প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান

বিংশশতাব্দীতে বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা

(২৭)
নভোরশ্মি (কসমিক রে)

আবিষ্কার : ১৯১১ খ্রী
বিজ্ঞানী : ভিক্টর হেস


ঠিক কোনস্থানে ভিক্টর হেস এবং তাঁর ইলেক্ট্রোস্কোপ- সহ গরম-হাওয়া বেলুনটি অবতরণ করেছিল তা' নিয়ে মতপার্থক্য আছে । কিন্তু, যেটা ঘটেছিল, তা' হল দু'জন সহকর্মী-সহ ঠিক ১০০ বছর আগে ভিক্টর হেস পূর্ব জার্মানীর কোনও একটি ছোট সহরে নামেন, জনৈক চাষী একটি ঘোড়ায়-টানা গাড়ীতে তিনজনকে পিসকো (Pieskow) রেলস্টেশনে নিয়ে যান যেখান থেকে তাঁরা বেরলিন অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন । সেই সন্ধ্যাতেই তাঁরা ভিয়েনায় তাঁদের গৃহাভিমুখে পাড়ি দেন ।
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯১২ খ্রী-র ৭ আগষ্ট, বেলুনটি ছিল একটি হাইড্রোজেন বেলুন যেটা উত্তর বোহেমিয়া থেকে পাড়ি দিয়ে উঠেছিল ৫,৩০০ মিটার উচ্চতায় ; ভিক্টর হেস প্রমাণ আনলেন বহিঃ-মহাশূণ্যে ঘটিত তীক্ষØ আয়োনীয় বিচ্ছুরণ । কসমিক রে বা নভোরশ্মি আবিস্কৃত হল, হেস সম্মানিত হলেন ১৯৩৬ খ্রী-র নোবেল পুরষ্কার পেয়ে ।
পরীক্ষা-নিরিক্ষাকালে হেস দেখলেন যে, বেলুন যত উপরে উঠছে, ইলেক্ট্রোস্কোপ তত তাড়াতাড়ি অবক্ষিত %( দসেচহঅরগএ )% হচ্ছে । তিনি মত প্রকাশ করলেন যে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর বিকিরণের আওতায় আসার জন্য এই অবস্থা ।
১৯৩০ থেকে ১৯৫০ খ্রী-র মধ্যে, মানুষের তৈরি কণ-ত্বরক (particle accelerator) যন্ত্র খুব উচ্চ শক্তিতে পৌঁছাবার আগে, উচ্চ-শক্তি পদার্থবিদ্যার গবেষণায় নভোরশ্মি ব্যবহৃত হত ; ফলস্বরূপ, উপপরমাণু কণিকা আবিষ্কৃত হল- পজিট্রন ( Positron) এবং মুয়ন ( Moun)-সহ । নভোরশ্মি-গবেষণা বিশেষভাবে চালিত হল নভোপদার্থবিদ্যার বিভিন্ন দিকে- নভোরশ্মির উত্স, কিভাবে তারা উচ্চগতি প্রাপ্ত হয়, ছায়াপথের (Galaxy) গতিবিজ্ঞানে তাদের অবস্থান কি, ইত্যাদি । বর্তমানে, গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে মহাকাশযান এবং উচ্চ-শক্তির বেলুন যার সাহায্যে আণবিক-গবেষণায় ব্যবহৃত particle detector নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে ।

 

শঙ্কর সেনের সৌজন্যে

( চলবে )

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।