বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান

বিংশশতাব্দীতে
বিজ্ঞানে কিছু
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং ঘটনা
(
৮ )
আন্তিকিথেরা
যান্ত্রিকপদ্ধতি
The Antikythera Mehanism )
আবিষ্কার
: ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দ
বৈজ্ঞানিক : Valerios Stais, গ্রীস
[প্রায় দু'হাজার বছর পুরাণো 'আন্তিকিথেরা
মেকানিজম'-কে বলা হয় বিশ্বের সব থেকে পুরাণো
' এনালগ কম্পিউটার । কিন্তু এর কার্য- প্রণালী
বার করতে আধুনিক উন্নতমানের কৃৎকৌশলের প্রয়োজন
হয়েছিল ।]
১৯০২ খীষ্টাব্দে
গ্রীক প্রত্নতাত্বিক ভ্যালোরিঅস স্টায়িস কিছু
শিল্পকর্ম নিয়ে কাজ করছিলেন যা, তিনি আন্তিকিথেরা
দ্বীপপুঞ্জের কাছে ডুবে যাওয়া একটি রোমক মালবোঝাই
জাহাজ থেকে আবিষ্কার করেছিলেন । এর মধ্যে
স্টায়িস দেখতে পেয়েছিলেন একটি বড় মরচে-ধরা
ঢেউখেলানো গীয়ার-চক্রাবলী । তা' ছাড়া আরও
৮১টি যন্ত্রাংশ পেয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল
বড় বড় ২৭টি চক্রের দণ্ড । এগুলি যে যন্ত্রের
অংশ, মনে হয়, তা' ৩৩ সেণ্টিমিটার উঁচু, ২৭
সে. মি. চওড়া এবং ৯ সে.মি. মোটা, একটি কাঠের
ফ্রেমে আরূঢ় ।
প্রথম বৈজ্ঞানিক
অনুসন্ধন করে বৃটিশ ঐতিহাসিক ডেরেক পিয়ার্স্
প্রতিপন্ন করলেন বস্তুগুলির উৎস- গ্রীস এবং
সেগুলি জ্যোতির্বিদ্যা-বিষয়ক যন্ত্রের অংশ
। পরবর্তীকালে ( ২০০৬ খ্রী ) আরও অনুসন্ধান
করে জানা গেল আণ্টিকিথেরা যান্ত্রিকপদ্ধতির
রহস্য ।
গ্রীক-ইংরাজ যু±ম
বিজ্ঞানীদের দল আরও আধুনিক বিম্ব-প্রয়োগকৌশল
(image processing technique) যেমন, ৩-ডাইমেনশন
এক্স্-রশ্মি মাইক্রো-ফোকাস টোমোগ্রাফি, ব্যবহার
করলো বিভিন্ন যন্ত্রাংশের উপর ; প্রকাশ পেল,
যন্ত্রাংশগুলি আগে যা ভাবা গিয়েছিল তার চাইতেও
অনেক জটিল । এর মধ্যে আছে গ্রীক রাশিচক্র
(Zodiac ), একটি ঈজিপ্টের ক্যালেণ্ডার এবং
পিছনের দিকে দুটো ডায়াল যা দেয় নির্ভুল সময়-
চান্দ্র-আবর্ত্ (Lunar-cycle) ও গ্রহণগুলির
; এমনকি চন্দ্রের আলোকী-অক্ষপথ planetary
motion) -এর জন্য যে গতি পরিবর্তন হয়, তা'
প্রতিপুরণ করার ক্ষমতা । তা' ছাড়া প্রমাণ
রয়েছে এই যন্ত্র গ্রহিক গতি planetary motion)
হিসাবে ধরতে সক্ষম । খ্রী-পূঃ ১০০-১১০ বৎসরে
নির্মিত এই যন্ত্র আগামী দশ হাজার বৎসরের
যান্ত্রিক বিজ্ঞানকে হার মানিয়েছে ।
লেখক:
ডেভিড হক্সেট
defining moments in SCIENCE, pp 29
শঙ্কর
সেনের সৌজন্যে
( চলবে
)