চোখের
বালি - পুনর্পঠন -
আরও
একবার খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ উপন্যাস ‘চোখের বালি’
পড়লাম। এটি সম্ভবত আমার তৃতীয় পাঠ। আগের দুটি পাঠ অনেক বছর আগেকার,
স্মৃতিতে তা ম্লান হয়ে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক পাঠে উজ্জীবিত হয়ে
লক্ষ্য করলাম, উপন্যাসটি আজও পথনির্দেশক। পরিবেশ রচনা, চরিত্রনির্মান,
-অনিবার্য ঘটনাক্রমে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন, হৃদয়বৃত্তি ও
বুদ্ধির প্রয়োগ এবং উপন্যাসের গতিপথ তৈরিতে এই সবের সামঞ্জস্য
বিস্ময়কর।
এই
উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসসাহিত্যে সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারার জন্ম
দিয়েছিল। বঙ্গদর্শনের নবপর্যায়ে এটির ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু
হয় ১৯০১ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক ১১৩ বছর আগে। রবীন্দ্রনাথের
বয়স তখন চল্লিশ।
এর
আগে পর্যন্ত বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে প্রবলভাবে ছিল বঙ্কিমের
স্বর্ণযুগ। স্বাভাবিক ভাবে বঙ্কিমের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত
হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বঙ্গদর্শণ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত
হয়েছিল ‘বিষবৃক্ষ’। সেই সময় ওই উপন্যাসটি গভীর ভাবে আলোড়িত করেছিল
সব বাঙালি পাঠককে। বেশ কয়েক বছর বাদে নবপর্যায়ের বঙ্গদর্শনের
সম্পাদনার দায়িত্ব এসে পড়ে রবীন্দ্রনাথের ওপর।
গোড়ার
দিকে রবীন্দ্রনাথ বেশ সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছিলেন নতুন এই দায়িত্বভার
পেয়ে। ভালো সম্পাদক এবং ভালো লেখক সব সময়ই নতুন কিছু করতে চান।
পূর্বানুবৃত্তি অর্থহীন। একজন, তিনি যতই বড় হোন না কেন, তাঁকে
নকল করার মধ্যে সাহিত্য নেই। নতুন পত্রিকায় অত্যন্ত সচেতন ভাবে
রবীন্দ্রনাথ লিখতে শুরু করলেন ‘চোখের বালি’। উপন্যাসে সংলাপের
মধ্যে ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের কথা আছে। বোঝা যায়, বিষবৃক্ষের কথা
ভুলতে পারেননি লেখক, এবং সম্ভবত প্রতি মুহূর্তেই সচেতন ছিলেন
যে ওই উপন্যাসের মায়াজাল ছিন্ন করে তাঁকে নতুন কিছু লিখতে হবে।
তিনি তা পেরেওছিলেন। বাংলা সাহিত্যে শুরু হয়েছিল বিষবৃক্ষ -অতিক্রান্ত
‘চোখের বালি’র যুগ। সে আর এক প্রবল উন্মাদনার অধ্যায়।
শরৎচন্দ্র
সেদিনের সেই প্রবল উত্তেজনার কিছুটা আঁচ দিয়েছেন আমাদের রবীন্দ্র
জয়ন্তী উপলক্ষে পঠিত একটি ভাষণে।
“তারপরে এলো ‘বঙ্গদর্শনের’
নবপর্যায়ের যুগ। রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ তখন ধারাবাহিক
প্রকাশিত হচ্ছে। ভাষা ও প্রকাশভঙ্গির একটা নূতন আলো এসে যেন
চোখে পড়লো। সে দিনের সেই গভীর ও সুতীক্ষ্ণ আনন্দের স্মৃতি
আমি কোন দিন ভুলবো না। কোন কিছু যে এমন করে বলা যায়, অপরের
কল্পনার ছবিতে নিজের মনটাকে যে পাঠক এমন চোখ দিয়ে দেখতে চায়,
এর পূর্বে কখন স্বপ্নেও ভাবিনি। এতদিনে শুধু কেবল সাহিত্যের
নয়, নিজেরও যেন একটা পরিচয় পেলাম। অনেক পড়লেই যে তবে অনেক
পাওয়া যায়, এ কথা সত্য নয়। ওই তো খানকয়েক পাতা, তার মধ্য দিয়ে
যিনি এত বড় সম্পদ সেদিন আমাদের হাতে পৌঁছে দিলেন, তাঁকে কৃতজ্ঞতা
জানাবার ভাষা পাওয়া যাবে কোথায়?”
