শীতের
তেহরান
তেহরান
প্রাচীন কাল (মোটা মুটি নবম শতাব্দী) থেকেই
ইরানের রাজধানী। এখানে ৮৪,০০,০০০ লোকের বাস।
আধুনিক তেহরানের পত্তন করেন ইরানের শাহ্, সূর্যের
উপাসক, রেজা শাহ্ পল্লবী - ১৯২০ থেকে ১৯৩০
সাল নাগাদ। তিনি কিছু পুরনো ভাঙ্গাচোরা সৌধ
সরিয়ে প্রাক-ইসলামিক ধারায় আধুনিক সৌধ তৈরি
করেন। তেহরানের দ্রুত আধুনিকি করণ হয় ১৯৬০ থেকে
১৯৭০ সাল নাগাদ শাহ্ মহম্মদ রেজা পল্লবীর আমলে।
১৯৭৯ সালের ঐতিহাসিক ইসলামিক বিপ্লবের পরেও,
আয়াতুল্লাহ খোমিনির আমলে, এই উন্নয়নের ধারা
বজায় থাকে।
আধুনিক কালে প্রধানত
প্রচুর গাড়ী চলাচলের ফলে বায়ু দূষণ বিপদ জনক
ভাবে বেড়ে গেছে। ৮০% বায়ু দূষণ হয় গাড়ী এবং
মোটর সাইকেল থেকে। বাকি ২০% দূষণ হয় ইন্ডাস্ট্রি
থেকে। এর ফলে রোগ ব্যাধিও ছড়াচ্ছে। সাদা বরফকে
প্রায়ই হলদেটে দেখায়।
তেহরানের আবহাওয়া
নিয়ন্ত্রিত হয় উত্তরের আল-বর্য পর্বতমালা দ্বারা।
জুলাই মাস সব থেকে গরম (26 °C) এবং জানুয়ারি
মাস সব থেকে ঠাণ্ডা (−1 °C)। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন
তাপ মাত্রা যথা ক্রমে 43 °C ও −15 °C । অতএব
শীতে অনেক সময়ই বরফ পরে। এই শীতের দৃশ্যই নিচে
দেখান হল।
১ নং তেহরান শহর – মাঝে মাঝে বরফ দেখা যাচ্ছে
২ নং বরফ ঢাকা হাইওয়েতে গাড়ী চলার বিরাম নেই
৩ নং বরফে ঢাকা ক্রিসমাস ট্রি – ঠিক ক্রিসমাস
কার্ডের মত
৪ নং কর্মীরা রাস্তার বরফ সরাতে ব্যস্ত
৫ নং বরফে ঢাকা রাস্তায় ব্যস্ত সকালের অফিস
যাত্রীরা
৬ নং তেহরান শহরে সূর্যাস্ত
৭ নং রাতেও হাইওয়েতে প্রচুর গাড়ী চলছে
৮ নং সকালের তেহরান – অনেক অফিস দেখা যাচ্ছে।
মাঝে মাঝে আগের রাতের বরফ
৯ নং থিয়েটার হলের সামনে রাস্তায় লোকের আনা
গোনা
১০ নং ঐতিহাসিক আজাদি হোটেল। পেছনের বরফ ঢাকা
হলদেটে দেখাচ্ছে বায়ু দূষণের জন্যে।
১১ নং এত বরফের মধ্যেও একজিবিসন সেন্টারে অনেক
লোকের ভিড়।
১২ নং তেহরানের উপকণ্ঠে ইসলামিক ধর্ম স্থাল
বিমল
কুমার বসাক