প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

জ্যোতিষীদের বিজ্ঞাপন

অবসর-এ দুবছর আগে অধ্যাপক দীপক সেনগুপ্ত ‘জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রবেশিকা’ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলেন, সেই লেখাটি অনেকগুলি কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছিল। জ্যোতিষ শাস্ত্র কিসের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সেই নিয়ে অধ্যাপক সেনগুপ্ত তাঁর প্রবন্ধে সহজ ভাষায় আলোচনা করেছিলেন। ভিত্তিটা যে বৈজ্ঞানিক সে দাবি তিনি করেন নি, তবে বিষয়টি যে জটিল; অনেক হিসেব কষেও সব সময় সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া সম্ভব নয় - ওঁর এই প্রাথমিক আলোচনা থেকে সেটা সুস্পষ্ট ছিল। লেখাটি প্রকাশিত হবার পর বেশ কয়েক জন জ্যোতিষ অবসর-এ ‘সপ্তাহের রাশিফল’ লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সঙ্গত কারণেই আমরা সেই ইচ্ছেতে সাড়া দিই নি।

অধ্যাপক সেনগুপ্তের লেখায় শুধু মাত্র লগ্নফল ও প্রাসঙ্গিক কয়েকটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ছিল। ‘ভাগ্যদোষ’ খণ্ডনের (remedial measure) ব্যাপারে কোনও আলোচনা ওঁর প্রবন্ধে স্থান পায় নি। জ্যোতিষশাস্ত্রের জনক পরাশর এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন বিধান দেন নি বলেই জানা যায়, তাই সম্ভবত উনি এ নিয়ে আলোচনা করেন নি। পরবর্তী কালে নানান ব্যক্তি তাঁদের মতামত দিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রের কলেবর বৃদ্ধি করেছেন, যাতে ভাগ্যদোষ খন্ডনের বিধানও রয়েছে।

পত্রপত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে মনে হয়, পরাশরের পরবর্তী এইসব ব্যক্তিদের দৌলতেই অনেক জ্যোতিষী করে খাচ্ছেন শুধু করে খাচ্ছেন বলাটা অনুচিত, খুব ভালোই রোজগার করছেন, নইলে বহুল প্রচলিত সংবাদপত্রে নিয়মিত নিজের ছবি-সহ বিজ্ঞাপন দিয়ে খদ্দের আকর্ষণ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হত না। বিজ্ঞাপনগুলি দেখে মনে হতে পারে ‘ট্রুথ ইন অ্যাডভারটাইজমেন্ট’-এর বিচারে বেশীরভাগই ডাহা ফেল করবে। কিন্তু আজ এই অলস দুপুরে সেগুলো পড়ে বেশ আনন্দ পেলাম।* জানতে পারলাম যে, শ্রী উজ্জ্বল শাস্ত্রী মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য আনেন বশীকরণ ও যে-কোনও সমস্যার সমাধানে। বাস্তবিকই ইমপ্রেসিভ, তবু জ্যোতিষশাস্ত্রে অদ্বিতীয় বলে শ্রী উজ্জ্বল শাস্ত্রী দাবি করেন নি। সেটা করেছেন শ্রী-বর্জিত সুভাষ শাস্ত্রী, যদিও 'অদ্বিতীয় ' কেন – সেটা বিজ্ঞাপনে লেখা নেই।
শ্রী গোপাল অবশ্য সুভাষ শাস্ত্রীর মত জ্যোতিষশাস্ত্রে অদ্বিতীয় নন, এমন কি শ্রী উজ্জ্বল শাস্ত্রীর মত ৫ ঘন্টায় সাফল্যও দেখাতে পারেন না, কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় তাঁর তীব্র বশীকরণ লিখিত গ্যারিন্টিতে প্রমাণিত। বশীকরণে তিনি সম্রাট। যে কোনও সমস্যায় ১০০ পারসেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে কাজ করেন। বহুবিধ সমস্যার উনি সামাল দেন – যেমন, সরকারী চাকরি হচ্ছে না, স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি, ডিভোর্স, পরপুরুষ পরনারী আসক্ত, বিদ্যায় বাধা, পড়াশুনো হচ্ছে না, বাল্য প্রেমে বাধা, ব্যবসা অচল, আর্থিক টানাটানি, শত্রু ধ্বংস।

