বেদ-
উপনিষদ ও সনাতন হিন্দুধর্ম - (৬)
(অন্যান্য
অনুচ্ছেদ)
বেদের- বিশেষতঃ ঋকবেদের
যে গভীর চর্চা ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ঋষি অরবিন্দ
করেছেন তাঁর অন্তরে উপলব্ধ জ্ঞান আমাদের উপলব্ধির
সীমানায় একটুও যদি গ্রহণ করতে পারি-- তাহলে আমরাই
হব উপকৃত।
তিনি বলেন-- বেদে বহু মন্ত্রে বা সমস্ত সূক্তে রহস্যে
আবৃত অন্তরার্থ (আসল অর্থ) খুবই সুস্পষ্ট। অগ্নির
বর্ণনায় ঋষি যখন বলেন, "নিজধামে দেদীপ্যমান
সত্যের সংরক্ষক" মিত্র, বরুণ ও অন্যান্য দেবতারা
'সত্যস্পর্শী', 'সত্য-সংবর্ধক' অথবা 'সত্য-জাত',
তখন বুঝতে হবে এইসব বিশেষণ পদগুলি এমন কোন রহস্যবাদী
কবির উক্তি, যিনি নিখিলবস্তুর অন্তরালে বস্তু-স্বরূপের
মূল সত্যের চিন্তায় মগ্ন। প্রকৃতির যজ্ঞীয় অগ্নি
বা সাধারণ অগ্নি ঋষির চিন্তার বিষয় নয়।
সরস্বতীর বর্ণনায় কবি বলছেন- ইনি সত্যবাক্ এবং প্রচোদয়িত্রী,
যথার্থ বিচারের বিবোধয়িত্রী, বিচার সমৃদ্ধিশালিনী,
যিনি আমাদের চেতনাকে মহাসত্যের দিকে নিয়ে যান, আমাদের
সকল বিচারবুদ্ধিকে জাগ্রত করেন। কোন এক নদীদেবতার
উদ্দেশ্যে এই স্তুতি নয়। অন্তরের প্রেরণাশক্তির
স্তুতি-- এই শক্তির আলো অন্তরে মহাসত্যকে প্রতিষ্ঠিত
করে। সর্বত্রই দেবতারা এই অন্তরের ভাবনার মূর্ত
বিগ্রহ। বাইরের যজ্ঞানুষ্ঠান- অন্তরের কর্মের প্রতীক
মাত্র, দেব ও মানবের মধ্যে ভাব বিনিময়ের প্রতীক।
ঋষি বলেন-- "বৃহদ্যলোকে অ-মর্তদের মধ্যে ধী-শক্তিই
মানবগ্রাহ্য বস্তুর পোষণ ও পুষ্টিসাধন করে-- এই
ধী নানারূপ ঐশ্বর্যের স্বয়ং- দোগ্ধ্রী ধেনু।"
তারপরে যজমানের প্রার্থিত বিবিধ ঐশ্বর্যদ্রব্যের
উল্লেখ আছে-- যেমন গো, অশ্ব এবং অবশিষ্ট যা কিছু।
স্পষ্টই বোঝা যায় যে প্রার্থিত বস্তু সকল ভৌতিক
ঐশ্বর্য নয়, এমন কিছু যা কেবল মাত্র ধী, -- মন্ত্র-গর্ভিত
ধীই দিতে পারে। গূঢ় (রহস্যময়) বাকশৈলীর মাধ্যমে
যজ্ঞের অন্তঃক্রিয়ায় দেবতাদের কাছে আবেদিত বিপুল
ঐশ্বর্যের অবতারণায় দিব্য রূপান্তরের ইঙ্গিত পাওয়া
যায়। আর একটি ঋক্ মন্ত্রে পাওয়া যায়- নিশা- ঊষা,
সনাতন দুই ভগ্নী দুই তাঁতী রমণী রূপে যজ্ঞরূপী বস্ত্র