‘চোখের
বালি’র প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্র এমন একটি কথা লিখেছেন যা এর আগে আর
কোনও লেখকের কাছ থেকে পেয়েছি বলে মনে পড়ছে না। এই লেখাটি পড়ে
শুধু সাহিত্যের নয়, নিজের পরিচয়ও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল পাঠক শরৎচন্দ্রের
কাছে। এ এক আশ্চর্য পাওয়া!
শরৎচন্দ্র
তখন বর্মা মুলুকে। অল্প কিছু লেখালেখির পরে সাহিত্য থেকে অনেকখানিই
সরে গিয়েছেন। কেরানির চাকরি করেন। সঙ্গে পাঠ্য বলতে দেশ থেকে
নিয়ে আসা রবীন্দ্রনাথের কিছু বই ও নবপর্যায়ের বঙ্গদর্শনের কয়েকটি
সংখ্যা। তখনকার কথা লিখতে গিয়ে শরৎচন্দ্র লিখেছেন,
“তখন ঘুরে ঘুরে ওই
ক’খানা বই বারবার পড়েছি,--কি তার ছন্দ, ক’টা তার অক্ষর, কাকে
বলে আর্ট, কি তার সংজ্ঞা। ওজন মিলিয়ে কোথাও তার ত্রুটি ঘটেছে
কিনা—এসব বড় কথা কখনো চিন্তাও করিনি—ওসব ছিল আমার কাছে বাহুল্য।
শুধু সুদৃঢ় প্রত্যয়ের আকারে মনের মধ্যে এইটুকু ছিল যে, এর
চেয়ে পূর্ণতর সৃষ্টি আর কিছুই হতে পারে না। কি কাব্যে, কি
কথাসাহিত্যে আমার ছিল এই পুঁজি ।”
এমন
একটি পুঁজি সব সুলেখকেরই প্রয়োজন। সুসাহিত্যের পুঁজি যত বাড়ে
ততই ভালো। ভালো লেখা পড়ে নিজেকে তৈরি করেননি, অথচ নিজে বড় লেখক
হয়েছেন—-এমন দৃষ্টান্ত সাহিত্যের ইতিহাসে একটিও নেই।
বিয়ের
অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিধবা হয় ‘চোখের বালি’ উপন্যাসের নায়িকা
বিনোদিনী। মিশনারি মেমের কাছে সে পড়াশোনা করেছিল। বিনোদিনী বুদ্ধিমতী।
রূপসীর শরীরে এখন খরযৌবনের প্রখর দীপ্তি। প্রভুত্ব যেন তার স্বভাবসিদ্ধ।
তার কাছে উপন্যাসের নায়ক মহেন্দ্রর বালিকাবধূ আশালতা নিতান্তই
অপরিণত ও ম্লান।
ঘটনাচক্রে
মহেন্দ্রর বিধবা মা রাজলক্ষ্মী নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন বিনোদিনীকে।
কিন্তু এই আশ্রিতা বিনোদিনীই ধীরে ধীরে ব্যাপক ও দুর্নিবার হয়ে
ওঠে। তার আকর্ষণে মহেন্দ্রর সাধের দাম্পত্যজীবন ছারখার হয়ে গিয়েছিল।
মহেন্দ্রর ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু বিহারীও জড়িয়ে পড়েছিল ত্রিকোণ
প্রেমে। রাজলক্ষ্মীর বিধবা জা অন্নপূর্ণারও এক কঠিন ভূমিকা আছে
এই আখ্যানে। তবে কঠিনতর ভূমিকা রাজলক্ষ্মীর। মহেন্দ্র তার একটিমাত্র
সন্তান, চোখের মণি। মহেন্দ্রও ছিল মায়েরই ছেলে, অতিমাত্রায় মাতৃনির্ভর।
কিন্তু সব সাজানো ছক উলটে দিয়েছিল বিনোদিনী। অভাবনীয় ঘাতপ্রতিঘাত
মহেন্দ্রর মাকে শুধু বেদনাহত নয়, প্রবল ভাবে ঈর্ষাকাতরও করে
তুলেছিল।
উপন্যাসের
প্রতিটি চরিত্রের মনোজগৎ ক্রমাগত ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নানা
বাঁকে। ঘটনা পরম্পরা নয় হৃদয়ের ঘাত- প্রতিঘাতই সবকিছুর নিয়ামক।
বাংলা উপন্যাসে এমন বয়নও এর আগে আর কখনও দেখা যায়নি। ‘চোখের
বালি’ সম্পুর্ণ নতুন একটি ধারার সৃষ্টি করেছিল বাংলা কথাসাহিত্যে।
চল্লিশ
বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ যে উপন্যাসটি লিখেছিলেন, আটাত্তর বছর বয়সে
তিনি সেই উপন্যাসের সঙ্গে ছোট একটি ভূমিকা সংযোজন করেন । ভূমিকার
নাম ‘সূচনা’। কিন্তু ‘চোখের বালি’কে তিনি দীর্ঘ আটত্রিশ বছর
বাদে স্মরণ করলেন কেন? মনে হয়, বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসের
বিশেষ এক ক্রান্তিকালকে তিনি এই সূত্রে লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ
ভুমিকায় লিখেছেন,-
“আমার সাহিত্যর পূর্বাপর
অনুসরণ করে দেখলে ধরা পড়বে যে, ‘চোখের বালি’ উপন্যাসটা আকস্মিক,
কেবল আমার মধ্যে নয়, সেদিনকার বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে।... আমরা
একদা বঙ্গদর্শনে বিষবৃক্ষ উপন্যাসের রস সম্ভোগ করেছি। তখনকার
দিনে সে রস ছিল নতুন। পরে সেই বঙ্গদর্শনকে নবপর্যায়ে টেনে
আনা যেতে পারে কিন্তু প্রথম আলোর পুনরাবৃত্তি হতে পারে না।
সেদিনের আসর ভেঙে গেছে, নতুন সম্পাদককে রাস্তার মোড় ফেরাতেই
হবে।”
কিন্তু
কী ভাবে? -রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসের সূত্রে জানিয়েছেন, এর আগে
‘মহাকায়’ গল্প সৃষ্টিতে তিনি কখনও হাত দেননি। ধারাবাহিকের উপন্যাস
বলে কথা, তার আকার তো বেশ বড়সড় হবেই। কিন্তু আকারই সব নয়, চরিত্রের
দিক থেকে কেমন হবে নবপর্যায়ের বঙ্গদর্শনের উপন্যাস? বিষয়বস্তুর
আভাস পাচ্ছিলেন মনের মধ্যে- - “শয়তানের হাতে বিষবৃক্ষের
চাষ তখনো হত, এখনো হয়, তবে কিনা তার ক্ষেত্র আলাদা, অন্তত গল্পের
এলাকার ক্ষেত্রে।”
নতুন
উপন্যাসের স্বভাব হবে আধুনিক। ছবিকে সাজসজ্জায় আচ্ছন্ন করার
প্রয়োজন নেই। আজকের ছবি স্পষ্টই হওয়া দরকার। নামতে হবে ‘মনের
সংসারের কারখানাঘরে।’ সেখানে ‘আগুনের জ্বলুনি হাতুড়ির পিটুনি’
থেকে দৃঢ় ধাতুর মূর্তি জেগে ওঠে। ‘মানববিধাতার নির্মম সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার
বিবরণ’ চাই। এমন কোনও বিষয় নিয়ে আগে উপন্যাস লেখা হয়নি--।
তবে
বিষয়টি তাঁর কাছে একেবারেই নতুন নয়। ছোটগল্পে কিছু চেষ্টা করেছেন
আগে। যেমন তাঁর ‘নষ্টনীড়’ ও ‘শাস্তি’। গল্পদুটি তো ‘নির্মম সাহিত্যের’
পর্যায়েই পড়ে। এবার বড় আকারে নির্মম সাহিত্য রচনার প্রয়োজন অনুভব
করলেন রবীন্দ্রনাথ।
মানবচরিত্রের
কঠিন সংস্পর্শে এলো ‘চোখের বালি’। গল্প ভেতর থেকে ধাক্কা দিয়েছে
মায়ের ঈর্ষায়। সেই ঈর্ষা মহেন্দ্রর রিপুকে ‘কুৎসিত অবকাশ’ দিয়েছে।
না হলে এ ভাবে বুঝি দাঁত-নখ বেরিয়ে পড়ত না।
রবীন্দ্রনাথ
লিখেছেন- “নতুন উপন্যাস ঘটনাপরম্পরার বিবরণ দেবে না, তার
বদলে সব কিছু বিশ্লেষণ করে ‘আঁতের কথা’ বের করে আনবে।” ।
বাংলা উপন্যাসে এই ধারারই প্রথম সার্থক প্রয়োগ চোখের বালিতে।
এই বিক্ষুব্ধ মনোজগতের বিবর্তিত প্রকাশ পরে দেখা গিয়েছে ‘গোরা’,
‘ঘরে-বাইরে’, ‘চতুরঙ্গ’ ইত্যাদি উপন্যাসে।
সম্পূর্ণ
নতুন ধারার উপন্যাসটি তাঁর কাছে ‘আকস্মিক’, আকস্মিক এটি বাংলা
সাহিত্যক্ষেত্রেও। তবে তিনি একটি অসম্পূর্ণ প্রশ্ন রেখে গিয়েছেন
