পুর তৈরি করার প্রণালী-
একটা প্যান-এ নারকেল কোড়া আর গুড় মিশিয়ে স্টোভে চাপিয়ে মিনিট
দুই নাড়াচাড়া করুন।
গুড় আর নারকেল বেশ মাখামাখি হয়ে সুগন্ধ ছড়াতে শুরু করলে
স্টোভটা বন্ধ করে কিসমিস আর এলাচ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে
নিন।
এবার পুরটা ৬-টি সমান ভাগে ভাগ করে নিন।
আস্তরণ ও পাটিসাপটা
তৈরি করার প্রণালী –
এক চামচ সাদা
তেল চালের গুঁড়োর সঙ্গে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার
ঈষদুষ্ণ জল মিশিয়ে চালের গুঁড়োকে গোলা করে নিতে হবে। দেখবেন
যাতে চালের গুঁড়ো দলা পাকিয়ে না থাকে।
এক চামচ নলেন গুড় বা চিনি গোলাটাতে মিশিয়ে দিন।
এবার একটা নন-স্টিক ফ্রাই প্যান-এ সামান্য তেল মাখিয়ে নিন।
প্যানটা স্টোভে রেখে গরম করুন। যখন বেশ গরম হয়ে যাবে, স্টোভের
তেজটা কমিয়ে দিন। ছোট হাতার এক হাতা (৭৫ মিলিলিটারের মত)
চালের গুঁড়োর গোলা ওতে ঢেলে হাতার পেছন দিয়ে সেটাকে ঘুরিয়ে
ঘুরিয়ে প্যানের চারিদিকে ভালো করে ছড়িয়ে দিন - যাতে ওটা
চালের পাৎলা রুটির মত হয়।
প্যানটা
ঢেকে মিনিট তিনেকের ওটাকে ভাপা ভাপা হয়ে শক্ত হতে দিন।
এখন ঢাকনাটা তুলে স্টোভের হিটটা বাড়ান। পুরটা চালের রুটির
একদিকে ফেলে ওটাকে মুড়িয়ে নিন।
তারপর সাবধানে সেটাকে তুলে
প্লেটে রেখে তার ওপর একটু নলেন গুড় বা মেপল সিরাপ ছড়িয়ে
দিন। (ছবি দেখুন)
এবার গ্লুটেন
এবং ল্যাকটোজ ফ্রি পাটিসাপটা উপভোগ করুন। যাঁদের ল্যাকটোজের
সমস্যা নেই, তাঁরা ক্ষীর দিয়ে পুর তৈরি করে খেতে পারেন।