রাত দুটোর
সময় পুলিশ একটা গাড়িকে থামিয়ে ড্রাইভার ভদ্রলোকটিকে জিজ্ঞেস
করল, এত রাত্রে কোথায় যাচ্ছেন?
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন একটা বক্তৃতা শুনতে।
কিসের বক্তৃতা?
মদ্যপানের অপকারিতা, অত্যাধিক ধূমপান এবং বাড়িতে দেরি করে ফেরার
কুফল।
তাই নাকি? পুলিশ অবাক! তা এতো রাত্রে বক্তৃতাটা দেবেন কে?
আমার স্ত্রী।
অত্যাধিক
মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙ্গে স্বামী দেখল, বিছানার
পাশে টেবিলে দুটো অ্যাসপিরিন আর এক গ্লাস জল। বিছানায় বসে আরও
অবাক। চেয়ারে ঝোলানো ধোয়া ইস্তিরি করা প্যান্ট সার্ট।
সেগুলো পরে অ্যাসপিরিন খেয়ে দেখল, ড্রেসিং টেবিলে একটা কাগজ।
সেখানে লেখা, 'ব্রেকফাস্ট খাবার ঘরে রাখা আছে, আমি বাজারে তরিতরকারি
কিনতে গেছি।
তোমায় ভালোবাসি।'
ব্যাপারটা কি! পুরো কনফিউসড হয়ে ভদ্রলোক স্বামী খাবার ঘরে গিয়ে
দেখেন, খাবার ঘর ঝকঝকে চকচকে। আর সত্যি বড় একটা থালায় ডিমভাজা,
টোস্ট, মিষ্টি এবং এক কাপ কফি।
টেবিলে ছেলেও বসে আছে। ভদ্রলোক অবাক হয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,
"কি ব্যাপার! কাল রাতে কি হয়েছিল?"
"কালরাতে তুমি মাতাল হয়ে ফিরেছিলে। গ্যারাজে গাঢ়ি ঢোকাতে
গিয়ে হেডলাইট ভেঙ্গেছিলে, ঘরে ঢুকে বমি করে কাপ ডিশ ভেঙ্গে দরজায়
ধাক্কা খেয়ে উলটে পড়ে গিয়েছিলে।"
"তাই? আমি তো ভেবেছিলাম সেইজন্যে মায়ের সঙ্গে সকালে তুমুল
ঝগড়া হবে!"
"ও সেটা... কারণ তোমাকে বিছানায় টেনে জামাকাপর খুলে মা
যখন শোয়ানোর চেষ্টা করছিলো, তখন তুমি চেঁচিয়ে উঠেছিলে, 'মিস,
আমাকে ছেড়ে দাও, আমি বিবাহিত!'।"
এখানে মূল্যবান নীতি কথাটা
হল -
মদ খেয়ে হেডলাইট ভাঙ্গা - ২০০০ টাকা
ভাঙ্গা কাপডিশ - ৫০০ টাকা
অ্যাসপিরিন - ২ টাকা
মদ খেয়ে ঠিক কথা বলা - অমূল্য
পৃথিবীতে সত্যি কিছু কিছু
জিনিস আছে যেটা টাকা বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনা যায় না!
পঞ্চাশ বছর
বয়সী মহিলা পনেরো হাজার ডলার খর্চা করে প্ল্যাস্টিক সার্জেনকে
দিয়ে ফেসলিফ্ট করিয়ে খুব খুসী। বাড়িতে ফেরার পথে একটা পত্রিকার
স্টলে দাঁড়িয়ে পত্রিকা কেনার সময়ে দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলেন,
“কিছু যদি মনে না করেন, আমার বয়স কত বলে আপনার মনে হয়?”
