসাতে হবে তা চিত্র
৬(৩) থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে প্রত্যেক ঘরেই রাশির সংখ্যা
লিখতে হবে। এই কাঠামো অনুযায়ী ৪(১) চিত্রের কুণ্ডলীটি যেমন দেখা
যাবে তা ৬(৩)-এ দেখানো হল।
চিত্র ৬(৩)
চিত্র থেকেই বোঝা যাচ্ছে
যে, ২, ৩, ৬ এবং ১০ নং রাশিতে অর্থাৎ বৃষ, মিথুন, কন্যা ও মকর
রাশিতে কোনো গ্রহ নেই। কি ক্রম অনুযায়ী পরপর এক রাশি থেকে অন্য
রাশিতে যেতে হবে তা রাশির সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা আছে। এই কাঠামো
ব্যবহার করলে লগ্নকে উপরের মাঝের ঘরে ধরে পরপর রাশির সংখ্যা
ও সেখানে অবস্থিত গ্রহ দুইই দেখাতে হবে।
বর্গ
আমরা এখন জানি যে মোট ১২
টি রাশির প্রতিটির বিস্তৃতি ৩০ ডিগ্রি করে। এই ৩০ ডিগ্রিকে কয়েকটি
বিশেষ ভাগে ভাগ করে, রাশিচক্রে অব্স্থিত গ্রহদের বিভিন্ন ভাগে
বসিয়ে নানা বর্গচক্র (divisional chart) তৈরী করা হয়। ৩০ ডিগ্রিকে
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে ( সমান ভাগে ) যে বিভিন্ন বর্গগুলি পাওয়া
যায় সেই নামগুলি এই রকম। নামের পাশে বন্ধনীর মধ্যে প্রত্যেক
রাশিকে যে কয়টি সমান ভাগে ভাগ করা হয় তা দেখানো হল।
রাশিচক্র (১); হোরা (২); দ্রেক্কোণ (৩); চতুর্থাংশ (৪); সপ্তাংশ
(৭); নবাংশ (৯); দশাংশ (১০); দ্বাদশাংশ (১২); ষোড়শাংশ (১৬);
বিংশাংশ (২০); চতুর্বিংশাংশ (২৪); সপ্তবিংশাংশ (২৭); ত্রিংশাংশ
(৩০); চত্বারিংশাংশ (৪০); অক্ষবেদাংশ (৪৫); ষষ্ঠ্যংশ (৬০)। এই
মোট ১৬ টি বর্গকে ষোড়শ বর্গ বলা হয়। উপরের ১৬ টি বর্গের মধ্যে
কয়েকটিকে নিয়ে বিভিন্ন বর্গ সমষ্টি তৈরী করা হয়। যেমন : রাশি,
হোরা, দ্রেক্কোণ, নবাংশ, দ্বাদশাংশ ও ত্রিংশাংশ নিয়ে ষড়বর্গ।
রাশি, হোরা, দ্রেক্কোণ, সপ্তাংশ, নবাংশ, দ্বাদশাংশ ও ত্রিংশাংশ
নিয়ে সপ্তবর্গ এবং রাশি, হোরা, দ্রেক্কোণ, সপ্তাংশ, নবাংশ, দশাংশ,
দ্বাদশাংশ, ষোড়শাংশ, ত্রিংশাংশ ও ষষ্ঠ্যংশ নিয়ে দশবর্গ। এ গুলি
জ্যোতিষীরা নানা ভাবে ব্যবহার করে থাকেন।
প্রত্যেকটি বর্গই রাশিচক্রের
মত ১২টি অংশে বিভক্ত। রাশিচক্রের একটি গ্রহ কোন বর্গ বিভাগে
কোন ঘরে অবস্থিত হবে সেটা নির্ণয় করার পদ্ধতি আছে। তবে জ্যোতিষ
গ্রন্থে নির্দেশিত বর্গ সরণী ব্যবহার করেও এটা বের করে নেওয়া
যায়। বর্গ গুলির ব্যবহার যে তত্ত্বের উপর নির্ভর করে আছে সেটা
হল, রাশিচক্রের একটি গ্রহ কোন বর্গে যদি বন্ধুর ঘরে বা স্বক্ষেত্রে
থাকে তবে তার শুভত্ব বৃদ্ধি পায়। কোন গ্রহ যদি কোন বর্গ বিভাগে
