বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান
বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(১৪)
ভিটামিন
আবিষ্কার
: ১৯০৬
বিজ্ঞানী : ফ্রেডারিক গাওল্যাণ্ড হপকিনস্
ফ্রেডারিক
গাওল্যাণ্ড হপকিনস্ ( ১৮৬১-১৯৪৭ খ্রী ), বৃটিশ
বায়োকেমিস্ট্রি-র জনক ১৯০০ খ্রী-র প্রথমদিকে
খাদ্যবিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিভান্বিত পরিক্ষা-নিরীক্ষার
মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সাফল্যলাভ করলেন ।
তিনি কিছু কচি ইঁদুরকে অতি সাবধানে প্রস্তুত
সংশ্লেষিত খাদ্য দিলেন যার মধ্যে আছে শোধিত
প্রোটিন (চঅসএনে), শ্বেতসার (সতঅরচহ) এবং
স্নেহপদার্থ (লঅরদ) সহ অজৈব লবণ ও জল-এর মিশ্রণ
। ইঁদুরগুলির বৃদ্ধি তো হলই না, উপরন্তু তাদের
ওজন গেল কমে । অথচ ঐ খাদ্যের সঙ্গে সামান্যতম
গরুর দুধ মেশালে ফল হচ্ছে আশাতিরিক্ত ভালো
। তিনি বিবেচনা করলেন গোদুগ্ধে নিশ্চয় কোনও
উপাদান আছে যা' দেহের সাধারণ বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের
জন্য প্রয়োজন । তিনি সন্দেহ করলেন, পুষ্টিগত-বিদ্যায়
(নতেরতেেওনঅল সতদেেএস ) সাধারণভাবে যে সব
উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে
এমন কিছু দ্রব্য আছে যা' ইঁদুরের সাধারণ খাদ্যে
নেই । ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে এই সব দ্রব্যের তিনি
নাম দিলেন 'সহায়তাকারী খাদ্য-উপাদান' ( অচচএসসওরয
ফওওদ ফঅচতওরস )। অচিরেই এই উপাদানগুলির নামকরন
হল ' ভিটামিন ' । কয়েক বৎসরের মধ্যেই দেখা
গেল 'রিকেট'-এর কারণ হচ্ছে ভিটামিন ধ-র অভাব
; আর স্কার্ভিরোগের জন্য পথ্যে দরকার ভিটামিন
ছ ।
১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে হপকিনস্ তাঁর জীবনের অন্যতম
শ্রেষ্ঠ কাজ প্রকাশ করলেন :এএদনেগ Exপএরমেএনতস
লেলসেতরঅতনেগ থহএ ঈমপওরতঅনচএ ওফ াচচএসসওরয
অচতওরস নে ণওরমঅল ধেএতঅরেএস । হপকিনসের পরীক্ষা
ও সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে অচিরেই 'পুষ্টি'
বিজ্ঞানসম্মতভাবে বায়োকেমিস্ট্রি-র একটা বিশেষ
অঙ্গ হিসাবে পরিগণিত হল ।
(১৫)
আলজ্হাইমার ব্যাধি
আবিষ্কার
: ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : অ্যালসে আলজ্হাইমার
আলজ্হাইমার
ব্যাধি (াল্যহএমেএর দসেএঅসএ ) চিত্তভ্রংসের
একটি সাধারণ রূপ । এর কোনও নিরাময় নেই, ব্যাধি
সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলে এবং পরিশেষে রোগীর
মৃতেু হয় । এই রোগের প্রথম বর্ণনা দেন জার্মান
মনোবিজ্ঞানী ও স্নায়ুশরীরতত্ববিদ অ্যালসে
আলজ্হাইমার ১৯০৬ খ্রী-তে এবং রোগের নামকরণ
হয় তাঁরই নামে ।
অলজ্হাইমার বার্ধক্য-জনিত কোনও ব্যাধি নয়
যদিও বেশি বয়েসে এই ব্যাধির ঝুকি বেশি ; ৬৫
বৎসর এবং তার বেশি বয়সেই এই দায় বর্তাতে দেখা
গেছে । ব্যাধিগ্রস্থদের ৫ শতাংশ মতন, চল্লিশ-পঞ্চাশ
বৎসর বয়সে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে
। বিশদ বিবরণের জন্য দেখুন : অবসর- স্বাস্থ্য
বিভাগ - আলজ্হাইমার ডিজিজ ।
শঙ্কর
সেনের সৌজন্যে
( চলবে
)