প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

পোনুর চিঠি - মুরাদ টাকলা

[বহুদিন পোনু চিঠিপত্র লেখে নি, আমিও নিশ্চিন্ত ছিলাম। হঠাৎ এই পত্রাঘাত। চিঠিটা পড়ার পর একটু চিন্তিত হয়েই পোনুকে বললাম, ‘অনেক শব্দের অর্থ বুঝতে পারছি না, এটা কি অবসর-এ দেওয়া ঠিক হবে?’
পোনু চটে গেল। ‘আপনি তো অনেক লেখাই অবসর-এ না বুঝে ছাপেন, তার বেলা? '
অকাট্য যুক্তি। এর পর আর 'না' বলি কী করে! পাঠকদের কাছে একটাই অনুরোধ, যদি অশোভন কিছু খুঁজে পান জানাবেন। সেটা অবশ্যই বাদ দিয়ে দেবো।--- সম্পাদক ]

স্যার:

সনাতন ও বৈদিক হিন্দু ধর্ম, দর্শন, গীতার ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বেশ তো ধর্ম নিরপেক্ষ তথ্যমূলক সাইট চালাচ্ছিলেন। অন্তত ব্লগ পড়ে তো তাই বুঝি। আবার এর মধ্যে পঞ্চাশের দশক বা তারও আগেকার পরশুরাম-মার্কা কৌতুকীর কথা পোস্ট করতে গেলেন কেন? আরে ধুর মশায়, ওসব ছেঁদো হিউমার, তাও আবার সাধুভাষায়, তা কি আজকাল লোকে খোঁজে না বোঝে? আজকাল গুরুদের আর রাজনীতিকদের বাণী, ব্যাভার আর কীর্তিকলাপ দেখেই লোকে হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছে, ফাউ হিসেবে "কাঙাল মালসাট", "তাসের দেশ", রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-- লোকের সময় কই? তো এই নিন, ইন্‌টারনেটের জঙ্গল ঘেঁটে আজকের সাইট-সার্ফাররা কী চান তার নমুনা জোগাড় করে এনে দিলাম, পোস্ট করুন দেখি কতো বড়ো বুকের পাটা।

ফেসবুকের কৃপায় সম্প্রতি "মুরাদ টাকলা"র সঙ্গে পরিচিত হওয়া গেলো। সম্রাট সাজাহানের চারটি ধর্মের ষাঁড়ের একটির নাম ছিলো মুরাদ সেটি মনে আছে। সেজদা ছিলেন আওরঙ্গজেব অতএব বুঝতেই পারছেন যে মুরাদসায়েবের আর টাকের শোভা দেখাবার জন্য বেঁচে থাকা হয়ে ওঠেনি। বড়দা দারার মতো বাপের শ্রীচরণে ছিন্নমস্তক নত করার সৌভাগ্যও হয়নি, ঘাতকে বিনা আড়ম্বরে ঘ্যাঁচাত্‍‌ করে দিয়েছিলো। অতএব "টাকলা"টা খেতাব-তেটাব কিছু একটা হবে, সেকালে এমন অনেক খেতাব দেওয়া হোতো। তো ফেসবুকে দেখি তাঁর নামে একাধিক পেজ আছে। সাড়ে চারশো বছরের পুরনো এক কবন্ধের জন্য ফেসবুকে এতো মোচ্ছব হবে, এটা ঠিক মেনে নেওয়া গেলো না। তাই "আদি ও অকৃত্রিম" পেজটি খুলে রহস্য ভেদ করার পর মনে হোলো "অবসরের" অতিথিদের খবরটা জানাই। প্রসঙ্গত, ওই পাতাতেই পাওয়া গেলো আরেকটি লিঙ্ক, ব্লগার তাওসীফ হামীম দুটি ব্লগে মুরাদ টাকলাদের বিশদ বিবরণ লিখেছেন, লিঙ্ক মারফত্‍‌ তার হদিশ পাওয়া যাবে। "অবসরের" পুণ্যশ্লোকদের সতর্ক করে দিই, এ দুটি লিঙ্ক ঘোরতরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, ধাওয়া যদি করেন তবে তা নিজের দায়িত্বে। এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো এক ইংরেজী লিমেরিক সংগ্রহের ভূমিকায় পড়েছিলাম যে আজ পর্যন্ত মাত্র চারটি শ্লীল লিমেরিক লেখা হয়েছে। হাস্যরস চিট্‌চিটে।

