বিচার
না প্রহসন?
এখনও রাত।
চারিদিক অন্ধকার। জ্বলন্ত মশাল হাতে কয়েকজন মশালচি পথ দেখিয়ে
আগে আগে চলেছে। সামনের সারিতে রয়েছে নাটের গুরু কাইয়াফাস। পেছনে,
হাতে-কোমরে দড়ি বাঁধা এক ৩২ বছরের যুবক। প্রতি পদক্ষেপে তার
লম্বা চুল কাঁধের উপর দফায় দফায় পড়ছে যেন সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে
পড়ছে তীরে। সে নিজে নিরুত্তাপ, নির্ভীকও বটে। সে জানে তার ভবিষ্যত।
কিছুক্ষণ আগেই সে তার বাবার সাথে রফা করে ফেলেছে। কাইয়াফাস হাজির
করেছে সবাইকে তার শ্বশুর আন্নাস-এর বাড়ীতে। আন্নাসও য়িহুদীদের
একজন প্রধান পুরোহিত।
য়িহুদীরা বহুদিন হয়ে গেল রোম আর রোমানদের অধীনে। তারা রোমান
শাসকদের সাথে আপাত আপোষ করে দিন কাটাছে। রোমের শাসকরা আশ্বাস-বদ্ধ
যে তারা য়িহুদীদের ধর্মীয় ব্যাপারে নাক গলাবে না বা দখল দেবে
না। য়িহুদীরা সাথে সাথে দিন গুনছে কবে মসীহ বা পরিত্রাণকর্তা
আসবে – য়িহুদীদের উদ্ধার করবে! এমনিটাই’ত হয়েছে বার বার, অতীতে।
তারা বিশ্বাস করে যে তারা তাদের পাপের ফল ভোগ করছে। তাদের ঈশ্বর
তাদের উপর রাগ করেছেন।
তাঁকে সন্তুষ্ট করা দরকার। প্রয়োজনে নরবলিও দেওয়ার কথা ভাবছে।
অবশ্য নরবলি রদ করা হয়েছিল সেই কোন যুগ আগে যখন ছেলে আইজাককে
বলি দেবার মূহুর্তে এব্রাহামের উত্তোলিত ছুরিকে থামিয়ে দিয়েছিল
ঈশ্বরের আকাশভেদী আদেশ। পূজো-আর্চির আবশ্যিক অঙ্গ হিসাবে নরবলির
বদলে শুরু হয়েছিল পশুবলি। কিন্তু এখন আবার নরবলি করা হয়ত: দরকার
যাতে করে য়িহুদীরা দেবতার কোপ থেকে বাঁচে। অন্তত: একবারের জন্য!
শ্বশুর আন্নাস-এর বাড়ীর সামনে এই কথাই কাইয়াফাস বুঝিয়েছিল সবাইকে
সেই রাতে। বলি দেবার জন্য নর রয়েছে দড়িবাঁধা। শুধু দরকার যূপকাষ্ঠ
আর রোমান শাসকদের কাছ থেকে সেই যূপকাষ্ঠ ব্যবহার করার অনুমতি।
এদেশের যূপকাষ্ঠ হচ্ছে ক্রুশ! চোর-ডাকাত-খুনীদের মত আসামীদের
চরম শাস্তির জন্য ব্যবহার হয় এই ক্রুশ, তিলে তিলে মারার জন্য।
এখন য়িহুদীদের বার্ষিক (atonement-এর) প্রায়ম্চিত্তের দিন নয়।
তাই কাইয়াফাস বুঝিয়েছিল যে, পাশ্চাল-এর (হিব্রুভাষায় Paschal
আর ইংরাজীতে Passover) সময়েও বলি দেওয়ার বিধি আছে। এখনই’ত –
সূর্য্যের উত্তরায়ণ শুরু হওয়ার সময় – মিশর থেকে চলে আসার ঠিক
আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা একটি মেষকে বলি দিয়ে তার রক্ত দিয়েই
চিহ্নিত করেছিল সব য়িহুদীদের বাড়ীকে। আমাদের অবস্থাটা উল্টো
হলেও ব্যবস্থা একই করতে হবে।
উপস্থিত য়িহুদীরা আশ্বস্ত হয়েছিল যে য়িহুদীদেরই একজনকে বলি দেওয়া
প্রয়োজন এবং ‘এইসময়েই’ বলি
দেওয়াটাও শাস্ত্র-অনুমোদিত। সবাই ভাবল, একজন নয় দুজন প্রধান
পুরোহিত যখন বলছে তখন প্রস্তাবটা নিশ্চয় ঠিক!