(division) তার নিজের বর্গেই অবস্থিত থাকে তবে বুঝতে হবে গ্রহটি
স্ববর্গে রয়েছে। শত্রুর বর্গে থাকলে ধরতে হবে শত্রুবর্গে অবস্থিত।
এই ভাবে অধিমিত্র বা অধিশত্রুর ( ৫ম অনুচ্ছেদ ) ঘরেও থাকতে পারে।
বর্গের মাধ্যমে গ্রহটির স্থানবল বিচার করা হয়।
উপরে বর্ণিত বর্গ গুলি থেকে জাতকের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও চারিত্রিক
গঠন বিচার করা হয়। যেমন:
রাশি - শরীর ও সামগ্রিক বিচার।
হোরা - সম্পদ, আয়ের উপায়।
দ্রেক্কোণ - ভাই বোন, মৃত্যুর কারণ।
চতুর্থাংশ - শিক্ষা, সামগ্রিক সুখ।
সপ্তাংশ - সন্তান, সন্তান থেকে সুখ।
নবাংশ - স্বামী বা স্ত্রী।
দশাংশ - কর্মক্ষেত্র
দ্বাদশাংশ - পিতামাতা, পিতা মাতার আয়ু।
ষোড়শাংশ - ইচ্ছা, আকাঙ্খা, বাহন সুখ।
বিংশাংশ - আধ্যাত্মিক অগ্রগতি।
চতুর্বিংশাংশ - শিক্ষা বিষয়ে বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাপ্তি বা
অভীষ্ট সাধন।
সপ্তবিংশাংশ - দুর্ভাগ্য।
ত্রিংশাংশ - মৃত্যু বিচার, রোগ বা অরিষ্টফল। স্ত্রীলোকের স্বভাব।
চতুর্বিংশাংশ - ভাল মন্দ বিচার।
অক্ষবেদাংশ - ব্যক্তির চরিত্র ও ভাল মন্দ।
ষষ্ঠ্যংশ - সামগ্রিক গণনার বিচার।
উপরে উক্ত বিভাগ ছাড়াও
অনেক জ্যোতিষী পঞ্চাংশ, ষষ্টাংশ, অষ্টাংশ ইত্যাদি ব্যবহার করে
থাকেন। এগুলি খুবই সূক্ষ্ম বিচার এবং প্রথম শিক্ষার্থীর পক্ষে
এ গুলি নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামাবার প্রয়োজন নেই। তবে একটা কথা
মনে রাখা প্রয়োজন। যদি জন্ম সময় নির্ভুল ভাবে না জানা যায় তবে
বর্গ বিভাগ ভুল হতে পারে। আবার অয়নাংশ কোনটি ঠিক তা নিয়েও বিভ্রান্তি
আছে। এ ছাড়াও কোনো শিশুর জন্ম সময় জন্মের ঠিক কোন ক্ষণে নির্দিষ্ট
করতে হবে তা নিয়েও বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে এত বিভিন্ন বর্গের
মধ্যে জ্যোতিষীরা নবাংশ বর্গকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যদিও
রাশিচক্রের গুরুত্ব নবাংশ চক্রের থেকে অবশ্যই বেশী তবুও নবাংশকে
ঠিক রাশি চক্রের মতই বিচার করা হয়। এই সব কারণে আমাদের পরবর্তী
আলোচনায় আমরা নবাংশ চক্রকে শুধু বিশ্লেষণের মধ্যে রাখব। তবে
নাম করা জ্যোতিষীরা বিভিন্ন বর্গকে অত্যন্ত সফল ভাবেই বিচারের
কাজে লাগিয়ে থাকেন। বিষয় সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করার
পরবর্তী পর্যায়ে যারা এই শাস্ত্রের গভীরে প্রবেশ করতে আগ্রহী
তারা অবশ্যই এ নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন।