বুননে তন্তু (সূতো) যোগাছেন সম্যক সিদ্ধ কর্মের
দ্বারা। এটিও একটি গূঢ় অর্থ বহনকারী রহস্যবাণী।
শ্রী অরবিন্দ তাই বলেন এই সব পদগুলি যে প্রতীকাত্মক
তাতে আর কোন সন্দেহ নেই।
রহস্যবিদ্যা গোপন রাখার
জন্যই প্রতীক ও প্রতীকাত্মক শব্দের ব্যবহার অনিবার্য
ছিল ঋষিদের কাছে। অর্থ ও গুপ্ত রাখার উদ্দেশ্যে
ঋষিরা দ্ব্যর্থবোধক শব্দের আশ্রয় নিয়েছিলেন। সংস্কৃত
ভাষা এই কৌশল ব্যবহার করতে অতিশয় উপযোগী কারণ একই
পদের নানা অর্থের সম্ভাবনা এই ভাষার বৈশিষ্ট্য।
এই কারণেই ইংরাজী ভাষায় অনুবাদ অত্যন্ত কঠিন কাজ
এবং কোথাও একরকম অসম্ভবই বলা চলে। যেমন, পশুসজ্ঞাজাত
'গো' শব্দের আর এক অর্থ 'আলোক' বা 'আলোকরশ্মি',
বা প্রকাশ রশ্মি '। এই অর্থে পদটির প্রয়োগ দেখা
যায় কিছু ঋষির নামকরণে, যেমন, 'গোতম' অর্থাত্ উজ্জ্বলতম,
'গবিষ্ঠির' অর্থাত্ আলোক আকাশে স্থির জ্যোতি। বৈদিক
'গো-বৃন্দ' শব্দটি গ্রীস দেশের পৌরাণিক গাথার পরিচিত
সত্য-জ্যোতি-জ্ঞান সূর্যের রশ্মি অর্থে ব্যবহৃত,
ও 'গো যূথ' শব্দের সমান। প্রচলিত অর্থে 'ঘৃত' শব্দটি
বোঝায় মাখনজাত পদার্থ, যজ্ঞীয় কর্মে মূখ্য উপাদানগুলির
অন্যতম। কিন্তু 'ঘৃ' ধাতুর ব্যুত্পত্তিগত দীপ্ত
হওয়া অর্থ গ্রহণ করলে 'ঘৃত' পদটির অর্থ বেদে 'দীপ্তি'-
ও হতে পারে। বহু সূত্রে এই পদটি এই অর্থেই ব্যবহৃত
হয়েছে, যেমন দেবরাজ ইন্দ্রের অশ্বদুটির বর্ণনায়
বিশেষণ 'ঘৃতস্নু' পদটি। এখানে গতিময় অশ্বের গা বেয়ে
ঘি পড়ছে এই অর্থ অবশ্যই কাম্য নয়। আবার মাখনজাত
ঘৃত এই অর্থই সঙ্গত হবে যেখানে বলা হচ্ছে- যজ্ঞে
উপস্থিতির পর অশ্বদুটিকে যজ্ঞভাগের অংশরূপে 'ঘৃত'
মিশ্রিত অন্ন দেওয়া হচ্ছে। দ্ব্যর্থবোধের ইঙ্গিত
সুস্পষ্ট। যজ্ঞীয় উপকরণের 'ঘৃত', দীপ্তিময় আলোকের
প্রতীক, ভিন্ন অর্থে। চিন্তা বা বিচার-সাপেক্ষ পদকে
উপমিত করা হয়েছে 'ঘৃত' পদটির সঙ্গে, যেমন, 'ধিয়াং
ঘৃতাচিং' অর্থাত্ 'ভাস্বর ধী' বা প্রকাশ-উজ্জ্বল
বিচারবোধ। আর একটি পদ 'ঘৃত প্রুষা মনসা' -- অর্থ
'ঘৃতস্রাবী মন'-- এবং এর সিঞ্চন দ্বারা পুরোহিত
দেবতাদের ও দিব্য ভুবন তিনটির প্রকাশে সক্ষম হবেন।
মন 'ঘৃত' তৈরী করে তা স্রাবণ (প্রবাহিত) করে এই
