বিনোদন
জুন ২৪, ২০১৫
ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস
কোন কালে এবং কি ভাবে ভারতবর্ষে সঙ্গীতের উৎপত্তি হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায় না। এ ব্যাপারে আমাদের দেশে প্রচলিত কিংবদন্তী এই যে, মানুষ নয় - দেবতারা হলেন সঙ্গীতের স্রষ্টা। সাধারণভাবে সঙ্গীতের ইতিহাসকে পণ্ডিতরা তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করে থাকেন:
[১] প্রাচীনকাল: সময়সীমা আদিকাল থেকে খ্রীষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর প্রারম্ভ পর্যন্ত।
[২] মধ্যকাল: সময়সীমা খ্রীষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী থেকে উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ পর্যন্ত।
[৩] আধুনিককাল: সময়সীমা উনবিংশ শতক থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত।
প্রাচীনকাল:
প্রাচীন কালের মধ্যে তিনটি উপবিভাগ হলো: [ক] বৈদিককাল [খ] সন্দিগ্দ্ধ কাল এবং [গ] ভরতের কাল।
[ক] বৈদিককাল:
আদিকাল থেকে খ্রীষ্টপুর্ব দশম শতক পর্যন্ত এই কালের সময়সীমা ধরা হয়। এই সময় কালে হিন্দুদের প্রসিদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থ "বেদ" রচিত হয় বলেই একে বৈদিককাল আখ্যা দেওয়া হয়। চারি বেদের মধ্যে সামবেদ আদ্যন্ত সঙ্গীতময়। সামবেদের মন্ত্রগুলি সুর করে গাওয়া হত বলে সেগুলিকে বলা হত সামগান। সামগানে তিন প্রকারের স্বর ব্যবহার হতো। সেগুলির নাম হল -স্বরিত, উদাত্ত এবং অনুদাত্ত। উদাত্ত হল উঁচু স্বর, অনুদাত্ত নীচু । কিন্তু স্বরিত সম্পর্কে মতভেদ আছে। বৈদিককালের মধ্যেই সাতটি স্বরের প্রয়োগ দেখা যায়। পণ্ডিতগণের মতে উদাত্ত স্বরের অন্তর্গত ছিল গান্ধার ও নিষাদ, অনুদাত্তের মধ্যে ছিল ঋষভ ও ধৈবত এবং স্বরিতের অন্তর্গত ছিল ষড়জ, মধ্যম ও পঞ্চম। বৈদিক যুগে সাতটি স্বরের নাম ছিল যথাক্রমে – ক্রুষ্ট, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, মন্দ্র ও অতিস্বার্য।
[খ] সন্দিগ্দ্ধ কাল
এই কালের সময়সীমা খ্রীষ্টপুর্ব দশম শতক থেকে খ্রীষ্টীয় প্রথম শতক তৎকালীন সঙ্গীত সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পারা যায়। ছান্দোগ্য এবং বৃহদারণ্যক উপনিষদে সামগানের এবং কয়েকপ্রকার বাদ্যযন্ত্রের উল্ল্যেখ আছে। মহাভারতে সপ্ত স্বর এবং গান্ধার গ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়। রামায়ণে বিভিন্ন প্রকার গীতবাদ্যের কথা রয়েছে। এইগুলি থেকে অনুমান করা যায় যে, এই সময়ে সঙ্গীতকে শাস্ত্র হিসেবে খুব একটা চর্চা করা হোক বা না হোক, দেশে সঙ্গীতের প্রসার ছিল। সম্ভবতঃ এই কালেই সাতটি স্বর - ষড়জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত ও নিষাদ নামে পরিচিত হয়।
[গ] ভরতের কাল:
এই কালের সময়সীমা খ্রীষ্টীয় প্রথম শতক থেকে খ্রীষ্টীয় অষ্টম শতক পর্যন্ত।এইকালেই সর্ব প্রথম তিনস্থান, গ্রাম, বাইশ শ্রুতি, সাত স্বর, অষ্টাদশ জাতি, একুশ মুর্চ্ছনা ইত্যাদির বিবরণ পাওয়া যায়। আমাদের একালে যেমন রাগরাগিণী গাওয়া হয়, সেকালে তেমনি জাতিগানের প্রচলন ছিল। "ভরত নাট্যশাস্ত্র" এই কালের মুখ্য গ্রন্থ।
মধ্য কাল:
এই কালটিকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। [১] পূর্ব-মধ্যকাল এবং [২] উত্তরমধ্যকাল।
