অরাকু
ভ্যালি
অরাকু
ভ্যালি অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলায়
একটি বিখ্যাত হিল ষ্টেশন। এটি বিশাখাপত্তনম
থেকে ১১৪ কিঃ মিঃ দূরে ওড়িশা সীমান্তের কাছে
পূর্বঘাট পার্বতমালায় একটি পাহাড়ে ঘেরা সুন্দর
জায়গা । এর আসে পাশের পাহাড় গুলির নাম গালিকোন্ডা,
রক্তকোন্ডা, সাঙ্কারিমেট্টা, চিতামংগনডি ও গালিকোণ্ডা।
৩৬ বর্গ কিঃ মিঃ এই জায়গাঢির সমুদ্র থেকে উচ্চতা
৬০০ থেকে ৯০০ মিঃ। ভাইজাগ থেকে ট্রেনে আসার
পথে ৫৭ টি টানেল পার হতে হয়। এ ছাড়া রেল লাইনের
দুধারের প্রাকৃতিক দৃশ্য যাত্রীদের মুগ্ধ করে
রাখে। এই ১১৪ কিঃ মিঃ ট্রেন যাত্রার স্মৃতি
সহজে ভোলার নয়।
অরাকু
স্টেশনের কাছেই, অরাকু রোডে, একটা সুন্দর বোটানিক্যাল
গার্ডেন আছে। এর নাম পদ্মাপুরাম বোটানিক্যাল
গার্ডেন। এখানে নানান দুষ্প্রাপ্য গাছ গাছড়া
ও ফুলের গাছ আছে । ট্রয় ট্রেন এখানকার আর একটা
বড় আকর্ষণ। ট্রয় ট্রেনে করে পুরো বাগানটা চক্কর
দেয়া যায়। বাগানটা নানান গাছ আর মূর্তি দিয়ে
সুন্দর করে সাজান আছে। এ ছাড়া আছে গাছ বাড়ি
যা পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হয়।
স্থানীয়
লোকজন বেশির ভাগই ট্রাইবাল। স্থানীয় একটি ট্রাইবাল
মিউজিয়ামে (অরাকু রোডে) তাদের সরল জীবন যাত্রা
অনেক মডেলের সাহায্যে সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে।
সব মডেলের পাশে বিশদ বিবরণ লেখা আছে। তবে ভিতরে
ছবি তোলা নিষেধ তাই ভিতরের কোন ছবি দেখাতে পারছিনা
। মিউজিয়াম এবং মডেল সবই মাটির তৈরি। এই ট্রাইবাল
মিউজিয়াম এখান কার একটা বড় আকর্ষণ। এখানে আরও
আছে আদিবাসী আর্ট ও ক্রাফট সেন্টার।
এর উল্টো দিকে আছে কফি সেন্টার। অরাকু ভ্যালির
আসে পাশের পাহাড় গুলিতে কফির চাষ হয়। এখানকার
অরগানিক কফি খুব বিখ্যাত। কফি সেন্টারে এই সবই
দেখানো হয়েছে।
অরাকু
রোডের ধারে হারিতা হিল রিসোর্টের উল্টো দিকে
আছে মডেল আদিবাসী গ্রাম। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের
(APTDC) দুটি থাকার জায়গা আছে - হারিতা হিল
রিসোর্ট ও হারিতা ময়ূরী রিসোর্ট। দুটোই খুব
সুন্দর। এ ছাড়া অনেক ছোট বড় হোটেল ও রিসোর্ট।
এত সব
সত্যেও পাহাড় ঘেরা, সবুজে মোরা অঢেল প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য ও দূষণ মুক্ত আবহাওয়াই এখান কার প্রধান
আকর্ষণ। এখানকার সহজ সরল আদিবাসীদের মত এই জায়গাটাও
আধুনিকতার জটিলতা মুক্ত এবং প্রকৃতির ছোঁয়ায়
পরিপূর্ণ। ধুসর পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে সবুজের
সমারোহ এতটাই মন কাড়ে যে ক্যামেরা ব্যবহার করতেই
মনে থাকেনা।
১
নং ভাইজাগ থেকে ট্রেনে অরাকু আসার পথে অনেক
সুন্দর সুন্দর দৃশ্য চোখে পরে। এই সুন্দর দৃশ্যটি
এদের মধ্যে একটি।
২
নং অরাকু স্টেশন থেকে কিছু দূরে অরাকু রোডের
ধারে পদ্মাপুরাম বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ
পথ।
৩
নং পদ্মাপুরাম বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিভিন্ন
গাছের মাঝে সুন্দর মডেল।
৪
নং অরাকু রোডের ধারে পায়ে চলার লাল রাস্তা,
সবুজ প্রান্তর ও দুরের পাহাড় – সব মিলিয়ে এক
অপূর্ব দৃশ্য।
৫
নং কাছেই মাটির তৈরি ট্রাইবাল মিউজিয়াম- সুন্দর
ভাবে রং করা ।
৬
নং ট্রাইবাল মিউজিয়ামের গেটের ওপর নানান মূর্তি
আর দেয়ালের পেন্টিং এর আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
৭
নং ট্রাইবাল মিউজিয়ামের দেয়ালে ট্রাইবাল শিল্পের
নিদর্শন।
৮
নং ট্রাইবাল মিউজিয়ামের কাছে আদিবাসী আর্ট ও
ক্রাফট সেন্টার – সোজা সরল গ্রাম্য পরিবেষে।
৯
নং ট্রাইবাল মিউজিয়ামের উল্টো দিকে কফি সেন্টারের
বাগানে আদিবাসী আর্ট ও ক্রাফটের কিছু নমুনা।
১০
নং কফি গাছে কফির গোটা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যেই
আছে কফি বীণ।
১১
নং সুন্দর অরাকু রোড - ধারে লাল মাটি আর ঘন
গাছ গাছালি ।
১২
নং মডেল ট্রাইবাল গ্রাম
১৩
নং অরাকুর ছোট নদী (?) চলে একে বেকে।
১৪
নং অরাকুর রাস্তার ধারে এই ধরনের নানান ফুল
মাঝে মাঝেই দেখা যায় ।
১৫
নং দূরে আদিবাসী গ্রাম হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।
১৬ নং অরাকু রোডের ধারে, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের,
হারিতা হিল রিসোর্টের ভিতর সুন্দর কটেজের সারি।
১৭
নং আদিবাসী শিল্পীদের নৃত্য প্রদর্শনী - হারিতা
হিল রিসোর্টের ভিতর।
১৮
নং লাল মেঠো রাস্তা চলে গেছে দূরে পাহাড়ের কাছে
– যাবেন নাকি এই রাস্তা ধরে পাহাড়েরে কোলে ?
বিমল
কুমার বসাক