কৌতুকী
|
কৌতুকী
- বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে
লেখক জি.
কে. চেস্টারটনের সঙ্গে অনেকদিন বাদে একটি ক্লাবে বার্নার্ড শ'-র
দেখা। শ'-র পাত্লা রোগা চেহারা দেখে চেস্টারটন বললেন, "শ',
তোমাকে দেখে তো লোকে ভাববে ইংল্যাণ্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে।"
শ' চেষ্টারটনের বিপুল বপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, "আর
তোমাকে দেখে লোকে ভাববে সেই খাদ্যাভাবের জন্য তুমিই দায়ী।"
***
ডরথি পার্কার,
যিনি তাঁর বিদ্রুপাত্মক লেখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন, একবার একজনের
বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক বাক্যবাগীশের পাল্লায় পড়লেন। অজস্র বকরবকর
করার পর লোকটি বলল, "বুঝলেন, আমার একটাই দোষ, বোকা লোকদের
আমি সহ্য করতে পারি না।"
"আশ্চর্য!" ডরোথি বললেন, "আপনার মা-র তো তাতে
কোনো অসুবিধা হয় নি!"
***
রবীন্দ্রনাথ
কথা প্রসঙ্গে দিনুবাবুকে (রবীন্দ্রনাথের নাতি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর)
একবার বলেছিলেন, বুঝলি দিনু, সেদিন অমুক লোকটা আমার কাছ থেকে
দশটাকা ধার নিয়ে গদগদ কণ্ঠে বললে, আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে
রইলুম।
দিনুবাবু আঁতকে উঠে বললেন, তুমি দিলে ওকে টাকাটা? ওতো একটা জোচ্চোর!
তা মানি, কিন্তু লোকটার শতদোষ থাকলেও একটা গুণ ওর ছিল, রবীন্দ্রনাথ
শান্তস্বরে বললেন। লোকটা সত্যভাষী। কথা রেখেছিলো - চিরঋণী হয়েই
রইলো।
***
মার্ক টোয়েনের
লাইব্রেরিটি ছিল দেখবার মত। অজস্র বই - মেঝেতে ছড়ানো, দেয়ালের
পাশে স্তুপাকৃত। ঘরে প্রায় পা ফেলা যেতো না। সেই দেখে এক বন্ধু
মার্ক টোয়েনকে বলেছিলেন, এত বই যোগাড় করেছো, কয়েকটা বুক-সেলফ
যোগাড় করতে পারো না!
মার্ক টোয়েন গম্ভীর ভাবে উত্তরে বলেছিলেন, বইগুলো যেভাবে জোগাড়
করেছি, সেভাবে তো আর বুক শেলফ যোগাড় যায় না। শেলফতো আর বন্ধু
বান্ধবদের কাছে ধার চাইতে পারি না!
***
মার্ক টোয়েন
সকাল বেলা একটা সার্ট বার করে পরতে গিয়ে দেখেন একটা বোতাম নেই।
নিজের মনেই গাল দিয়ে সেটি ছুঁড়ে ফেলে দ্বিতীয় একটা সার্ট বার
করে পরলেন। দেখা গেল, সেটিরও একটি বোতাম নেই! বেশ একচোট গালিগালাজ
দিয়ে তিনি তৃতীয় একটা সার্ট গায়ে চড়ালেন। হায়, সেটিতেও একটা
বোতামের অভাব। এবার আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রাণভরে অকথ্য কুকথ্য
ভাষায় গাল দিলেন কিছুক্ষণ। রাগটা কমলে যখন চতুর্থ সার্ট বার
করছেন, তখন দেখলেন ওঁর স্ত্রী পিছনে দাঁড়িয়ে।
স্বামীকে অপ্রস্তুত করার জন্যেই ওঁর রুচিশীলা স্ত্রী আস্তে আস্তে
মার্ক টোয়েনের প্রত্যেকটি গালিগালাজ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করলেন।
মার্ক টোয়েন লজ্জিত ভাবে সেটা শুনে বললেন, তোমার শব্দগুলো সব
ঠিকই আছে, কিন্তু ইমোশনটা মিসিং।
***
বিখ্যাত কৌতুক
অভিনেত্রী বিয়াট্রিস লিলি একবার একটি ডিনার পার্টিতে গিয়েছিলেন।
তাঁর টেবিলে সেদিন বসেছিল মডেলিং জগতে নবাগতা এক অপরূপ সুন্দরী।
পার্টির অন্য টেবিল থেকেও বহু পুরুষের চোখ বারবার সেই সুন্দরীর
দিকে পড়ছিল। পাশের টেবিলে বসেছিলেন বিয়েট্রিসেরই এক পরিচিত লোক।
তিনি নিজেকে সামলাতে না পেরে কাগজে ছোট্ট একটা নোট লিখে ওয়েটারকে
দিয়ে বিয়াট্রিসকে পাঠালেন, তোমার টেবিলের ঐ সুন্দরী মেয়েটি কে?
