দু'দিনের
তরে শুধু এসেছিল সে যে;
ফুটন্ত কুসুম প্রায়,
মায়ের
স্নেহের ছায়
ফুটেছিল
প্রাণাধিক কুসুমেরি সাজে|
না চিনিয়া মোরা তারে
বাসিয়াছি ভালো;
জানি নাই অমরার
ফুল সে যে সুধাধার,
এসেছে
দু'দিন ধরা করিয়াছে আলো|
কেন-বা তাহার লাগি
ঝরে আঁখিজল
জানি সে মোদের নয়,
নন্দনের
কিশলয়
স্বরগের
মন্দারের রেণু নিরমল|
সংসারের তাপে ক্লিষ্ট
হয়েছিল সে যে;
রোগে তাপে পেয়ে ক্লেশ,
ভবলীলা
করি শেষ
তাড়াতাড়ি
স্বর্গপুরে জুড়াইতে গেছে|
এসেছে
তাহার চোখে শান্তিময়ী ঘুম
তাই সে ঘুমাতে গেছে,
সুখের
বারতা এ যে
ধরায়
কি ফুটে থাকে স্বর্গীয় কুসুম?