প্রথম পাতা

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

বিশেষ গোয়েন্দা সংখ্যা

বিশেষ গোয়েন্দা সংখ্যা - জানুয়ারি, ১৫, ২০১৭

 

বটতলার ‘চিঠিতে খুন’

শেখর বসু


আজ থেকে বছর চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর আগের কথা বলছি । কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি কলেজের রেলিং তখন মাঝে মাঝে কেমন যেন সোনার খনির মতো হয়ে উঠত । পুরোনো আমলের দুর্লভ দেশি-বিদেশি বই ঝুলতে দেখা যেত রেলিংয়ের দড়িতে । বিক্রেতারা জানত ওই সব বই দুর্মূল্য,সুতরাং চড়া দাম হাঁকত। একটু দরাদরির পরে বিক্রি হয়ে যেত বইগুলো ।

ওই রেলিং থেকে বেশ কিছু ভালো ভালো বই কিনেছি আমি । কিছু বিরল বইয়ের প্রথম সংস্করণও । কয়েকটি বইতে প্রয়াত বিশিষ্ট লেখকের সইও ছিল । নিজের হাতে নাম লিখে কাউকে হয়তো একটি বই উপহার দিয়েছিলেন লেখক, পরে সেটি কী ভাবে যেন চলে এসেছে কলেজ স্ট্রিটের রেলিংয়ে ।

এখন ওই সব রেলিংয়ে পুরোনো আমলের বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইও বিক্রি হয় । কিন্তু সেই আমলে ওই সব বিক্রেতা শুদ্ধতা বজায় রাখতেন । শুধুই পুরোনো বই বিক্রি করতেন তাঁরা , পাঠ্যবইয়ের মিশেল ছিল না তাঁদের সংগ্রহে ।

শুধু ভালো বই-ই নয়, সেকেলে আকর্ষণীয় বটতলার কিছু বইও পাওয়া যেত ওই রেলিংয়ে । যে কোনও দেশের সাহিত্যেই পাল্‌প ম্যাগাজিন এবং ওই ধরনের বইয়ের চল আছে । পাল্‌প রাইটিংয়ের একটি বড় বাজারও ছিল পশ্চিমবঙ্গে । রোমাঞ্চকর,চটকদার, গা-ছমছমে সব লেখাপত্তর । চটি বইয়ের আকারে সেগুলি বার হত চিৎপুর থেকে ।

এজেন্টরা ওই সব বই থলি ভর্তি করে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়তেন । ওই বইগুলি পড়ার জন্যে খুব একটা বিদ্যেবুদ্ধির দরকার হত না । তরল আবেগঘন ওই সব বইয়ের বেশ একটা চাহিদা ছিল । সবাই তো আর সিরিয়াস বইয়ের পাঠক নন । তার বাইরেও বড় বহু পাঠক ছিলেন,যাঁরা বইয়ের লেখকের নাম নিয়ে মাথা ঘামাতেন না । রঙচঙে মলাট এবং বইয়ের চটকদার নাম দেখেই বই কিনে ফেলতেন ।

একদিন কলেজ স্ট্রিটের রেলিংয়ে ওই ধরনের একটা বই দেখে বটতলা-সাহিত্য সম্পর্কে আমার কিছুটা আগ্রহ বেড়ে উঠেছিল।

বইয়ের নাম ‘চিঠিতে খুন’। লেখকের নাম ‘শ্রী সু’ । বইটি ছাপা হয়েছে আপার সার্কুলার রোডের একটি প্রেস থেকে, ১৩০৯ সালে । অর্থাৎ আজ থেকে ১১৪ বছর আগে প্রকাশিত ।

বইটির নিশ্চয়ই একটি রঙিন মলাট ছিল । কিন্তু সেটি এখন উধাও । আজকের এই পুস্তক-বিক্রেতা হলুদ মলাটের ওপর শ্রীহীন হাতের লেখায় কালো কালিতে লিখেছেন ‘চিঠিতে খুন’ । কালো কালিতেই চাপ-চাপ রক্তের আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মলাটের এদিক-সেদিক। বইতে মুদ্রিত দাম চার আনা । কিন্তু বই-বিক্রেতা আমার আগ্রহ দেখে দাম হেঁকে বসেছিলেন চার টাকা ।

