বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(৫৮)
জোড়া ক্রোমোজম
আবিষ্কার
: ১৮৬৬-১৯০৫, ১৯১০ খ্রী
বিজ্ঞানী : গ্রেগর মেণ্ডেল, থিওডর সাটন, টমাস
মর্গান
১৮৬৬
খ্রীষ্টাব্দে সুপ্রজনন-বিদ্যার (জেনেটিকা্স)
ভিত্তিস্বরূপ প্রাথমিক ও মূল সূত্রগুলি মটরশুটির
উপর পরীক্ষার ফলাবিষ্কৃত হয় । গ্রেগর মণ্ডেলের
এই আবিষ্কার নিয়ে সেই সময় কোনও গঠনমূলক আলোচনা
হয়নি, খুব কমই প্রভাব ফেলেছিল এই অনুশীলন ।
মেণ্ডেল বিভিন্ন জাতের কড়াইশুটি নিয়ে পরীক্ষা
করেছিলেন । বেঁটে জাতের কড়াইশুটির সঙ্গে লম্বা
জাতের মিলন ঘটানো হল- লম্বা জাতের ফুলে রেণু
লাগিয়ে দিলেন বেঁটে জাতের কড়াইশুটি লতার গর্ভকেশরে
। এই ফুলের বীজ আলাদা করে রেখে পরের বত্সর
ওজন করা হল- দেখা গেল সব জাতের চারাই লম্বা
হয়েছে । এর বীজ থেকে পরের বছরের চারায় দেখা
গেল- তিনভাগ হয়েছে লম্বা, বাকি একভাগ বেঁটে
। চতুর্থ বত্সরে বেঁটে গাছের বীজ থেকে কেবল
বেঁটে, আর লম্বা গাছের বীজ থেকে তিন ভাগ লম্বা
ও একভাগ বেঁটে গাছ জন্মাল । এই পরীক্ষা থেকে
মেণ্ডেল ধারণা দিলেন, জীবের দৈহিক ব্যাক্তিত্ব
পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কতকগুলি গুণ অবশ্যই প্রয়োজন,
আর তার প্রত্যেকটি গুণ পরিস্ফুট করার জন্য জননকোষের
কোনও সূক্ষ অংশই দায়ী । আর প্রাণী-দেহের মত
উদ্ভিদেও একই ঘটনা ঘটে ।
তিনি জীববিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি, নাম মায়েসিস
(Meiosis) নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন
যে, ক্রোমোজমগুলি স্বতন্ত্রভাবে জোড়ায় পর্যবসিত
হয় । তিনি সিদ্ধান্তে আসলেন জোড়া ক্রোমোজমগুলিই
হল উত্তরাধিকারের এক একটি ইউনিট (চিত্র) ।

চিত্র
এই সদ্ধান্ত
সকলেই গ্রহণ করলেন না । ১৯০২-০৩-এ থিওডর সাটন
ক্রোমোজম তত্ত্বকে বিশেষ রূপ দিলেন এবং ১৯১০
খ্রী-তে ঠমাস মর্গান ড্রুসোফিল মাছির দেহে বংশগত
নানাপরিবর্তনের উপর সাটনের সিদ্ধান্তকে প্রমাণ
করেন ।
শঙ্কর
সেন