কিন্তু এই যুবকটিকে কেন?
কাইয়াফাস বুঝিয়েছিল, ‘আমরা যে মসীহ বা ত্রাণকর্তার অপেক্ষায়
রয়েছি সে’ত এ নয়। এই যুবক মন্দিরে এসে আমাদের দেনরী (পয়সা) গোনার
টেবিল উল্টে দিয়ে তারপর মন্দিরকে ধূয়ে পরিস্কার করেছিল – মন্দিরের
রোজগারের পথে বাধা দিয়েছিল। বলে কি না, আমরা মন্দিরকে অপবিত্র
করেছি। তোমরাই বল, রোজগার না থাকলে মন্দির চলবে কি করে? আমরাই
বা কি খেয়ে বাঁচব তোমাদের দেখ-ভাল করার জন্য?’
‘ঠিক ঠিক’
‘শুধু তাই নয়। মনে আছে নিশ্চয়, যখন জিজ্ঞেস করা হলো রোমানদের
কর দেওয়া হবে কি না, তখন এই যুবকই -- সম্রাট টিবেরিয়াসের ছাপ
মারা দেনরী দেখিয়ে -- চালাকির জবাব দিয়েছিল, যেটা রোম-সম্রাটের
বা সীজারের সেটা তাকে দিও! ঐ যুবক তাহ’লে নিশ্চয় রোমানদের হাত
থেকে আমাদের পরিত্রাণ করতে আসেনি … ও’ত বরং রোমানদেরই হয়ে কথা
বলেছিল।
‘ঠিক ঠিক’
‘এই যুবক শুধু আমাদের ধর্মীয় শান্তি ভাঙ্গতে উদ্যোগী .. আমাদের
নিরাপদ জীবনেই ডেকে আনবে বিপদ … ও যে আমাদের ত্রাণকর্তা বা মসীহ
নয় এটা’ত পরিস্কার হয়ে গেছে … কিন্তু ও নিজেকে জাহির করে, গল্পগাছা
বা সরাসরিই উপদেশ দেয় যে আবহমানকালের রীতি, চাল-চলন পাল্টাতে
হবে … বলে কি না ঈশ্বর ওর বাবা … না না এই যুবক আসলে হচ্ছে একজন
শঠ, জাল .. ভন্ড .. প্রতারক … ঈশ্বর ওর বাবা না আরো কিছু … ঈশ্বরের
ছেলে – যতসব বেধর্মী নষ্টামী … ঐ আপদ যত তাড়াতাড়ি বিদেয় হয় ততই
আমাদের সবার মঙ্গল … আমাদের ধর্মশাস্ত্র-বিরোধী কথা বা কাজের
সাজা হচ্ছে মৃত্যু – আমাদের পূর্বপুরুষরা ঠিক করে দিয়ে গেছেন
সর্বময় ঈশ্বরের আদেশে … কি বল তোমরা সবাই?’
সোচ্চারে সবাই বলে ওঠে, ‘ঠিক ঠিক … একেবারে হক কথা! .. এতে আর
সন্দেহ কোথায়?’