নবাংশ
প্রতিটি রাশির ( মেষ, বৃষ
ইত্যাদি ) বিস্তৃতি ৩০ ডিগ্রি করে এটা এখন জানা আছে। এটাকে নয়
সমান ভাগে ভাগ করলে, প্রতিটি অংশের মান হয় ৩ ডিঃ ২০ মিঃ করে।
এই নয় ভাগের এক একটি অংশই নবাংশ। জন্মকুণ্ডলীতে যেভাবে প্রতিটি
গ্রহ একটি নির্দ্দিষ্ট রাশিতে বসিয়ে রাশিচক্র তৈরী করা হয়, ঠিক
সেই ভাবে রাশিচক্রের প্রতিটি গ্রহকে একটি নির্দ্দিষ্ট স্থানে
বসিয়ে নবাংশচক্র প্রস্তুত করতে হয়। কোন গ্রহ রাশিচক্রে যেখানে
আছে সেটা ধরে নিয়ে , নবাংশচক্রে তার অবস্থান কি হবে সেটা স্থির
করতে হবে। ধরা যাক, কোন জন্মকুণ্ডলীর রাশিচক্রে বৃহস্পতি তুলার
২৮ ডিগ্রিতে বসে আছে। এখন ৯ ভাগের প্রতিটি অংশ ৩ ডিঃ ২০ মিঃ
করে হলে, ২য় অংশ শেষ হয় ৬ ডিঃ ৪০ মিনিটে। ৩য় অংশ শেষ হয় ১০ ডিগ্রিতে।
এইভাবে এগোলে ২৮ ডিগ্রি পড়বে ৯ম অংশে। তা হ'লে নবাংশচক্রে বৃহস্পতি
কোথায় বসবে ? নিয়ম হল, যেহেতু বৃহস্পতি তুলায় অর্থাৎ চররাশিতে
রয়েছে, বৃহস্পতি তুলা থেকে ৯ম ঘর বা মিথুনে বসবে। আগেই বলা হয়েছে,
নবাংশচক্র হল ঠিক রাশিচক্রের মতই ছককাটা ১২ টি ভাগ করা একটি
কাঠামো এবং লগ্ন ও বাকি ৯টি 'গ্রহ' এর কোনো না কোনো ঘরে বসবে।
তুলা রাশি ধরে বৃহস্পতির উদাহরণ দেওয়া হল। এবার ধরা যাক, রাশিচক্রে
বৃহস্পতি বৃশ্চিক রাশিতে ২৮ ডিগ্রিতে আছে। ২৯ ডিগ্রি হল ৯ম অংশ;
কিন্তু যেহেতু বৃশ্চিক স্থিররাশি, অতএব বৃশ্চিক থেকে ৯ম রাশি
বা কর্কট থেকে গণনা শুরু করতে হবে। অতএব কর্কট থেকে ৯ম ঘর অর্থাৎ
মীনরাশিতে বৃহস্পতি বসবে। এবার ধরা যাক, রাশিচক্রে বৃহস্পতি
ধনুরাশির ২৮ ডিগ্রিতে আছে। যেহেতু ধনু একটি দ্যাত্মক রাশি, এক্ষেত্রে
গুণতে হবে, ধনু রাশির ৫ম ঘর অর্থাৎ মেষরাশি থেকে। তা হলে বৃহস্পতি
নবাংশচক্রে মেষ থেকে ৯ম রাশি বা ধনুতেই বসবে। তা হলে দেখা গেল,
বৃহস্পতি রাশিচক্রে ধনু রাশিতে ছিল এবং নবাংশচক্রেও ধনুতেই বসেছে।
যদি কোন গ্রহ রাশিচক্র এবং নবাংশচক্রে একই রাশিতে অবস্থান করে,
সেই গ্রহকে বলা হয় বর্গোত্তম গ্রহ। এতে গ্রহটি শক্তিশালী হয়
এবং সাধারণতঃ শুভ ফলপ্রদ হয়।
নবাংশচক্র একটি সম্পূর্ণ
প্রতীকী বিন্যাস। এটা করার যুক্তি সাধারণভাবে বোধগম্য নয়, তবে
শাস্ত্রকারদের বিধান ত মানতে হবে।
অনুশীলনের জন্য যে কুণ্ডলীটি
৪র্থ অনুচ্ছেদের ২ক চিত্র তে দেখান হয়েছে, সেটা নেওয়া যাক। এখানে
বৃহস্পতি রয়েছে বৃশ্চিক রাশিতে ১ ডিগ্রি ১২ মিনিটে, যেটা নয়
ভাগের প্রথম ভাগেই আছে। বৃশ্চিক একটি স্থির রাশি বলে, এখানে
