বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(৫২)
অতি-তরলতা ( superfluidity)
আবিষ্কার : ১৯৩৭ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : পয়টর কাপিৎসা
প্রায়
ত্রিশ বৎসর আগে হিলিয়াম প্রথম তরলায়িত করেন
Heike Kamerlingh Onnes । তিনি একটি ইঙ্গিত
দিয়েছিলেন যে এই বিচিত্র তরলটির কিছু অসাধারণ
ধর্ম আছে ।
রুশ বিজ্ঞানী পয়টর কাপিৎসা ছিলেন আর্নস্ট
রাদারফোর্ডের সহকারী হিসাবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে
; গবেষণার বিষয়- চৌম্বক ক্ষেত্র । কাপিৎসা
কৌতুহলী হলেন স্বল্প-তাপমাত্রা পদার্থবিদ্যায়
এবং বেশি পরিমাণে তরল হিলিয়াম প্রস্তুতের
একটি নূতন পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন । এর জন্য
তাঁকে নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছিল
।
তিনি খানিকটা আচম্বিতে দেখতে পেলেন যখন তিনি
তরল হিলিয়ামকে ২.১৭ কেলভিন (২৭০.৮৩ ডিগ্রী
সেলসিয়াস, পরম শূণ্যতাপের থেকে ঠিক ২.১৭ ডিগ্রী
উপরে) তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করলেন । এই তাপমানে
পরমাণুর কোনও তাপীয় শক্তি থাকে না এবং হিলিয়ামের
তরল অবস্থান্তর-প্রাপ্তি (phase transition)
ঘটে যার প্রকৃতি হয় অদ্ভুত রকমের । তরল পদার্থের
প্রবাহিত হওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রতিরোধ আসে
সান্দ্রতা থেকে- খুব সামান্য হল জলের, সিরাপের
অনেক বেশি, এবং অতি-ঠাণ্ডায় হিলিয়ামের সান্দ্রতা
হল শূণ্য, তাপপরিবাহিতা- অসীম । কতিপয় সহকর্মী
সহ কাপিৎসা আবিষ্কার করলেন একটি অতি-তরল (superfluid)
পদার্থ । একটি সিল-করা পাত্রে রাখা অতি-তরল
হিলিয়াম মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে প্রবাহিত হতে
পারে এবং পাত্রের গাত্রে মাত্র এক পরমাণু
পুরু হিলিয়ামের স্তর আবরিত করতে পারে ।
অতি-তরল পদার্থগুলি ব্যবহৃত হয় কোয়াণ্টাম
দ্রাবক হিসাবে এবং সূক্ষ যন্ত্রে যথা, জাইরোস্কোপ
। এমনকি এর ব্যবহার আছে আলোরগতিকে প্রতি সেকেণ্ডে
১৭ মিটারে নামিয়ে আনার ।
David
Hawksett
(অনুবাদ শঙ্কর
সেন)
( চলবে
)