প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।


বিশেষ বিজ্ঞান সংখ্যা

বিশেষ বিজ্ঞান সংখ্যা - পনেরোই এপ্রিল ২০১৭

 

জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর তিনটি বই

ঋজু গাঙ্গুলী



গাছ কেটে আর হাইরাইজ তুলে আমরা শহরটা বরবাদ করে দিয়েছি ঠিকই, তবে ঘাড়ের ব্যায়াম হিসেবেই মাথাটা একটু ওপর দিকে তুললে ঠাসাঠাসি বাক্সবাড়ি ছাপিয়ে আমাদের চোখে পড়ে অনন্ত আকাশ।

আই.পি.এল, লেটেস্ট গসিপ, মাকু/তিলে-বনাম-চাড্ডি বিতর্ক: এসব কিছুক্ষণের জন্য পেছনে সরে যায় তখনই।

খুব জানতে ইচ্ছে করে, ওই চাঁদোয়ার পরে ঠিক কী আছে? রাতের আকাশে যে তারাগুলো ধুলো আর ধোঁয়ায় বিবর্ণ আকাশেও নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়, তারা কত দূরে আছে? এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঠিক কতটা পুরোনো? মঙ্গলে, বা পৃথিবী বাদে সৌরজগতের অন্য কোনোখানে কি প্রাণের সন্ধান পাওয়া সম্ভব?

কিন্তু এই ‘অন্যরকম’ মনটাকে জীবিত রাখা তখনই সম্ভব যদি আপনি প্রশ্নগুলোর উত্তর পান সহজ ভাষায়।

নিজের ভাষায়।

নামজাদা বাংলা সাহিত্যপত্রে প্রকাশিত দুর্বোধ্য এবং আত্মগর্বে ডগমগ নিবন্ধ, গরুকে খাওয়ালে সে দুধের বদলে দই দেবে এমন বাংলা পাঠ্যপুস্তক, আর নোটবই বেচে মালামাল হওয়া প্রকাশনীজাত সহায়িকা পড়ে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আপনার প্রতিক্রিয়া যা হবে তা এই সর্বজনপাঠ্য ওয়েবজিনে প্রকাশ করতে গেলে তারকাচিহ্নের অত্যধিক প্রয়োগ ঘটে যাবে। তাই সে চেষ্টাই করছিনা।

বরং এটা বলার চেষ্টা করছি যে এই আকালেও, যেখানে কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে বিজ্ঞানের দুরূহতম তত্ত্বকে আপামর পাঠকের কাছে আনতে সচেষ্ট নারায়ণ সান্যাল, সংকর্ষণ রায়, সমরজিৎ কর, এবং দিলীপ রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা অবহেলিত, অন্তত কিছু মানুষ বাংলা ভাষায়, তথ্য ও তত্ত্বের ক্ষেত্রে কোনো রকম আপোষ না করে, বরং পাঠকের বুদ্ধিমত্তাকে পূর্ণ সম্মান দিয়ে আকাশের রহস্যকে আমাদের কাছে তুলে ধরার সারস্বত সাধনা অব্যাহত রেখেছেন।

প্রথমে লিখি নবীন লেখক অরুণাভ চক্রবর্তীর দু’খণ্ডে প্রকাশিত ম্যাগনাম ওপাস “মহাবিশ্বের বিস্ময়” নিয়ে।

বইয়ের নাম: “মহাবিশ্বের বিস্ময়” প্রথম খণ্ড
আলোচ্য সংস্করণ: দে’জ থেকে জানুয়ারি ২০১২-য় প্রকাশিত
হার্ডকভার, ৩১৮ পৃষ্ঠা, ৩৫০/- টাকা

সূচিপত্র:
  • মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
  • নক্ষত্র ও তাদের জীবনচক্র
  • ব্রহ্মাণ্ডের কড়চা
  • ছায়াপথের জগৎ
  • আমাদের জগৎ সৌরজগৎ
  • সূর্যের কথা
  • দেবতাদের দূত বুধ
  • সৌন্দর্যের দেবী শুক্র
  • জন্মভূমি পৃথিবী
  • পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ
  • পারিভাষিক অভিধান, সহায়ক গ্রন্থাবলি, এবং বর্ণানুক্রমিক সূচি

