প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিশেষ সংখ্যাঃ রবি-স্মরণ - শ্রবণে, শ্রাবণে

"তুমি কি একলা , তুমি কি সঙ্গী চাও?"

ঈশানী রায়চৌধুরী

     

       রবীন্দ্রনাথ। যে মানুষটির হাত ধরে আবাল্য আমার সমস্ত চৈতন্য জুড়ে জল পড়া আর পাতা নড়া।

      বাইশে শ্রাবণ। সকাল থেকে পাঁচ কাজের মাঝে কোনও গান শুনি না, কোনও কবিতা -গল্প -নাটক -উপন্যাসের পাতা উল্টে দেখি না। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে পঁচিশে বৈশাখ বা বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষ্যে করার তাগিদ অনুভব সত্যিই করি না কখনও। কারণ এই মানুষটি আমার অস্তিত্ব জুড়ে প্রবল পরাক্রমে এমনভাবে বিদ্যমান , যে আলাদা করে জন্মদিন বা প্রয়াণ দিবস পালন করা নিরর্থক মনে হয়। সারাক্ষণই তো বেসুর কন্ঠে বেতালে তাঁর গান গুনগুন করি , যখন তখন কাজে অকাজে ঝিলিক দিয়ে যায় কিছু বিশেষ পংক্তি। চেনা মুখে খুঁজি তার সৃষ্ট চরিত্রের আদল। নিজেও মনে মনে সুখে দু:খে কত কতবার নির্জন মনোজগতে কিছু কিছু চরিত্র হয়ে উঠি। যিনি আমার সত্তার আমার ভাবনাচিন্তার আমার যাবতীয় অনুভবের দখলদারি নিয়ে রেখেছেন , যাঁকে আশ্রয় করে আমার এই নিত্যদিনের জীবন ও যাপন ,সেই অলীক আর আশ্চর্য মানুষটিই যে রবীন্দ্রনাথ।

      রবীন্দ্রনাথ। এই একজন । আমার সঙ্গে সেই কোন ছোটবেলা থেকেই যেমন ভাব , তেমন আড়ি।

      ভাব  কেন? কারণ এই  মানুষটির হাত ধরেই যে আমার সমস্ত চৈতন্যে জল পড়া ও পাতা  নড়া।  স্বপ্নে ,জাগরণে।  বর্ণের বিভায় অন্ধ হয়েছে চোখ , সুরের জালে বাঁধা পড়ে মুক্তি চাইবার বদলে প্রাণের আনন্দে ছটফটিয়ে মরেছি।

      যতদিন পড়তে শিখিনি নিজে নিজে , কেউ না কেউ পড়ে শোনাতেন। রবি ঠাকুরের পদ্য। আমি শুনতাম , শুনতাম..খানিক পর তিনি ক্লান্ত হয়ে থেমে গেলে কচি হাতে তাঁর মুখটি আঁকড়ে ধরে আমার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে বলতাম , " আট্টু বল।" তখন গান বাজত রেডিওতে , আর বাড়িতে রেকর্ড চেঞ্জারে অজস্র রেকর্ডে। ৭৮ আর পি এম। একসঙ্গে ৮ টা করে রেকর্ড বসানো হত রেকর্ড চেঞ্জারে। এখন ভাবি , কোনো বিচিত্র কারণে আমাদের বাড়িতে রবিগান যখন চলত...তাতে মিশেল দেওয়া হত না..আধুনিক বা পল্লীগীতির। নজরুলগীতি বা কীর্তনের। যে যার নিজের অবস্থানে জাঁকিয়ে বসে থাকত। এবং আমার ..অবোধ শিশুবেলার একার দুপুর …. আর একার থাকত না।

      শুনে শুনে মুখস্থ হল গান , পদ্য। তারপর পড়তে শিখলাম। হাতে এল সেই ফিনফিনে রেশমের মতো কাগজে ছাপা রবীন্দ্র রচনাবলী। সে সংস্করণ এখন দুষ্প্রাপ্য। শুয়ে শুয়ে বই পড়া বারণ। বইয়ের বাঁধন আলগা হয়ে যাবে। জানালার পাটাতনে বসে বসে আঙুল সাজিয়ে নেওয়া অক্ষরের সারির নীচে। কিছু বুঝি। অধিকাংশই বুঝি না ...কিন্তু ছাড়তেও পারি না। তখন আমার যা বয়স ..নতুন সূর্য ওঠার ভোরবেলা। তখন