অর্থ তো হতে পারে না-- রহস্যে আবৃত অর্থটি হল, 'আলোকস্রাবী
মন' অর্থাত্ জ্ঞানের দ্বারা জাগ্রত স্বচ্ছ মনের
প্রকাশ, এখানে মানুষ পুরোহিত বা যজ্ঞীয় অগ্নি নয়--
বলা হয়েছে দিব্য সংকল্পদ্রষ্টার কথা যার অন্তর-আলো
বা অগ্নি সত্তার বিভিন্ন স্তর ও দেবতাদের প্রকাশ
করতে সমর্থ।
এখানে একটি কথাই সর্বদাই
স্মরণে রাখতে হবে যে ঋষিরা শুধুই তত্ববিদ জ্ঞানীই
ছিলেন না-- তাঁরা ছিলেন দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন, ধ্যানদশায়
যাঁদের মানসপটে সব কিছুই মূর্ত ও আকারসম্পন্ন হয়ে
উঠত। প্রাক্-উপলব্ধ বা সহ-উপলব্ধ অন্তরের অনুভূতির
সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রকাশিত হত অন্তরে দৃষ্ট মূর্তিগুলি
প্রতীকের বা সংকেতের ব্যাঞ্জনা নিয়ে। প্রকাশিত হতো
কখনও ভবিষ্যদ্বাণীরূপে, কখনও বা গূঢ় রহস্যের আকৃতি
নিয়ে। অন্তরের অনুভূতির জন্য প্রতীকমূর্তিটির একই
সঙ্গে আবির্ভাব সম্ভব হত ঋষিদের অন্তরে আত্ম-তর্পণের
ফলে। তাই প্রকাশিত জ্যোতিঃ ক্ষরণের চিত্রের সঙ্গে
ঘৃত সিঞ্চনকারী পুরোহিতের চিত্রটিও ফুটে উঠত। পাশ্চাত্য
মনের পক্ষে ব্যপারটা অদ্ভুত বা বিসদৃশ বোধ হতে পারে
কিন্তু ভারতীয় পরম্পরায় অভ্যস্ত, ধ্যান-গুহ্য অন্তরদর্শনসমর্থ
ভারতীয় মানসে এটি সম্পূর্ণ বোধগম্য।
রহস্যবাদী বা মরমী ভাবুকরা
স্বভাবতই প্রতীকমনা। ভৌতিক বস্তু বা ক্রিয়াসমূহ,
এমনকি নিজের বাহ্যস্বরূপ, জীবনের ঘটনাবলী ও পরিস্থিতিকেও
অন্তরের সত্যদৃষ্টি ও পরমার্থ তত্বদৃষ্টিতে দেখতে
সক্ষম ছিলেন তাঁরা। তাই তাঁদের মানসে বস্তুর ভাবনা
ও তার প্রতীকাত্মক সংকেতের মধ্যে তাঁদের আত্মদর্শন
সহজ ও স্বভাবজাত।
বৈদিক অশ্ব শব্দটির
প্রতীক অর্থ শক্তি। অধ্যাত্মবীর্য তপোবল। 'সুবীরম'-
অর্থ পূর্ণ বীরত্ব, 'অপত্যম' শব্দটির গূঢ়ার্থ আভ্যন্তর
নবজন্মের। বেদে 'অপ্' শব্দটিও প্রতীকার্থে ব্যবহৃত।
অচেতন সমুদ্রের 'অপ্রবেত সলিলম্'-- উল্লেখ রয়েছে
অর্থ-- যার অভ্যন্তর থেকে নিগূঢ় প্রচ্ছন্ন পরমেশ্বর
স্বীয় মহিমায় জন্মগ্রহণ করেন, সেই মহার্ণবের 'মহো
অর্ণ'-- কথাও বলা হয়েছে যার উর্দ্ধে অবস্থিত বারিরাশিকে