বিয়াট্রিস নোটটা পড়ে ওয়েটারকে দিয়ে উত্তর পাঠালেন, আমি।
***
সুন্দরী ইসাডোরা
ডানকান নাকি একবার বার্ণার্ড শ'কে বলেছিলেন, "মিস্টার শ',
আমাদের দুজনের যদি একটি বাচ্চা হয়, তাহলে সে নিশ্চয় আমার মত
সুন্দর আর আপনার মত বুদ্ধিমান হবে।"
"তা সম্ভব", বার্ণার্ড শ বলেছিলেন। "কিন্তু আরেকটা
সম্ভবনাও আমরা বাদ দিতে পারি না - আমার সৌন্দর্য ও আপনার বুদ্ধি।"
***
লেডী ন্যান্সি
অ্যাস্টর ছিলেন হাউস অফ কমনস-এর প্রথম মহিলা সদস্য। কথায় ওঁর
সঙ্গে পেরে ওঠা খুব কঠিন ছিল। যিনি মাঝে মধ্যে পারতেন, তিনি
হলেন উইনস্টন চার্চিল। একবার পার্লামেণ্টে প্রচণ্ড তর্ক বিতর্কের
পর লেডী অ্যাস্টর নাকি চার্চিলকে বলেছিলেন, "উইনস্টন, তুমি
যদি আমার স্বামী হতে, তাহলে তোমার কফিতে বিষ মিশিয়ে আমি শান্তি
পেতাম।"
চার্চিল গম্ভীর ভাবে তার উত্তরে বলেছিলেন, "তুমি যদি আমার
স্ত্রী হতে, তাহলে সানন্দে আমি সেটা পান করতাম।"
***
উনবিংশ শতাব্দীর
বিখ্যাত অধ্যাপক হেনরি অগাস্টাস রোল্যাণ্ড ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী
ও মৃদুভাষী। একবার ওঁর ডাক পড়েছিল কোর্টে বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি
মতামত দেবার জন্য। বিরোধীপক্ষের উকিল যখন ক্রস এক্সামিনেশন করতে
এসে ওঁকে প্রশ্ন করলেন, "আপনার কী এমন যোগ্যতা আছে এই বিষয়ে
মতামত দেবার ?"
রোল্যাণ্ড শান্ত ভাবে উত্তর দিলেন, "জীবিতদের মধ্যে আমিই
এ ব্যাপারে সবচেয়ে অভিজ্ঞ লোক।"
কোর্ট থেকে বেরিয়ে এলে ওঁর এক বন্ধু প্রশ্ন করলেন, "হেনরি,
তুমিতো আমায় অবাক করলে। এইভাবে নিজেকে জাহির করতে আগে তো তোমায়
কখনো দেখি নি!"
"কি কোরব বল", হেনরি সবিনয়ের বললেন, "আমাকে যে
শপথ নিতে হয়েছিল - মিথ্যে কথা বোলব না।"
***
আমেরিকার
সুপ্রীম কোর্টের অন্যতম উদারপন্থী জজ উইলিয়াম ডগলাস-এর জন্য
রক্ষণশীল প্রেসিডেণ্ট নিক্সন ইচ্ছেমত অনেক কিছুই করতে পারতেন
না। সুপ্রীম কোর্টে ডগলাস ও তাঁর উদারপন্থী সহযোগী জজরা তাতে
ব্যাগড়া দিতেন। একবার ডগলাস ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ায়, প্রেসিডেণ্ট
নিক্সন তাঁর একজন সহকারীকে পাঠালেন ডগলাস কেমন আছেন জানতে চেয়ে।
সেই সহকারী আসতেই ডগলাস তাঁকে বললেন, "তোমার প্রেসিডেণ্টকে
গিয়ে বল, বুড়ো এখনও মরে নি!"
