প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি (১৮৯৩ - ১৯৭৮)

বাংলা সিনেমা জগতের অন্যতম পথিকৃত্ বীরেন্দ্রনাথ সরকারকে সবাই চিনতেন বি এন সরকার হিসাবে, আরেক পথিকৃৎ ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলির বেলায় পদবিটিও বাদ পড়েছিল, সবাই ডিজি বলেই এক ডাকে ওঁকে চিনতেন। জুবিলী আর্ট অ্যাকাডেমী ও গভর্নমেণ্ট আর্ট কলেজে ছবি আঁকা শিখেছিলেন ডিজি। কিন্তু উত্সাহ ছিল অভিনয়ে ও ফটো তোলাতে। রসিক ছিলেন - ব্যাঙ্গবোধ ছিল তীক্ষ্ণ - নিজের আঁকা ছবিতে তো বটেই, পরে তাঁর প্রযোজিত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও তা প্রকাশ পেয়েছে। কিছুদিন হায়দ্রাবাদে নিজাম আর্ট কলেজে পড়িয়েছিলেন। তারপর ফিরে আসেন কলকাতাতে। নীতিশ লাহিড়ি আর ক্যামেরাম্যান জ্যোতিষ সরকারের সঙ্গে জুড়ি বেঁধে ইন্দো-ব্রিটিশ ফিল্ম কোম্পানী চালু করেন। সেই কোম্পানী থেকেই ১৯২১ সালে বেরোয় বিদ্রুপাত্মক সামাজিক ছবি 'বিলাত্ ফেরত্' (ভারতীয় চলচ্চিত্রের সময়রেখা দেখুন)। (পরে আরও দুটি মজার ছোট ছবি ডিজি তৈরী করেছিলেন লেডি টিচার এবং ম্যারেজ টনিক)। কিন্তু ইন্দো-ব্রিটিশ কোম্পানী বেশিদিন চলল না। যশোদানন্দন এবং সাধু কি শয়তান - দুটি ছবি করার পর কোম্পানী বন্ধ হয়ে গেল। পরে ডিজি দ্য ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন ফিল্মস লিমিটেড বলে আরেকটি কোম্পানী খোলেন। সেখানে প্রমথেশ বড়ুয়া ছিলেন অন্যতম প্রযোজক। সেই কোম্পানীর নামেই 'টাকায় কি না হয়', 'নটি বয়', 'পঞ্চশর', 'মরণের পরে', 'চরিত্রহীন', ইত্যাদি ছবি মুক্তি পায়। দুর্ভাগ্যবশতঃ ওঁর দ্বিতীয় কোম্পানীটাও আর্থিক সংকটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। 'পঞ্চশর' ছবিতে প্রমথেশ বড়ুয়া একটি ছোট পার্ট নিয়ে সিনেমার অভিনয় করা শুরু করেন। প্রমথেশ বড়ুয়া ছাড়া আরেকজন অসামান্য প্রতিভাধর পরিচালককে ডিজি আবিষ্কার করেছিলেন - তিনি হলেন দেবকী কুমার বসু।


Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।