ব্যাপারটা হোলো এই রকম: বোধহয় ২০১২ সালের জুলাই মাসে শ্রী জয়ন্ত কুমার তাঁর জ্ঞানবুদ্ধিমতো বাংলিশ ভাষায় ফেবুতে একটি পোস্ট করেন। মনে রাখতে হবে যে ততোদিনে কম্প্যুটারে বাংলা লেখার অনেক প্রক্রিয়া বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে, "অভ্র" তাদের মধ্যে অগ্রণী। যদিও এইসব সফ্‌টওয়যারের প্রণেতারা ব্যবহারবিধি খুব সহজ করে দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা একটি ব্যাপার তেমন তলিয়ে দেখেননি। সেটি হোলো এই যে এইসব আখমাড়াইয়ের যন্ত্রে ইংরেজী হরফে আখ ঠুসে বাংলা আখের রস বার করতে গেলে একটু কষ্ট করে ঠিকঠাক মাপের আখ পুরতে হবে, অর্থাত্‍‌ বাংলা আর ইংরেজী হরফের যে একটা সাদৃশ্য, করেস্পণ্ডেন্স, সফ্‌টওয়যার নির্মাতারা ঠিক করে দিয়েছেন সেটা জানতে হবে এবং মানতে হবে। এইভাবে ইংরেজী হরফে লেখা বাংলাকে আমরা জানি বাংলিশ বলে। বানানের দায়িত্ব লেখকের। এটা মানছি যে নির্মাতাদের পছন্দমাফিক সাদৃশ্য সবসময়ে বুদ্ধি বা শ্রবণগ্রাহ্য হোতো না, তবে "চিত্তে যবে মত্ত আশা সর্পসম ফোঁসে" অর্থাত্‍‌ আত্মপ্রকাশার্থে তাত্‍‌ক্ষণিক উন্মত্ততার কথা ভেবে মানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। গোল বাধলো ওইখানেই। ইন্‌টারনেটে, বিশেষত এইসব সোশ্যাল সাইটে যাঁরা বিচরণ করেন তাঁরা সবাই মুক্তপ্রাণ, তাঁদের মতে তাঁরা যে আদৌ লিখছেন সেটি তাবত্‍‌ নেটযাত্রীদের বাপের ভাগ্য, তাঁরা এইসব নিয়মকানুনের বন্ধনে বাঁধা পড়তে পারবেন না। অবশ্যই এই বাংরেজী পিষলে যে বাংলা বের হয় তা স্বয়ং মহাদেবও পান করলে নীলকণ্ঠ হয়ে বসে থাকবেন, আমরা তো কোন ছার। অতএব তাঁরা তাঁদের তৈরী বাংলিশই পোস্ট করতে থাকলেন, বোঝার দায়িত্বটি পুরোপুরি যাঁরা পড়বেন তাঁদের হাতে ছেড়ে দিয়ে। যাঁরা বাংলা ওয়েব সাইটে যাতায়াত করেন, এই বাংলিশ পড়ে তাঁদের নিতান্ত অহিংসরাও অনেকেই জিঘাংসু হয়েছেন এমন প্রচলিত আছে। মাহেন্দ্রক্ষণে প্রকাশিত জয়ন্ত কুমারের এই নেটবচন (ও তার সম্ভাব্য অর্থ, যদিও শ্রী কুমার-অনুমোদিত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হয় নি) ছবির স্ক্রীন ক্যাপচারের আকারে নীচে দেওয়া গেলো।

 

ইংরেজীটা পড়তে অসুবিধা হতে পারে:

Murad takla jukti dia bal, falti pic dicos kan! Lakapara koira kata bal,

অর্থাত্‍‌ মুরাদ টাকলা এসে দাঁড়ালো "মুরোদ থাকলে"। যাঁরা ফেবু (বা নেটের অন্যত্র) এই মদোন্মত্ত বাংলিশের আক্রমণ চালান তাঁদেরই মুরাদ টাকলা আখ্যা দেওয়া হোলো। জয়ন্ত কুমারকে তাচ্ছিল্য করার আগে তাঁর বিচক্ষণতাটা লক্ষ্য করবেন। ছেদচিহ্নের পরের অক্ষর বড়ো হাতের, সায়েবরা যেমন শিখিয়েছে। শুধু "a" অক্ষরের ব্যবহারটাই দেখুন: অ-কার, আ-কার, এ-কার, য-ফলায় আ-কার। সায়েবরা যেমন যথাক্রমে ball, father, gate, cat বলে থাকেন। তা এতে নেটবাসীরা এতো বিরক্ত হলেন কেন তা বুঝলাম না, তাঁরা হঠাত্‍‌ ক্ষেপে গিয়ে "মুরাদ টাকলা" আন্দোলন শুরু করে দিলেন -- জয়ন্ত কুমার তার প্রথম শহীদ। আসলে জয়ন্তের মতো আরো হাজার হাজার লোক নেটে বাংলিশ লেখেন, তাঁরা সবাই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে বিশ্বাসী, তাই তা সব বুঝতে গেলে হাজার হাজার না হোক, শয়ে শয়ে বাংলিশ বর্ণপরিচয় শিখতে হবে-- এই ভয়টি উটের পিঠের শেষ তৃণ হয়ে দাঁড়লো বোধহয়। কিছুদিন আগে আমাদের এক বিদ্বান বন্ধু বাংলিশে ইমেল লিখতেন, মুস্কিল ছিলো এই যে তিনি এ ইমেল থেকে পরের ইমেলে তাঁর নিজের বাংলিশের বর্ণমালা ভুলে যেতেন। বকাবকি করলাম, বললেন আমার মাকে লিখি, তিনি তো ঠিক পড়েন। স্বর্গাদপি গরীয়সী। কাজেই আমি এ জিনিষের স্বাদ পেয়েছি। যাই হোক, সে বছর অক্টোবর মাসে ফেবুতে মুরাদ টাকলার শুভ উদ্বোধন, এইখান থেকে সরাসরি সেই পেজে যেতে পারবেন।

নেটে বেকার গবেষকদের অভাব নেই, তাঁরা খুঁজে পেতে মুরাদ টাকলা বাংলিশের একটা চলনসই বর্ণমালা বার করেছেন:

ছবির উপরে ক্লিক করে বড় করে দেখুন।

যদিও এই তালিকা কোনোমতেই সম্পূর্ণ বলা চলে না, তবু এর সঙ্গে আর দুয়েকটি বর্ণ যোগ দিলে -- যথা d - দ বা ড়-- চিন্তাশীল হাস্যরসিকের সামনে আলিবাবার গুহাদ্বার খুলে যাবে আমরা জানি। আপনার নিষ্ঠাবান বোষ্টম পত্রিকায় সেসব তো আর পোস্ট করবেন না, তাই লোভ দেখিয়েই সারতে হোলো।

মুরাদ টাকলার গভীরে যাবার আগে আরো দুয়েকটা নমুনা দিই, অ্যাপিটাইজার।

গানের প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে প্রচণ্ড রেগেছেন:

মূল বাংলিশ: tora closeup one a jara jara jaz sela sob tora bog [dog?] sone... karon tora arfin,balam,habib dar gan koila bad deya dash... tora sob fajiel... amara tora 2nd round thaka bad deya deli sudhu matro arfin rumi r gan gaise bola.... tor hilo 1 number dog sone

বাংলা: তোরা ক্লোজ আপ ওয়ানে যারা যারা জাজ ছিলি সব তোরা ডগ সন [ son of a bitch! ] ...কারণ তোরা আরফিন, বালাম, হাবীবদের গান করলে বাদ দিয়ে দিস... তোরা সব ফাজিল...আমাকে তোরা সেকেণ্ড রাউণ্ড থেকে বাদ দিয়ে দিলি শুধুমাত্র আরফিন রুমীর গান গেয়েছি বলে... তোরা হলি এক নাম্বার ডগ সন।

লক্ষ্মীবাবুর সোনাচাঁদির গহনার দোকানের মতো মুরাদ টাকলারও নকল বেরলো ফেবুতে। আদি ফেবুর ভক্ত shaon-এর ক্রোধ সীমা ছাড়িয়ে যেতে তিনি লিখলেন:

"2i ar nam nokol koracic kan ra haramgada. parla niger critiviti die ntan akta paj bana. ter pare tr pag e lyk paba."

অর্থাৎ: তুই পেজের নাম নকল করছিস ক্যান রে হারামজাদা। পারলে নিজের creativity [!] দিয়ে নূতন একটা পেজ বানা, তার পর তোর পেজে লিকে পাবি।"

প্রেমিকার কাছে হ্যাটা খেয়ে মুরাদ টাকলা লিখলেন:

"kamon aso tomi,soki hote peroso ki na, jante boro shad hoy, amak boleso ki na, tomi to jano na pareme noy solona,premiker mon vegge ,mon pawa jai na."

