বিশেষ গোয়েন্দা সংখ্যা

বিশেষ গোয়েন্দা সংখ্যা - জানুয়ারি, ১৫,
২০১৭
সম্পাদকীয়
গোয়েন্দা কাহিনি পড়তে এবং পড়তে পড়তে মাথা ঘামাতে ভালোবাসে না
..এমন পাঠক বিরল। ছিঁচকে চুরি থেকে গণ্ডা গণ্ডা খুন, আমি তো অন্তত
যা পাই তাই গোগ্রাসে গিলি। সেইজন্যই প্রস্তাব ছিল একটি বিশেষ
গোয়েন্দা সংখ্যা করার। অবসরের পাঠকদের ভালো লাগবে ভেবে। অবসর
গল্প উপন্যাসের পত্রিকা নয় , মূলত প্রবন্ধ প্রকাশ করে। এই সংখ্যায়
একেবারে নীরস প্রবন্ধ নয়, প্রয়াস ছিল গল্পের পেছনের গল্প খোঁজার,
অর্থাৎ গোয়েন্দা কাহিনির ইতিহাস , বিভিন্ন কলমচির বৈশিষ্ট্য ,
দেশি ও বিদেশি লেখা ও লেখকদের সঙ্গে অবসরের পাঠকদের পরিচয় করিয়ে
দেওয়া আর সেই সঙ্গে পাঠক-পাঠিকা হিসেবে আমাদের অনেকের এখনকার দৃষ্টিভঙ্গি
এবং একান্তে ফিরে দেখাও।
এই সংখ্যায় আমরা তিনটি বিভাগ রেখেছি। দেশি, বিদেশি ও ব্যতিক্রমী ভাবনা। বিদেশি
গোয়েন্দা সাহিত্য বিভাগে আছে দুটি প্রবন্ধ।
শমীতা দাশ দাশগুপ্ত লিখেছেন ইংরেজি গোয়েন্দা
সাহিত্যে নারী গোয়েন্দাদের নিয়ে।
সুজন দাশগুপ্তর লেখায় হাজিরা দিয়ে গেছেন আদি থেকে স্বর্ণযুগের
যত বিদেশি গোয়েন্দারা।
দেশি অর্থাৎ বাংলা ভাষায় লেখা গোয়েন্দা সাহিত্য বিভাগে মোট পাঁচটি লেখা আছে ।
প্রবন্ধকার দীপক সেনগুপ্ত। আলোচনার বিষয় বাংলা গোয়েন্দা
কাহিনির সূচনা পর্ব থেকে মোটামুটি বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের
খুব চেনাজানা গোয়েন্দা গল্পের নায়ক ও তাঁদের স্রষ্টারা।
গোয়েন্দা কাহিনি কি আদৌ সাহিত্য পদবাচ্য ? লিখেছেন পল্লব
চট্টোপাধ্যায়।
আমরা সকলেই যাঁর লেখা রহস্য-রোমাঞ্চ-ভৌতিক গল্প আর উপন্যাস
পড়ে বড় হয়েছি, সেই মানুষটির জীবন ও যাপনের নানা অজানা দিক
তুলে ধরেছেন ভাস্কর বসু। সাহিত্যিকের নাম ..ঠিকই অনুমান করেছেন..হেমেন্দ্রকুমার
রায়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বটতলার সাহিত্য পড়িনি তেমন। এই প্রথম বটতলার
সাহিত্য 'চিঠিতে খুন' -এর সঙ্গে আমার পরিচয় করালেন শেখর বসু।
এই বিভাগে শেষ লেখাটি আমার। যথারীতি হালকা চালে ফিরে দেখার
গল্প। দস্যু মোহন থেকে একেনবাবু।
তৃতীয় বিভাগটি ব্যতিক্রমী ভাবনার।
শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন বোকাবাক্সের গোয়েন্দাপ্রবরদের
নিয়ে , যাঁরা আমাদের বহু বিনোদন-মুহূর্তের সঙ্গী।
দ্বিতীয় লেখাটি শেখর মুখোপাধ্যায়ের। ছায়া আর কায়া। চাপানউতোর
, প্রশ্নে ও প্রতিপ্রশ্নে একেবারেই ভিন্ন স্বাদের।
যথারীতি বই বিভাগে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা উপহার দিয়েছেন ঋজু গাঙ্গুলি।
যখন এই সংখ্যার সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব নিয়েছিলাম, ভাবিনি শেষরক্ষা
করে উঠতে পারব। লেখা দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম যাঁদের, একজনও
নিরাশ করেননি। প্রত্যেককে অজস্র ধন্যবাদ ও অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধান সম্পাদক সুজন দাশগুপ্তর অনলস সহায়তা ছাড়া আমার একার পক্ষে
এই সংখ্যা দিনের আলোয় আনা অসম্ভব ছিল। সে ঋণ স্বীকার না করলে
অকৃতজ্ঞতা হবে।
২০১৭ সালের এই প্রথম 'অবসর'। আগামী সব ক'টি দিন প্রত্যেকের কাটুক
আলোয় এবং ভালোয়।
শুভেচ্ছা অন্তহীন।
ঈশানী রায়চৌধুরী
অতিথি সম্পাদক
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর লেখাগুলোর
ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর
নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।