‘তাহ’লে আর দেরী নয়। আমরা স্বাধীন থাকলে একাজ আমরা নিজেরাই করতে
পারতাম। কিন্তু এখন রোম-রাজত্ব … ওদের অনুমতি নিতে হবে।’
পাশ থেকে কাইয়াফাসকে একজন ফিস্-ফিস্ করে বলল, ‘তা ওর বিরুদ্ধে
অভিযোগটা কি হবে?’
‘চোপ! ওসব তোকে ভাবতে হবে না। ও ব্যাটা বলে ও হচ্ছে য়িহুদীদের
রাজা … বলি, রাজাটা কে – রোমানরা, পিলাত .. হেরোদ না এই ছুতোরের
বাচ্চা? … মায়ের পেটে এসেছিল মায়ের বিয়ের আগেই … যত সব অনাছিষ্টি
… দেখবি, কেমন আমি পিলাতকে প্যাঁচে ফেলি … এসব ছেলেখেলা নয় …
একেবারে রাজদ্রোহিতা, একচুল কম নয় … মৃ .. মৃত …’
কে একজন বলে উঠল, ‘আমরা দেরী করছি কেন? … ভোর হচ্ছে যে …’
দড়ি-বাঁধা ঈসাকে নিয়ে কাইয়াফাসের নেতৃত্বে উপস্থিত সবাই চলল
রাজ্যপাল পন্টিয়াস পিলাতের
প্রাসাদে।
সূর্য্যের ছটায় পূব দিগন্তে নানান রং। আজকের সূর্য্যে কি বার্তা
থাকবে? আজকের সূর্য্যের মুখটাই বা কেমন দেখতে লাগবে? আর কি কি
সব দৃশ্যইবা দেখবে সবাই? পাশ্চালের সময় তখন। পবিত্র জেরুসালেম
শহরে জড়ো হয়েছে বহু য়িহুদী, অনেকেই বাইরের। তাদের অনেকেই যোগ
দিতে লাগল কাইয়াফাসের মিছিলে। দড়ি-বাঁধা লোকটার কি হয় দেখবার
কৌতুহল সবার। এমনি করে পিলাতের প্রাসাদে পৌঁছতে পৌঁছতে কাইয়াফাসের
দলে জুটে গেল প্রচুর য়িহুদী যারা এ ব্যাপারে কিছুই জানে না,
বোঝা দুরস্থ।
পিলাত বেশ নিষ্ঠুর অত্যাচারী; কথায় কথায় প্রাণদন্ড দেয়। কিন্তু
তার চেয়েও বড় কথা, পিলাত য়িহুদীদের সহ্য করতে পারে না। পিলাত
তুখোর লোক। এক লহমায় ব্যাপারটা আঁচ করে নিল। ঈসাকে হয়ত: চিনতে
পারল, নাম-ডাক শুনেছে অনেকে। পিলাতের বুঝতে দেরী হলো না, যেহেতু
এই যুবক য়িহুদীদের বিশেষত: তাদের প্রধান পুরোহিতদের গাত্রদাহের
কারণ অতএব পুরোহিতদের অভিযোগ খারিজ করাটাই বিধেয়।
কাইয়াফাসের অভিযোগ : এই লোকটি বলে বেড়ায় যে সে য়িহুদীদের রাজা।
পিলাত সরাসরি জিজ্ঞেস করল ঈসাকে, ‘তুমি কি য়িহুদীদের রাজা?’
‘এ কথা কি আপনি নিজে বলছেন? না, অন্য কেউ বলেছে আমার সম্বন্ধে?’
‘আমি কি য়িহুদী? তোমার নিজের লোকেরা, তোমাদের পুরোহিতরা তোমাকে
আমার হাতে তুলে দিয়েছে। তুমি কি অন্যায় করেছ?’
পিলাত তারপর ঈসাকে আরও কয়েকটি মামুলি প্রশ্ন করল।
ঈসা নিশ্চুপ বেশীর ভাগ প্রশ্নে।
পিলাত তখন পুরোহিতদের জানিয়ে দিল যে যুবকটি নির্দোষ এবং য়িহুদীদের
পাশ্চালের প্রথা অনুযায়ী তারা কার মুক্তি চায় – ঈসা‘র না চোর
বারাব্বাস-এর?