"কেমন আছো তুমি, সুখী হতে পেরেছো কিনা জানতে বড়ো সাধ হয়, আমাকে ভুলেছো কিনা। [বেহালার করুণ সুরে] তুমি তো জানো না প্রেমে নাই ছলনা / প্রেমিকের মন ভেঙ্গে মন পাওয়া যায় না।"

মুরাদ টাকলা দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করছেন। টিকা নিষ্প্রয়োজন।

বাংলাদেশে অন্তত মুরাদ টাকলা বেশ জনপ্রিয়। তাওসীফ হামীমের ব্লগ থেকে জানছি:

ঈদের ব্লকবাস্টার ছবি "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"য় বর্ষা ম্যাডামের নাম 'মেঘলা'। তাঁর সেল ফোনের স্ক্রীনে যখনই Magla ভেসে আসে তখনই হলশুদ্ধ দর্শক আওয়াজ দেন মুরাদ টাকলা, মুরাদ টাকলা!

মুরাদ টাকলার কোনো ম্যানিফেস্টো নেই, ক্ষমতা মধ্যে মধ্যে বেহাত হয়ে যায়। ফেবুর আদি মুরাদ টাকলা পেজওয়ালাদের বয়ানে:



তাওসীফ হামীমের ব্লগ থেকে সচিত্র একটা ম্যানিফেস্টো পাওয়া গেলো:


তাওসীফ হামীম আর এক ব্লগার আলিম আল রাজির গবেষণার ফল জানাচ্ছেন:

" মুরাদ টাকলা সাধারণত দুই প্রকার: হেফাজতি টাকলা ও ডিজুস টাকলা।

১) হেফাজতি টাকলারা পত্রিকা পড়ে জেনেছে ফেইসবুকে প্রচুর নাস্তিক বসবাস করে। সেখানে গেলে ঝাকে ঝাকে নাস্তিক মেরে সওয়াব [?] কামাই করা যাবে। অতএব তারা সময় নষ্ট না করে ফেইসবুকে চলে আসে। ২ টাকা দিয়ে ইন্টারনেট প্যাকেজ নেয়। চায়না মোবাইল থেকে লগইন করে তারপর নাস্তিক মারা শুরু করে। নাস্তিক মারার ফাঁকে ফাঁকে চটি পেইজে লাইক দেয়। মেয়েদেরকে 'i lik u. u lik me. give nambar. i col u' লিখে ইনবক্স করে আর চোখমুখ বন্ধ করে সবাইকে ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। রিকোয়েস্ট ব্লক হয়ে গেলে নাস্তিকদের স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে 'admin. i blok. ad me. i online 24 our. i giv lik al statas.'। হেফাজতি টাকলাদের নিয়ে বেশি লিখলে তারা কল্লা [?] কেটে দিতে ভালোবাসে। অতএব বেশি লেখা যাবেনা।

২) ডিজুস টাকলারা সাধারণত স্মার্টফোন ইউজ করে। hangout, gf, bf ইত্যাদি নিয়ে এরা এত ব্যস্ত থাকে যে বাংলা অক্ষরে বাংলা লেখা শেখার সময়টুকু এরা পায়না। এরা বেশিরভাগ সময় কেএফসি ও বিএফসিতে বসবাস করে। হেফাজতি টাকলাদের সাথে এদের কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। হেফাজতি টাকলারা দিন দুনিয়ার খোঁজখবর বাঁশের কেল্লা থেকে হলেও একটুআধটু রাখে। কিন্তু ডিজুস টাকলা এসবের কোনো খবরই রাখেনা। যেমন দেশ যখন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে উত্তাল তখন এরা স্ট্যাটাস দেয় ajKé Frínzd3r säthè köthìììnnnn mööögä körläm /m\। হেফাজতি টাকলারা ইংরেজি অক্ষরে বাংলা লিখে। অন্যদিকে ডিজুস টাকলারা ইংরেজি ছোট হাতের ও বড় হাতের অক্ষরের সাথে নানারকম সিম্বল মিশিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে। যেমনঃ gìbönE eTö kö$2 kènùùù ডিজুস টাকলাদের নামও থাকে অদ্ভুত। যেমন যার নাম রকিবুল হোসেন ফেইসবুকে তার নাম থাকে Rökìng raOcKì röxxx."

আদি মুরাদ টাকলা পেজের টাকলাশ্রী প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত একনম্বর হচ্ছেন মোহাম্মদ ইসলাম, যদিও তাঁর এন্‌ট্রিটির আবেদন যে পুরোপুরি বাংলিশের কারণে তা বলা যাবে না:


অয়ত আফনেরা সবাই জানেন জে দেশে প্রথম আলু নামের একটা নাস্তিক পোতরিকা আসে ।জাদের মাতা ঠিক নাই, কখনো আমাদের পক্ষে কতা বোলে, কখনো বাংলাদেশের সাদিনতার সেতোনার কতা বলে!!!

