প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিবিধ প্রসঙ্গ - ব্যক্তিগত স্মৃতি -বিস্মৃতি 

জুন ১৫, ২০১৫

 

বিকেলের চিঠি

এলোঝেলো


সুজনদা,

বিকেলবেলাটা আমার বড় প্রিয় -- দিনটাও ফুরোয়নি অথচ দৌড়ঝাঁপ যেন একটু কমেছে --কমেছে রোদের তেজ পৃথিবী তে বেশ একটা স্নিগ্ধ আমেজ আসব আসব করছে --চাঁদের আলোর প্রতীক্ষায় আকাশে একটি দুটি করে তারা দেখা দিচ্ছে-----

জান তো জীবনের বিকেলবেলা এখন আমার --ঠিক এমনই মনে হয়-- র‍্যাট রেসের গতি একটু শ্লথ--সামনের চেয়ে জীবনের পথে হেঁটে আসা পেছনের পথে র দিকে বারে বারে মন চলে যায়-- কত যে টুকরো টাকরা স্মৃতি অভিজ্ঞতা --হাসি কান্না হীরা পান্না---একেবারে জমজমাট !

এরই মধ্যে থেকে মাঝে সাঁঝে কয়েকটি টুকটাক কথা তোমাকে বলে যাব----যেদিন যেমন মনে আসবে ----খুব কারুর সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছে জাগবে --ব্যস্ত জগতে সবার মাঝে আমি তোমার কানটিকেই ধার নিলাম----ঠিক আছে ?!

আচ্ছা বলতো মানুষের স্বভাব হেরিডিটারি না এনভায়রনমেন্ট দ্বারা প্রভাবিত? নাকি ফিফটি ফিফটি---আমার মেয়েবেলাকার শহর পাটনার একটা গল্প বলি শোনো তারপর উত্তর দিও---

ডাক্তার ত্রিলোচন শর্মা শহরের নামী দামী গাইনোকলোজিস্ট। খুবই সুপুরুষ, শান্ত সৌম্য চেহারা, বছর পঞ্চাশের কোঠায় বয়স তখন। - উনি শুধু ভাল ডাক্তারই নন , মানুষটিও দেবতুল্য। স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন নাকি বিয়ের দু বছরের মধ্যেই । আর বিয়ে করেননি উনি , নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন কাজের মাঝে । তবে একলা ছিলেন না, দুটি দত্তক কন্যা ছিল তাঁর। দুটি মেয়েকেই তাদের জন্মের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতাল ফেলে পালিয়ে যায় আর তাদেরই বুকে তুলে নিয়ে মানুষ করছিলেন ডাক্তার শর্মা। বড়টি ছায়া আর তার চেয়ে বছর দশেকের ছোট রোমা, ডাক্তারের দুই মেয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আদরে যত্নে মানুষ হচ্ছিল।

ছায়া শান্ত শিষ্ঠ মেয়ে, মন দিয়ে পড়াশোনা করে বাবার লাইনেই গেছে - ডাক্তারি পড়ে সে জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করে। তবে বিয়েটা বিশেষ ভাল করেনি, মানে ডক্টর শর্মার মনের মতন হয়নি। ছেলেটি সাধারণ গ্রাজুয়েট পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ। ডাক্তারবাবু চেষ্টা করেছিলেন মেয়েকে বোঝাবার। কিন্তু মেয়ের পছন্দের কাছে হার মেনে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে দিয়েছিলেন।
জীবনে কোনো কিছুই পারফেক্ট হয়না কারুরই--ডক্টর শর্মারও প্রবলেম ছিল ছোট মেয়ে রোমা। ছোট্ট থেকেই এই মেয়ে তার দিদির উল্টো --বেপরোয়া স্বভাব, একেবারে বখাটে যাকে বলে তাই --দিনরাত ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াত, তখনকার দিনে মানে সত্তর দশেকে চেন স্মোকার, ড্রিঙ্কও করত - এক কথায় একটি আস্ত বেয়াড়া মেয়ে। লোকে বলত একেই বলে খুন বোলতা হ্যায়-- এ মেয়ে নিশ্চয় কোনো বাজে ঘরের মেয়ে নইলে একই ভাবে মানুষ দুটি মেয়ে একজন এত ভল আর অন্যজন এমন কেন? হেরিডিটিই আসল তাহলে ?!