দেবী সরস্বতী চিন্ময় করেছেন আমাদেরই চেতনাকে উদ্বুদ্ধ
করতে অন্তর্জ্ঞান ও বোধরশ্মির আলোকে-- 'প্রচেতযতি
কেতুনা '।
বেদে সপ্ত নদীর উল্লেখে মনে হতে পারে উত্তরভারতের
সাতটি নদীর কথা বলা হয়েছে। তা নয়, বেদে বর্ণিত হয়েছে
দ্যুলোকের সাতটি মহতী নদীর কথা যাঁরা স্বর্গধাম
থেকে অবতরণ করেছেন ভূলোকে। সত্যবিদ্, সত্যদ্রষ্টা
তাঁরা, মুক্ত করে দিয়েছেন জ্ঞান বারিধারা যা আমাদের
কাছে খুলে দেবে বৃহত্-দ্যুলোকের দরজা।
এই বাক্ রীতি অনুসরণ করেই ঋষি পরাশর বলেছেন 'অপ্'-
এর সদনে প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান ও বৈশ্বানরের প্রাণ কথা।
বলেছেন ইন্দ্রদেবের কথা যিনি বৃত্র সংহারের অবসানে
রুদ্ধ-পর্জন্য বারিরাশি মুক্ত করে স্বর্গীয় বৃষ্টিধারায়
ভূতলের নদীগুলিকে প্রবাহিত করছেন।
বেদের আর একটি প্রতীকাত্মক
কাহিনী-- দেবগণ ও অঙ্গিরস ঋষিবৃন্দ দ্বারা ঘন অন্ধকারময়
গিরিগুহায় সূর্যদেব ও তাঁর গো-যূথের খোঁজ পাওয়া
ও তাঁদের বন্ধনমুক্তির কথা। উচ্চতম সত্য ও জ্যোতির
প্রতীকরূপে সূর্যদেবকে বেদের সর্বত্রই পাওয়া যায়।
স্বীয় উর্ধ্বতম জ্যোতিতে বিরাজমান সূর্যদেব (সবিতা)
আহূত হচ্ছেন গায়ত্রী মন্ত্রে আমাদের ধী শক্তিকে
প্রচোদিত (জাগ্রত) করতে। দ্ব্যর্থবোধক পদের দ্বারাই
বেদে শত্রুদের চিহ্নিত করা হয়েছে।-- পশু- অপহারক,
দস্যু, লুণ্ঠক, বা বৃত্র নামে। এই সব নামে অভিহিত
শত্রুরা হল আসলে সত্য-আলোক, সত্যজ্যোতির বিরোধী
অন্ধ তামসের শক্তি সমূহ যা নিহিত রয়েছে মানব অন্তরেই।
ঋকবেদের পঞ্চম মণ্ডলে
একটি বিশেষ ও গভীর অর্থবোধক মন্ত্র আছে যাতে সূর্যদেবের
স্বরূপ প্রতীক দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে। এই বেদমন্ত্রটির
অর্থ অনুযায়ী অনুবাদ এরকম-- "সত্যের দ্বারা
আবৃত এক সত্য রয়েছে যেখানে সূর্যদেবের অশ্বগুলিকে
তাঁরা বিমুক্ত করে দিয়েছেন: একত্র দাঁড়িয়েছিল তারা,
সংখ্যায় দশ শত। সেই এক- ও ছিলেন, দেখেছিলাম তাঁকে
দেবশরীরধারীদের মধ্যে যিনি মহত্তম (শ্রেষ্ঠ, সর্বাধিক
মহিমাশালী)।" এই মন্ত্রে আমরা পরিচয় পাই বৈদিক
কবিদের গভীর রহস্যময় প্রতীকাত্মক শব্দের ব্যবহারের,
শুধু তাই নয়, পরবর্তী উপনিষদ প্রণেতাদের দৃঢ় বিশ্বাসেরও