দোকানী উত্তর দিল, “পঁয়ত্রিশ।”
“একদম ভুল”, মহিলা বললেন, “আমার বয়স পঞ্চাশ।”
এরপর মহিলা একটা রেস্টুরেণ্টে
খেতে ঢুকলেন। খাবার পরে ক্যাশিয়ারকে বললেন, “কিছু যদি মনে না
করেন, আমার বয়স কত বলে আপনার মনে হয়?”
ক্যাশিয়ার উত্তর দিল, “বত্রিশ।”
“একদম ভুল”, মহিলা হাসতে হাসতে বললেন, “আমার বয়স পঞ্চাশ।”
এবার মহিলা একটা ওষুধের
দোকানে ঢুকলেন, ক্যালিশিয়ামের বড়ি কেনার জন্যে। সেখানেও দোকানীকে
বললেন, “কিছু যদি মনে না করেন, আমার বয়স কত বলে আপনার মনে হয়?”
দোকানী উত্তর দিল, “তিরিশ।”
“একদম ভুল”, মহিলা পুলোকিত হয়ে বললেন, “আমার বয়স পঞ্চাশ।”
মহিলা বাসের জন্যে একটা
বাস স্ট্যাণ্ডে অপেক্ষা করছেন। আরেকজন প্যাসেঞ্জার সেখানে দাঁড়িয়ে
- ভদ্রলোক খুবই বৃদ্ধ, চোখে কালো চশমা। মহিলা ভাবলেন, সবার মতামতইতো
নেওয়া হল। ইনি মনে হচ্ছে বিচক্ষণ ব্যাক্তি, ওঁর মতটাও নেওয়া
যাক। বৃদ্ধকেও সেই একই কথা জিজ্ঞেস করলেন - “কিছু যদি মনে না
করেন, আমার বয়স কত বলে আপনার মনে হয়?”
বৃদ্ধ বললেন, “আমিতো চোখে দেখি না, তবে আমি কাউকে ছুঁলে বুঝতে
পারি।”
মহিলা একটু ভাবলেন। আশেপাশে কেউ নেই। ভদ্রলোক বৃদ্ধ – কি আর
এমন ভয়। বললেন, “ঠিক আছে, কোথায় ছোঁবেন?“
“ঠোঁট দিয়ে ঠোঁটে।”
“মানে চুমু?”
“হ্যাঁ।”
“ঠিক আছে, খান”, বলে মহিলা ওঁর ঠোটটা এগিয়ে দিলেন। বৃদ্ধ মহিলার
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে নানাভাবে প্রায় মিনিট দুই ধরে চুমু খেলেন। তারপর
তৃপ্ত হয়ে বললেন। “আপনার বয়স পঞ্চাশ।”
মহিলা অবাক হয়ে বললেন, “কি করে আপনি বুঝলেন।”
“আপনি যখন ওষুধ কিনছিলেন, আমি আপনার পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম।”
এক ভদ্রলোক অফিস থেকে বাড়ি যাবার পথে একটি হিচ-হাইকার মেয়েকে
গাড়িতে তুললেন। মেয়েটি গাড়িতে ঢুকেই অজ্ঞান হয়ে গেল। ভদ্রলোক
সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার মেয়েটিকে
পরীক্ষা করে বললেন, "কংগ্র্যাচুলেশনস, আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন।"
ভদ্রলোক প্রমাদ গুনলেন। বললেন, "না, না, আমি বাবা হতে পারি না।
একে আমি চিনিই না।"
মেয়েটি প্রতিবাদ করে বলল, "না, ঐ আমার বাচ্চার বাবা।"
ভদ্রলোক এবার আরও প্রমাদ গুনলেন। বললেন, "কি মুশকিল! আপনারা
এক্ষুণি ডিএনএ পরীক্ষা করুন।"
ডাক্তার ভদ্রলোককে পরীক্ষা করে বললেন, "ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন
নেই। আপনি জন্ম থেকে ইনফার্টাইল। আপনি যেতে পারেন।"
মাথা দেখে মস্ত বোঝা নাবলো। নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে
হঠাৎ মাথায় বজ্রাঘাত হল – বাড়িতে ওঁর ছটা বাচ্চা তাহলে কোথেকে
এলো!