সবাই বেছে নিল বারাব্বাস-এর মুক্তি।
য়িহুদী পুরোহিতরা এরপর পিলাতকে বলল, ‘ওকে ক্রুশবিদ্ধ করুন। ও
আমাদের ধর্মীয় বিধির লঙ্ঘন করেছ। আমাদের ধর্মীয় কানুন অনুযায়ী
প্রাণদন্ডই ওর প্রাপ্য কারণ ও নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলে।’
পিলাত তখন ঈসাকে মনে করিয়ে দিল, ‘জান আমি তোমাকে ক্রুশবিদ্ধ
করতে পারি; আবার ছেড়েও
দিতে পারি।’
উপরের দিকে তাকিয়ে ঈসার স্পষ্ট জবাব, ‘আমার উপরে আপনার কোনও
ক্ষমতা নেই যদি না আপনি সেই ক্ষমতা উপর থেকে পেয়ে থাকেন। অতএব,
যে আমাকে আপনার হাতে সঁপেছে তারই উপর বর্তাবে অনেক বেশী পাপ।’
পিলাতও যে পাপের ভাগী হবে সেটা বুঝতে তার অসুবিধা হ’লো না।
পিলাত তখন প্রধান পুরোহিতদের বলল, ‘আমি এই লোকটির কোনও দোষ দেখতে
পাচ্ছি না।’
ক্ষুব্ধ পুরোহিতদের সাথে গলা মিলিয়ে তখন উপস্থিত য়িহুদীরা পিলাতকে
কোনঠাসা করল, ‘আপনি যদি এই লোকটাকে ছেড়ে দেন তাহ’লে আপনি রোম-সম্রাট
সীজারের বন্ধু নন। যে কেউ এখানে নিজেকে রাজা বলে ঘোষণা করে সে
নিশ্চয় সীজারের বিরোধিতা করে।’
পন্টিয়াস পিলাতের আর কোনও ওজর দেখাবার সুযোগ থাকল না। কিন্তু
এর মধ্যে একটি বৃত্তান্তও আছে। কাইয়াফাসদের শেষের উক্তিটি আসলে
যত না ঈসার বিরুদ্ধে তার চেয়ে ঢের বেশী ছিল পিলাতেরই বিরুদ্ধে
হুমকি, রাজনৈতিক ধমক।
কাইয়াফাস জানত যে এর আগেও পিলাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফল পেয়েছিল
তারা।
এবার সেই পূর্ব-বৃত্তান্তটি।
পিলাত আগে একবার সম্রাটের নাম লেখা সোনালী ফলক এনে পবিত্র জেরুসালেম
শহরের মাঝখানে হেরোদ-এর প্রাসাদের চারধারে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। এটা
ছিল রোম-এর দ্বারা স্বীকৃত বিধির পরিপন্থী। রোম স্বীকার করেছিল
যে তারা য়িহুদীদের ধর্মীয় বিধির পরিপন্থী কিছু করবে না। জেরুসালেম
ধর্মীয় পবিত্র শহর বলে রোম স্বীকার করেছিল। সেখানে তাই ঈশ্বরের
ধজ্বার বদলে জাগতিক রাজার বা সম্রাটের ফলক বিধি-নিষিদ্ধ ছিল।
য়িহুদীদের পুরোহিতরা পিলাতকে সেই সোনালী ফলকগুলোকে হেরোদ-এর
প্রাসাদ থেকে সরাতে বললে পিলাত তা করতে অস্বীকার করে। তখন পুরোহিতরা
সরাসরি রোমের দরবারে আর্জি তথা অভিযোগ জানায়। ফলে রোম-সম্রাট
টিবেরিয়াস সরাসরি নিজেই হুকুম দেন সেই সোনালী ফলকগুলো সরাবার।
সেই ঘটনার পর থেকে রোমের দরবারে পিলাতের দর বেশ পড়ে গিয়েছিল।
[প্রচলিত ঈসার সু-সমাচারগুলিতে এইসব বৃত্তান্ত নেই। তবে সমকালীন
আলেকজান্দ্রিয়ার ফিলো’র লেখা বিবরণী থেকে আমরা পিলাত সংক্রান্ত
এই গূঢ়-সমাচার জানতে পাই।]
তাই পুরোহিতদের রাজনৈতিক ধমক খাবার পর প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই পিলাত
আর কোনও ওজর দেখায়নি বা দো-টানার পরিচয় দেয়নি। সরাসরি ঈসাকে
একটি উঁচু ঝায়গায় বসিয়ে উপস্থিত য়িহুদীদের বলেছিল, ‘দেখ তোমাদের
রাজাকে!’