দরাদরি করে দাম দু -টাকায় নামিয়ে বইটি আমি কিনে নিয়েছিলাম । চটি বই, শতখানেক পাতা। পড়ে বিশুদ্ধ মজা পেয়েছিলাম । এটি একটি গোয়েন্দা-কাহিনি, তবে নিছক গোয়েন্দা-গল্প নয় ; রম্য উপন্যাসের ছাপও আছে খানিকটা ।

এই কাহিনির নায়ক শচীকান্ত এক নীহারিকার প্রেমে মজে গিয়েছিল ভীষণ ভাবে । নীহারিকা অবশ্য ভদ্র ঘরের কোনও মেয়ে নয় , কুঠিতে থাকা এক বেশ্যা । “কিন্তু বেশ্যা বলিয়া প্রাণের নীহার কি ভালোবাসিতে পারে না ?” শচীকান্ত নিজের কাছেই এই প্রশ্ন তোলে এবং প্রশ্নাতীতভাবে নিঃসংশয় হয় । পাঠকদেরও তারপর আর ওদের প্রগাঢ় প্রেমের ব্যাপারে কোনও দ্বিধা থাকে না ।

উপন্যাসটির প্রথম সংস্করণের পাতাগুলি এখন হলুদ, খাস্তা আর পোকায় কাটা । লেখক ‘শ্রী সু' একটি চতুর্দশপদী লিখে বইটি উৎসর্গ করেছেন কোনও এক রহস্যময়ীকে । উৎসর্গ-পত্রে ছাপা হয়েছে --“ শুধু যার কথা শুনি জুড়ায় শ্রবণ / শুধু পেলে যার দেখা তৃপ্ত দু’নয়ন ।”

গোয়েন্দা-কাহিনির শুরুতেই বেশ গা-ছমছমে ভাব । মাঝরাতের কলকাতা ।

“বিস্তৃত রাজপথ পথিক পরিত্যক্ত হইয়া মূর্চ্ছিতবৎ পড়িয়া রহিয়াছে । রাস্তার দুই ধারে সারি-সারি গ্যাসালোক জ্বলিতেছে ।”
এমন সময় এক পাহারাওয়ালা রক্তচিহ্ন দেখে একটি ছ্যাকরা-গাড়ি থামাল । তারপর একটানে গাড়ির দরজা খুলে ফেলতেই দেখতে পেল, “একটি সুন্দরী যুবতী রমণী বৃক্ষ-বিচ্যুত লতাগাছটির মতো গাড়ির মধ্যে লুটাইতেছে । তাহার গাত্রে কোনোপ্রকার অলংকার নাই--কণ্ঠদেশে ছুরিকার আঘাত ।”

এর পরে রুদ্ধশ্বাস গোয়েন্দা-কাহিনিটি না পড়ে উপায় নেই । পদে পদে রোমাঞ্চ । কয়েক পাতা পড়ার পরে গভীর এক চক্রান্তের আভাস পাবেন পাঠকরা ।


এক ভীষণদর্শন, পশ্চিমদেশীয় হীরালাল নীহারিকার প্রণয়প্রার্থী হয়েছিল । কিন্তু শচীকান্তের প্রেমে হাবুডুবু-খাওয়া নীহারিকা এক কথায় প্রত্যাখ্যান করে বসল তাকে ।

চক্রান্ত ঘনিয়ে উঠেছিল তার পরেই । হীরালাল ‘জিলাসিতে নীল’ হয়ে ‘ভাড়াটে গোন্ডা’ রামতারণকে দিয়ে খুন করায় নীহারিকাকে । নিদারুণ এই ঘটনায় প্রেমিক শচীকান্ত শুধু বিরহযন্ত্রণা নয়, তার চেয়েও বড় এক যন্ত্রণার মধ্যে পড়েছিল । হীরালালের কারসাজিতে ‘পোলিষ’ নীহারিকাকে হত্যা করার অভিযোগে থানায় পুরল শচীকান্তকে।

