বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(৫৩)
DNA-
বংশগতির মূল উপাদান
প্রকাশ : ১৯২৮ ; ১৯৪৪
বিজ্ঞানী : F. Griffith; O. T. Avery, Colin.McCleod
ও Maclyn McCarty
এটি
একটি তথ্য যে DNA হল বংশগতির মূল উপাদান,
এসেছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা
থেকে । প্রথম ধারাবাহিক পরীক্ষাগুলি সম্পাদন
করেন বৃটিশ রোগজীবাণুবিদ F. Griffith ১৯২৮
সালে, যেখানে ব্যবহ্রিত হয়েছিল bacterium
Diplococcus pneumoniae যেটা স্তন্নপায়ীদের
মধ্যে নিউমোনিয়া ব্যাধির সঞ্চার করে ।
Griffith লক্ষ্য করেন যে এই ব্যাকটেরিয়াদের
দু রকমের strain আছে :
S-টাইপ, যেটা ক্যাপসুলে থাকা অবস্থায় একটি
সংশ্লেষিত মাধ্যমে মসৃণ জীবাণু উপনিবেশ তৈরী
করে ;
R-টাইপ, যেটী ক্যাপসুলে থাকে না এবং একটি
সংশ্লেষিত মাধ্যমে অমসৃণ জীবাণু উপনিবেশ তৈরী
করে ।
যখন S-টাইপ ব্যাকটেরিয়া একটি সুস্থ ইঁদুরের
দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয়, ইঁদুরটির নিউমোনিয়া
হয় এবং মৃত্যু হয় । তাই S-টাইপকে নাম দেওয়া
হল বিষময় বা রোগ-উত্পন্নকারী ব্যাকটেরিয়া
।
অন্যদিকে, R-টাইপ ব্যাকটেরিয়ারা বিষময় নয়
।
আবার, গরমে মৃত S-টাইপ ব্যাকটেরিয়া একটি সুস্থ
ইঁদুরের দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হলে ইঁদুররা
সুস্থ থাকে, নিউমোনিয়া হয় না ।
আবার, গরমে মৃত S-টাইপ ব্যাকটেরিয়া R-টাইপ
সুস্থ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশ্রণ করে একটি
সুস্থ ইঁদুরের দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয়,
ইঁদুরটির নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যু হয় ।
আবার, মৃত ইঁদুরতির দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়াকে
স্বতন্ত্র করলে S-টাইপ ও R-টাইপ দুটি ব্যাকটেরিয়াই
সুস্থ থাকে ।
Grifith এি উপসংহারে উপনীত হলেন যে, পরিব্যাক্তি
ব্যতীত একটি অদ্ভুত ব্যাপারের জন্য উপরোক্ত
ঘটনাগুলি ঘটছে । তিনি এর নাম দিলেন রূপান্তর
(Tansformation) ।
১৯৪৪
খ্রীস্টাব্দে o.T. Avery, McCleod এবং McCarty
Griffithের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি পুনর্বার
করলেন এবং দেখলেন যে যখন জ্যান্ত R-কোষগুলি
মিশ্রিত করা হল একটি ক্যাপসুলে যার মধ্যে
রযেছে তাপ দ্বারা মৃত S-টাইপ ব্যাকটেরিয়া
এবং মিশ্রণকে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয় একটি ইঁদুরের
দেহে, অসুস্থ ইঁদুরটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত
হয়ে মারা যায় ।
এর থেকে
তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, S-ব্যাকটেরিয়ার
ক্রোমোজোম transformation ঘটায়, ক্যাপসুলের
নয় । অতএব তাঁরা ঘোষনা করলেন যে ব্যাকটেরিয়ার
transformation মৃত রোগমূলক জীবাণু ( donor
বা দাতা ) থেকে DNA-এর অংশ স্থানান্তরিত হয়েছে
সক্রিয় ও সজীব ব্যাক্টেরিয়াতে ( recipient
বা গ্রাহক ) । এর দ্বারা দাতা সেল-এর চরিত্র
বোঝা যায়, তাই এর নাম দেওয়া হল recombinant
।
মিশ্রণ |
ফল(Result) |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া +S-টাইপ ব্যাক্টেরিয়ার
শ্বেতসার |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া + S-টাইপ ব্যাক্টেরিয়ার
প্রোটিন |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া + S-টাইপ ব্যাক্টেরিয়ার
DNA |
S-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া |
R-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া+ S-টাইপ ব্যাক্টেরিয়ার
DNA
+Deoxyribonuclease |
S-টাইপ
ব্যাক্টেরিয়া |
Avery ও অন্যান্যদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেটা
দেখাচ্ছে যে DNA একটি রূপান্তরের কার্যকারক
।