"এক বিকেলে দু:খ আসে , এক বিকেলে আলো
বৃষ্টি এসে ঢাকে কেয়াবন। " ( শ্রাবণ মেঘের আধেক দুয়ার / জয় গোস্বামী )

      গুনগুন করি। রেকর্ড শুনে। প্রথমে সুরের খেয়ায় ভাসতাম। ধীরে ধীরে একটি একটি করে বাতি জ্বলে ওঠে মনে ও মননে...বাণীতে আচ্ছন্ন হয়ে যাই। একে একে হাতে হাত রাখে বালক বালিকারা। অমল আমার প্রাণের সখা। সুধা আমার চক্ষুশূল। তারপর ... তারপর তো নারী হয়ে ওঠা। সে এমনভাবে যে প্রতি মুহূর্তেই আমার চরিত্র বদলে যায়। বহিরঙ্গে না হলেও..অন্তরঙ্গে। কখনো এলা, কখনো বিমলা , চারু , কুমু ...অচিরা ...| কখনো চেনা মুখে খুঁজে ফেরা বিশু পাগলকে। আর অমল? সে তো আজও আমার ছেঁড়া ছেঁড়া দু:খকথার দোসর হয়েই থেকে গেল।

      আর সেভাবেই...রবীন্দ্রনাথ রয়েই গেলেন। শুধু বসন্তের বাতাসটুকু হয়েই নয় ; আকুল বর্ষা হয়ে , হেমন্তের গেরুয়ারং সন্ধ্যা হয়ে , শীতের রোদ্দুররেখা হয়ে। আমার চেতনাকে আবিষ্ট করে।

      তাই আজ একলা ঘরেও আমার "একা" লাগে না। আমার মনের ঘরের  জানলাগুলোর বন্ধ খড়খড়ির ভেতর দিয়ে চুঁইয়ে আসে আলো। বেলা বাড়ে। বয়স বাড়ে। সেই আলোও বাড়ে। সেই বোধের আলো বাড়তে বাড়তে সারা মনের ঘর ভেসে যায় আলোয়। আমার দু'টি চোখ ধাঁধিয়ে  যায়। আমি আলোর অস্তিত্ব , আলোর সুখ জেনে যাই। আমার আর অন্ধকার ভালো লাগে না। বুঝে যাই ...আলো ছাড়া আমার গতি নেই। আমি নি:শর্তে আত্মসমর্পণ করি। আলোর কাছে। মানুষটির কাছে।

      আড়ি কেন? আমার খুব রাগ হয়। খুব। তাই এক অদ্ভূত মানসিক বৈপরীত্যে প্রতি মুহূর্তে আশ্রয় করি , প্রতি মুহূর্তে অভিমান। কেন এই একটি মানুষ সবটুকু জেনে যাবে আমার? কেন আমি আমার মতো করে স্বতন্ত্রভাবে কিছু ভাবতে , বলতে , বুঝতে বা লিখতে পারব না?  

      এই যা লিখছি , যা কিছু অনুভব..সব ধার করা কথা আমার। সূর্য ওঠা থেকে নিশুতি রাত পর্যন্ত সবটুকু সময় ভাবনার ঋণে আকন্ঠ ডুবে থাকা। কথায় , চিঠিতে , ভাষায় , গানে ...সর্বত্র। এই ঋণ আমায় এক এক সময় বিক্ষুব্ধ করে... আবার ভরিয়েও তো রাখে। রবীন্দ্রনাথ এক এমন উত্তমর্ণ ... যিনি কী প্রবলভাবে উপস্থিত , আমার প্রতিটি জাগ্রত মুহূর্তে যাঁর বসত …অথচ মূলধন বা সুদ ..কিছুই ফেরত চান না।

" অলীক , তোমার স্বপ্ন থেকে শান্ত হাতের
একটি দুটি রৌদ্রেপোড়া
সাহস
আমায় ঋণ দিয়ে যাও , দোলের দিনে
আবির খেলতে ঋণ দিয়ে যাও অলীক তোমার
সকল তামস কলুষ হরণ ...." ( ঋণ / জয় গোস্বামী )

      আমাদের একটা কাজ ভালোভাবে করতে কালঘাম ছুটে যায় আর  এই একা মানুষ  দশ হাতে  কাজ করে গেছে।  আর কে কী ভাবে জানি না ; তবে আমি তো এখনও রবীন্দ্রনাথ  যা যা লিখেছেন , এঁকেছেন  ...সব দেখেই উঠতে পারিনি। অনুধাবন তো দূরের কথা। উঠতে পারিনি বলব না; ইচ্ছে করে করিনি। কারণ তাহলে আর সব কিছু, সব কাজ শিকেয় তুলে রাখতে হয়। এ ভুবন বড় সর্বনেশে আর কর্মনাশা। খালি ইশারায় বলে , "সব পড়ে থাক। তুমি আমায় নিয়েই থাকো। আর কিছুতে দরকারটাই বা কী? "