একটা ছোট্ট শহরের একমাত্র এনজিও শহরের গরীবদের জন্যে নানা সেবামূলক
কাজ করে। তাদের এক কর্মী ডোনারদের লিস্ট পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখল,
শহরের সবচেয়ে বড়লোক কোটিপতি উকিল একটা পয়সাও এনজিওকে দান করে
নি। কর্মীটি তখন সেই উকিলকে ফোন করে বলল, "আমরা খবর নিয়ে জেনেছি
যে, আপনি এ শহরের সবচেয়ে বড়লোক, অথচ আপনি আমাদের সংস্থাকে আজ
পর্যন্ত এক পয়সাও দান করেন নি।"
উকিল একটুক্ষণ চুপ করে বললেন, "তুমি তো অনেক খবর নিয়েছো দেখছি।
তুমি কি জানো যে, আমার মা দশ বছর ধরে অসুখে শয্যাশায়ী আর নিজের
চিকিৎসার বিল মেটানোর কোনও ক্ষমতা ওঁর নেই।"
" না, তা জানি না।"
" আর আমার ছোট ভাই, অ্যাকসিডেণ্টে যার পা কাটা গেছে, একটা পয়সা
রোজগার করার তার কোনও ক্ষমতা নেই।"
" তাওতো আমি জানি না" একটু লজ্জিত হয়ে কর্মীটি স্বীকার করল।
"আমার বোনের স্বামী মারা গেছে, পাঁচ ছেলেকে রেখে। আমার বোনের
একটা পয়সা ব্যাঙ্কে নেই যে বাচ্চাদের মানুষ করে।"
" সত্যি, এর কিছুই আমি জানতাম না", কর্মীটি এবার বাস্তবিকই ক্ষমা
চাইতে উদ্যত হয় ডোনেশন চাইবার জন্যে।
" এবার শোন", উকিল বলে চলেন, "এদের কাউকে আমি একটা পয়সা দিই
নি, তাহলে কেন তোমার ধারণা হচ্ছে – তোমায় আমি টাকা দেবো!"
ধর্মপ্রাণা ক্রিশ্চান মা
তাঁর কুমারী মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ডাক্তারের কাছে – পেটটা কেন
ফুলেছে দেখাতে। ডাক্তার পরীক্ষা করে বললেন, "আপনার মেয়ের বাচ্চা
হবে।"
সেটা শুনে মা রেগে আগুন। উচ্চস্বরে বলতে শুরু করলেন, "আমার মেয়ে
অত্যন্ত ভালো মেয়ে – ছেলেদের সঙ্গে মেশেই না। আর যদি মিশেও থাকে,
এরকম ভ্রষ্টাচার কখনোই করতে পারে না।"
ডাক্তার কোনও কথা না বলে জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
মা তাতে আরও রেগে ডাক্তারকে বললেন, “কি বলছি শুনুন, আমার দিকে
তাকান!”
“আমি শুনছি”, ডাক্তার বললেন। “এর আগে যখন এরকম ঘটেছিল, তখন আকাশের
পূর্ব দিকে একটা তারা উঠেছিল, আর তিনিজন বিদ্বজন এসেছিলেন ব্যাপারটা
বুঝিয়ে বলতে। আমি তাঁদের জন্যেই অপেক্ষা করছি।"
ডাক্তারের কাছে প্রথম এসেছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ । প্রাথমিক পরীক্ষার
হয়ে যাবার পর বৃদ্ধ ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা, ডাক্তারবাবু,
আমি কি নব্বই বছর পর্যন্ত বাঁচবো?"
- আপনি সিগারেট খান?
- না।
- মদ?
- তাও না।
- জুয়ো?
- খেলি না।
- সেক্স, মানে নারী সংক্রান্ত ব্যাপারে আসক্তি - বুঝতে পারছেন
তো কি জিজ্ঞেস করছি?
