ডঃ
নরেন্দ্র ধবলকার স্মরণে
'সাধনা
পত্রিকার সম্পাদক ও মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সামিতি-র
প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবী ডঃ নরেন্দ্র ধবলকার আজীবন কুসংস্কার
বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। অগাস্ট মাসের ২০ তারিখে (২০১৩)
উনি যখন সকালে বেড়াচ্ছিলেন, দুজন বন্দুকধারী ওঁকে গুলি করে
হত্যা করে।
মহিলা
সর্বাঙ্গীন উৎকর্ষ মন্ডল (মাসুম)-এর প্রতিষ্ঠাতা মনীষা গুপ্তে
আমেরিকা সফরকালে ডঃ নরেন্দ্র ধবলকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেই
রাতেই বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি ইমেল লেখেন। মনীষা গুপ্তের
অনুমতি নিয়ে সেই ইমেলটির অনুবাদ এখানে প্রকাশিত হল।
বন্ধুরা -
গতকাল ডঃ
নরেন্দ্র ধবলকারের হত্যার খবরে আমরা মর্মাহত। ওঁর সম্পর্কে ডঃ
আনন্দ ফাদকে মেডিকো ফ্রেন্ড সার্কলের ই-গ্রুপে লিখেছিলেন, মৃত্যুর
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নরেন্দ্র ধবলকার একটা মেসেজ পান - "Remember
Gandhi - Remember what we did to him". । এর আগেও উনি
ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন – একবার তো বিখ্যাত প্রগতিপন্থী
অভিনেতা ডঃ শ্রীরাম লগুর সঙ্গে যখন মঞ্চে বসেছিলেন তখন ।
ওঁর মৃত্যুর সঙ্গে মহারাষ্ট্র
তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমাজ-সংস্কারক পরিবারের আরও একজন সদস্যকে
হারালো। আর তা হারালো কী মর্মান্তিক এবং নিষ্ঠুর ভাবে! ওঁর রাজনৈতিক
বা সমাজ-বিষয়ক মতবাদ নিয়ে আলোচনার আগে ব্যক্তিগত ভাবে ওঁর সম্পর্কে
কিছু বলতে চাই। ওঁকে আমার চেনার সৌভাগ্য হয়েছিল ছেলেবেলা থেকে
– যখন আমি মুম্বাইয়ে। প্রাপ্ত বয়সে যখন পুনেতে বসবাস শুরু করি,
তখনও সেই যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকে। উনি ছিলেন সোশালিস্ট র্যাশেনালিস্ট
এবং অ্যাণ্টিকাস্ট আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং সেই সূত্রেই
আমার বাবার (হিন্দ মজদুর সভার ব্যক্তিত্ব) বিশেষ বন্ধু। আমার
বাবার মৃত্যুকালে উনি উপস্থিত ছিলেন এবং ২০১০ সালে মৃত্যুর পর
সানে গুরুজী হাসপাতালে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেহদানের সময়েও উনি এসেছিলেন।
আমাকে বাবার সম্পর্কে ‘সাধনা’ পত্রিকায় লিখতে অনুরোধ করেন এই
বলে যে মেধা পাটকারের পিতা বসন্ত খানোলকরের (হিন্দ মজদুর সভার আরেক ব্যক্তিত্ব)
ওপর মেধার একটা লেখা এর আগে সোশালিস্টদের কাছে বিশেষ
সমাদৃত হয়েছে।
ধবলকারের চিন্তাশক্তি,
সেটা পরিচালিত করার ক্ষমতা এবং একনিষ্ঠতা ধর্মগোঁড়া গুরুদের
কতটা ফাঁপরে ফেলত সেটা সুবিদিত। উনি প্রতি সপ্তাহে সাতারা থেকে
মাত্র দুদিনের জন্যে পুনেতে আসতেন এবং বিখ্যাত মারাঠী সাপ্তাহিক
‘সাধনা’ চালাতেন। কয়েক যুগ ধরে এই কাজ তিনি করে আসছিলেন। সপ্তাহে
মাত্র একদিন পুনেতে তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরোতেন। ঠিক সেইদিনে
মোটরবাইক থেকে নিশানা করে বারংবার গুলি চালিয়ে যে হত্যকাণ্ড
সেটা যে নিঃসন্দেহে সুপরিকল্পিত, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
এ নিয়ে অনেক কিছুই লিখে
যেতে পারি - পুনে/ মহারাষ্ট্র/ এমন কি ভারত – সব জায়গাতেই আমরা
হারিয়ে ফেলছি অনেক কিছু! এই তো এক মাসও হয় নি আমরা হারালাম নারীবাদী
গবেষক শর্মিলা রেগে-কে, হারালাম প্রগতিবাদী বাস্তুকার অরবিন্দ
আধারকারকে। এখন নরেন্দ্র ধবলকার। এই শূন্যতা অপূরণীয়।
সেই সঙ্গে এও বলতে হয় মহারাষ্ট্র
তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে! আমরা ভুলে যাচ্ছি জ্যোতিরাও সাবিত্রী
ফুলেদের কথা, ভুলে যাচ্ছি বাবাসাহেব আম্বেদকার, শাহু মহারাজ,
সানে গুরুজী, ডাঙ্গে, আহিল্যতাই রাঙ্গনেকার – এরকম কত শত মহান
সন্তানদের! স্বৈরাচারের প্রবণতা আমাদের চিন্তাশক্তি ও বিচার
বিবেচনাকে আচ্ছন্ন করছে। মহারাষ্ট্র একশো বছর পিছিয়ে যাচ্ছে!