রোমা আমার সঙ্গে কলেজে ভর্তি হল। পাটনা উইমেন্স কলেজ --মিশনারি কলেজ, ভাল নামী কলেজ আর সেই সঙ্গে ফ্যাশনেরও আড়ত , বেশির ভাগ মেয়ে ইংলিশ মিডিয়্ম স্কুলের, মডার্ন তখনকার দিনের মতন --কিন্তু এই রোমা ছিল একেবারে উৎকট আলট্রা মডার্ন --জামাকাপড় অতি স্বল্প আর চালচলনও বেপরোয়া একগাদা ছেলেদের সঙ্গে ঘুরত আড্ডা মারত, খোলামেলা সিগারেট খেত ---আমরা , ভাল মেয়েরা কেউ ওর ধারে কাছে ঘেঁষতাম না।

তবে ঐ--কোনো কিছুই তো শুধুই খারাপ কিম্বা শুধুই ভাল হয়না --এই রোমা পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল--আর প্রচুর গল্পের বই পড়ত। এই নেশা আমারও ছিল তাই গল্পের বই আদান প্রদানে আমার সঙ্গে কিছুটা ভাব ছিল নইলে কলেজে এমনিতে ওর কেউ বন্ধু ছিলনা। আমিও খুব কমই মিশতাম--কারণ গল্পের বই ছাড়া আর তো কোনো বিষয় মিল ছিলনা আর ওরও দুনিয়ার ছেলেদের সঙ্গে মিশে সময়ও ছিলনা কলেজে মেয়েদের জন্যে।

এরই মধ্যে আমরা বি এ অনার্স পড়া শুরু করলাম -- আমাদের কলেজে শুধু ইংলিশ আর জিওগ্রাফি অনার্স ছিল। বাকি সব অনার্স করতে কো এড পাটনা কলেজে যেতে হত--তা আমি যে কিনা ভাল মেয়ের তকমা আঁটা - সেও কিন্তু ইকনমিক্স অনার্স নিলাম শুধু কো এড কলেজে যাব বলে -- হি হি --ছেলেদের সঙ্গে ক্লাস করব বলে - আমাদের কলেজে মিশনারি নানেরা বড্ড স্ট্রিক্ট ছিল তাই কলেজ লাইফ বড্ড আলুনি লাগত। রোমাও নিলো ইকনমিক্স অনার্স--আর তার তো পোয়া বারো পড়াশোনা ডকে তুলে টোটো কোম্পানি আর ছেলেদের সঙ্গে যথেচ্ছ মেলামেশা- কিন্তু এর মধ্যে একটা ভাল ব্যাপারও হল --ও একটি ছেলের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ হল আর আমরাও ভাবলাম যাক এবার বখাটে পানা কমবে। অবশ্য সে ছেলেও বড়লোকের এক বখাটে ছেলেই --তবু।