পূর্ব-মধ্যকাল:
এই কালের সময়সীমা অষ্টম শতক থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত। শার্ঙ্গদেব রচিত "সঙ্গীত রত্নাকর " এবং জয়দেব কৃত "গীতগোবিন্দম" থেকে জানা যায় যে,আজকাল যেমন রাগালাপ ও রাগ গায়ন প্রচলিত আছে, পূর্বমধ্য কালে তেমনি প্রবন্ধ গায়ন প্রচলিত ছিল। এই জন্য অনেকে এই কালটিকে "প্রবন্ধ" কাল আখ্যা দেন। নবম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে ভারতবর্ষে সঙ্গীতের প্রভূত উন্নতি হয় - মূলতঃ রাজা বাদশা প্রভৃতি ধনী ব্যক্তির উত্সাহে ও বদান্যতায়। এই কালটিকে সঙ্গীতের সুবর্ণযুগ বলা হয়।
একাদশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলমানদের নিয়মিত অভিযান শুরু হয় এবং দ্বাদশ শতকে উত্তর ও মধ্য ভারতের বহু অংশ মুসলমান শাসনাধিকারে আসে। ফলে ভারতের সভ্যতা,সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতের ওপর মুসলমান প্রভাব বিস্তৃত হয়। ক্রমে মূল সঙ্গীতের ধারা থেকে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পৃথক হয়ে যায়। পূর্বমধ্যকালে রচিত নিম্নলিখিত গ্রন্থগুলি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য - [১] সঙ্গীত মকরন্দ (নারদ রচিত) [২] গীতগোবিন্দ [৩] সঙ্গীত রত্নাকর।
উত্তর-মধ্যকাল:
এই কালের সময়সীমা ত্রয়োদশ শতকের প্রারম্ভ থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত। এই সময়ে ফার্সী এবং উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতের মিশ্রিতরূপ প্রসার লাভ করে। এই যুগের অধিকাংশ মুসলমান শাসনকর্তা বিশেষরূপে সঙ্গীত প্রেমিক ছিলেন। তাঁরা নিজ নিজ দরবারে সঙ্গীতকুশলী কলাবন্তগণকে আশ্রয় দিতেন এবং সর্বপ্রকারে সঙ্গীতের শ্রীবৃদ্ধি বিষয়ে উত্সাহ দান করতেন। এইসময়টিকে সঙ্গীতের বিকাশ কাল বলে বর্ণিত করা হয়।
আলাউদ্দিন খিলজির (১২৯৬-১৩১৬) রাজত্বকালে প্রসিদ্ধ সঙ্গীতঞ্জ আমীর খুস্রো আবির্ভূত হন। কথিত আছে যে আমীর খুস্রো বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে তবলা এবং সেতার; রাগের মধ্যে সাজগিরি, সরপদা এবং জিলক প্রভৃতি; গীতের প্রকারভেদের মধ্যে কাওয়ালী ও তারানা; তালের মধ্যে ঝুমরা, সুল তাল, আড়া চৌতাল ইত্যাদি উদ্ভাবন করেছিলেন। পারসিক সঙ্গীতের অনুসরণে তিনি ঠাটের পরিবর্তে মোকাম এর সৃষ্টি করেন এবং রাগগুলিকে ১২টি মোকামে বিভক্ত করেন।
উত্তরমধ্যকালে রচিত সর্বপ্রথম উল্ল্যেখযোগ্য গ্রন্থ হল লোচনকৃত রাগ তরঙ্গিণী। এর রচনাকাল পঞ্চদশ শতকের পূর্বার্ধ বলে অনুমান করা হয়। লোচন রাগসমূহকে বারোটি ঠাটে বর্গীকৃত করেছিলেন। এ-কালের আরেক জন প্রসিদ্ধ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন কল্লীনাথ। ভক্তি আন্দোলন এই সময়েই প্রবল হয়েছিল - ফলে ভজন, কীর্তন প্রভৃতির বিশেষ প্রসার হয়। পঞ্চদশ শতকেই জৌনপুরের সুলতান হুসেন শাহ শর্কী খেয়াল গানের এক নতুন শৈলী প্রবর্তন করেন। হুসেন শাহ কয়েকটি নতুন রাগও সৃষ্টি করেন। এইগুলি হল জৌনপুরী, সিন্ধু ভৈরবী, সিন্ধু, জৌনপুরী তোড়ী এবং শ্যাম রাগের ১২টি প্রকারভেদ।