***
বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ
উলফগ্যাং আমেদেয়াস মোত্জার্টের কাছে সঙ্গীত-উত্সাহী এক তরুণ
এসে জিজ্ঞেস করেছিল, "হের মোত্জার্ট, আমি একটি সিমফনি সৃষ্টি
করতে চাই। আপনি আমায় একটু বলে দেবেন কি ভাবে কাজটা শুরু করা
যায়।"
মোত্জার্ট তাকে বলেছিলে, "আমার উপদেশ হল যে, আগে আর একটু
অভিজ্ঞতা অর্জন করো। প্রথমে ছোটখাটো কিছুতে সুর দিয়ে হাত পাকাও।
তারপর সিমফনি সৃষ্টির কথা ভেবো।"
তরুণটি তাতে অবাক হয়ে বলেছিলো, "সে কি কথা হের মোত্সার্ট,
আপনিতো আমার থেকেও ছোট বয়সে সিমফনি রচনা করেছেন!"
"তা করেছি", মোত্জার্ট স্বীকার করলেন, "কিন্তু
আমি তো কারুর কাছে উপদেশ চাইতে যাই নি।"
***
রবীন্দ্রনাথ
নাকি একটি সভায় হঠাত্ গম্ভীর ভাবে বলে উঠেছিলেন, "এই ঘরে
একটা বাঁদর আছে।"
সভাস্থ সকলে দারুন অস্বোয়াস্তি ভরে যখন একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছেন,
তখন গুরুদেব মৃদু হেসে বললেন, "ডানদিকে যেমন একটি দোর আছে,
বাঁ দিকেরও সেরকম আর আরেকটি দোর আছে।"
সকলে নিঃশ্বাস ছেড়ে বাঁচলেন!
***
আমেরিকার
সেক্রেটারি অফ ষ্টেট (১৯৩৩ -১৯৪৪) কর্ডেল হাল ছিলেন মতামত দেবার
ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ব্যক্তি। অযৌক্তিক কোন কথা তিনি বলতেন
না। একবার গাড়ি করে যেতে যেতে ওঁর বন্ধì মাঠের দিকে আঙুল দেখিয়ে
বললেন, "কর্ডেল, দেখছো কত কালো গরু মাঠে চরছে!"
মিস্টার হাল কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে বললেন, "মোট এগারোটা
গরু দেখতে পাচ্ছি। তবে পুরো কালো রঙের গরু কিনা জানি। আমাদের
দিকের অংশটুকু কালো - সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।"
***
মরিস শিভালিয়ের-এর
সত্তর বছর বয়সপূর্তি উপলক্ষে এসে তাঁর এক বন্ধì জিজ্ঞেস করলেন,
"সত্তরে পৌঁছে কেমন লাগছে?"
"সত্যি কথা বলতে কি", শিভালিয়ের বললেন, "আমি
খুব খুসী নই। কিন্তু অন্য সম্ভাবনাটির থেকে এটাই বেশি গ্রহণযোগ্য
- এইটুকুই।"
***
ভুলোমন নিয়ে
বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বহু গল্প আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে
প্রচলিত বোধহয় আইনস্টাইনের গল্পটি। আইনস্টাইন একবার ট্রেনে চড়ে
যাচ্ছেন। টিকিট চেকার এসে টিকিট চাইতে আইনস্টাইন খুঁজে পাচ্ছেন
না, কোথায় টিকিটটি রেখেছেন। টিকিটচেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পরে
বললেন, "প্রফেসর, আপনাকে আর খুঁজতে হবে না। আমি জানি আপনি
নিশ্চয় টিকিট কেটেছেন।"
"না, না, খুঁজতে হবে", আইনস্টাইন ব্যস্ত হয়ে বললেন,
"ওটা না পেলে আমি জানবো না আমি কোথায় যাচ্ছি!"
***
এম আই টি-র
অধ্যাপক নোবার্ট উইনারও তাঁর অন্যমনস্কতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
একবার রাস্তায় ওঁর দেখা হল এক বন্ধুর সঙ্গে। কিছুক্ষণ কথা বলার
পর বিদায় নেবার সময় উইনার জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা তোমার
দেখা হবার আগে কোনদিকে যাচ্ছিলাম বলতো?"
বন্ধু অবাক হয়ে বললেন, "কেন, ম্যাসাচুসেটস অ্যাভিনিউয়ের
দিকে!"
"থ্যাঙ্ক ইউ, তার মানে আমার লাঞ্চ খাওয়া হয়ে গেছে।"
***
লুইস ক্যারোল
অ্যালিস ইন দ্য ওয়াণ্ডারল্যাণ্ড' আর 'থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস'
বইদুটি লেখেন তাঁর ছোট্ট বন্ধু অ্যালিসকে (ক্রাইষ্ট চার্চ কলেজের
ডিন ডঃ হেনরি লিডেল-এর কন্যা) আনন্দ দেওয়ার জন্য। ইংল্যাণ্ডের
রাণী ভিক্টোরিয়া বইদুটি পড়ে এতো মুগ্ধ হন যে, উনি ক্যারোলের
অন্য বইগুলি পড়তে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সেই শুনে ক্যারোল তাঁর
আরেকটি বই 'সিলেবাস অফ প্লেইন অ্যালজেব্রাইক জিওমেট্রি' বইটি
রানীকে পাঠিয়ে দেন!