কিছুদিন থেকে হাঠাৎ রোমা কেমন একটু মুষড়ে থাকতে লাগল-- চুপচাপ -- কি যেন ভাবে --একদিন আমাকে বলল, জানি তুমি বা এখানে সব ভাল মেয়েরা কেউ আমাকে পছন্দ করনা --কিন্তু আমি অত খারাপ নই যতটা তোমরা ভাব। তোমাদের জানতে ইচ্ছে করেনা কেন আমি এরকম--
আমি তো মনে মনে বলছি ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি--অমন দেবতুল্য বাবা তোমার--অমন ভাল মেয়ে দিদি আর তুমি এরকম কেন আবার--তোমার রক্তের দোষ--অবশ্য মুখে কিছু বললাম না--এড়িয়ে যেতে লাগলাম।
বাড়ি এসে মাকে বললাম যে রোমাটা কেন যে আমার পেছনে ঘুরঘুর করছে --
ওমা মা বলে কি - তো শুনেই দেখনা কি বলতে চায়?
আমি তো থ ! আমার মা যে কিনা দিনরাত টিকটিক করে আমাকে - জিন্সের মধ্যে টিশার্ট গুঁজে পরবে না--আর প্যান্ট পরি তাই বকে --নেহাৎ বাবা দিল্লী গেলে কিনে এনে দেয় বলে পরা হয়।
আর তারপর অনার্স ক্লাসে বাড়ীর গাড়ি, তবু মা পৌঁছে দেয় আবার নিয়ে আসে।
ছেলেগুলো কম পেছনে লাগে তার জন্যে --তবু কাকস্য পরিবেদনা --মা আগলে রাখে।
আর এখন বলছে কিনা - শুনেই দেখো কি বলতে চায় --ঐ রাম বখাটে মেয়ে ---
সত্যি মায়েদের লালন আর তাড়ন দুই বোঝা ভার--

হঠাৎ একদিন সারা শহর স্তব্ধ এক মর্মান্তিক খবর--রোমা নাকি স্লিপিং পিলস খেয়ে সুইসাইড করেছে---শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আহারে কেন একটু শুনলাম না কি বলতে চাইছিল--একটা অন্যায় বোধ ঘিরে ধরল--কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেছে, কি আর করা--

এবার আর এক ঝটকা -- পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে জানা গেছে রোমা নাকি ফাইভ মান্থস প্রেগনেন্ট ছিল!! ব্যাস আমার আহা বোধ নিমেষে উধাও-- বাপরে সেই সত্তর দশকে এহেন মেয়ে তো প্লেগের মতন এড়িয়ে চলার জিনিষ। লোকেরাও বলতে লাগল এইরকম বখাটে মেয়েদের এমনই হয়। সবাই ডাক্তার শর্মাকে সান্ত্বনা দিল সেই একই কথা বলে -
রক্তের দোষ --নইলে আপনি তো কোনো চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি।
প্রমাণিত--হেরিডিটি প্রিভেলস!

না এখনও শেষ হয় নি। এবার ফাইনাল ঝটকা---

শহরে তখন আমাদের আইজি পুলিশ বাঙালী ভদ্রলোক, আমার বাবা মারও ভাল বন্ধু আর ডক্টর শর্মারও--- ওনার কাছে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি এলো --রোমার। খামের মধ্যে একটা লকারের চাবি ও অনুরোধ আইজি আঙ্কল যেন প্লিজ লকার থেকে রোমার ডায়রি টা নিয়ে পড়েন---

রোমার ডায়রি---

-----আমি এক অনাথ মেয়ে , জন্ম থেকেই আনলাকি তাই না জন্মের পার নিজের মা ও ফেলে দিয়েছিল ?! কুকুর বেড়ালও নিজের বাচ্চাকে আগলে রাখে আর কিনা আস্ত মানুষ যাদের নাকি বিবেক আছে --আমাকে জন্মের পর ফেলে দিল --হায়!

সেই হাসপাতালের শক্ত সিঁড়ি থেকে একেবারে গিয়ে স্থান পেলাম শহরের ভগবান ডাক্তার শর্মার কাছে -- তাঁর দত্তক কন্যা ! সারা শহর ধন্যি ধন্যি করল আমার সৌভাগ্য আর ডাক্তারের উদারতায় । দিদি ছায়া আমার চেয়ে দশ বছরের বড় , খুব ভালবাসে আমায় । বড় শান্ত লক্ষ্মী মেয়ে -লড়াকু নয় কিম্বা তার লড়াইটা অন্য ধরণের ছিল। কেন লড়াই? কিসের লড়াই?