২৪ ঘন্টায় যদি একদিন হয়, তা হলে সময়ের হিসেবে শ্রী অমিত শাস্ত্রী শ্রীগোপালকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। তিনি ১ দিনে বশীকরণ করেন, দক্ষিণা ৩০১ টাকা। সেই দক্ষিণায় বশীকরণ ধরা হয় কিনা সেটা পরিষ্কার নয়, আর ফলাফলে গ্যারেন্টি দিচ্ছেন কিনা – সেটার উল্লেখ নেই। এটার উল্লেখ না থাকায় একটু চিন্তা থেকেই যায়। সেদিক থেকে শ্রী ইন্দ্রনীল শাস্ত্রী বশীকরণ সহ যে কোনও সমস্যার সমাধান করেন – হাজার টাকাও লাগে না। তারমানে কি ওঁর কাছে গেলে হাজার টাকার বেশী খর্চা হবে না? অন্তত বিজ্ঞাপন দেখে তো তাই মনে হয়। এতে যদিও আর্থিক ভরসা পাওয়া যায়, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় -সমাধানের ব্যাপারে গ্যারান্টি আছে কিনা। ছাত্র-ছাত্রীদের উনি বিশেষ সুযোগ দেন, তবে কি ধরণের সুযোগ – সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়।

তারামায়ের সাধক তান্ত্রিক জ্যোতিষ শ্রী দেবাশিষ লিখিত কন্ট্র্যাক্টে কাজ করেন। শুধু তাই নয়, বিফলে মূল্য ফেরৎ দেন, আর দক্ষিণা মাত্র ২০১ টাকা। সন্তান পড়াশুনোয় অমনোযোগী হলে, বিবাহে বাধা থাকলে, পুরনো মামলা, আর্থিক অবস্থার উন্নতি, প্রেমিক প্রেমিকার বশীকরণ সবই করে দেন। ধরে নিচ্ছি এগুলো হচ্ছে স্পেশাল সার্ভিস, তার জন্যে আলাদা খরচ – ২০১ টাকার মধ্যে পড়ে না।

জ্যোতিষার্ণব ভৃগুরশ্রীজাতক কালসর্প, ভৌমদোষখন্ডন, দাম্পত্যকলহ, শত্রুদমন বিদ্যা দিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান করেন। ভৌমদোষ বা কালসর্পের অর্থ যদি না বোঝেন – সেটা আপনার সমস্যা। আগে আর কোনো জ্যোতিষকে দিয়ে জেনে নেবেন আপনার কোষ্ঠীতে এগুলো আছে কিনা।

শ্রী উদয়াচার্য কামাক্ষ্যাতন্ত্রে বশীকরণ মাত্র ৫৫১ টাকায় করেন। এমনিতে ওঁর দক্ষিণা মাত্র ১৩১ টাকা। মনে হয় সেটা দেবার পর আরও ৫৫১ টাকা দিতে হবে বশীকরণের জন্যে। অর্থাৎ মোট ৬৮২ টাকা খর্চা হবে। কিন্তু এফেক্টিভ বশীকরণ হলে – সেটা মন্দ কি। কতদিন লাগবে? বিজ্ঞাপনে তার উল্লেখ নেই। আপনার যদি তাড়া থাকে, তাহলে কামাক্ষ্যাতন্ত্রে দ্রুত সাফল্যের জন্যে আছেন তন্ত্রসাধক শ্রী দৈবাচার্য। আপনি হয়ত ‘দ্রুত’ কথাটির মানে জানতে চাইবেন। এর উত্তর নেই বিজ্ঞাপনে নেই। যা আছে, তা হল উনি বশীকরণ স্পেশালিস্ট - নিজেকে তারাপীঠ, কামাক্ষাসিদ্ধ শ্রেষ্ঠ জ্যোতষী বলে দাবি করেন। বিদ্যার জন্যে স্পেশাল সরস্বতী কবজ দেন। গুপ্ত সমস্যা ও জটীল বশীকরণে ১০০% ভরসা দেন।