স্বজনপোষণ, হিংসার রাজনীতি, দলিত-বিরোধী, শ্রমিক-বিরোধী আন্দোলন
গত যুগের প্রগতিশীল রাজনীতির কণ্ঠরোধ করেছে।
আমার বহু আত্মীয়স্বজন যাঁরা
আগে কদাচিৎ মন্দিরে যেতেন এখন তাঁদের এক একজন করে বাবা বা গুরু্র
দরকার পড়েছে! তাঁরা কজন জানেন বা উপলব্ধি করেন যে এইসব গুরু
বা বাবাদের ঠিক পেছনেই লুকিয়ে আছে উগ্রসমাজবাদিক চিন্তাধারা
বা গোঁড়ামি। বাইরের প্রশান্তমুখ আর ক্ষমাসুন্দর হাসি – একটা
ভেক। গীতার ব্যাখ্যাকার চিন্ময়ানন্দ উগ্রবাদী ধর্মান্ধ বিশ্ব
হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬২)। শ্রী রবিশঙ্করের
সহকর্মী ফ্র্যাঙ্কয়েজ গোটয়ে (Francois Gautier) একজন ফরাসী হিন্দু
সুপ্রিমেসিস্ট যিনি ভারতে হিন্দুরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে ইতিহাস
রচনায় মেতে আছেন। যোগগুরু থেকে এখন পুঁজিবাদী রাজনীতিবিদ বাবা
রামদেব সম্পর্কে আর নতুন করে কি বলব!
ধবলকারের মৃত্যু আমার মনের
মধ্যে নানান ভাবনা আনছে। কি করে আমরা তফাৎ করব - আমাদের মূল্যবোধ/নীতিবোধ
এবং আধ্যাত্মিকতা, আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মবোধ, সংগঠিত আধ্যাত্মিক
আচার এবং সংগঠিত ধর্মপ্রতিষ্ঠান, বিশ্বাস এবং অন্ধ-বিশ্বাস,
ধর্ম আচরণ এবং ধর্মোন্মত্ততা; নিজের ধর্মকে ভালোবাসা এবং অন্য
ধর্মকে ঘৃণা করা/ হেয় করা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় ধর্মের ব্যাপারে
– বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘ভর’ জিনিসটা (বেঁচে থাকার তাগিদে
এটাকে আঁকড়ে ধরা); ছোটদের ভগবানের কাছে বা আশ্রমে উৎসর্গ করা,
উচ্চবর্ণের ভগবানের উদ্দেশে দুর্বোধ্য সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ
বা নিম্নবর্ণের মানুষদের দেবদেবীদের উপলক্ষ করে অধিকতর পার্থিব
ও পাশবিক চেতনাজাত পূজার আয়োজন? কোনটি যে বিশ্বাস আর কোনটি অন্ধ
বিশ্বাস / সংস্কার তার হদিশ কে দেবে? আমাদের একদিকে রয়েছে ধর্মীয
অনুশাসন / সংস্কারের দোহাই দিয়ে ডাকিনীতন্ত্র আদি ব্যভিচারের
মাধ্যমে মানুষের ওপর অত্যাচার করার উদাহরণ। আর অন্য দিকে পাচ্ছি
কুশলী ধর্মগুরুদের হাতে আইনসম্মত প্রথায় সরাসরি অথবা গণপ্রচারমাধ্যমের
প্রয়োগে অনুগামী জনতাকে বিদ্বেষের রাজনীতিতে দীক্ষা দেবার কাহিনী।
আমরা কী করে এতো সবের মোকাবেলা করবো-- সাম্যবাদ, রাজনীতিভিত্তিক
অর্থনীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ...? আর কী আছে? প্রীতি, ভালোবাসা,
করুণা, ...?
ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে আমরা
কি বুঝি? ঈশ্বরে অবিশ্বাস/ সমস্ত ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া (ভারতীয়
সংবিধানে যা দেওয়া হয়েছে)? শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজের ধর্ম পালন
করতে দেওয়া? সমস্ত ধর্ম বিশ্বাসকে উপেক্ষা করা এবং ধার্মিক লোকদের
সঙ্গে সংস্রব না রাখা? আমার কাছে এর পরিস্কার উত্তর নেই, যেহেতু
আমি বড় হয়েছি একটা নাস্তিক পরিবারে। যৌবনে আমরা প্রায়ই অনেক
সময়ে ইচ্ছে করে ধর্ম উৎসবের দিন কর্ম শিবিরে গিয়ে বা অন্যান্য
কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছি। তারপর যখন ছেলেমেয়েরা সংসারে এলো,
তখন ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়েছে বাড়িতে ভালো খাওয়া দাওয়া করে
– যাতে সেই সময়ে ছোটদের মনে হয় না এটা একটা নিরানন্দময় গৃহ।
আর ‘মাসুম’-এ আমরা খেয়াল রাখি যাতে সব ধর্মের অনুষ্ঠানেই ছুটি
থাকে। কর্মীরা সেক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে বন্ধুবান্ধবদের (নিজের
বা অন্যধর্মের) সঙ্গে আনন্দ করতে পারে। আসলে প্রশ্নগুলির সঠিক
কোনও উত্তর এখানে নেই, আমরা উত্তর খুঁজছি।
ধবলকারের এই হত্যাকাণ্ড
সাময়িক্ ভাবে উগ্রপন্থীদের একটু বিপদে ফেলবে। মহারাষ্ট্র সরকারকে
কুসংস্কার বিরোধী (অ্যান্টি সুপারস্টিশন) বিল বা অর্ডিনান্স
বিধান সভায় এখন আনতে হবে। অনন্ত ফাদকে লিখেছেন বহু ডাক্তারি
ছাত্র পুনেতে ধবলকারের শবদেহ যাত্রায় সামিল হয়েছে, যেমন করে
বহু অরাজনৈতিক ডাক্তাররা এগিয়ে এসেছিল বিনায়ক সেনের সমর্থনে।
ওঁকে বা আমাদের কাউকে হত্যা করা যেমন এক দিক থেকে আমাদের একটা
জোরদার বার্তা দিচ্ছে "এগিও না, এগোলে...,", অন্যদিকে
তাদের মুখোশ খুলে চরম অসহিষ্ণুতাও প্রকাশ পাচ্ছে। । তার প্র্তিক্রিয়া
দু নৌকোয় পা দিয়ে চলার দলকে বিশেষ একদিকে যদি নাও হেলায়, অন্তত
চক্করে ফেলে রাখবে।
আমরা যে এক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের
নীচে বাস করছি, মার্টিন নিম্যুলারের অমর কবিতাটি ("ওরা
প্রথম এসেছিলো ইহুদীদের খোঁজে...") তার প্রত্যক্ষ সতর্কবাণী।
মানবাধিকার কর্মীরা নরেন্দ্র মোদীর শত্রুদের তালিকার সর্বোচ্চে।
ম্যালকম এক্স নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে যদিও ডঃ মার্টিন
লুথার কিং এবং তিনি ভিন্ন পথে চলেছেন ( সমাহার বনাম বিভাজন,
"স্বপ্ন" বনাম "দুঃস্বপ্ন") তাঁরা দুজনেই
কিন্তু যাবেন বন্দুকের গুলিতে। গুজরাটের ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের
পর যখন আমরা মেডিকো ফ্রেণ্ড সার্কল (MFC) মারফত্ ডঃ প্রবীণ তোগাদিয়ার
ডাক্তারী লাইসেন্স প্রত্যাহার করার আবেদন দাখিল করেছিলাম, তখন
আমি গোটা দুই ফোন পেয়েছিলাম যা তাৎপর্যপূর্ণ। একটিতে আমাকে প্রশ্ন
