মায়াপুর
জনস্রুতি
অনুসারে আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে
শ্রীচৈতন্যের মর্তে আবির্ভাব ঘটেছিল
মায়াপুরে। তবে অতীতের সেই মায়াপুরই
বর্তমানের মায়াপুর কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন
আছে। যেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই, সেটা হল
আজকের মায়াপুরকে কেন্দ্র করে ISKCON-এর
বিশাল মঠ। গত শতাব্দীর ষাট দশকে সত্তর
বছরের বৃদ্ধ স্বামী প্রভুপাদ মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সে দেশের বেশ কিছু
ছেলেমেয়েকে কৃষ্ণ-ভাবনা মন্ত্রে দীক্ষিত
করেন। শুরু হয় International Scoiety
for Krishna Consciousness। যেটি উত্তরোত্তর
বেড়ে একটি সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত
হয়। ISKCON-এর সভ্যদের উত্সাহে গড়ে
ওঠে বিভিন্ন মঠ ও মন্দির - প্রথমে বিদেশে,
পরে মায়াপুরে। মায়াপুরের ISKCON-এর
মঠই সর্ব বৃহত্। যাঁরা শ্রীচৈতন্য-ভক্ত
তাঁদের তো ভালো লাগবেই, কিন্তু সাধারণ
পর্য্টকও এই কর্মকাণ্ড দেখে নিরাশ হবে
না।
গাড়িতে
কলকাতা থেকে মায়াপুরে যাওয়া যায়। শহীদ
মিনার থেকে নিয়মিত বাস ছাড়ে - বারাসত,
কৃষ্ণনগর হয়ে মায়াপুরে। আবার হাওড়া
থেকে ট্রেনে করে নবদ্বীপে গিয়ে ফেরি
নৌকোয় ভাগীরথী পেরিয়ে মায়াপুরে পৌঁছনো
যায়। থাকার জন্য ISKCON-এর ইণ্টারন্যাশেনাল
গেস্ট হাউস আছে। এছাড়া কলকাতার ISKCON-এর
অফিস - ৩১ নম্বর লেক অ্যাভেন্যু থেকে
প্যাকেজ ট্যুর-এরও ব্যবস্থা আছে।
নিচের
ছবিগুলি যথাক্রমে:
প্রভুপাদের মন্দির, চন্দ্রোদয়, যোগপীঠ
- শ্রীচৈতন্যের জন্মস্থান, রাধাকৃষ্ণ,
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মিশন, মায়াপুরের পরিবহন
ব্যবস্থা, নিতাই-গৌরাঙ্গ।
ছবি:
বিমলকুমার বসাক