প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

 কৌতুকী

একটা বার-এ টেলিভিশনে একজন তৃণমূল নেতাকে (তৃণমূলীরা এটাকে সিপিএম নেতা পড়বেন)একজন বলে উঠলো, এই এক গাধা।
সঙ্গে সঙ্গে বার-এর বাঁদিকে যে লোকটা বসে ছিলো উঠে এসে প্রথম লোকটাকে একটা ঘুঁষি মারলো।
খানিক বাদে আরেক তৃণমূল নেতাকে (তৃণমূলীরা এটা সিপিএম নেতা পড়বেন) দেখে প্রথম লোকটা আবার বলে উঠলো, আরেকটা গাধা।
এবার বার-এর ডানদিকে যে লোকটি বসে ছিলো, সে এসে মারলো একটা ঘুঁষি।
দু-দুবার এরকম ঘুঁষি খেয়ে প্রথম লোকটা বলল, যাঃ, বাবা, এটা কি তৃণমূলী (তৃণমূলীরা এটা সিপিএম পড়বেন) এরিয়া!
বারটেন্ডার বলল, আজ্ঞে না, এটা গাধাদের জায়গা। যাকে তাকে গাধা বলে গাধাদের অপমান করার অধিকার আপনার নেই।


এক নববিবাহিত দম্পতীর মধ্যে চুক্তি হয় যে স্ত্রী স্বামীর টেবিলের ড্রয়ার কোনোদিন খুলবেন না। তিরিশ বছর দাম্পত্যজীবন কাটানোর পর একদিন স্বামীর ড্রিয়ারটা আধখোলা অবশায় দেখতে পেয়ে স্ত্রী তাঁর কৌতুহল দমন করতে পারলেন না। দেখলেন সেখান তিনটে পেন আর এক হাজার টাকা রয়েছে। স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, এই পেনগুলো কিসের জন্যে?
স্বামী একটু লজ্জা পেয়ে বললেন, প্রত্যেকবার যখন আমি পরনারী-সঙ্গ করেছি, একটা করে পেন আমি ড্রয়ারে রেখেছি। স্ত্রী ভেবে দেখলেন এই দীর্ঘ তিরিশ বছরে তিনবার পদস্খালন হওয়া এমন কিছু পাপ নয়।
কিন্তু ওই এক হাজার টাকাটা? প্রশ্ন করলেন তিনি।
ও, ঐ টাকাটা? ড্রয়ারে পেন রাখার অত জায়গা নেই বলে এক ডজন পেন হলেই দশ টাকায় সেগুলো বেচে দিয়েছি।

ডাক্তার রোগীকে বললেন, আপনাকে দুটো জিনিস বলার আছে।
প্রথমে খারাপটা বলুন।
আপনার এইডস হয়েছে।
কী সর্বনাশ! এর থেকে খারাপ আর কি হতে পারে!
ঠিক, ভালোর মধ্যে আপনার আলসহাইমারও হয়েছে।
রোগী একটু স্বস্তি পেয়ে বললেন, যাক এটা ততো খারাপ নয়। এইডস অন্তত হয় নি!

চোর চুরি করতে এসে দেখে একটা দামী ভিভিডি প্লেয়ার। সেটা ঝোলায় পুরতেই কে যেন বলে উঠলো, 'ঠাকুর কিন্তু তোমায় দেখছে।"
কে কথা বলছে? চোর এদিক ওদিক তাকাতেই দেখলো টেবিলের ওপরে টাকা ভর্তি মানি ব্যাগ। সেটা পকেটস্থ করতেই আবার কেউ বলে উঠালো ঠাকুর কিন্তু তোমার দেখছে।
কে কথা বলল? এবার চোর দেখে খাঁচায় একটা ময়না।
তুমি কথা বলছিলে?
হ্যাঁ।
তোমার নাম কি?
চাকর।
চাকর! এরকম অদ্ভুত নাম কে তোমায় দিল।
বাড়ির মালিক – ওই একই লোক যে ঘরের দরজার সামনে বসা ঐ হিংস্র রটওয়েইলার কুকুরের নাম দিয়েছে ঠাকুর।

২৫ বছর বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী স্বামীকে বললেন, তোমার মনে আছে তুমি যেদিন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে? লজ্জা আর উত্তেজনার আনন্দে আমি এতো অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম আধ ঘণ্টা একটা কথাও বলতে পারি নি।
নিশ্চয় মনে আছে, আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের আধ-ঘন্টা!