কিন্তু সবার কাছে ব্যর্থ আত্মহত্যার মুহূর্তে যিনি আছেন তিনি হলেন স্বাত্তিক (?), তান্ত্রিক জ্যোতিষ – যাঁর কাছে ৫ মিঃ মিরাক্কেল বশীকরণে ফল লাভ – সেই শ্রী ঠাকুর। হিন্দু মুসলিম, খ্রীষ্টান সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে তীব্বতীয় রক্ত পিশাচ কালাযাদুর শ্রষ্ঠা মিশরীয় সোলেমানী ক্ষিপ জিন পরি জ্বালান – কামাক্ষ্যা তারাপিঠ (?) তন্ত্রে সিদ্ধহস্ত স্বামী-স্ত্রী হাতছাড়া – অবৈধ সম্পর্ক প্রেমে ধোকা (?) উগ্রশত্রু দমন বৌ-শাশুড়ি লড়াই দেনার দায়ে পাগল ব্যবসায় অচল আর্থিক অনটন পাওনা টাকা পাচ্ছেন না? লোন করেছেন হুমকি দিচ্ছে? দীর্ঘ মামলার নিষ্পত্তি লোকসমাজে হেয়ো – নিঃসন্তান কুসন্তান নানা নেশায় পাগোল(?), বিদ্যা/বিবাহ চাকুরিতে বাধা নজরদোষ, বাস্তুদগ্ধ মিলনে অক্ষম, সুস্বাস্থ্য। ১০০ % মন্ত্রবৎ সাফল্য।
আশাকরি বিজ্ঞাপনে লেখাগুলির অর্থ বুঝতে পারছেন! বানান নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না, বাংলা বানানে আমাদেরও হরদম ভুল হয়। আমার তো পড়ে মনে হচ্ছে হেন জিনিস নেই যা উনি সমাধান করতে পারবেন না। তার থেকে বড় কথা, স্বল্প মূল্যে ডাক যোগে প্রতিকার/স্বল্প বেতনে উনি জ্যোতীষ (?) তন্ত্র শিক্ষা দেন।

কিন্তু বিজ্ঞাপনে বিনয়ী জ্যোতিষীরও স্থান আছে দেখলাম। পন্ডিত শ্রীজীবনানন্দ আচার্য (তান্ত্রিকাচার্য) প্রথমেই জানিয়েছেন –
আমি কলকাতার কোনও স্বনামধন্য জ্যোতিষী নহি, আমি কোনও নকল ভৃগুও নহি। আমি ইতিহাসে অবহেলিত রাজশক্তি কর্তৃক উপেক্ষিত দিনহাটা শহরে থাকি। ...না, আমি ইন্দিরা গান্ধীর ভাগ্য বিচার করি নি, কিংবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজীর ভাগ্যবিচারের ভাগ্য আমার হয় নি। ... আমি কোনও নকল আচার্য নহি। এই বিদ্যা আমার কূলবিদ্যা, শিক্ষাগুরু আমার স্বর্গীয় পিতা, যিনি আমাকে এই শাস্ত্র পাশে বসে শিখিয়েছেন। কিন্তু এই জটিল ও সমুদ্রের মত অতল শাস্ত্রের সবকিছুই আমার আয়ত্ব তা বলার মত স্পর্ধা যেন আমার না হয়...। পাথর বিক্রি করা এবং পাথরের দোকান থেকে কমিশন নেওয়ার অভ্যাস নেই...। দক্ষিণা ৩০০ টাকা।
এই বিজ্ঞাপনটি আমার ভালো লাগল। ইনি নিজেকে জাহির করেন নি, শুধু তাই নয় অনেক জ্যোতিষী যে পাথরের জন্য কমিশন নেন – সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। অর্থাৎ জ্যোতিষীদের দক্ষিণা ইত্যাদির অঙ্ক দেখে ভুলবেন না। পাথরের দাম হাজার হাজার টাকা – লক্ষও পার হতে পারে। দক্ষিণা ছাড়াও ভালো কমিশনই তার থেকে জ্যোতিষীদের জুটবে। এর একটাই অর্থ - বেশ বড় খর্চার জন্যেই খদ্দেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সে কথা থাক, বিদ্যা যদি সত্যিই বিনয় দান করে, তাহলে ইনি সত্যিই বিদ্বান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফললাভের কোনও গ্যারেন্টি এখানে নেই। অথচ আমরা চাই সমস্যার দ্রুত সমাধান।

এইবার পেয়েছি, ৫ মিনিটে বশীকরণ করতে পারেন শ্রী নিত্যানন্দ শাস্ত্রী। দক্ষিণাও মাত্র ১০১ টাকা। না, চলবে না, কারণ গ্যারান্টি নেই। আরও তাড়াতাড়ি ৩ মিনিটে বশীকরণ করা যায় কি? যায়, করতে পারেন নিমাই আচার্য। গ্যারেন্টি কিছু আছে কি? না, সেখানেও ওই একই মুশকিল। আরে কী আশ্চর্য – বিজ্ঞাপনের প্রথম পাঁচ লাইন শ্রী নিত্যানন্দ শাস্ত্রী আর নিমাই আচার্যের ক্ষেত্রে হুবহু এক - মায় দক্ষিণা পর্যন্ত! শুধু ছবি আর মোবাইল নম্বর আলাদা।

