বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(
২০ )
বার্গেস
কর্দমশিলা
আবিষ্কার : ১৯০৯
খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : চারলস্ ডি. ওয়ালকোট
১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে
'বার্গেস কর্দমশিলা' (Burgess Shale) আবিষ্কার
করেন চারলস্ ডি. ওয়ালকোট- তখন তিনি স্মিথসোনিয়ান
ইন্স্টিটিউশনে কর্মরত ছিলেন । কথিত আছে যে,
তাঁর অশ্ব একটি বড় পাথরের সন্মুখে দাঁড়িয়ে
যায় ; পাথরটি ভেঙ্গে পাওয়া গেল জীবাশ্ম (fossil
) । এই ভাবেই বার্গেস কর্দমশিলা আবিষ্কৃত
হয় ; অবশ্য তখন তখনই এটি কোনও সমাদর পায়নি,
যেটা হয়েছিল পঞ্চাশ বছর পরে ১৯৬০ খ্রী-তে,
যখন আলবেরো সিমোনেলা (Alberot Simonella )
এর বিভিন্ন প্রাণীকুল (অনেঅ)%-এর নামকরণ করতে
শুরু করেন ।
এই
কর্দমশিলা পাওয়া গিয়েছিল কানাডার রকি পর্বতমালা
এলাকার বার্গেস গিরিপথ-এ । হাডসন উপসাগরের
মাঝামাঝি এক প্রাচীন স্থলভূমিতে ( নাম লরেনসিয়া
Lauirentia ) রয়েছে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বিভিন্নরূপ
জীবাশ্ম সঞ্চয় । জীবাশ্মগুলি সঞ্চিত হয়েছে
মাউণ্ট ঢঅপতঅ এবং মাউণ্ট েএলদ- এর মধ্যস্থলের
দুটি খাতে জমা কর্দমশিলায় । উপরের খাতকে বলা
হয় Wallcott quarry আর নীচেরটির নামকরণ হয়েছে
Raymond quarry । ১৯৮১ খ্রী-তে ুণশিছ বার'গেস
কর্দমশিলাকে বিশ্ব 'হেরিটেজ' স্থলের আখ্যা
দেয় ।
বার'গেস কর্দমশিলা
হল ক্যামব্রীয় (Cambrian) যুগের জীবাশ্মের
সব থেকে ভালো দলিল । ৫৪৫ থেকে ৫২৫ মিলিয়ন
বৎসর আগে ক্যামব্রীয় এক্স্প্লোশন থেকে উদ্ভূত
জন্তুজানোয়ারের খবর পাওয়া যাচ্ছে । এসময়ে
জীবন মোটামুটি কেন্দ্রিভূত ছিল বিশ্বের মহাসমুদ্রে,
ভূমি ছিল অনুর্বরা, বাসযোগ্যবিহীন এবং সদাই
ক্ষয়প্রাপ্ত । এধরণের ভূতাত্বীয় অবস্থায় মাঝে
মাঝেই কাদার ধস সাগরে পড়ে শৈবাল প্রাচীর (aalgal
reef )- এর পাশে অবক্ষিপ্ত হয় ।
(২১)
মোহোরোভাইক
বিচ্ছিন্নতা
আবিষ্কার : ১৯০৯
খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : আন্দ্রিজা মোহোরোভাইক
মোহোরোভাইক
বিচ্ছিন্নতা (MohorobhaaIk discontinuity)
বা 'মোহো' বলতে বুঝায় পৃথিবীর ত্বক এবং গুরুমণ্ডল
(চরসেত অনদ মঅনতলএ)-এর মধ্যকার সীমারেখা ।
নীচের চিত্রে লাল রঙ-এর দাগ দ্বারা চিহ্নিত
।
পৃথিবীর
অন্তঃস্থলে এই বিচ্ছিন্নতা আবিষ্কৃত হয়েছিল
ভূক্মপীয় ঢেউ-এর (seismic waves) দ্বারা,
১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে ; আবিষ্কারক ক্রোয়েশিয়াবাসী
আন্দ্রিজা মোহোরোভাইক । ভূকম্পবিজ্ঞানী ।
তিনি দেখলেন যে ভূক্মপীয় ঢেউ-এর গতি নির্ভরশীল
সেই পদার্থের ঘনাঙ্কের উপর যার ভিতর দিয়ে
সেটা প্রতিবাহিত হচ্ছে ।
ভূবিজ্ঞানে
'বিচ্ছিন্নতা' (discontinuity) শব্দটি ব্যবহৃত
হয় যখন কোনও ধরাপৃষ্ঠে ভূক্মপীয় ঢেউ-এর গতি
পরিবর্তিত হয় । এমন একটি পৃষ্ঠ হল সমুদ্রতলের
গড়ে ৮ কিলোমিটার তলায়। আর একটি বিচ্ছিন্নতা
পোায়া গেছে মূল ভূখণ্ডের তলায়- গড়ে প্রায়
৩২ কি.মি. ণীচে । এ ধরণের ভূপৃষ্ঠকে বলা হয়
মোহোরোভাইক বিচ্ছিন্নতা বা সংক্ষেপে 'মোহো'
।
শঙ্কর
সেনের সৌজন্যে
( চলবে
)