প্রথম পাতা


পরিবেশ


বিজ্ঞান


স্বাস্থ্য


ছোটদের বই

ছোটদের ছড়া

ছোটদের গল্প

নিজেদের পাতা


 


সৌরজগতের উপগ্রহ বা চাঁদেরা


আমাদের এই সৌরজগতে ৯ টি গ্রহের সঙ্গে রয়েছে অজস্র উপগ্রহ বা চাঁদ। উপগ্রহগুলিও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে কিন্তু, আর সেই সঙ্গে প্রদক্ষিণ করে একটি গ্রহকে। এই অজস্র চাঁদের মধ্যে যেগুলি বিখ্যাত, তাদের এইখানে বর্ণনা করা হল।


পৃথিবীর চাঁদ

চাঁদ (Moon)
পৃথিবীর চাঁদ এক সময়ে যেরকম রহস্যজনক ছিল এখন আর তা নেই। মানুষের তৈরি ৭০ টি আকাশযান চাঁদে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। এই লেখাটির সময়ে ১২ জন অ্যাস্ট্রোনট চাঁদের উপর হেঁটে এসেছেন। প্রায় ৮৪২ পাউণ্ড পাথর চাঁদ থেকে সংরহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস চাঁদ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন অর্থাত্ ৪৫০ কোটি বছর আগে। সম্ভবতঃ মঙ্গলগ্রহের মত বড় কোনো বস্তু এসে পৃথিবীকে আঘাত করে চলে যায়। সেই প্রচণ্ড সংঘাতে পৃথিবী আর সেই বস্তু থেকে উত্ক্ষিপ্ত বস্তু থেকেই সৃষ্টি হয়েছে আমাদের চাঁদ। চাঁদ যখন সৃষ্টি হয় তখন বাইরের স্তর অত্যাধিক উষ্ণতায় গলে গিয়ে একটি সুকঠিন ভূত্বকের সৃষ্টি করে।

গড়ে ৩৮৪,৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। চাঁদের ব্যাস হল ৩৪৭৪.৮ কিলোমিটার; ভর ৭৩.৪৮৩ x ১০২১ কিলোগ্রাম।


মঙ্গলের চাঁদ:

মঙ্গল গ্রহের দুটি চাঁদ - ফোবোস আর ডিমোস।

ফোবোস (Phobos):
মঙ্গলের দুটি চাঁদের মধ্যে ফোবোস হচ্ছে বড়। তবে ফোবোসও একটি ক্ষুদ্র চাঁদ - মাত্র ২২.২ কিলোমিটার চওড়া আর ভর হল ১.০৮ x ১০১৬ কিলোগ্রাম। পাথুরে এই চাঁদে প্রচুর পরিমানে লোহা আছে। চাঁদের ভূমিতল খাদ-খন্দে ভরা। গড়ে ৯০০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৮৭৭ সালে অসফ হল (াসঅপহ বঅলল)@ এটি আবিষ্কার করেন ।

ডিমস (Deimos):
মঙ্গলের দুটি চাঁদের মধ্যে ডিমস হচ্ছে ছোট। এই ক্ষুদ্র চাঁদ মাত্র ১২.৬ কিলোমিটার চওড়া আর ভর হল ১.৮০ x ১০১৫ কিলোগ্রাম। পাথুরে এই চাঁদেও প্রচুর পরিমানে লোহা আছে। চাঁদের ভূমিতল ফোবোস-এর মতই খাদ-খন্দে ভরা। ২৩,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৮৭৭ সালে অসফ হল (াসঅপহ বঅলল)@ এটি আবিষ্কার করেন ।


বৃহস্পতির চাঁদ:
বৃহস্পতির ৬৩টি চাঁদ বা উপগ্রহ। নিচে তাদের কয়েকটি বর্ণনা করা হল।

গ্যানিমিড
বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় চাঁদ। এটা প্রায় ৫,২৬৮ কিলোমিটার ব্যাসের শীতল উপগ্রহ। নানা মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে এর ভূমিতল অসমান - গর্ত ও ফাটলে পরিপূর্ণ। বৃহস্পতি থেকে ১,০৭০,০০০ কিলোমিটার গড় দূরত্ব বজায় রেখে এটি ১৭১.৭৫ ঘণ্টায় বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ভর ১.৪৮ x ১০২৩ কিলোগ্রাম। গ্যানিমিড সৌরজগতের সবচেয়ে বড় চাঁদ। আয়তনে এটি প্লুটো ও বুধের থেকে বড়। ১৬১০ সালে গ্যালিলিও এবং মরিয়াস দুজনে স্বতন্ত্রভাবে এটি আবিষ্কার করেন।