নাঃ, পুরুষ জ্যোতিষীদের ওপর ভরসা রাখতে পারছি না। মহিলা জ্যোতিষী কেউ আছেন কি? অবশ্যই আছেন। মাতা অনামিকা মা বগলার স্বপ্নাদৃষ্ট, বৌদ্ধতন্ত্র সাধিকা, বাস্তুবিদ জ্যোতিষী – দেখামাত্রই ভবিষ্যৎ বক্তা। তার ওপর দেখছি উনি আবার সবাইকে সাবধান করেছেন। বলেছেন – আপনারা বিভিন্ন জ্যোতিষ তান্ত্রিকের কাছে গিয়ে বারবার ঠকেছেন, সমাধান পান নি, কয়েকটি কথা মাথায় রাখলে আপনারা ঠকবেন না।
(১) জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে আগের থেকে আবেগ বশতঃ কিছু বলবেন না। (২) শুধু নিজের নাম বলবেন, (৩) জন্ম তারিখ বলবেন না, (৪) যারা কাজ করে দেবে তাদের কাছে বিফল হলেই তবে আসুন। (৫) জীবনে সমস্যা আছে, তার সমাধানও আছে – কিন্তু সঠিক মানুষটিকে আপনাকেই বেছে নিতে হবে।
বলা বাহুল্য এই সঠিক মানুষের মধ্যে একজন হচ্ছেন মাতা অনামিকা।

স্বর্ণপদক ভূষিতা মাতা ভাগ্যশ্রী মনে হয় কবিতা ভালোবাসেন। তিনি বিজ্ঞাপনের প্রথমেই লিখেছেন –

মা লক্ষ্মী দেন অর্থ, গণপতি দেন সিদ্ধি, মাতা ভাগ্যশ্রীর আশীর্বাদে হবে সব সিদ্ধি।
তাই তো ভক্তরা দেন জয়ধ্বনি, জ্যোতিষতন্ত্রে মহাজ্ঞানী বিদ্যার্থীর নয়নের মণি।

পড়াশুনোয় অমনযোগী ছাত্রদের জন্যে মাতা ভাগ্যশ্রী দেন বিদ্যাবৃদ্ধি বাগেশ্বরী কবচ ও ত্রিলৌহ বিদ্যা। এগুলি ধারণ করলে চ্যালেঞ্জসহ পরীক্ষায় পাশ এবং অংক ইংরেজিসহ সব বিষয়েই গ্যারান্টিসহ নম্বর বাড়বে (বহু প্রমাণ আছে)। স্বামী স্ত্রীর অশান্তি, স্বামী বা স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হলে উনি দেবেন বৈভব বগলা কবচ ও রাজমহিনী সিঁদূর এবং কেতকী বিচ্ছেদ দিয়ে দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান।

এতোগুলো বিজ্ঞাপনেও যেটা পাচ্ছিলাম না, সেটা হল গোপন সম্পর্কে কোনও ফাটল ধরলে সেটা কি করে জোড়া লাগানো যায়? আর এযুগে যেটা অহরহ ঘটছে - শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন - তার সমাধান। তাও পাওয়া গেল 'এক ফোনেতেই বাজি মাত প্রেম সমস্যা কুপকাত' - গিরনার ও মারাক্কা সিদ্ধাই শ্রীদেবীমাইয়া দেবশ্রীর কাছে। হতাশা-দুঃখ ১০০% চ্যালেঞ্জ। ফটোগ্রাফী সম্মোহন ও মায়াদর্পণ দ্বারা ৭ দিনে সমাধান (প্রমাণিত)।

আর কি কোনও সমস্যা বাকি আছে? থাকলেও চিন্তার কারণ নেই । জীবনের সকল সমস্যা সমাধান চাইলে আপনি জয়ামা-র কাছেও যেতে পারেন। তিনি প্রেসিডেণ্ট, অল ইন্ডিয়া উইমেন অ্যাস্ট্রলজার সোসাইটি এবং দেবী মনসা মায়ের সাধিকা জগৎজননী। ওঁকে দিয়ে কালসর্পদোষ খন্ডন করানো যায়।
ইন্টারনেট-এ গুগল সার্চ করে অবশ্য সোসাইটিটার নাম পেলাম না, জয়া মা-র নামও নয়। হয়তো আমার দেখার ভুল। পরে আবার ভালো করে দেখতে হবে।

সুজন দাশগুপ্ত

* বিজ্ঞাপনগুলি আমার বানানো নয়, আনন্দবাজার পত্রিকায় রবিবার ৬ই জানুয়ারি, সোমবার ৭ই জানুয়ারি ও শনিবার ১২ই জানুয়ারি, ২০১৩-তে প্রকাশিত।

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।