- পারছি, না তাও করি না।
- তাহলে অতদিন বাঁচতে চাইছেন কেন?
স্ত্রী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
নিজেকে দেখে বললেন, সত্যি, কি ভীষণ বুড়ি বুড়ি লাগছে দেখতে, না
আছে সেই স্লিম ফিগার, না আছে সেই ঘন চুল। তারপর স্বামীকে আবদার
করে বললেন, হ্যাঁগো, একটা কিছু ভাল বল না আমার সম্পর্কে ।
স্বামী - চোখের দৃষ্টি তোমার পার্ফেক্ট আছে, এতটুকু খারাপ হয়
নি।
৯০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্তারের কাছে এসে বললেন, “ডাক্তার, নিজেকে
আবার আমার পুরুষসিংহ বলে মনে হচ্ছে, আমার আঠেরো বছরের স্ত্রী
সন্তানসম্ভবা। তুমি কি বল?”
ডাক্তার একটু চুপ করে থেকে বললেন, “একটা গল্প বলি শুনুন। আমি
একজন বৃদ্ধকে চিনিতাম যিনি যৌবনে ভালো শিকারি ছিলেন। একদিন বৃদ্ধ
বয়সে বন্দুক ভেবে তাঁর ছাতাটা নিয়ে পাহাড়ী ঝর্ণার কাছে গিয়ে
দেখলেন একটা খরগোস। ছাতাটা তুলে তাক করে বললেন, দুরুম দুরুম।
ব্যাস খরগোসটা গুলি খেয়ে উলটে পড়ল। এটা শুনে কি মনে হচ্ছে আপনার?”
“তার মানে অন্য কেউ ঐ সময়ে খরগোসকে গুলি করেছে।”
“এক্স্যাক্টলি, সেটাই আমি বলতে চাইছি।”
এক দম্পতী তাঁদের বিয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রেস্টুরেণ্টে
খেতে গেছেন। খাওয়া শেষ হতে না হতে স্বর্গ থেকে এক পরী এসে হাজির।
পরী বললেন, “তোমরা একসঙ্গে এতগুলো বছর দুজনে দুজনকে ভালোবেসে
কাটালে, তাতে আমি খুব খুসী হয়েছি। তোমাদের দুজনকে আমি একটা করে
বর দিতে চাই।” এই বলে প্রথমে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি
বল, কী বর তুমি চাও?”
স্ত্রী বললেন, আমি চাই আমার বরের সঙ্গে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে।”
“তথাস্ত,” সঙ্গে সঙ্গে ‘কুইন মেরি-২’-এর ওয়ার্লড ক্রুজের দুটো
টিকিট স্ত্রীকে দিলেন। এবার পরী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি
কি চাও?”
স্বামী একটু ভেবে বললেন, “যেটা উপহার দিলেন, সেটা সত্যি চমৎকার,
কিন্তু আমার বহুদিনের ইচ্ছে একটি কম বয়সী বৌ পেতে। বর-ই যখন
দিচ্ছেন, তাহলে আমার থেকে ৩০ বছর কম বয়সী একটা বৌ দিন।”
এরকম সুন্দর একটা দিনে স্বামীর এই ইচ্ছের কথা শুনে বিগত-যৌবনা
স্ত্রী বিমর্ষ হলেন। পরীও অবাক। কিন্তু বর যখন স্বামী চেয়েছেন,
সেটা তাকে দিতেই হবে। পরী বললেন, “তথাস্ত।” সঙ্গে সঙ্গে স্বামী
৯৩ বছরের বৃদ্ধ হয়ে গেলেন!
(এই
গল্পের সারকথা হল, যেসব পুরুষ নিজের স্ত্রীর প্রতি অকৃতজ্ঞ,
তাদের মনে রাখা উচিত পরী একজন স্ত্রীলোক।)
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)