একজন এসে ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞেস করল, আপনি আর কতক্ষণ চেম্বারে আছেন।
আরও দুঘণ্টা, ডাক্তার বললেন।
ঠিক আছে আমি আসছি।
পরের দিন আবার প্রায় একই সময় লোকটা এসে জিজ্ঞেস করল, আর কতক্ষণ আছেন?
দুঘণ্টার মত।
লোকটা কিছু না বলে চলে গেলো।
পরের দিনও সেঈ এক ব্যাপার। এর পরে যেদিন ওই একই প্রশ্ন লোকটা করল। ডাক্তার তার নার্সকে বললেন, দেখ তো লোকটা গেলো কোথায়। প্রতিদিন বলছে আসছে, কিন্তু কি হয়েছে দেখতে দিচ্ছে না।
একটু বাদে নার্স ফিরে এসে বলল, কেন জানি না, আপনার বাড়িতে গিয়ে ঢুকলো দেখে এলাম।


মাস্টারমশাই ক্লাসে ছাত্রদের ল্যাটিচুড লঙ্গিচুড শেখাচ্ছেন - ডিগ্রি মিনিট ইত্যাদি। ক্লাসের শেষে বললেন, ধর আমি যদি তোমাদের বলি, আজ আমাকে তোমরা লাঞ্চ খেতে মিট করবে ২৫ ডিগ্রি ২০ মিনিট নর্থ ল্যাটিচুড, আর ৪০ ডিগ্রি ১৫ মিনিট ইস্ট লঙ্গিচুড-এ...।
একজন ছাত্র বলে উঠলো, আমার মনে হয় আপনাকে স্যার আজ একাই লাঞ্চটা সারতে হবে।


এক দম্পতি কোনও এক মাঠে গিয়ে গলফ খেলছিল । হঠাৎ একটা শট এসে কাছাকাছি একটা বাড়ির কাঁচে লাগে ও ভেতরে একটা কাচের জার ভেঙ্গে যায় । দুজনেই তাড়াতাড়ি সেখানে এসে দেখে এক বড়সড় চেহারার মানুষ দাঁড়িয়ে আছে ।
স্বামী বলে ওঠে – মাফ করবেন । আমার দোষে এটা ভেঙ্গে গেছে । এর জন্যে আমি ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি আছি ।
আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি – ওটা ভাঙ্গার জন্যে । ওখানে আমি দশ হাজার বছর ধরে আটকা পরে আছি ।
তার মানে ! এখানে আপনি দশ হাজার বছর বন্দী আছেন ! স্বামী তো থ মেরে গেছে । বলে কি লোকটা – পাগল নাকি !
হ্যাঁ, আমি জিন । এই কাচের জারটার মধ্যে আটকা ছিলাম – দশ হাজার বছর । আপনার বলেই আমার মুক্তি ঘটলো । - জিন বেশ নাটকীয়ভাবে বলতে লাগল - এখন আপনারা আদেশ করুন – কী চাই ! আগে আপনি বলুন স্যর – আপনার কী চাই !
আপনি জিন ! স্বামী যেন একটু সাহস পেল । - আচ্ছা – তবে আমাকে এক কোটি টাকা দিন তো !
এক কোটি টাকা ! – জিন হাতদুটো ওপর দিকে তুলে তুড়ি মারল । - ঠিক আছে । আপনার একাউন্টে টাকা এসে গেছে । এবার আপনি বলুন ম্যাম – আপনার কী চাই !
আমার – আমার ! – স্ত্রী আমতা আমতা করে বলল – রাজারহাটে একটা তিন বেডরুম ফ্ল্যাট !
জিন আবার হাত ওপর দিকে তুলে তুড়ি দিল । - ঠিক আছে । হয়ে গেছে । আপনার বাড়িতে চিঠি এসে যাবে কাল সকালে ।
আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দোবো ! - স্বামী একেবারে গদগদ !
ধন্যবাদ দিতে হবে না । এটাই আমার কাজ ! – তবে আমারও কিছু চাই । দশ হাজার বছর বন্দী ছিলাম তো ! - জিন ওদের দিকে জিজ্ঞাসু ভাবে তাকাল ।
হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়ই ! বলুন কি চাই আপনার ? – স্বামী বলে উঠল ।
আপনার বউকে চাই ।
স্বামী আর কি করে – বউকে অনুরোধ করতে লাগল - দেখ, জিন আমাদের এক কথায় এত টাকা আর ফ্ল্যাট দিয়ে দিল । আমরা তো ওর জন্যে এইটুকু করতেই পারি !
বউ আর কি করে – জিনের সঙ্গে বাড়ির ভেতরে গেল ।
যেতে যেতে বউ জিনকে বলল – দেখলে কান্ডটা ! টাকার জন্যে আমার স্বামী আমাকে তোমার সঙ্গে আসতে দিল । এই আমাদের সাত পাকে বাঁধা বিয়ে !
তার চেয়েও বড় কথা – তোমার স্বামীটি এখনও বিশ্বাস করে যে জিন বলে কিছু আছে ! - জিন হা হা করে হেসে উঠল !

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।