আয়ো
বৃহস্পতির বড় চাঁদগুলির মধ্যে অন্যতম হল আয়ো। এটি পাথুরে ও আগ্নেয়গিরি পূর্ণ। এর আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে গলিত গন্ধক বা সালফার (sulfur) বেরোয় বলে এটি দেখতে রঙিন জ্বলজ্বলে। আয়তনে এটি বৃহ্রপতির তৃতীয় বৃহত্ চাঁদ। এর ব্যাস ৩,৬৩৬ কিলোমিটার - আমাদের চাঁদের খুব কাছাকাছি। বৃহস্পতির থেকে ৪২২,০০০ কিলোমিটার গড় দূরত্ব বজায় রেখে ১.৭৭ দিনে এটি বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করছে। আয়োর ভর ৮.৯৩ x ১০২২ কিলোগ্রাম। গ্যালিলিও ও মারিয়াস দুজনে স্বতন্ত্রভাবে এটি আবিষ্কার করেন ১৬১০ সালে।


ইউরোপা (Europa)
শীতল ও জমাট এই উপগ্রহটি বৃহস্পতির অন্যতম বড় চাঁদ। সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের মধ্যে ইউরোপার ভূমিতল হচ্ছে সবচেয়ে মসৃণ। জমাট বরফে (যার মধ্যে সালফিউরিক অ্যাসিডও জমে আছে) ঢাকা এই চাঁদে লম্বা লম্বা কাটাকুটির ছকের মত দাগ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এতে খনিত স্থান বা গর্ত নেই বললেই চলে। ইউরোপা ব্যাসে প্রায় ৩,১৩৮ কিলো মিটারের, আমাদের চাঁদের থেকে ছোট। গড়ে ৬৭০,৯০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি বৃহস্পতিকে ৩.৫৫ দিনে প্রদক্ষিণ করে। এর ভর হল ৪.৮০ x ১০২২ কিলোগ্রাম। গ্যালিলিও ও মারিয়াস দুজনে স্বতন্ত্রভাবে এটি আবিষ্কার করেন ১৬১০ সালে।


ক্যাল্লিস্টো (Callisto)
ক্যাল্লিস্টো হল একটি শীতল কালচে চাঁদ যার ভূমিতল মহাজাগতিক নানান বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে অসমান এবং খাদ-খন্দে ভরা। এর ব্যাস প্রায় ৪৮০০ কিলোমিটার এবং এটিই বৃহস্পতির দ্বিতীয় বৃহৎ চাঁদ। আকারে এটি প্রায় বুধের সমান। সৌরজগতের সবচেয়ে বড় খাদ, যার নাম ভালহল্লা, এই উপগ্রহটিতে রয়েছে। এটি চওড়ায় প্রায় ৬০০ কিলোমিটার আর লম্বায় প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার। ক্যাল্লিস্টো ১,৮৮৩,০০০ কিলোমিটার গড় দূরত্ব বজায় রেখে বৃহস্পতিকে ৪০০.৮ ঘণ্টা বা ১৬.৭ দিনে প্রদক্ষিণ করে। এর ভর হল ১.০৮ x ১০২৩ কিলোগ্রাম। গ্যালিলিও ও মারিয়াস দুজনে স্বতন্ত্রভাবে এটি আবিষ্কার করেন ১৬১০ সালে।


মেটিস (Metis)
মেটিস হল বৃহস্পতির সবচেয়ে নিকটবর্তী চাঁদ। এটি আকারে ছোট (ব্যাস মাত্র ৪০ কিলোমিটার)। গড় দূরত্ব ১২৮,০০০ কিলোমিটার রেখে মেটিস ৭ ঘণ্টা ৪ মিনিট ২৯ সেকেণ্ড বা ০.২৯৪৭৮ দিনে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করে। এটির ভর হল ৯ x ১০১৬ কিলোগ্রাম। ১৯৮০ সালে এটি আবিষ্কার করেন স্টিফেন সিনট ( Stephen Synnott) ভয়জার ২ মহাকাশ যাত্রায়।


অ্যাড্রাস্টিয়া (Adrastea)
দূরত্বের দিক থেকে বৃহস্পতির দ্বিতীয় নিকটতম চাঁদ। অ্যাড্রাস্টিয়া ব্যাস হল মাত্র ২০ কিলোমিটার। গড় দূরত্ব ১২৯,০০০ কিলোমিটার বজায় রেখে অ্যাড্রাস্টিয়া ৭ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৩০ সেকেণ্ড বা ০.২৯৮২৬ দিনে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করে। এটির ভর হল ১.৯১ x ১০১৬ কিলোগ্রাম। ১৯৭৯ সালে এটি আবিষ্কার করেন ডি. জেুইট এবং ই. ড্যানিয়েলসন (D. Jewitt ও F E. Danielsonও ) ভয়জার ২ মহাকাশ যাত্রায় ।ভয়জার ২ মহাকাশ যাত্রায়।