      রবীন্দ্রনাথ  কত যে চিঠি লিখেছেন। সব্বাইকে। আচ্ছা ...এত লিখতেন  কখন? আর এত লিখতেন  যদি...তাহলে ভাবতেন  কখন? নাকি লেখনী আর ভাবনা কাগজে আর মানসপথে দৌড়ত সমান্তরালে? কে  বলে  , দু'টি সমান্তরাল রেখা বাস্তবে পরস্পর মিলিত হয় না। তারা অসীমে মিলিত হয়? সব বাজে কথা। কেউ কিছু  জানে না। তারা সসীমে মিলিত হতে পারে। হয়েওছে। একবার নয় , দু'বার নয় .... সীমাহীনবার।

      এই মুগ্ধতাই আমাকে অনন্ত প্রেমে অন্ধ করে রাখল। সারা জীবনে আর একটিও মানুষ পেলাম না... এক মুহূর্তের জন্যও ... যে আমার জীবনে এই মানুষটির বিকল্প হতে পারে।

দিগন্তকে চেনার আগে দিগন্তে যে পৌঁছে যাও...
তোমার হাতে পেগ্যাসাসের লাগাম বুঝি? ঘোড়সওয়ার।
রাস্তা থেকে শুকনো পাতা শেষ বিকেলে মুঠি ভরাও
দিগন্তকে চেনার আগে দিগন্তে যে পৌঁছে যাও
মনের ঘরে গোপন আলো অজান্তে যে স্বপ্ন , তাও 
চিনতে তুমি? তাই আলোতে ভাসিয়ে দিলে অন্ধকার?
দিগন্তকে চেনার আগে দিগন্তে যে পৌঁছে যাও
তোমার হাতে পেগ্যাসাসের লাগাম বুঝি? ঘোড়সওয়ার।

      ২২ শে শ্রাবণ চিনেছিলাম  "তিথিডোর "-এর সত্যেন রায়ের হাত ধরে। চিনিয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু। তাঁর ভাষা আর নিজের কল্পনার মিশেল দিয়ে বলি সেদিনের কথা।

      বাইশে শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন। সত্যেন এল স্বাতীর কাছে। শুকনো মুখ, উশকো চুল, চাপা ঠোঁট আর না-কামানো গাল। স্বাতীর তখন শরীরে জড়িয়েছিল ঝিরঝিরে দুপুরের আরাম। সত্যেনের কাছে দু:সংবাদ পেয়ে তার মাথাটি নিচু, " যেখানে তখন সুখের সুষমা প্রায় কথা বলছিল..সেই সব রেখায় দু:খ আঁকলো সেখানে, স্তব্ধ আনতি, দু:খের আরও গভীর সুষমা। '’

      তারপরের বিশদ ছবিটি জোড়াসাঁকোর। এ ছবি এত স্বল্প পরিসরে আমি বর্ণনা করি কী করে? তবে প্রতিটি ছত্রে আমিও সেদিন ওই শোকযাত্রায় সামিল হতে পেরেছিলাম। বৃষ্টি থেমে গেছে। সমস্ত রাস্তাটির ওপর কাঁপছে, দুলছে, জ্বলছে বৃষ্টি ধোওয়া হলদেসবুজ বিকেলের স্বচ্ছ, সূক্ষ্ম আভার একটি পর্দা। আর কোনো তারা নেই। "রবীন্দ্ররহিত বাংলাদেশে শোকোচ্ছ্বাসী কলকাতার ওপর এই মুহূর্তে আকাশের বিকারহীন তোরণে নীলিমার নিশান উড়ল "|

       সত্যি। রবীন্দ্রনাথ তো সেই কবে থেকেই মিশে আছেন অস্তিত্বে। সহজ পাঠের হাত ধরে পথ চলার শুরু ছিল। তারপর একে একে দমকা হাওয়ায় খুলে গেল হৃদয়ের অলিন্দগুলি। সেখানে জুঁই বকুলের সুরভি ছড়িয়ে উঁকি দিয়ে গেল কবিতা , গল্প, নাটক, উপন্যাস , ছবি , প্রবন্ধ , এমনকি ঝুরো ফুলের পাপড়ি অজস্র চিঠিপত্রও। মুগ্ধ হলাম , বিবশ হলাম , কলম আঁকড়ে লিখতে গেলাম কত কিছু। দেখি এই মানুষটি সব কিছু লিখে রেখে গেছেন। আজন্মের যত অনুভব। আর গান? শুনি। এই বাণী এই সুর এই সমর্পণ ....শুধু এই গানের পায়ে আমি প্রতি মুহূর্তে নি:শর্তে নিজেকে বিকিয়ে দিই। নিত্যদিন। যদি কোনদিন আমার সমস্ত ভুবন ঢেকে যায় অন্ধকারে , রবিগান সেই তমসায় আলোর কমলকলি হয়ে রয়ে যাবে।

