বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান

বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(
১৬ )
তেজস্কৃয়তা
১৯০৩ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : আঁতোয়া অঁরি বেকেরল
তেজস্কৃয়তা
আবিষ্কার করেন ফরাসী বিজ্ঞানী আঁতোয়া অঁরি
বেকেরল (১৮৫২- ১৯০৮ খ্রী) ১৯০৩ খ্রীষ্টাব্দে
। ১৮৯৫ খ্রী-র শেষদিকে উইল্হেলম কনরাড রনজেন
(১৮৪৫-১৯২৩ খ্রী) আবিষ্কার করলেন একস্ রশ্মি
বা রনজেন রশ্মি । এই বিষয়ে জানতে পারলেন বেকেরল
পয়কারের কাছ থেকে । একস রশ্মির সঙ্গে প্রতিপ্রভার
একটি সম্পর্কের কথা মনে এলো বেকেরলের । তিনি
প্রতিপ্রভা সৃষ্টিকারী বস্তুরা একস্রশ্মি
নির্গত করে কিনা তা' দেখার কাজে ব্রতী হলেন
। পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে একটি নূতন ধারার সৃষ্টি
হল- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবিষ্কৃত হল তেজস্কৃয়তা
বা রেডিও অ্যাক্টিভিটি ।
(১৭)
পৃথিবীর অন্তস্থল (core)
আবিষ্কার : ১৯০৬
খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : রিচার্ড ডিক্সন ওলডহ্যাম
বিশিষ্ট ভূবিজ্ঞানী রিচার্ড ডিক্সন ওল্ডহ্যাম
( জন্ম ভারতে, ১৮৫৮ খ্রীস্টাব্দ ) একুশ বৎসর
বয়সে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ্ ইণ্ডিয়াতে কর্মে
যোগদান করেন । বিশেষভাবে পরিচিত তাঁর দুটি
গবেষণাপত্র হল- ১৮৯৭ খ্রী আসাম- ভুমিকম্প,
যেটা ২৫০,০০০ বর্গমাইল এলাকায় অনুভব করা গিয়েছিল
এবং পৃথিবীর অভ্যন্তর বিষয়ক গবেষণা ।

চিত্র
: পৃথিবীর অন্তস্থল ।
ওল্ডহ্যামের
পৃথিবীর অন্তস্থল (core) গঠন বিষয়ক আবিষ্কারটি
করেন ১৯০৬ খ্রী-তে । তিনি সারা পৃথিবীর ভূকম্পীয়
ঢেউগুলির পথের বিস্তারণ পরীক্ষা করে দেখলেন
যে, কিছু ঢেউ প্রতিসরিত হয় এবং কিছুর গতি
পরিবর্তিত হয় যখন পৃথিবীর অন্তস্থলের ভিতর
দিয়ে প্রবাহিত হয়, আবার কিছু ঢেউয়ে তা' হয়না
। তা' ছাড়া ভূকম্পীয় ঢেউগুলির গতি কিছুটা
পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় যখন তারা ভূগোলকের অভ্যন্তর
দিয়ে প্রবাহিত হয় । সেসময়ে, কিছু-কিছু গভীরতায়
তারা হঠাৎ মন্থর হয়ে যায় । তিনি প্রস্তাব
করেন যে ঢেউগুলি নিশ্চয় বিভিন্ন পদার্থের
সম্মুখীণ হচ্ছে । এই সব প্রমাণ পর্যালোচনা
করে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পৃথিবীর
একটি অন্তস্থল আছে । ওল্ডহ্যাম এই অন্তস্থলের
পরিমাপও নিরূপণ করেন হাজারখানেক পৃথিবীব্যাপী
ছড়ানো ভূকম্পনের বিভিন্ন গভীরতায় গতি পরিবর্তনের
হিসাব থেকে ।
শঙ্কর
সেনের সৌজন্যে
( চলবে
)