অ্যামালথিয়া (Amalthea)
অ্যামালথিয়া বৃহস্পতির তৃতীয় নিকটবর্তী চাঁদ এবং সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের মধ্যে এর রঙ হল সবচেয়ে লাল। অ্যামালথিয়া সূর্যের থেকে যে তাপ নেয় তার থেকে বেশি বাইরে ফিরিয়ে দেয়। এটি আকারে গোলাকার নয় - লম্বায় ২৩২ কিলোমিটার, চওড়ায় ১৪৬ কিলোমিটার এবং ঘনত্বে ১৩৪ কিলোমিটার। ১৮১,৩০০ কিলোমিটার গড় দূরত্ব বজায় রেখে অ্যামালথিয়া ১১ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ২৩ সেকেণ্ড বা .৪৯৮১৭৯০৫ দিনে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করে। এর ভর হল ৭.২ x ১০২১ কিলোগ্রাম। ১৮৯২ সালে এমার্সন এডওয়ার্ড বার্নার্ড (Edward Emerson Barnard) এটি আবিষ্কার করেন।


শনির চাঁদ:
শনির চাঁদের সংখ্যা বহু। ২০০৪ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত ৩৩টি আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়া আছে কণাময় বলয়। শনির বৃহত্তম চাঁদ হল টাইটান। নিচে টাইটান ও শনির আরও কয়েকটি চাঁদের কথা বলা হয়েছে।


টাইটান (Titan)
শনির সবচেয়ে বড় চাঁদ আর সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ (বৃহস্পতির গ্যানিমিড হল বৃহত্তম)। ২,৫৭৫ কিলোমিটার ব্যাসের টাইটান আকারে বুধ ও প্লুটো থেকে বড়। এর বায়ুমণ্ডল মূলতঃ নাইট্রোজেন ও মিথেনে পূর্ণ। বায়ুচাপ পৃথিবীর বায়ুচাপের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। মিথেনের মেঘে এই চাঁদের আকাশ প্রায় ঢাকা থাকে। সম্ভবতঃ তরল মিথেনের বৃষ্টিপাতও হয়। ভূমির তাপমান অতি শীতল - ১৭৮ ডিগ্রি সেণ্টিগ্রেড। শনির থেকে ১,২২১,৮৩০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে টাইটান শনিকে ১৫.৯ দিনে প্রদক্ষিণ করে। ভর ১.৩৪৫৫ x ১০২৩ কিলোগ্রাম।

এনসেলেডাস (Enceladus)
উজ্জ্বল মসৃণ ভূমিতলযুক্ত এই চাঁদটি সূর্যরশ্মির প্রায় পুরোটাই প্রতিফলিত করে। এটি খুবই শীতল চাঁদ - ভূমিতলের তাপমান -২০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভূমিতলের বৈচিত্র্য আছে - কোথাও খাদে ভর্তি, কোথাও সমভূমি, কোথাও সুসমভাবে উঁচুনিচু, ইত্যাদি। ব্যাস সব দিকে সমান নয় - তবে মোটামুটি ২৪৪.৬ থেকে ২৫৬ কিলোমিটারের মধ্যে। ভর ৭ x ১০১৯ কিলোগ্রাম। ২৩৮,০২০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি শনির চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রদক্ষিণ করার সময় ১.৩৭ দিন। উইলিয়াম হার্শেল ১৭৮৯ সালে এটি আবিষ্কার করেন।

রিয়া (Rhea)
শীতল চাঁদ। বায়ুমণ্ডলহীন রিয়াতে বিস্তীর্ণ সমভূমি ও উমচুনিচু খাদ-খন্দে ভরা জায়গা দুইই রয়েছে। এই উপগ্রহের ঘনত্ব প্রতি ঘন-সেণ্টিমিটারে ১.৩৩ গ্রাম। তাই অনুমান করা হয় যে, এর ছোট্ট পাথুরে অভ্যন্তর অনেক পরিমান বরফে আচ্ছাদিত। ৭৬৪ কিলোমিটার ব্যাসের এই চাঁদের ভর ২.৩১ x ১০২১ কিলোগ্রাম। ৫২৭,০৪০ কিলোমিটার গড় দূরত্ব বজায় রেখে এটি শনির চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে সময় লাগছে ৪.৫২ দিন। জি.ডি ক্যাসিনি (G.D. Cassini) এটি আবিষ্কার করেন ১৬৭২ সালে।

