প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান

বিংশশতাব্দীতে বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা


(৪৮)
নিউট্রন-নক্ষত্র

আবিষ্কার : ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : ওয়ালটার বাদে, ফ্রিত্‍‌ য়ুইকি

নিস্তারিত কণা নিউট্রন আবিষ্কারের এক বছরের মধ্যেই দুজন নভোপদার্থবিদা্‌ ওয়ালটার বাদে(Walter Baade) এবং ফ্রিত্‍‌ য়ুইকি(Fritz Zwicky) নিউট্রন-নক্ষত্রের মূল নীতি প্রকাশ করলেন । সুপারনোভার(supernova) উপরে গবেষণা করার সময় তাঁরা এই ধারণা প্রকাশ করেন ।
তাঁরা প্রস্তাব করলেন যে নক্ষত্রগুলি যখন পুরাণো হয়, তারা ভিতর থেকে বাইরে হঠাত্‍‌ সর্বাঙ্গীন বিনষ্ট হয়ে যায় । নক্ষত্রের কেন্দ্রীণে পরমাণুগুলি যখন অস্থিত হয়ে যায়, তাদের সর্ববহিঃস্থ কণাগুলি- ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকা্‌ট্রনগুলি পরমাণুর কেন্দ্রীণে ধংসপ্রাপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ ধণাত্মক প্রোটনগুলি নিউট্রনে রূপান্তরিত হয় । আধানহীন অবস্থায় কণাগুলি দৃঢ়ভাবে পরষ্পরে আবদ্ধ হয়ে অচিন্তনীয়ভাবে নিবিড় গোলকে রূপান্তরিত হয়, যার নাম তাঁরা দিলেন নিউট্রন নক্ষত্র । গোলকগুলি রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে প্রবল মহাকর্ষীয় টানসহ ঘুরপাক খেতে থাকে । নক্ষত্রের বাইরের স্তর যেটা বিনষ্ট হয়না তা' হঠাত্‍‌ ফেটে প্রদর্শনীয়ভাবে বিকশিত হয় যার নাম সুপারনোভা ।
১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে ভিক্টর হেস (Victor Hess) প্রস্তাবিত নভোরশ্মি বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বাদে এবং য়ুইকি উপরে বর্ণিত আবিষ্কার করেন । তাঁরা চিন্তা করলেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায় এমন অনেকগুলি নভ্রশ্মি আমাদের ছায়াপথে নির্মিত হয়না সেগুলি নির্মিত হয় সুপারনোভায় নিউট্রন নক্ষত্র সহ ।

১৯৩৩ খ্রী-তে নিউট্রন-নক্ষত্র ও সুপারনোভা অনেকের কাছেই অবাস্তব মনে হয়েছিল । কিন্তু বর্তমানে বাদে ও য়ুইকি-র আবিষ্কার নভোপদার্থবিদ্যয় একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের মধ্যে গণ্য হয় ।

Josh Davies
(অনুবাদ - শঙ্কর সেন)

( চলবে )

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।