এখানে। লিখেছেন, “বাইরে থেকে কোন্ ইশারা এসেছিল আমার মনে,
সে প্রশ্নটা দুরূহ।’’ প্রশ্নকে স্পষ্ট করেননি রবীন্দ্রনাথ,
সুতরাং সে প্রশ্নের উত্তরের সন্ধান করা কঠিন। তবে এই ব্যাপারে
আমরা আমাদের অনুমান ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারি। প্রশ্নটির সঠিক
চেহারা এবং তার সম্ভাব্য উত্তর কি হবে ভাবতে পারি। বাইরের ইশারা
বলতে কি এখানে ইউরোপ এবং নতুন ধারার বাংলা উপন্যাসটি কি সাইকোলজিক্যাল
নভেল, যা একদা প্রবল ভাবে আলোড়িত করেছিল গোটা ইউরোপকে?
বিশ
শতকের উপন্যাস সাহিত্যে অনেকটা সময় ধরে জাঁকিয়ে রাজত্ব করে গেছে
সাইকোলজিক্যাল বা মনস্তত্বমূলক উপন্যাস। প্রচলিত উপন্যাসে ঘটনা
পরম্পরার বিবরণ দেওয়ার যে রীতি ছিল, নতুন ঔপন্যাসিক সচেতন ভাবে
সেটি বর্জন করেছেন। ঘটনা নয়, মনোজগতে ঘটনার অভিঘাতই প্রধান।
ঘটনার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় চরিত্রের ভাবজগতের আন্দোলনই আসল।
উপন্যাসের সংকটও হয় উঠল মুখ্যত ‘ইনার ম্যান’ বা ভেতরের মানুষের
সংকট।
মানুষের
বিক্ষুব্ধ অন্তর্জগতের দিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে পিছু ফেরা হয়েছিল
কয়েক শতক আগেই। শেকসপিয়রের হ্যামলেটের কথাও উঠেছে এই প্রসঙ্গে।
তবে আদি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে কেউ-কেউ বেছে নিয়েছেন
রিচার্ডসনের ‘পামেলা’। স্তাঁধালের ‘দি রেড অ্যান্ড দি ব্ল্যাক’
উপন্যাসটিকেও বাছা হয়েছে। এক সময় বাংলা সাহিত্যকে বেশ প্রভাবিত
করেছিলেন নুট হ্যামসুন, তাঁর ‘হাঙ্গার’-এ উপন্যাসের নতুন এই
ধারাটি বেশ কিছুটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। পরে এই পথে প্রবল ভাবে
এসেছেন জেমস জয়েস, উইলিয়াম ফকনার প্রমুখ। সাধারণভাবে ১৯০০ -
১৯৫০ দীর্ঘ এই সময়কালকে চিহ্নিত করা হয়েছে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসের
অধ্যায় বলে।
এখানে
ওই অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গ ‘চোখের বালি’র
সেই ভূমিকা। রবীন্দ্রনাথ ভূমিকায় যে ‘দূরের ইশারা’র কথা শুনিয়েছেন,
সেই কথার আড়ালে আছে কি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস? কিন্তু এখানে
আরও একটি কথা উঠতে পারে। রবীন্দ্রনাথ চোখের বালির ভূমিকা লিখেছেন
উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার ৩৮ বছর বাদে। গ্রন্থাকারে উপন্যাসটির
প্রথম প্রকাশ ১৯০১ সাল নাগাদ। অর্থাৎ ইউরোপের মনস্তাত্ত্বিক
উপন্যাস যুগ শুরু হওয়ার একেবারে সূচনা লগ্নে।
সেই
সময় প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণ নতুন
উপন্যাস লেখার তাগিদেই ‘চোখের বালি’ লিখেছিলেন। উপন্যাসটি লেখার
প্রায় চার দশক বাদে লিখিত ওই সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় উপন্যাসটির ক্রান্তিকালকে
শুধু চিহ্নিত করে গিয়েছেন তিনি।
শেখর
বসু
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।