মোগল সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫) এর রাজত্বকালে ভারতে সঙ্গীতের প্রভূত প্রসার ও উন্নতি সাধিত হয়।এইসময় হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের ওপর ফার্সী প্রভাব গভীর ছিল। "আইন-ই-আকবরী" গ্রন্থে উল্লিখিত আছে যে সম্রাটের দরবারে নায়ক বৈজু, তানতরঙ্গ, গোপাল, তানসেন প্রমুখ ছত্রিশজন সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তানসেনকেই মুখ্য বিবেচনা করা হয়। তানসেনের নামানুসারে তাঁহার বংশীয় গায়কগণ এবং শিষ্য প্রশিষ্যরা 'সেনী ঘরানা' বলে পরিচিত হন। কথিত আছে যে তানসেন দরবারী কানাড়া, মিঞা-কি-সারং, মিঞা-কি-মল্হার, মিঞা-কি-তোড়ী প্রভৃতি রাগ রচনা করেন।তানসেন রচিত অনেকগুলি ধ্রুপদ অদ্যাবধি প্রচলিত আছে।
আকবরের সমকালীন গোয়ালিয়রের রাজা মানসিংহ তোমরের আনুকুল্যে গোয়ালিয়র ঘরানা প্রবর্তিত হয়। তুলসীদাস, সুরদাস, মীরাবাঈ প্রভৃতি ভক্ত কবি সাধক সাধিকাগণের অবদানে লোক সমাজে সঙ্গীতের প্রভূত প্রসারও ঐ একই সময়ে হয়।
প্রসিদ্ধ খেয়াল গায়ক উস্তাদ সলামত আলি খানের (উস্তাদ নজাকত আলি ও উস্তাদ সলামত আলি যুগলে অনেক আসরে গেয়ে গেছেন ভারতে) - বহু যুগ আগের পূর্বপুরুষ মিঞা চাঁদ খান ও নিঞা সুরজ খান প্রতিষ্ঠিত সাম চুরাশী ঘরাণাও আকবরের সময়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বাদশাহী ফরমানে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলার সাম চুরাশি গ্রামটি পান।
সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং সম্রাট শাহজাহান এর দরবারে প্রসিদ্ধ সঙ্গীতজ্ঞরা হলেন বিলাস খাঁ, ছত্তর খাঁ, মকসু খাঁ, দিরঙ্গ খাঁ, তাল খাঁ, জগন্নাথ প্রভৃতিরা। ১৬৫০ খ্রীষ্টাব্দে পণ্ডিত অহোবল 'সঙ্গীত পারিজাত' নামক গ্রন্থ রচনা করেন। অহোবলই প্রথম ব্যক্তি যিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বীণার তারের দৈর্ঘ্য ও আন্দোলনের সাহায্যে নূতনভাবে স্বরস্থান নির্দেশ করেন।
মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭) সঙ্গীতের প্রতি বিরূপ ছিলেন। তবে সঙ্গীতের চর্চা বন্ধ করতে পারেন নি।
মহম্মদ শাহ রঙ্গীলে (১৭১৯-১৭৪৮) সঙ্গীত প্রেমিক শাসক ছিলেন।তাঁর দরবারে প্রসিদ্ধ দুই গায়ক ছিলেন সদারঙ্গ ও অদারঙ্গ। এঁদের রচিত খেয়াল বর্তমান কালেও সুপ্রসিদ্ধ।কথিত আছে যে এইকালে শোরী মিঞা (মতান্তরে গুলাম নবীর পত্নী শোরী) টপ্পা গানের প্রবর্তন করেন। ত্রিবট, গজল, তারানা প্রভৃতি গানের প্রসার এই কালেই হয়।
আধুনিক কাল:
খ্রীষ্টীয় অষ্টাদশ শতকের পর থেকে আধুনিক কালের আরম্ভ। এই কালকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে উনবিংশ শতকের শেষ পর্যন্ত এক ভাগ এবং বিংশ শতকের প্রারম্ভ থেকে বর্তমান পর্যন্ত হল অপরভাগ।
অষ্টাদশ শতকে ভারত ইংরেজদের শাসনাধীন হওয়ার পর শাসকের আগ্রহহীনতার জন্য ভারতের শিল্প-সংস্কৃতি সঙ্গীতকলার প্রসার রূদ্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে কিছু কিছু সঙ্গীত সাধক নিভৃতে সঙ্গীতচর্চা করে ভারতীয় সঙ্গীতের ধারাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছেন। এঁরা সাধারণত নিজেদের পরিবারের লোকদেরই সঙ্গীতশিক্ষা দিতেন - বাইরের কাউকে তালিম দিতে রাজি হতেন না। শাসকশ্রেণীর কাছে স্বীকৃতি না পেয়ে ক্রমে ক্রমে সঙ্গীত কেবলমাত্র প্রমোদের উপকরণে পর্যবসিত হয়ে নর্তকী বাঈজী শ্রেণীর রমণীদের পেশায় পরিণত হল। সাধারণ সমাজে সঙ্গীতচর্চা অবহেলা ও ঘৃণার ব্যাপার হয়ে দাড়ালো। তবুও এই কালে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতচর্চার