‘প্রথম সংস্করণের ভূমিকা’-তে লেখক একেবারে প্রথমেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, “আমরা পৃথিবীর মানুষেরা কোথা থেকে এসেছি?” এই খণ্ডটি জুড়ে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লেখক এই উত্তরের সন্ধানে সৃষ্টিরহস্যের দিকে না গিয়ে, বরং নাক্ষত্রজগতের দিকে তাকিয়ে আমাদের অবস্থানটি বুঝে নিতে চেয়েছেন। বইটা পড়তে গিয়ে একথা মনে হতে বাধ্য, যে গোটা মহাবিশ্বে মহাকাশে না হলেও অন্তত সৌরজগতে একাকী বিস্ময়কর ভ্রমণের সময় আলাদা-আলাদা অনেক বইয়েভরা লাইব্রেরির বদলে একটি প্রামাণ্য গাইড হিসেবে এমন কিছুর কল্পনাই বোধহয় ডগলাস অ্যাডামস করাতে চেয়েছিলেন, তবে তাঁর মতো করে কি আর বাংলায় লেখা.... (দীর্ঘশ্বাস)।

বইয়ের নাম: “মহাবিশ্বের বিস্ময়” দ্বিতীয় খণ্ড
আলোচ্য সংস্করণ: দে’জ থেকে এপ্রিল ২০১৪-য় প্রকাশিত
হার্ডকভার, ৩৯৮ পৃষ্ঠা, ৫০০/- টাকা

সূচিপত্র:
  • লাল গ্রহ মঙ্গল
  • গ্রহাণুপুঞ্জ
  • গ্রহরাজ বৃহস্পতি
  • বলয়ধারী শনি
  • নীলচে-সবুজ গ্রহ ইউরেনাস
  • অন্ধকারের জগৎ নেপচুন
  • বামন গ্রহদের জগৎ ও ক্যুইপার বেল্ট
  • মহাজাগতিক ভবঘুরে ধূমকেতু ও উল্কা
  • সীমানা পেরিয়ে
  • পরিশিষ্ট হিসেবে ‘সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়সূচি’, ‘দূরবিন ও তার যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা’, ‘বিখ্যাত সংগঠনের নাম ও ঠিকানা’, ‘পশ্চিমবঙ্গের শখের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার সংস্থা’, ‘বিশ্বের মহাকাশ সংস্থা’, ‘দেশ ও বিদেশের বিখ্যাত প্ল্যানেটারিয়াম’, ‘পারিভাষিক অভিধান’, ‘সহায়ক গ্রন্থাবলি’, এবং ‘বর্ণানুক্রমিক সূচি’।

যে বৈশিষ্ট্যগুলো আর পাঁচটা বাজার-চলতি বই, এমনকি একাধিক ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’প্রাপ্ত বইয়ের থেকে এটিকে বিশেষ করে তুলেছে, তা হল,

১] ছবি, তথ্য, সমীকরণ, প্লেট, ইনডেক্স: বিদেশি বইগুলোকে বাংলা বইয়ের তুলনায় ভালো বলার ক্ষেত্রে যে মাপকাঠিগুলোকে আমরা অক্লেশে ব্যবহার করে থাকি, তাদের বিচারে বইটিকে কিন্তু সত্যিই ভালো বলতে হয়। প্রকাশক হিসেবে ‘দে’জ পাবলিশিং’-এর অকুন্ঠ সাধুবাদ প্রাপ্য এমন বইটিকে প্রাপ্য মর্যাদার সঙ্গে প্রকাশ করার জন্য।

২] শুধুমাত্র ছাত্র বা শিক্ষক নয়, বরং কৌতূহলী পাঠক যাতে নিজেই আকাশপানে চেয়ে-চেয়ে সারারাত জাগতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু তথ্যের সন্ধান দিয়েছেন লেখক। এদের উপস্থিতি কিন্তু বইটাকে একেবারে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

এবার আসি প্রবীণ লেখক তথা বিজ্ঞান সাধক প্রশান্ত প্রামাণিকের যাবতীয় বইপত্রের একটি গ্র্যান্ড সামারি, যাকে নিঃসন্দেহে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তির অভিধা দেওয়া যায়, সেই “মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়” প্রসঙ্গে।

 