উরা মাজে মাজে মানবোতার কতা বলে। এই জেমন আজ বুইলচে,
"জামায়াতের হরতালে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। মেহেরপুরে হরতালের সমর্থনে মিছিলে দেশীয় অস্ত্র হাতে এক শিশুকে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে।"

শিশুদের নিয়ে উদের মানবোতার কতা! শুনে আমার হাসি ফায়। কিরে নাস্তিক মুইত্তা চুরা, জকন শাবাগে নাস্তিকরা গাঞ্জা খায় আর সুডু সুডু সেলে ফিলেরে দিয়া 'রাজাকারের পাসি সাই, রাজাকারের পাসি সাই' বইলা স্লোগান দেয়ায়, তখন তুরা ত মানোবোতার কতা কশ না।

১৯৭১ সালে গণ্ডগোলের শময় যখন দুষ্কৃতিকারীরা সোটো সোটো সেলেমেয়েদের জুদ্দে কাজে লাগিয়েসিলো, উদের দিয়ে স্লোগান দিয়েসিলো, কুতায় সিলো তকন তুমাদের মানোবোতা???

জবাব দে হারামজাদা মুইত্তাচুরা!!!!!!!!

শুদু ইসলামিক দল, তা-ও আবার জামাতি ইসলামী হইলে তুদের মানোবোতা এত সুলকায় কেন?

শিশুদের সবাই বেবহার করসে। নিসে আফনেদের আমি এ বেপারে শব ফমান দিচ্চি। কুন কিসুই গুফন থাকবে না আজ, সোবি গুলাতে সবই দেখতে ফাইতেসেন আফেনেরা।"

এটিকে পশ্চিমবঙ্গীয়করণে আমার দুর্বল চেষ্টা:

হয়ত আপনারা সবাই জানেন যে দেশে 'প্রথম আলো' নামের এক নাস্তিক পত্রিকা আছে। যাদের মাথা ঠিক নাই, কখনো আমাদের পক্ষে কথা বলে, কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে।

ওরা মাঝে মাঝে মানবতার কথা বলে। এই যেমন আজ বলছে, "জামায়তের হরতালে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। মেহেরপুরে হরতালের সমর্থনে মিছিলে দেশীয় অস্ত্র হাতে এক শিশুকে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে।"

শিশুদের নিয়ে ওদের মানবতার কথা শুনলে আমার হাসি পায়। কিরে নাস্তিক 'মুইত্তা চুরা' [?], যখন শা[হ]বাগে নাস্তিকরা গাঞ্জা খায় আর ছোটো ছোটো ছেলেপিলেদের দিয়ে 'রাজাকারের ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয় তখন তো তোরা মানবতার কথা বলিস না।

১৯৭১ সালের গণ্ডগোলের সময় যখন দুষ্কৃতিকারীরা [ষ-য়ে ক-য়ে ঋ-ফলা, আছেন কোথায়!] ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের যুদ্ধে কাজে লাগিয়েছিলো, ওদের দিয়ে স্লোগান দিয়েছিলো, কোথায় ছিলো তখন তোমাদের মানবতা???

জবাব দে হারামজাদা "মুইত্তাচুরা" [আবার?]!!!!!

শুধু ইসলামিক দল, তাও আবার জামাতি ইসলামী হইলে তোদের মানবতা এত চুলকায় কেন?

শিশুদের সবাই ব্যবহার করছে। নিজে আপনাদের আমি এ ব্যাপারে ফমান [?] দিচ্ছি। কোন কিছুই গোপন থাকবে না আজ, ছবিগুলোতে সবই দেখতে পাচ্ছেন আপনারা।

এই জিনিষ বাংলিশে কেমন দেখতে হোতো তা ভেবেই রোমাঞ্চ হচ্ছে। ভবিষ্যতে কবি লিখবেন "আ মরি টাকলা ভাষা"। সেটা চার, চল্লিশ না চারশো বছর পর সেটা জানা গেলে নিশ্চিন্ত হওয়া যেতো।

আপনাদের
বাক্যহারা পোনু

পুনশ্চ: যাঁদের নৈতিক চরিত্র খুব ভঙ্গুর নয় তাঁরা কিন্তু মোটামুটি নির্ভয়ে গিয়ে আদি মুরাদ টাকলা পেজ ও তাওসীফ হামীমের ব্লগ নং একব্লগ নং দুই ঘুরে আসতে পারেন। তবে অবসর সম্পাদককে দোষী করবেন না, আমি গোড়াতেই statutory warning লাগিয়ে দিয়েছি।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

 

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।