গণনা শুরু হবে বৃশ্চিকের ৯ম রাশি অর্থাৎ কর্কট থেকে। কর্কট থেকে
প্রথম রাশি অর্থাৎ কর্কটেই বৃহস্পতি বসবে। কর্কট যেহেতু বৃহস্পতির
তুঙ্গস্থান, অতএব বৃহস্পতি নবাংশে তুঙ্গী। এতে গ্রহটি জোরাল
হল। নবাংশকেও রাশির মতই বিচার করা হয়। অন্যান্য গ্রহগুলি বসিয়েও
দেখা যেতে পারা, ঠিক হচ্ছে কি না।
৪র্থ অনুচ্ছেদে লগ্ন বের
করার যে ১নং উদাহরণটি দেওয়া হয়েছে এবং যেটির রাশিচক্র ৪(১) চিত্রে
দেখানো হয়েছে, তার নবাংশচক্র ৬(৪) চিত্রে দেখান হল।
চিত্র ৬(৪)
প্রাথমিক ভাবে অনাবশ্যক
শুষ্ক তত্ত্বকে এড়িয়ে চলার জন্য অয়নাংশ সম্বন্ধে বিশদভাবে কিছু
বলা হয় নি। তবে এটুকু বলে রাখা ভাল যে, অয়নাংশ সম্বন্ধে বিখ্যাত
জ্যোতিষীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। ভারতে সাধারণতঃ লাহিড়ী
বা রমণের অয়নাংশ অনুসরন করা হয়। কিন্তু এই দুই অয়নাংশের মান
এক নয়। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬১ সালের ১লা জানুয়ারীতে লাহিড়ী অয়নাংশ
২৩ ডিগ্রি ১৮ মিনিট ৩৮ সেকেণ্ড কিন্তু রমণের মতে এটা হবে ২১
ডিগ্রি ৫০ মিনিট ১৭ সেকেণ্ড। তফাৎ ১ ডিঃ ২৮ মিঃ ২ সেঃ। তাই কোন
গ্রহের স্ফুট (longitude) লাহিড়ী অয়নাংশ অনুযায়ী যদি হয় ১৯ ডিঃ
২০ মিঃ, তবে রমণের মত অনুযায়ী সেটা হবে ২০ ডিঃ ৪৮ মিঃ ( সেকেণ্ডের
অংশ বাদ দিয়ে )। অর্থাৎ প্রথমোক্ত মতে গ্রহটি ৬ষ্ঠ নবাংশগত কিন্তু
২য় মতে ৭ম নবাংশে অবস্থিত। রাশিকে যত সূক্ষ্ম ভাবে ভাগ করা হবে,
এই তফাৎ ততই প্রকট হবে। তবে এখন অধিকাংশ জ্যোতিষী লাহিড়ী অয়নাংশ
মেনে চলেন বলেই মনে হয়।
তা হ'লে দাঁড়াল, প্রথমে
কোন গ্রহ প্রতিটি ভাগ ৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে ৯টি ভাগের কত নম্বর
ভাগে পড়ছে সেটা বের করতে হবে। এর পরে রাশিচক্রে যদি গ্রহটি চর,
স্থির বা দ্যাত্মক রাশিতে অবস্থিত থাকে, তা হ'লে যথাক্রমে সেই
রাশি থেকে, সেই রাশির ৯ম রাশি থেকে বা সেই রাশির ৫ম রাশি থেকে
গুণতে শুরু করে তত রাশিতে গ্রহটিকে বসাতে হবে। এইভাবে লগ্ন ও
বাকি ৯টি গ্রহকে বসালেই রাশিচক্রের অনুরূপ নবাংশ্চক্র তৈরী হবে।
যদিও বলা হয়েছে, নবাংশ থেকে শুধু স্বামী বা স্ত্রীর বিচার করা
হয়, কিন্তু জ্যোতিষীরা জাতকের অন্যান্য বিষয় বিচার করার জন্যও
নবাংশ চক্রকে রাশিচক্রের মতই ব্যবহার করে থাকেন। তাই অন্যান্য
বর্গ বিভাগের চেয়ে নবাংশ চক্রের গুরুত্ব সাধারণভাবে অনেক বেশী।
দীপক
সেনগুপ্ত
জানুয়ারী ৭, ২০১১
(চলবে)