উত্তেজনার জিগিরে সবাই চেঁচিয়ে উঠেছিল, ‘ওকে সরাও! ওকে হঠাও!
ওকে ক্রুশবিদ্ধ কর!’
পিলাত জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আমি কি তোমাদের রাজাকে ক্রুশবিদ্ধ করব?’
য়িহুদী পুরোহিতরা সব কিছু ভূলে জবাব দিয়েছিল, ‘সীজার ছাড়া আমাদের
আর কোনও রাজা নেই।’
এরপর আর কথা বাড়েনি। পন্টিয়াস পিলাত ঈসাকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য
পুরোহিতদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বলেছিল, ‘ক্রুশবিদ্ধ কর!’
কথিত আছে যে পিলাত নাকি তারপর সর্ব-সমক্ষে নিজের দুটো হাত ধূয়ে
ফেলেছিল এক গামলা জলে। এরই জেরে ইংরাজীতে এসেছে ‘washing one’s
hands off’ শব্দগুচ্ছ!
রাত পেরিয়ে, ভোর কাটিয়ে তখন সকাল অনেকটাই গড়িয়েছে। প্রায় ন‘টা
বাজে। রদ্দুর বাড়তে আরম্ভ
করেছে। সেদিন ছিল শুক্রবার। সূর্য্যাস্তের সাথে সাথেই শুরু হবে
য়িহুদীদের, বিশেষ করে তাদের পুরোহিতদের
চিরাচরিত কিছু-না-করার বিশ্রাম বা Sabbath দিবস। কোনও কাজ করা
নিষিদ্ধ হবে।
এখনও অনেক কাজ বাকী। ঈসার হ্যাপা আজই শেষ করতে হবে। ফেলে রাখলে
আবার কি ফ্যাঁকড়া
দেখা দেয় কে জানে, ভাবল প্রহসনের নাট্যকার, পান্ডা কাইয়াফাস।
পবিত্র জেরুসালেম শহর নির্বাক।
মনে মনে ভাবছে, এমন প্রহসন কি এর আগে কখনও হয়েছে এখানে, কিংবা
দুনিয়ার অন্য কোথাও? মনে মনে ভাবছে, আমার পবিত্রতা রক্ষা করতে
আমাকেই’ত প্রতিবাদ করতে হবে; কিন্তু কি করে? মনে মনে ভাবছে,
বসন্ত সমাগমে ঝিরিঝিরি হাওয়ায়, ঠান্ডা-গরম আমেজে আবহমানকাল ধরে
এই সময়, এই দিনে ফি বছর সূর্য্যের কি সুন্দর মুখ দেখেছি; তার
হাসির ছটায় আরও সবুজ আর জীবন্ত হয়ে উঠেছে চিরকাল আমার কোলভরা
অজস্র জলপাই গাছগুলো; আর আজ, এ কি সূর্য্যের মুখ দেখলাম আমি
… সূর্য্য আজ উঠলই বা কি করে এখানে … সূর্য্যের মুখে এখনও হাসি
কেন?
পবিত্র শান্তির জেরুসালেম অবাক।
তপন
চট্টোপাধ্যায়
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
.