অসংলগ্ন
ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু উদ্ভট চিন্তা
চাকরী জীবন
শেষ । আমার কোন hobby ও নেই । তাই অফুরন্ত সময় । এই সুযোগ নিয়ে
এক ভূত আমার ওপর চড়াও হয়েছে – তার নাম এলোমেলো চিন্তা । সুকুমার
রায়ের ভাষাতে “ ঘর্ঘর ভন ভন ঘোরে কত চিন্তা – কত মন নাচে শোন
– ধেই ধেই ধিনতা” তারই কিছু টুকরো নিয়ে আমার এই লেখা ।
১) Walt Disneyর
Disney World আর Disney Land এর নাম সবারই জানা । দেখবার সৌভাগ্যও
অনেকের হয়েছে – আমিও তাদের একজন। কিন্তু দেখতে দেখতে আমার একটা
খেয়াল বার বার মাথাতে এসেছে। Mickey Mouse আর Mini Mouse এর
খ্যাতি জগত বিখ্যাত । কিন্তু আমাদেরও কি সেরকম করার কিছু রসদ
নেই? সুকুমার রায়ের আবোলতাবোল এর মত nonsense rhyme এর সৃষ্টি
বকচ্ছপ , হাতিমি, হাসজারু , হুঁকো মুখো হাংলা , রাম গরুরড়ের
ছানা, কুমড়ো পটাশ - এরা কম কিসে ? সাথে আছে পাগলা দাশু, কাকেস্বর
কুচকুচে, ব্যাকারণ সিং ব্যা , হিজ বিজ বিজ , গেছো দাদা আর এ
রকম আরও অনেকে । এদের নিয়ে আর তার সাথে রঙ , সুর আর animation
কে ঠিকমত মিশিয়ে আমরা কি কিছু করতে পারি না ??? “পাগলা ষাঁড়ে
করলে তারা কেমন করে ঠেকাবো তায়” open book test এ তার উত্তর
খুঁজে বই থেকে বার করার চেষ্টা থেকে কি একটা 4 D movie করা সম্ভব???
সাথে কাকেস্বর কুচকুচের হিসাব “হাতে রইল পেন্সিল", খুড়োর
কল, গোঁফ চুরি যোগ করা যেতে পারে কি ?
২) নারায়ণ
গাঙ্গুলির “টেনিদা” নিয়ে সিনেমা , ক্লাব level এ নাটক ইত্যাদি
অনেক কিছু দেখেছি । কিন্তু প্রেমেন মিত্রর “ঘনাদা” নিয়ে সে রকম
কিছু দেখিনি বা শুনিনি । আমার কাছে ঘনাদা অনেক বেশী interesting
character। তাই ঘনাদাকে নিয়ে কিছু করলে কেমন হবে? অনেকগুলো ঘনাদার
গল্পকে জুড়ে একটা সিনেমা করলে কেমন হবে ??
৩) রাগাশ্রয়ী
রবীন্দ্র সঙ্গীত , নজরুল গীতি , অতুল প্রসাদ এর গান আর রাগ সঙ্গীত
নিয়ে এক আসরে গানের একটা অনুষ্ঠান করার কথা আমার মনের অনেক দিনের
ইচ্ছা । অনুষ্ঠানে চারটি group থাকবে – মাঝে থাকবে একজন – যিনি
এক এক রাগের বিষয়ে প্রথমে কিছু বলবেন । তার পর প্রতি group সেই
রাগে গান করবে । প্রথমে হবে সেই রাগ সঙ্গীত । তার পর এক এক করে
সেই রাগাশ্রয়ী রবীন্দ্র সঙ্গীত , নজরুল গীতি , অতুল প্রসাদ এর
গান করবে সেই গানের গ্রুপ। আমার অনুষ্ঠান organize করার দক্ষতা
নেই । তাই যারা গানের অনুষ্ঠান করান , তাদের কাছে এই নিয়ে ভাবার
অনুরোধ করছি ।
৪) এবার একটা
কথা বলতে চাই যেটা অনেকের কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে ।
garment fashion design প্রতিদিন change হচ্ছে । একই জামাতে
যদি নানা colour combination করার সুযোগ থাকে – তা হলে কেমন
হয় ? Velcro দিয়ে যদি grid বানিয়ে সেটা যদি inner garment হিসাবে
use করা হয় আর নানা রঙের আর নানা shape এর কাপড় এক এক বার এক
এক combination এ যদি তার ওপর লাগানো হয় – তা হলে সেটা কি এক
ঢিলে অনেক গুলো পাখি মারর কাজ করবে না আর সাথে সাথে পকেটে টান
পরাটাও কমাবে ?
৫) আমার প্রথম
আমেরিকাতে বেড়াতে আসার পরে একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি । এক বড় shopping
mall এ ঘোরার সময় একবার ছোট প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার বিশেষ
প্রয়োজন হয় । চারিদিকে toilet বা lavatory বা wash room এর BOARD
খুঁজতে থাকি – কিন্তু পাই না । ছোট প্রকৃতির ডাক ততক্ষণে খুব
জোড়ালো হোয়ে ঊঠেছে । কারোকে জিজ্ঞাস করছিলাম না কারণ AMERICAN
ENGLISH বুঝতে আমার বেশ অসুবিধা হত । ভগবান সহায় – তখন এক বঙ্গ
সন্তানকে দেখতে পেলাম । তখন জানলাম – AMERICA তে একে REST ROOM
বলে । AMERICA তে সবাই সব সময় খুব BUSY জানতাম – কিন্তু একমাত্র
toilet এ গেলেই কি তারা কিছু সময় rest নিতে পারে ? তাই কি একে
rest room বলা হয় ?? এই নামকরনের কারণ আপনারা কেউ জানেন কি?
৬) আমাদের
বিশ্বতে নানা দেশ – তাতে নানা আলাদা আলাদা ভাষাতে মানুষ কথা
বলে । এমনকি ভারতের মত কিছু দেশে একই দেশে নানা ভাষাতে কথা বলা
হয় । কিন্তু মানুষের হাসি , কান্না সব দেশের মানুষের একই রকম
। কেউ হাসলে বা কাঁদলে – সে যে দেশের মানুষই হোক – সবাই বুঝতে
পারে । অনেক চিন্তা করেও বুঝতে পারি না – এটা কি করে হয় । কথা
বলার মত আনন্দে হাসা আর দুঃখে কাঁদা কি জন্মগত – শিখতে হয় না
? এর উত্তর কার জানা থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে abasar এর মাধ্যমে
জানাবেন ।
আজ আর নয়
। বেশী হয়ে যাবে । তাই এখানেই ইতি
বিজন
বন্দ্যোপাধ্যায়