বিশ্বে বায়ু-শক্তি সংযোজন ২০১৩ সালে মন্থর
হওয়ার পর মনে হচ্ছে আবার প্রতিঘাত করবে
২০১৪ সালে
GWEC-র
তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে বিশ্বে বায়ু-শক্তির
নূতন সংযোজন হয়েছিল ৩৫,০০০ মেঃ. ওয়াট
- ৮৫-টি দেশের মোট ক্যাপাসিটি হয়েছিল
৩১৮,০০০ মেঃ.- ও. । এই নূতন সংযোজন কিন্তু
২০১২-সালের ৪৫,০০০ মেঃ.- ও. যোগের থেকে
অনেক কম [চিত্র ১ ] । এর মূল কারণ হতে
পারে ইউ.এস.এ.-র ২০১৩-র সংযোজন অনেক কম
[রেকর্ড ১৩,০০০ মেঃ.- ও. থেকে ৯০ শতাংশ
পতন] ।
চিত্র
১
নূতন যোগ কম হলেও ২০১৩-সালে অনেক উজ্জল
চিহ্ণ আছে ইউ.এস. বায়ু-বিদ্যুতের মানচিত্রে
। নয়টি প্রদেশের মোট বিদ্যুত্-উত্পাদনের
১২-শতাংশ হল বায়ু-বিদ্যুত্ [ আওয়া-
২৭ শতাংশ, দক্ষিণ ডাকোটা- ২৬ শতাংশ ]
। ডিসেম্বর ১৩ তারিখে আওয়ায় নূতন লগ্নী
সাক্ষরিত হয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলারের, যা'
২০১৫-তে
শেষ হলে আওয়ার বিদ্যুতে বায়ু-বিদ্যুতের
অংশ হবে অন্ততঃ ৩৩ শতাংশ ।
ইউ.এস.-এর
বায়ু-বিদ্যুতের লিডার হল টেকসাস [ ১২,৪০০
মেঃ. ওয়াট ] । ২০১৩-তে বায়ু-বিদ্যুত্
উত্পাদন হয়েছিল প্রায় ১০ শতাংশ- দিয়েছে
২৪ মিলিয়ন খরিদ্দারকে । ২০১৪ সালের প্রথমদিকে
শেষ হওয়ার কথা পশ্চিম-টেকসাস ও Panhandle-এর
সঙ্গে পূর্বের জনসমাজের । প্রদেশটি অপেক্ষা
করছে নূতন সংযুক্তি- ৭,০০০ মেঃ.ওয়াট ২০১৪
খ্রী-তে ।
চীনদেশ ২০১০ সালে ইউ.এস.-কে ছাড়িয়ে গেছে
বায়ু-বিদ্যুত্ উত্পাদনে । ২০১৩-তে
ইউ.এস. বায়ু-বিদ্যুত্ সংযোজন নিম্নাভিমুখী
হলেও চীন যুক্ত করেছে ১৬,০০০ মেঃ.ওয়াট
[ মোট বায়ু-বিদ্যুত্ হল ৯১,০০০ মেঃ.ওয়াট
] । ফলে, চিনে বাযু-বিদ্যুতের অংশ পারমাণবিকের
থেকে ২২-শতাংশ বেশি হল । চিত্র ২-এ ১৯৮০
থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিশ্বের মূল দেশগুলির
বায়ু-শক্তি উত্পাদন দেখানো হল ।
চিত্র
২
চিনে উচ্চ ভোল্ট ক্ষমতার ট্র্যান্সমিশন
লাইন নির্মাণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।
২০১৪ সালের প্রথমে হেনান প্রদেশের রাজধানি
Zhengzhou-র ৪-মিলিয়ন নাগরিক উপভোগ করছে
বাযু-বিদ্যুত্, যা' উত্পাদিত হচ্ছে
সুদূর Xinjiang প্রদেশে । এই ধরণের 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার
প্রোজেক্ট' চীনের এখন প্রয়োজন ২০২০ সালের
মধ্যে ২,০০,০০০ মেঃ.-ও. গ্রিড-বাহিত বায়ু-বিদ্যুত্ের
টারগেট রক্ষায় ।
ভারত, বাযু-বিদ্যুত্ স্থাপনায় বিশ্বে
পঞ্চম স্থানের অধিকারী, ২০১৩ সালে যুক্ত
করেছে ১,৭০০ মেঃ.-ও । আগামী ৮ বছরের মধ্যে
১০০,০০০ মেঃ.ওয়াট বাযু-বিদ্যুত্ স্থাপনার
টারগেট নিয়ে ভারতে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে
National Wind Energy Mission আগামী কয়েক
মাসের মধ্যে ।
এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পাকিস্তানে
[ ২০১৩ সালে স্থাপিত বায়ু-বিদ্যুত্
১০০ মেগা-ওয়াট ] ২০১৪-তে আরও দুটো ৫০
মেঃ.-ও. এবং ফিলিপিনে ২০১৪-সালে ৭-টি
বাযু-বিদ্যুত্ প্রোজেক্ট স্থাপনার কাজ
চলছে ।
ল্যাটিন আমেরিকায় ব্রাজিল [ যার প্রয়োজনের
৮০ শতাংশ আসে জলবিদ্যুত্
থেকে ] বাযু-বিদ্যুতে ২০১৪-র প্রোজেক্ট
ধরলে মোট যুক্ত করবে ৩,৫০০ মেঃ.- ও ।
ব্লুমবার্গের ডাটা অনুসারে ব্রাজিল যুক্ত
করবে ১০,০০০ মেঃ.- ও. বায়ু-শক্তি ২০১৪-২০১৮-র
মধ্যে ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় পইপলাইনে আছে ২,১০০ মেঃ.-ও.
বায়ু-বিদ্যুত্ যার মধ্যে ২০১৪ সালে
৭৫০ মেঃ.-ও. করার সম্ভাবনা ।
সিকতাশ্রিত বাযু-বিদ্যুত্
চিত্র ৩-এ
দেখানো হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নির্মাণ
সিকতাশ্রিত বাযু-বিদ্যুতে । এটি বিশ্বের
মোট বায়ু-বিদ্যুতের মাত্র ২ শতাংশের মতন
।
চিত্র
৩
লক্ষনীয়
এতে ভারতের কোনও অংশ নেই, হয়তো বসানোর
খরচা অনেক বেশি ডাঙ্গার উপরের প্রতিষ্ঠার
তুলনায় ।
তাকিয় আছি ভারতের বিশাল সৈকত- ⤛নীল সিন্ধুজল
ধৌত চরণতল⤜ ব্যবহারের অপেক্ষায় ।
শঙ্কর
সেন
সূত্র
: J. Matthew Roney - www.earth
-policy.org/indicators/C49/wind_power_2014
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।