বইয়ের নাম: “মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়”
আলোচ্য সংস্করণ: জ্ঞান বিচিত্রা প্রকাশনী (আগরতলা) থেকে
ফেব্রুয়ারি ২০১০-এ প্রকাশিত
হার্ডকভার, ৭৫২ পৃষ্ঠা, ৮০০/- টাকা

সূচিপত্র:
  • দর্শনে মহাবিশ্ব
  • বিজ্ঞানে মহাবিশ্ব
  • মহাবিশ্ব মহাবিস্ময়
  • মহাকাশের সেকাল-একাল
  • মহাকাশের প্রতিবেশী
  • নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু
  • ঋগ্বেদে নক্ষত্র
  • পুরাণ কাহিনির জ্যোতির্বিজ্ঞান
  • মহাকাশ-সময়-সন্ততি
  • মহাকালের আদ্যন্ত
  • মহাসময়ের প্রেক্ষাপট
  • গ্রহ-তারক চন্দ্র-তপন
  • মহাজাগতিক-রশ্মি
  • মহাকাশ অভিযান
  • মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ
  • পরিশিষ্ট হিসেবে ‘মহাবিস্ফোরণের মুহূর্ত থেকে প্রধান ঘটনার কালক্রম’, ‘গ্রিক বর্ণমালা’ (ছোটোবেলায় এ.টি দেব-এর অভিধান পড়ার অনুভূতি ফিরে এল!), ‘কিছু শব্দার্থ যেগুলি বর্তমান বইটি পড়তে সাহায্য করতে পারে’, ‘কিছু পরিভাষা’, ‘চিত্রসূচি’, এবং ‘নির্দেশিকা’।

আগের বইদুটির সঙ্গে এই বইয়ের মূল পার্থক্য দু’টি:

১) এই বইয়ে ভারতীয় পুরাণ ও দর্শনে মহাকাশ-ভাবনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় ভাবনার মেলবন্ধন যেভাবে ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে এই বইয়ের অধ্যায়গুলিতে তা আধুনিক গৈরিকীকরণের বদলে রবীন্দ্রনাথের উদার অথচ স্বচ্ছ ভাবনার দ্বারা অনুপ্রাণিত।

২) সৌরজগতের বিভিন্ন সদস্য নয়, বরং এই বইয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছে সময়। সময়ানুবর্তী হিসেবে বাঙালির খুব একটা সুনাম নেই বলেই হয়তো বাংলা ভাষায় ‘সময়’ নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি হয়নি। কিন্তু এই বই সেই ত্রুটি সংশোধন করার পথে অনেকদূর এগিয়েছে।

বিপন্ন এই সময়ে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করায় এমন একটি বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম, তবে লেখকের বক্তব্যকে আরো সরলীকৃত না করলে, এবং ছোটো-ছোটো আলোচনা বা আড্ডায় ভেঙে না দিলে বইটি সাধারণ পাঠকের কাছে ভয়োৎপাদক হয়েই থাকবে।

এমন দুটি ‘মহা’গ্রন্থ পড়ে অবশ্য আমাদের মতো মোটামুটি পড়ুয়া পাঠকেরই মাথা ঝিমঝিম করতে বাধ্য, তাই প্রশ্ন ওঠে, সাধারণ পাঠকের কৌতূহল নিবৃত্ত করার জন্য, বা তাঁদের মনে কৌতূহল জাগানোর জন্য কি কোনো বই নেই?

বিগত বাম আমলে অন্য অনেক বিষয়ে বিধি বাম হলেও বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা এখনকার রাজত্বের নির্লজ্জভাবে অযৌক্তিক ভাবনার পৃষ্ঠপোষকতার তুলনায় বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। সেই ধারায়, বিদেশি বইয়ের বাংলা অনুবাদ থেকে শুরু করে নানা লেখকের কলমে সহজ ভাষায় মহাকাশ নিয়ে নানা বইপত্র প্রকাশ ঘটলেও মূলত দুটো কারণে সহজ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে লেখালেখি হয়নি বলেই মনে হয়। তারা হল:

(ক) প্রাথমিক থেকে ইংরেজি সরে যাওয়ায় বাংলার একের পর এক প্রজন্মের সর্বনাশ হলেও, উচ্চতর শিক্ষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ইংরেজি বইয়ের কোনো বিকল্প ছিলনা। বাংলায় পাঠ্যপুস্তকের গুণমান সম্বন্ধে যা বলার তা প্রথমেই বলেছি। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, একবার ইংরেজি বই পড়তে অভ্যস্ত হওয়া পাঠকের কাছে ইংরেজি ভাষায় লেখা পপুলার সায়েন্স বিষয়ক বইপত্রের কোনো অভাব না থাকায় বাংলায় তেমন বইপত্রের তাই চাহিদাও ছিলনা।

(খ) ইংরেজিতে কল্পবিজ্ঞান একদা পাল্প-ঘেঁসা ফ্যান্টাসি থেকে পরে হার্ড সায়েন্স-আধারিত দিকে বাঁক নেওয়ায় কল্পনার বাধাবন্ধহীন উড়ানের পাশাপাশি বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠতা কিছুটা হলেও পাঠক এবং হলিউড-মোহিত দর্শকের মনে স্থান পায়। তাই ডিজনির ফ্যান্টাসি হিসেবে ‘জন কার্টার’ বা মার্ভেল ইউনিভার্সের ফ্যান্টাস্টিক ব্যাপারস্যাপার দেখার পাশাপাশি ‘গ্র্যাভিটি’ বা ‘ইন্টারস্টেলার’-এর মতো সিনেমা, এবং স্টিফেন ব্যাক্সটার ও অ্যালেস্টেয়ার রেনল্ডস-এর লেখা দর্শক ও পাঠককে বিজ্ঞানের শক্ত জমিতে পা রেখেই মাথা তুলতে সাহায্য করে। বাংলায় কল্পবিজ্ঞান বলতে এখনও পাঠক বোঝেন সত্যজিতের শঙ্কু-কাহিনি, যা আদতে ফ্যান্টাসি আর অপবিজ্ঞানের উপাদেয় মিশ্রণ মাত্র। আর বাংলায় কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক সিনেমা নিয়ে কিছু না লেখাই ভালো।

তাই, শেষ বিচারে, আমি এখনও মনে করি যে সহজ বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা তখনই প্রসারলাভ করবে, যখন নারায়ণ সান্যালের অসামান্য “নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা”-কে আর্থার সি. ক্লার্কের “টু থাউজেন্ড ওয়ান: আ স্পেস ওডিসি”-র বঙ্গীয় সংস্করণ না বলে বরং সেটিকে ভারতীয় দার্শনিক ভাবনা, বিজ্ঞানের দুরূহতম তত্ত্বের সরল প্রকাশ, এবং একটি অ্যাকশনে ভরা প্রাপ্তমনস্ক কাহিনি হিসেবে আমরা পড়ব। সহজে মহাকাশকে জানার উপায় নিয়ে তখনই পড়া হবে নন-ফিকশন, যখন দিলীপ রায়চৌধুরী, সমরজিৎ কর, অদ্রীশ বর্ধন, অনীশ দেব, এবং অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর কল্পবিজ্ঞান তথাকথিত মূলধারার পাঠকের কাছেও যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে পেশ করা হবে। নাকউঁচু সমালোচকদের দ্বারা ঘৃণিত ও সচেতনভাবে উপেক্ষিত এই সাহিত্য পড়লে তবেই পাঠক ছাদে গিয়ে নোংরা আকাশের মধ্যে খুঁজে পাবেন সেই রূপ, যাকে নিয়ে ময়ূখ চৌধুরী লিখেছিলেন, “অসংখ্য চোখ মেলে তাকিয়ে আছে মায়াবিনী রাত্রি”, আর তারপর তিনিও ছুটে যেতে চাইবেন সেই অসীম শূন্যে, যেখানে লুকিয়ে আছে অপার ঐশ্বর্য, অসীম মুক্তি।


আলোচক পরিচিতি - আলোচক এক উদ্যমী পাঠক, যিনি বিপ্লব, চোখের জল, মানবচরিত্রের অতলস্পর্শী গভীরতা, সিন্ডিকেট, সারদা, ধোনি, ইত্যাদি তাবড় বিষয় থেকে দূরে, স্রেফ বেঁচে থাকার গল্প পড়তে চান। নিজের ভালবাসা থেকেই দীর্ঘদিন বইয়ের রিভিউ করছেন।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.