বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(৫০)
সাইট্রিক অম্ল চক্র (Citric
Acid Cycle)
প্রকাশ
: ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : হান্স ক্রেবস
১৯৩৭
খ্রীষ্টাব্দে ইহুদি-বংশোৎভূত হান্স ক্রেবস
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত, নাৎসীদের
দ্বারা জার্মানিদের থেকে বিতাড়িত হয়ে। ইউরিয়া
চক্র বিষয়ে তাঁর গবেষণা তখনই খ্যাতিলাভ করেছে।
একদা পায়রার লিভার ও বুকের মাংসপেশীতে কত
পরিমাণ জৈব অম্ল উৎপন্ন হয় সেটা পরিমাপ করছিলেন
ক্রেবস। এর জন্য তিনি শর্করাকে পুড়িয়ে কতটা
কারবন ডাই অক্সাইড, জল ও শক্তি পাওয়া যাবে
সে বিষয়ে অনুসন্ধান করছিলেন। পর্যবেক্ষণ থেকে
তিনি দেখালেন যে রাসায়নিক বিক্রিয়াটির একটি
চক্র আছে যা' পিছন থেকে সবল করে াথ* উৎপাদনকে-
যে াথ* কোষীয় স্তরে জীবনকে শক্তি যোগায়।
আমরা
যে খাদ্য গ্রহণ করি, সাইট্রিক অম্ল চক্রে
তা' থেকে প্রাপ্ত কারবন যৌগ একটি এনজাইম অনুঘটকের
CoA
সঙ্গে ক্রিয়া করে, যেটা বিপাকক্রিয়ার (metaboism)
একটি গুরুত্বপূর্ণ অণু। এটি রক্তের মধ্য দিয়ে
দেহের কোষে গমণ করে একটি অম্লর সঙ্গে মিশ্রিত
হয়। ফলে, সাইট্রিক অম্ল তৈরী হয়ে একটি চক্রাকার
চেন-বিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পরিশেষে, সাইট্রিক
অম্লের একটি অণু থেকে উদ্ভূত হয় াথ*-র বারটি
অণু, ও দুটি কারবন ডাই অক্সাইডের অণু যা'
আমাদের প্রশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়।
আরও
উৎপন্ন হয় সেই আযসিডের অণুগুলি যার সঙ্গে
acetyl/CoA
প্রথমেই বিক্রিয়া করে তৈরী করেছিল সাইট্রিক
আযসিড। যতক্ষণ ধরে চক্রকে স্থায়ী রাখতে কারবনকে
আনা হয়, বিক্রিয়ার চেন অব্যাহত থাকে এবং াথ*
প্রস্তুত হতে থাকে অনির্দিষ্টরূপে।
Catherine
Charter
(অনুবাদ শঙ্কর
সেন)
( চলবে
)