অনুমান করা যায়, প্রেম-হত্যা-চক্রান্তের জালে জড়িয়ে –পড়া সেই আমলের ভালোমানুষ পাঠকরা ওই ঘটনায় বেশ মর্মাহত হয়েছিলেন । কারণ ইতিমধ্যেই তারা বইয়ের পাতায় শচীকান্ত ও নীহারিকার গদ্যেপদ্যে লেখা বেশ কয়েকটি বড়সড় প্রেমপত্র পড়ে ফেলেছেন । তাঁরা জানেন, “ওঁরা একবৃন্তে দুটি ফুল ।”

‘চিঠিতে খুন’-এর নায়ক শচীকান্তর বয়স ত্রিশ । স্ত্রী-পরিবার দেশে রেখে সে চাকরি করে কলকাতায় । থাকে-খায় শ্যামবাজারের একটি মেসে । ওই ভাবে কিছুকাল কাটাবার পরে “খাঁটি প্রেম অর্থাৎ পরকীয়া প্রেমের” স্বাদ পাওয়ার জন্যে সে বেশ্যালয়ে গমন করে । এখানেই নীহারিকার সঙ্গে তার প্রণয় জমে ওঠে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নীহারিকা হয়ে যায় ‘প্রাণের নীহার’ । শচীকান্ত গদ্যেপদ্যে লেখা বিস্তর প্রেমপত্র পাঠায় প্রেমিকার কাছে । নীহারও ‘প্রাণের S-কে’ প্রচুর ভালোবাসার চিঠি দেয় ।

শচীকান্তর প্রেমপত্রগুলি নেহাত খেলো নয় । সেগুলির ভাব,ভাষা,ছন্দ প্রায় নিখুঁত । শচী লিখেছেঃ “শুভে ! মলয়-ভ্রমর সখী আসি সাধে দোঁহে বৃন্তাসনে মালতীরে,--(রসময়ী তুমি সহজে বুঝিবে মোর এ ইঙ্গিত কথা) প্রভাতে কতই যেন অপ্রতিভ হিয়া ।”

কিংবা—
“প্রিয়তমে, আমার সে কৈ ? কৈ সে ! যে থাকিলে সমস্ত সুদীর্ঘ রজনী মুহূর্তে প্রভাত হইয়া যায়, যাহার সহিত কথা বলিতে বলিতে আপনা ভুলিয়া যাই—কথা বলিয়া আর ফুরায় না, যাহার নিকট হইতে উঠি-উঠি করিয়াও আর উঠিতে পারি না ।”

অশ্রুসজল চোখে শচীকান্ত বলে, “নীহার, তোমার প্রণয়--ইহা বেশ্যার নহে । ঠিক বলিয়াছ, এক হাতে তালি বাজে না । একের প্রাণ এরূপ আকর্ষিত না হইলে অন্যে না ভালোবাসিয়া থাকিতে পারে না । লাটাই হইতে সুতা না টানিয়া লইলে তাহা যেমন ঘুরিয়া-ঘুরিয়া সুতা পরিত্যাগ করে না--তেমনি এক হৃদয় হইতে টান না ধরিলে অন্যে প্রাণ ঢালিয়া দেয় না ।”

শচীকান্ত বিরাট প্রেমিক এবং নির্দোষ, সুতরাং তাঁর দুঃখে এই উপন্যাসের পাঠকদের দুঃখ হবেই, কিন্তু লেখক ‘শ্রী সু’ এক ফাঁকে পাঠকদের সাবধান করে দিয়ে বলেছেনঃ “দুঃখী হও আর যাই হও, দ্বিতীয় শচীকান্ত হইবার চেষ্টা কদাপি করিও না ।”

সবাইকে সতর্ক করার পরে লিখেছেন,

“হায় শচীকান্ত ! কী কুকর্মই না করিয়াছ ! কেন পাপ বেশ্যার প্রেমে মজিয়াছিলে ? তোমার স্ত্রীর সেই নরম পবিত্র প্রণয়--যাহার পূজা করিলে, যাহার বৃদ্ধি করিলে জীবন সুখে কাটাইতে পারিতে তাহা অনাদরে হারাইয়াছ । বেশ্যালয় গমনের অনেক কুফল আছে । কেহ হৃতসর্বস্ব হইতেছে, কেহ কুৎসিত রোগে অমূল্য জীবন বিসর্জন দিতেছে । কেহ বা...।”