পরিচয় পাই যে বৈদিক ঋষিরা ছিলেন অন্তর্জ্ঞানসম্পন্ন
এবং ঋকবেদকে তাঁরা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতেন তারও
পরিচয় পাই। উপনিষদ যুগের কবিরা তাঁদের নিজ প্রতিভায়
এই মন্ত্রের গোপনীয়তা বর্জন করে; ও কি ভাবে প্রতীকটিকে
ক্ষুন্ন না করে এর অর্থ করেছেন তার পরিচয় এরকম--
"আচ্ছন্ন রয়েছে সত্যের মুখ হিরণ্ময় পাত্র দিয়ে
অপাবৃত কর তাকে, সত্যধর্মকে নিয়ে এসো দৃস্টির গোচরে,
হে পূষা (পোষক), হে ঋষিশ্রেষ্ঠ, হে যম, হে সূর্য,
হে প্রজাপতি পুত্র! সংহত ও সুসজ্জিত কর তোমার কিরণ
জাল; দেখি তোমার মনোহরতম ও কল্যাণতম জ্যোতিঃ রূপটি।
তিনি যেন সেই এক পুরুষ, তিনিই আমি।" বেদমন্ত্রে
'ঋতেন' পদটি সত্যকে আবৃত করে আছে এই ভাবে ব্যবহৃত,
তা উপনিষদে রূপ পেল 'হিরণ্ময় পাত্র' পদ দুটির দ্বারা,
(দেবানাং শ্রেষ্ঠ বপুষাম্) ভাবটির প্রকাশ হল উপনিষদে
'সূর্যদেবের কল্যাণতম রূপে'-- এই বাক্যাংশের দ্বারা।
এটি হল সেই পরম জ্যোতি: যা অন্য সব বাহ্য জ্যোতিঃ
থেকে আলাদা ও সব চাইতে বড়। বেদমন্ত্রের'সেই এক পুরুষ'
(তদেকং) ভাবটি উপনিষদে রূপ পেল 'আমিই সেই' (সোহ্হম্)
মহামন্ত্রে। 'দশ শতের একত্রে সম্মিলিত হওয়া' ভাবটি
ব্যক্ত হল সূর্যদেবকে 'রশ্মিসমূহ সংহত' করার প্রার্থনাতে
যাতে তাঁর পরম জ্যোতীরূপটি দৃষ্টিগোচর হয়। এখানে
সূর্যের কিরণজালকেই বুঝিয়েছেন বৈদিক ঋষিরা। সায়নেরও
তাই মত। সূর্যদেব পরম সত্য ও পরম জ্ঞানের অধিদেবতা
ও তাঁর কিরণজাল সত্য ও জ্ঞানরশ্মির বিচ্ছুরণ। বেদে
সব জায়গায় ও উপনিষদে বহুস্থলেই সূর্যদেবের এই প্রতীকার্থই
করা হয়েছে। এই দৃষ্টান্ত ও এই রকম আরো বহু দৃষ্টান্ত
প্রমাণ করে, সুপ্রাচীন বেদের সঠিক অর্থ নির্ণয়ের
ব্যাপারে যথার্থ বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান উপনিষদকারদেরই
ছিল অনেক বেশী-- মধ্যকালীন কর্মকাণ্ডীয় ব্যাখ্যাকার
পণ্ডিতদের বা আধুনিক যুগের সম্পূর্ণ ভিন্ন মননধর্মী
পাশ্চাত্ত্য বিদ্বানমণ্ডলীদের অপেক্ষা-- এই মতই
পোষণ করতেন গবেষণাকার শ্রী অরবিন্দ।
(চলবে)
কমলা
রায়
সাহায্যকারী
গ্রন্থ: 'বেদ রহস্য'- শ্রী অরবিন্দ