আমরা দুটি অনাথ মেয়ে স্বর্গে নয় নরকে থাকতাম কিন্তু এই শহরে ভগবান ডাক্তারের বিরুদ্ধে বলা কোনও কথা কে বিশ্বাস করবে? আর তাও কিনা দুই মেয়ে যাদের বাপমায়ের ঠিকানা নেই --কলঙ্কের ফসল --রক্তের দোষ তো অবশ্যই আছে ! হেরিডিটি যে কি অকাট্য তারই প্রমাণ পাবে সমাজ যদি এই দুটি কলঙ্কিনী এত সুস্থ এনভায়রমেন্টে থেকে ও এমন নোংরা কথা বলে --ডাস্টবিন থকে এসেছে সেখানেই তাদের জায়গা--সমাজ এই রায় দিতে একটুও দেরী করবেনা-----

আইজি আঙ্কল, তবু আজ আমি বলব আমাদের কথা--বিশ্বাস কে কি করল আর তাতে আমার কোনো ভয় নেই-কারণ আপনি যখন এটা পড়বেন তখন আমি সব কিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছি।

প্রথমে ছায়া ছিল ডাক্তারের কদর্য খেলার পুতুল আর তার পর আমি !প্রথমে আতঙ্ক আর পরে ঘেন্না নিয়ে বড় হয়েছি --ছোট থেকে । ছায়া কোনওমতে যাকে পেল তাকে বিয়ে করে মুক্তি পেল নরক থেকে -- জিজু ও অনাথ তবে তার দূর সম্পর্কের মামার কাছে মানুষ--আদরে না হলেও সুস্থ ভাবে।

ছায়া আমাকেও তাই বলত--মুক্তির পথ হল বিয়ে করে বেরিয়ে যাওয়া--কষ্ট করে লেখা পড়া শিখে নিজের পা শক্ত করে নিয়ে বিয়ে করে বেরিয়ে যা। কিন্তু আমি মুখ বুজে দিনের পর দিন এই কদর্যতা মানতে পারতাম না। আমি খারাপ হয়ে গেলাম --কোনও ভাল মেয়ে আমার বন্ধু হতনা-- এক এক সময় মনে হত এই গ্লানির জীবন শেষ করে দিই।

এর ই মধ্যে আমার আলাপ হল সুরেশের সঙ্গে --এক ক্লাসে পড়ি--সে আমাকে ভালবাসল আমিও ভালবেসে ফেললাম। এই প্রথম যেন এক অদ্ভুত আনন্দে মন ভরে উঠল --কিন্তু ওকে কিছুতেই ভয়ে বলতে পারতাম না সব কথা --যদি আমাকে ছেড়ে দেয় ঘেন্নায়। সুরেশ ও কিছু গুডি গুডি বয় নয় হা হা সেও আমার মতন বখাটে কিন্তু বাবা মার সমাজে ইজ্জত আছে । আমরা ঠিক করলাম পাশ করেই দুজনে বিয়ে করব।

আমদের মেলামেশা যথেষ্ট এগিয়ে গেল। দুজনেই আমরা বেপরোয়া স্বভাবের। এদিকে কিন্তু ভগবানের অত্যাচার ও বন্ধ হয়নি আমার ওপর--সেই ডিটেলস আমার বলতেও ঘেন্না --কিন্তু সেই নরক আমার চালু ছিল--বেরোবার উপায় ছিলনা। তবু টানেলের শেষে একটু করে আলোর আভাষ পাচ্ছিলাম --গ্রাজুয়েট হয়েই দুজনে বিয়ে করে ঘর বাঁধব --মুক্তি পাব ছায়ার মতন আমিও।

কিন্তু আমি যে আনলাকি কুইন ! হঠাৎ আবিষ্কার করলাম আমি প্রেগন্যান্ট । মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল । ভয় কাউকে কিছু বলতে পারছিনা এই করে তিনমাসের ওপর কেটে গেল। শেষে সাহস করে সুরেশকে বলেই ফেললাম আমি প্রেগন্যান্ট। সে বলল , এখন চল abortion করিয়ে নাও কারণ আমরা দুজনেই স্টুডেন্ট --পাশ করে চাকরি না করে এত রেসপন্সিবিলিটি নেয়া যাবেনা।