      আমার জাগরবেলার মায়াবী ভোরে , মিঠে রোদ্দুরমাখা সকালে , মাঝ-আকাশে সূর্য আঁকা দুপুরে , আলো -ঝিলমিল বিকেলে , দামাল ঝড়ের সন্ধেবেলায় বা জোনাকি -জ্বলা নিঝুম রাতে আমার বিজন ঘরের বন্ধ বাতায়নে উদাসী হাওয়া ছড় টানবে বেহালায় আর ব্যাকুল বাঁশরী বাজিয়ে ডাক দিয়ে যাবেন আমাকে। আমার রবীন্দ্রনাথ। 

      রবীন্দ্রনাথ।  আমার সেই হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা। সে মোহনবাঁশি আমার অন্তরমহলে অবাধে লুঠতরাজ করে দরজা জানলা খুলে তছনছ করে দেয়।
আর ...ফুল ফুটিয়ে দিয়ে যায়। যে ফুলের নানা রং। কিছু চেনা , কিছু বা অচেনা , আধচেনা।
ভালোবেসে যাকে ভালো নামে ডাকি।
"অনুভব"।

      তাই এই বয়সের দিনান্তবেলায়  নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে এই মনের মানুষটির হাতে হাত রেখে হাঁটি। কখনো রুক্ষ পাথুরে বাস্তবের জমিতে , কখনো রেশমী সুখের বালাপোষ জড়িয়ে , কখনো দু:খের ছেঁড়া কাঁথা গায়ে টেনে নিই যখন ...যখন খুব শীত করে ... কখনো ঝর্ণাতলার নির্জনতায় আকাশের দিকে দু'হাত মেলে দিয়ে..কখনো জলে ..খুব অল্প জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে রেখে..পাশের জমিতে অন্যমনস্ক আঙুলে আঁকিবুকি কাটি.. সে জল ..... রূপনারায়ণ নদ..... 

"কেউ যে কখনো কাউকে রূপনারায়ণ
দেখাবে, এটাতে আর আশ্চর্য কি আছে
কেউ তো কখনো কাউকে রূপনারায়ণ
দেখাবেই যতদিন পৃথিবীতে রূপনারায়ণ
এমন নামের কোনো মুগ্ধ নদ আছে

কেউ যে কখনো কাউকে মেঘ-ছেঁড়া আলো
দেখাবে, এটাতে আর আশ্চর্য কি আছে
কেউ তো কখনো কাউকে মেঘ-ছেঁড়া আলো
দেখাবেই যতকাল ত্রিভুবনে মেঘ-ছেঁড়া আলো
এমন নামের কোনো ঐশ্বরিক ইন্দ্রজাল আছে

তুমি যে সবার আলো সমস্ত ম্যাজিক
একাই দেখিয়ে গেছো , অবাক আমাকে--
রূপনারানের কূলে সেই থেকে জেগে বসে আছি
একা একা খেলা করি মেঘ-ছেঁড়া আলোর প্রবাসে "        (ম্যাজিকওয়ালা : নবনীতা দেবসেন )

[উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে ব্যবহৃত যে ক 'টি কবিতা - ঋণ , তা  কবির নামসহ ঠিক পাশেই  উল্লেখ করা হয়েছে । আর শীর্ষকটির জন্যও ঋণস্বীকার : জয় গোস্বামী ]      

 

      লেখক পরিচিতি - বিজ্ঞানের ছাত্রী । কিন্তু প্রথম ভালোবাসা সাহিত্য । তিন দশক ধরে ভাষান্তরের কাজে যুক্ত । বেশ কিছু অনূদিত বই প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য আকাদেমি, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইত্যাদি বিখ্যাত সংস্থা থেকে । ভাষান্তরের পাশাপাশি নিজস্ব লেখালেখির ঝোঁক । তবে খুব নিয়মিত নয় । ভালোবাসেন টুকরো গদ্য, পদ্য লিখতে

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।