(লুইস ক্যারোলের
আসল নাম ছিল চার্লস ডজসন। তিনি ছিলেন একজন গণিতজ্ঞ। রাণী ভিক্টোরিয়াকে
তাঁর বই পাঠানোর কথাটা অবশ্যই গল্প।)
***
সাইকো-অ্যানালিসিস
শুরু করার পর অনেক সময়ে নাকি রোগীদের সাইকো-অ্যানালিস্টদের উপর
রাগ হয়। এই প্রসঙ্গে গিরীন্দ্রশেখর বসুর একটি গল্প আছে। তাঁর
এক রোগী একদিন এসে বললেন, জানেন, কাল রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি
যে, আপনি নালার মধ্যে পড়ে গেছেন, আর আমি অনেক কষ্ট করে সেখান
থেকে আপনাকে তুলেছি। অথচ আপনি সেদিন বললেন যে, আপনার উপর আমার
নাকি চাপা রাগ আছে।
গিরীন্দ্রশেখর মুচকি হেসে বললেন, খুব ভালো কথা আমাকে আপনি তুলেছিলেন।
কিন্তু নালায় আমায় ফেলেছিলো কে?
(গিরীন্দ্রশেখর
বসু রাজশেখর বসুর ছোট ভাই। ভারতবর্ষে সাইকো-অ্যানালিটিক্যাল
সোসাইটি তিনিই স্থাপন করেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি নানান বিষয়ে
লিখতেন। ছোটদের জন্য লেখা ওঁর একটি অসামান্য বই হল, লালকালো।)
***
ফ্রেঞ্চদের
ইংরেজদের সঙ্গে যেমন রেষারেষি, সেই একই রকমের রেষারেষি জার্মানদের
সঙ্গেও। জার্মানীতে সে সময়ে হিটলারের রাজত্ব। নাত্সীদের ইহুদী-বিদ্বেষের
জন্য আইনস্টাইন পালিয়ে এসেছেন আমেরিকাতে। ইতিমধ্যে ওঁর আপেক্ষিকবাদ
তত্ব নিয়ে সারা বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জার্মান
আর ফ্রান্সের কি মত, সে নিয়ে আইন্সটাইনকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি
উত্তর দেন, আমার আপেক্ষিকবাদ যদি নির্ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে
জার্মানরা দাবী করবে যে, আমি জার্মান, আর ফ্রেঞ্চরা বলবে আমি
একজন বিশ্বনাগরিক। কিন্তু ওটা যদি প্রমাণিত হয় ভুল বলে, তাহলে
ফ্রেঞ্চরা বলবে, আমি জার্মান; আর জার্মানরা বলবে আমি ইহুদী।
***
হিটলার ও
তার নাত্সী দল ইহুদীদের ধরে ধরে যখন গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে নিষ্ঠুর
ভাবে হত্যা করছে - এটা সেই সময়কার গল্প:
রাত্রে ছদ্মবেশে বার্লিন শহরে ঘুরতে ঘুরতে হিটলার হঠাত্ রাইন
নদীতে পা পিছলে পড়ে গেছেন। সাঁতার জানেন না, হাত-পা ছুঁড়ে খাবি
খেতে খেতে 'বাঁচাও, বাঁচাও' বলে চ্যাঁচাচ্ছেন ।
ভাগ্যক্রমে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো কার্ট স্পিগলার নামে এক ইহুদী
ছেলে। সে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে হিটলারকে টেনে পাড়ে তুলল।
হিটলার বলল, তুমি জানো আমি কে? আমি হলাম, হিটলার। তোমার নাম
কি?
ছেলেটি নাম বলতেই, হিটলার বললেন, বুঝেছি, তুমি হচ্ছ একজন ইহুদী।
ইহুদীদের আমি একদম পছন্দ করি না। কিন্তু তুমি আমার প্রাণ বাঁচিয়েছো;
সুতরাং তোমার একটা অনুরোধ আমি রাখবো। চটপট বলো কি তুমি চাও?
কার্ট বলল, একটা অনুরোধই আমি কোরবো। আমার বাবাকে শুধু জানাবেন
না যে, আমি আপনাকে বাঁচিয়েছি।