কিছু পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং সঙ্গীত-বিষয়ক কয়েকখানি পুস্তক রচিত হয়। উনবিংশ শতকের উত্তরার্ধে বাংলাদেশে স্যার সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর 'ইউনিভার্সাল হিষ্ট্রি অব মিউজিক' নামে ইংরেজি ভাষায় একটি পুস্তক রচনা করেছেন। এই পুস্তকে তিনি ভারতীয় রাগ-রাগিণী পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর সঙ্গীত শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয়ও স্থাপন করেছিলেন।
বিংশ শতকের প্রারম্ভে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চাকে পুনরুজ্জীবিত হতে দেখা যায়। পণ্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকর এবং বিষ্ণু নারায়ন ভাতখণ্ডের নাম এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। ভাতখণ্ডে প্রবর্তিত মতবাদই বর্তমানে সমগ্র উত্তরভারতে প্রচলিত। তিনি মোট দশটি ঠাটের মধ্যে সমস্ত রাগগুলিকে বর্গীকৃত করেছেন। ভাতখণ্ডে উদ্ভাবিত স্বরলিপি পদ্ধতি বর্তমানে হিন্দুস্থানী সঙ্গীত জগতে অনুসৃত হয়।
আকাশবাণী ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও এই যুগে সঙ্গীতের প্রসার হয়েছে। আকাশবাণী এক পরীক্ষক সংসদ স্থাপনা করে গায়কদের স্বর পরীক্ষা করে তাঁহাদের শ্রেণী বিভাগ এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণ করার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। সঙ্গীতের প্রসারের জন্য আকাশবাণী প্রতি বছর সঙ্গীত প্রতিযোগীতা এবং সঙ্গীত সম্মেলনের আয়োজনও করে। ভারত সরকার কর্তৃক 'সঙ্গীত নাটক আকাদেমী' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে - যেখানে যোগ্য ছাত্র ছাত্রীকে মাসিক বৃত্তি দেওয়া হয়। জনসাধারণের মধ্যে সঙ্গীত বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়াগ, লখ্নৌ, কানপুর, বারাণসী, মুম্বাই, কলকাতা প্রভৃতি শহরে আজকাল নিয়মিত সঙ্গীত সম্মেলন হয়।
আধুনিক কালে সঙ্গীত শিক্ষা দানের জন্য দেশের নানা স্থানে উচ্চ শ্রেণীর সমিতি ও বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এলাহাবাদের প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতি,লখ্নৌ এর মরিস মিউজিক কলেজ, কানপুরের সঙ্গীত সমাজ, পুনার গন্ধর্ব সঙ্গীত বিদ্যালয়, মুম্বাই এর স্কুল অব ইণ্ডিয়ান মিউজিক, বরোদার স্কুল অব ইণ্ডিয়ান মিউজিক, কলিকাতার মিউজিক কলেজ, গোয়ালিয়রের শঙ্কর সঙ্গীত বিদ্যালয়, মুম্বাই এর ব্যাস সঙ্গীত বিদ্যালয়, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ভারতে সঙ্গীত শিক্ষার কেন্দ্র হিসাবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। ভারতে স্কুল কলেজে পাঠ্যসুচীর মধ্যে সঙ্গীত অন্যতম শিক্ষণীয় বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পাটনা, বারাণসী, আগ্রা, নাগপুর, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, বরোদা, রবীন্দ্রভারতী, বিশ্বভারতী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত পাঠক্রম হিসাবে গৃহীত হয়েছে। সঙ্গীত বিষয়ক পুস্তকাদি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে এবং কিছু পত্র পত্রিকাও সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।