ডায়নি (Dione)
ডায়নির ভূমিতল কোথাও সমান, কোথাও বন্ধìর। একাধিক ১০০ কিলোমিটার চওড়া গর্ত এই চাঁদে চোখে পড়ে। সমভূমির কিছু কিছু জায়গার উপাদান উজ্জ্বল। এর ঘনত্ব প্রতি ঘন সেণ্টিমিটারে ১.৪৩ গ্রাম - শনির চাঁদগুলির মধ্যে এটির ঘনত্বই সর্বোচ্চ। সুতরাং মনে করা হয় এর অভ্যন্তরের বেশির ভাগই হচ্ছে পাথরের। ডায়নির ব্যাস হল ৫৬০ কিলোমিটার। ভর ১.১০ x ১০২১ কিলোগ্রাম। ৩৭৭,৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি শনিকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে ২.৭৪ দিন। ১৬৮৪ খ্রীষ্টাব্দে জি.ডি ক্যাসিনি (G.D. Cassini) এটি আবিষ্কার করেন।

টেথিস (Tethys)
নানা খন্দ ও ফাটল পূর্ণ শীতল চাঁদ। এর একটি খাল, যেটি ইথাকা চ্যাসমা নামে পরিচিত, প্রায় ৬৫ কিলোমিটার চওড়া এবং বিস্তারে চাঁদের তিন চতুর্থাংশ ঘিরে রয়েছে। এই চাঁদের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেণ্টিমিটারে ১.২১ গ্রাম। তাই মনে করা হয় এর অভ্যন্তরে পাথরের পরিমান অল্পই আছে - মূলতঃ জল ও বরফে পূর্ণ। বাইরের ভূমিতলের তাপমান - ১৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্যাস সব জায়গায় সমান নয়, মোটামুটি ভাবে ৫২৬ কিলোমিটার থেকে ৫৩৫.৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ভর ৬.২৭ x ১০২০ কিলোগ্রাম। ১৬৮৪ খ্রীষ্টাব্দে জি.ডি ক্যাসিনি (G.D. Cassini) এটি আবিষ্কার করেন।


নেপচুনের চাঁদ:
নেপচুনের চাঁদের সংখ্যা ৮ । নিচে তাদের মধ্যে দুটি চাঁদের কথা বলা হয়েছে।

ট্রাইটন (Triton)
নেপচুনের সবচেয়ে বড় চাঁদ। এর ব্যাস হল ২৭০০ কিলোমিটার। ইংল্যাণ্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম ল্যাসসেল ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে এটিকে আবিষ্কার করেন। ট্রাইটন এই সৌরজগতের সবচেয়ে ঠাণ্ডা বস্তু। এর তাপমান - ২৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বায়ুমণ্ডল প্রায় নেই বললেই চলে। জমাট নাইট্রোজেনের বরফের গুঁড়ো এর আকাশে মেঘের মত ভেসে থাকে। ট্রাইটানের ঘনত্ব প্রতি ঘন সেণ্টিমিটারে ২.০৬৬ গ্রাম। এর অর্থ ট্রাইটনে অভ্যন্তরে পাথরের পরিমান প্রচুর। ভর ২.১৪ x ১০২২ কিলোগ্রাম। ৩৫৪,৭৬০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এটি নেপচুনকে প্রদক্ষিণ করছে। নেপচুন যেদিকে ঘুরছে - ট্রাইটন তার উল্টোদিকে ঘুরছে; এই সৌরজগতে কোনও বড় চাঁদই এইভাবে ঘোরে না।


প্রোটিয়াস (Proteus)
সৌরজগতের অন্যতম অন্ধকার চাঁদ। সূর্য রশ্মির মাত্র ছয় শতাংশ এটি প্রতিফলিত করে। প্রটিয়াসের আকৃতি গোল নয়; বিষুব অঞ্চলে এটি লম্বায় ৪৩৬ কিলোমিটার, চওড়ায় ৪১৬ কিলোমিটার এবং ঘন দিকে ৪০২ কিলোমিটার। এর ভর ৮ x ১০১৭ কিলোগ্রাম। প্রোটিয়াস ১১৭,৬৫০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে নেপচুনকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ২৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। পৃথিবী থেকে এটি আবিষ্কৃত হয় নি, কারণ এটি নেপচুনের এত কাছে যে তার আলোর ছটায় এর অস্তিত্ব লুপ্ত হয়েছিল। ভয়জার ২-র মহাকাশ যাত্রার ফলে এর সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।

সূত্র: নাসা (NASA) ওয়েবসাইটের তথ্য ও ছবি।



Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।