তোছাল
পর্বতশৃঙ্গ, আলবর্জ পর্বতমালা, তেহরান
আলবর্জ (অথবা আলবোর্জ, এলবর্জ, এলবোর্জ) পর্বতমালা
ইরানের উত্তরে আজারবাইজান সীমান্তে দক্ষিণ-
কাস্পিয়ান সাগর থেকে তূর্কেমিস্তান – আফগান
সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। চওড়া ৬০ থেকে ১৩০
কিঃমিঃ। গ্রানাইট পাথরের ওপর চুনা পাথরের পলি
দিয়ে এই পর্বতমালা তৈরি হয়েছে।
আলবর্জ কথাটা এসেছে
Harā Barazaitī বা Harā Bṛzatī থেকে। আর Bṛzatī
কথাটা এসেছে সংকৃত বৃহৎ (বড় / উঁচু) কথা থেকে।
Harā Bṛzatī থেকে এসেছে Harborz বা বর্তমান
নাম Alborz – আলবোর্জ বা আলবর্জ । আলবর্জে ১৪
টি পিক বা পর্বতশৃঙ্গ আছে। সব থেকে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের
নাম তোছাল (Tochal)। এটা ১২ কিঃমিঃ লম্বা এবং
৩৯৬৪ মিঃ (3,964 m- 13,005 feet) উঁচু। বছরে
৮ মাসের বেশী তোছাল বরফে ঢাকা থাকে।
তেহরানের খুব কাছে
বলে অনেকে এখানে বেড়াতে আসেন। এখানে প্রাকৃতিক
দৃশ্য ছাড়াও বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা আছে – হোটেল,
রেস্তোরা, কফি শপ, ঝর্না, গুহা ইত্যাদি আছে।
এছাড়া আর একটা আকর্ষণ আছে – স্কি রিসোর্ট। উচ্চতা
৩৫০০ মিঃ – এর থেকেও বেশী। হালকা স্লোপের উপর
১২০০ মিঃ লম্বা স্কি করার জায়গা বেশ আকর্ষণীয়।
গাড়ীতে অনেক ওপর
পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু কেবল কারে যাওয়া
অনেক মজার। ৭৫০০ মিঃ লম্বা কেবল কার শুরু হয়েছে
তেহরানের উত্তরে ১৯০০ মিঃ উচ্চতায় ভেলেনজাক
ভ্যালি থেকে। শেষ হয়েছে ৩৭৪০ মিঃ উচ্চতায় তোছাল
স্কি স্লোপের মাঝখানে।
তেহরানে
এলে তোছাল নিশ্চয়ই দেখে যাবেন - না হলে অনেক
কিছুই miss করবেন।
১
নং তেহরানের শেষ প্রান্ত থেকে বরফ ঢাকা তোছাল
পর্বতশৃঙ্গ পর্যটকদের আকর্ষণ করছে
২ নং কেবল কারে করে ওপরে যাওয়া যায় অথবা গাড়ী
করেও অনেকটা ওপরে উঠা যায়। কোন কোন দিন কেবল
কার থাকেনা। তখন গাড়ীই ভরসা
৩ নং তোছাল পর্বতের ওপরে চার দিকে শুধুই বরফ
আর বরফ, আর কিছু নেড়া গাছ
৪ নং পাহাড়ের গা বেয়ে ধাপে ধাপে বরফ নেমে এসে
এক অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে
৫ নং চার দিকে সর্বত্র বরফ কিন্তু এই পাহাড়ে
কেন বরফ নেই তার সদুত্তর কেও দিতে পারলনা
৬ নং একটা বিরাট গুহা। শুনলাম এখানে জন্তু জানোয়ার
থাকতে পারে
৭ নং একটা ছোট গাছ বরফের ঘেরা টোপে বসন্তের
প্রতীক্ষায় আছে। বাচবেতো ?
৮ নং এত ঠাণ্ডায় কে ঘড়ের ভিতরে বসে জুস খাবে
? তার চেয়ে বরং -----
৯ নং ----- খোলা আকাশের নীচে বরফের মেজের ওপর
চেয়ার টেবিল পেতে গরম কফির কাপে চুমুক দেওয়া
অনেক বেশী মজার। আবশ্য যদি সূর্য দেব ভাল মেজাজে
থাকে।
১০ নং এত ঠাণ্ডাতেও লোকে প্রেম করতে আসে ? !!
১১ নং শীর পালার কাছে তিনটি স্কুল পালান (?)
দুষ্টু ছেলে জমে যাওয়া ঝর্নার ধারে বিপদজনক
ভাবে খেলছে। এরা অনেক ক্ষণ আমাদের আসে পাসেই
ছিল।
১২ নং তিন জনের একজন ভাবছে নেমে ফিরে যাবে।
কিন্তু বাকি দুজনের ভাবনা অন্য রকম
বিমল
কুমার বসাক