তাই ঠিক হল। দুজনে এক ডাক্তারের কাছে গেলাম Abortion করাতে--হা হা আনলাকি কুইনের আবার মাৎ ! ডাক্তার বলল দেরী হয়ে গেছে --লাইফ রিস্ক হয়ে যাবে। আমি তবুও রাজি কিন্তু সুরেশ বলল
না--আমরা এখনই বিয়ে করব কারণ আমরা দুজনেই দায়ী তবে কেন অমার জীবনের রিস্ক নেয়া হবে --তার বাবা মাকে রাজি করিয়ে নেবে সে --

হায় আপনি ভাবছেন তো আঙ্কল বাহ! কি লাকি আমি কত ভাল ছেলে এই সুরেশ--হ্যাঁ সেখানেই তো বিপদ! আমি তো মরমে মরে যাচ্ছি আমি তো জানিনা এই বাচ্চা কার সুরেশের না ভগবানের?! এই পাপ আমি কিছুতেই সুরেশের ঘাড়ে চাপাতে পারবনা। ওকে বলার সাহস নেই -- যদি ও বলে তবুও আমাকে বিয়ে করবে --এই বাচ্চা কে নিজের নাম দেবে? কিম্বা হয়ত এবার ঘেন্নায় আমাকে ছেড়ে দেবে?
দুই আমার কাছে মৃত্যুর ই সমান --
তাই ঠিক করলাম এখানেই শেষ হোক এই আনলাকি জীবন আর এই পাপের বীজ--

আপনাকে সব বললাম--এই যে আপনি আমার পুরি কাহানী শুনলেন বিশ্বাস করতে পারলেন কি? বা করলেও কি আপনি শহরের রহিস ভগবান ডাক্তারের কিছু করতে পারবেন --কোনো শাস্তি ?
নাহ তার আর দরকারও নেই---সুরেশ আস্তে আস্তে আমাকে ভুলে যাবে --আমার জীবন তো শেষই --এই কথা চাপাই থাকুক --ছায়ার জীবন শান্তিতে কাটুক --আমি চাইনা এই নোংরা র ছিটে তার জীবনে লাগুক। আমি শুধু চাইছি অন্তত একজনও সত্যিটা জানুক --একজনও মনে মনে বলুক
আহারে রোমা ! ব্যাস!

এর কিছুদিনের মধ্যে ডক্টর শর্মা চাটি বাটি তুলে পাটনা ছেড়ে কোথাও বিদেশে চলে গেলেন। হাতে গোনা কিছু লোক শুধু জানল এই গল্প--তারপর আবার সব চলতে লাগল যেমন চলছিল ---ধীরে ধীরে রোমা এপিসোড ফেড করে গেল ---নতুন ঘটনারা গল্পেরা শুরু হল.

আজ জীবনের এই বিকেলবেলায় আমি বসে ভাবি --আমার কি উচিৎ ছিলনা ওর কথা শোনা--হয়ত কিছু হেল্প করতে পারতাম --কিন্তু কে জানে পারতাম কি? আমরা বড্ড তাড়াতাড়ি অন্যকে জাজ করে ফেলি --রায় দিয়ে দিই বিচারকের আসনে বসে --হেরিডিটি এনভায়ারমেন্টের তর্কের ঝড় তুলি! তবে হয়ত আজকের মতন যদি তখন মিডিয়া রাজত্ব স্ট্রং হত তাহলে হয়ত বা ডাক্তারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠত রোমা হয়ত কিছুটা বিচার পেত--কিম্বা কে জানে সনাতন প্রশ্ন তো

দুনিয়াটা কার বশ - উত্তর আজও ঐ প্রশ্নের মধ্যেই - দুনিয়া টাকার বশ

পাটনাইয়া ভাষায় - জিসকি লাঠি উসকি ভৈঁষ!

 


লেখক পরিচিতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে থাকেন। কর্মজীবনে ফাইনান্সের সংখ্যা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, কিন্তু শব্দরা টানে ... মন তাই অবসর পেলেই তাদের নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করতে ভালোবাসে।

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.

 


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।