করা হয়েছিলো আমার বংশপরম্পরায় কোনো মুসলমান লুকিয়ে আছে কিনা
এবং সকালে উঠে আমি "শ্রীগণেশায়েন মাহা" না বলে "শ্রী
মুসলমায়েন মাহা" বলে দিন শুরু করি কিনা। দ্বিতীয়জন বলেছিলেন,
"তোমাকে আমরা দেখে নেবো। তুমি ওদের থেকেও খারাপ, কেননা
তুমি বিশ্বাসঘাতক!" লোকে বলে যে কুত্তা বেশী ঘেউ ঘেউ করে,
সে কুত্তা কামড়ায় না, কিন্তু ডঃ ধবলকারকে তারা ঠিক কামড়ে দিলো।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং তার পরে আমাদের কী নিয়ে চলতে
হবে এ তারই সঙ্কেত।
ডঃ ধবলকারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের
শ্রেষ্ঠ পন্থা হবে আমাদের প্রগতিশীল চিন্তাধারাকে অব্যাহত রাখা
এবং সাম্প্রতিক ধর্মবিশ্বাস / আধ্যাত্মিক গতিবিধি এবং সঙ্ঘবদ্ধ
মৌলবাদী আন্দোলনের মধ্যেকার যোগসূত্র সম্বন্ধে অবহিত থাকা। সংখ্যালঘু-বিরোধী
মত প্রকাশে আজকাল হিন্দুত্ববাদীরা আর সরাসরি কোনো ধর্মের বাণী
ব্যবহার করছে না। এভাবে দেখলে এটি এক ফ্যাসিস্ট ক্ষমতালোভী আন্দোলনের
বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। অন্যদিকে আবার ভক্তিমার্গীদের মধ্যে
হিংসাত্মক ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রকাশ সম্পর্কেও আমাদের সচেতন
থাকা দরকার। যদি ওয়ারকারিরা (এঁরা পান্ধারপুরের লক্ষাধিক শান্তিপ্রিয়
তীর্থযাত্রী যাঁরা বিঠ্ঠল-রাখমায়ীর মন্দিরে যাবার জন্য আড়াইশো
কিলোমিটার পদযাত্রা করে থাকেন) কোনোমতে এ ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েন
(এঁদের দলনেতাদের সাম্প্রতিক হিংসাত্মক কথাবার্তা চিন্তার কারণ
হয়ে দাঁড়িয়েছে) তাহলে বুঝতে হবে যে জনাবাই, ধ্যানেশ্বর, নামদেব,
চোখমেলা, তুকারাম, এবং বহিনাবাই প্রমুখ মহারাষ্ট্রীয় সন্তকবিরা
ত্রয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দীতে যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন সে শিক্ষা
এরা বিষিয়ে তুলতে আরম্ভ করেছে। এই সন্তদের অনেকে (এঁরা বহু বর্ণ,
জাতি ও পেশা থেকে এসেছেন) বর্ণাশ্রমের বিপক্ষে কড়া কথা বলেছেন,
আনুষ্ঠানিকতার অন্ধ অনুসরণের কঠোর সমালোচনা করেছেন (কবীরের মতো),
মহিলা সন্তেরা লিখেছেন লিঙ্গবৈষম্যের কথা, উঞ্ছবৃত্তির কথা এবং
ভগবান বিঠোবার প্রতি তাঁদের শৃঙ্গারাত্মক প্রেমের কথা (নিজামুদ্দীন
আউলিয়াকে নিয়ে আমীর খসরুর কবিতাগুলির মতো)। যদিও আমি নিজে এসব
মানিনা, এই শিক্ষা আমাদের প্রগতিশীল ভক্তিবাদী, মহানুভব, সুফী,
ফকির বা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সাধুদের উত্তরাধিকার এবং আমি
চাই যে উপমহাদেশে এর যথার্থ কদর হোক। নিজের কথা বলতে গেলে, কোনো
ধর্মেই বিশ্বাস না করবার যে স্বাধীনতা আমার আছে, আমি তাতেই খুসী।
দুঃখ ও বিষাদের সাথে--
মনীষা
অগাস্ট
২১, ২০১৩
.
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)