ছবিতে
বাংলা: দুর্গাপুর
আরামদায়ক
ভোলভো এসি বাসে দুর্গাপুর কলকাতা থেকে মাত্র
তিন ঘণ্টার পথ।
দুর্গাপুরকে
ঠিক ট্যুরিস্ট স্পট বলা যাবে না, যদিও দেখার
অনেক কিছুই আছে – বিশেষ করে দামোদরের বাঁধ।
তবে দুর্গাপুরকে কেন্দ্র করে বেড়ানোর জায়গার
অভাব নেই। অজয়নদীর ধারে জয়দেবের কেঁদুলী মেলা,
পোড়ামাটির কাজের জন্যে বিখ্যাত বিষ্ণুপুর, জনপ্রিয়
পিকনিক স্পট ঝিলমিল, বক্রেশ্বরের মন্দির – ৬০-৭০
কিলোমিটারের মধ্যে এরকম বেশ কিছু জায়গায় ভ্রমণপিপাসুরা
যেতে পারেন।
কি
কি করতে পারেন দুর্গাপুরে গিয়ে?
যদি কলা ও সংস্কৃতির ঘণ্টাধ্বনি কানে বাজে -
চলে যান কাছেই - শান্তিনিকেতনে...
ইচ্ছে
করলে আমজনতার সঙ্গে মিশে বাসে চেপে....
মাইথন
বাঁধ দুর্গাপুর থেকে দূরে নয়। সেখানে বাঁধের
একদিকে পশ্চিমবঙ্গ - অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড। বাঁধ
পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের বিখ্যাত ঘুপচুপ (চাট এবং ফুচকা)
খেয়ে রসনানিবৃত্তি করতে পারেন।
আর
করতে পারেন নৌকোবিহার - মাইথন লেকে। সময়মত গেলে
গাছপালায় ইউরোপের হেমন্ত বা Fall-এর রূপ দেখতে
পাবেন।
দুর্গাপুরের
বিধাননগরের দোলযাত্রা একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা।
বিধাননগরের বাসিন্দারা ছেলেপুলেদের নিয়ে একটা
পার্কে জমায়েত হন। মহিলারা হলুদ শাড়ী আর পুরুষেরা
সাদা পোষাকে।
একটু আবির খেলা, জল-রঙ বা বাঁদুরে রঙ নিয়ে কোনও
হাঙ্গামা-হুজ্জুতি নেই। তারপর একটা ভ্যান-এ
লাউড স্পিকার লাগিয়ে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে গাইতে
পরিক্রমা - কিছুটা শান্তিনিকেতনের ঢং-এ। এরপর
মিষ্টিমুখ আছে, আছে লাঞ্চ-এর বান্দোবস্ত। এইদিন
সিনিয়ার সিটিজেনদের জন্যে থাকে একটা বড় প্রাপ্তি।
বিধাননগরের নাগরিকরা এঁদের নানান উপহার, সম্মানপত্র
ইত্যাদি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে শুধু বিধাননগর
নয়, দুর্গাপুরের অন্যান্য অনেক কলোনীতে দোলের
উৎসব এইভাবেই হয়।
দোলের
সময়ে গেলে বয়স প্রমাণের জন্যে একটা আইডি রাখবেন।
ভরা থাক স্মৃতি সুধায়ে ... কে বুঝবে
যে এঁদের একজন সিনিয়ার সিটিজেন?
ছবি
ও মূললেখা – অমল সেন