উপন্যাসের শেষে গোয়েন্দা ও ‘পোলিষ’ নানা কৌশল করে প্রকৃত হত্যাকারীকে ধরে ফেলে । সাজা হয় হত্যাকারীর। বেকসুর মুক্তি পায় শচীকান্ত ।

উপন্যাসের শেষে দু-পাতা জুড়ে আর এক প্রস্ত বিলাপ । এই বিলাপোক্তির মধ্যেই উপন্যাস শেষ।

‘চিঠিতে খুন’-এর সঙ্গে তখনকার আর দশটা গোয়েন্দা-কাম-রম্যকাহিনির খুব একটা অমিল নেই। ‘সংসারতরু’, ‘সচিত্র গুপ্তচিঠি’, ‘গুপ্তপ্রেম পরিণাম’, ‘প্রেম উন্মাদিনী’ অনেকটা একই গোত্রের বই । কিন্তু এই সব বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের একটি বিষয়ে সততা ছিল । তাঁরা জানতেন এগুলি আর হোক যাই সাহিত্যপদবাচ্য নয় । এ নিয়ে তাঁরা কোনও দাবিও তুলতেন না । সাহিত্য ও রম্য আখ্যান মেশানো গোয়েন্দা-কাহিনির বিক্রি হত আলাদা ভাবে । রুচি ও প্রবণতা অনুসারে পাঠকদের তখন বই কেনা ও পড়ার অবকাশ ছিল ।

‘চিঠিতে খুন’ গোছের লেখকদের তখন খুব সম্ভবত মধুসূদন ও বঙ্কিমচন্দ্র পড়া ছিল । তাঁদের লেখার ধরনধারণ এবং শব্দ-ব্যবহার দেখে এ-কথা মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় । অনুমান করা যায়, সাহিত্যের উঁচু মান সম্পর্কে ঝাপসা হলেও তাঁদের একটি ধারণা ছিল । সাহিত্যখ্যাতি নয়, শুধুমাত্র অর্থ রোজগারের জন্য হয়তো তাঁরা এই সব বই লিখতেন । এমন ভাবার একটা কারণ হল—তাঁরা এই সব বইয়ের গ্রন্থকার হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করতেন না । ‘চিঠিতে খুন’ উপন্যাসটির গ্রন্থকার জনৈক ‘শ্রী সু’ । কখনও কখনও বটতলার এই সব লেখকরা একাধিক ছদ্মনামেও লিখতেন । এমন বই লেখার পেছনে যশাকাঙ্ক্ষা নয়, শুধুমাত্র কিছু অর্থ রোজগার—এ কথাও কেউ-কেউ আভাসে কিংবা স্পষ্টভাবে কবুল করেছেন । এই তথ্য থেকে ধরে নেওয়া যায়, তাঁদের ভণিতাহীন একটাই মুখ ছিল । নিছক টাকা রোজগার ও সাহিত্যকে আলাদা আলাদা ভাবে দেখতেন তাঁরা ।

বিদেশের সিরিয়াস সাহিত্য এবং ট্র্যাশি রচনার মধ্যে স্পষ্ট একটি বিভাজন রেখা আছে । ‘স্পাইন- চিলিং’, ‘ইনরমাসলি ফানি’, ‘গ্রেট স্ক্যান্ডাল’-এর লেখক ও প্রকাশকরা আলাদা অস্তিত্ব নিয়ে অবস্থান করেন। বটতলার যুগে আমাদেরও এই শ্রেণিবিভাগ ছিল । কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখন আর তা নেই । সেদিনের সেই চিৎপুরের অদৃশ্য বটগাছের ডালপালা এখন কলেজ স্ট্রিট ছেয়ে ফেলেছে । একশো সওয়া-শো বছর আগের ছদ্মনামের ওই সব লেখকের উত্তরপুরুষরা এখনও প্রবল পরাক্রমে লিখে চলেছেন-- তবে আগের মতো ছদ্মনামে নয়, স্বনামে।

এঁরা যা লিখছেন তার সঙ্গে সেদিনের সেই বটতলার গোয়েন্দা-কাহিনি মেশানো রম্য আখ্যানের চরিত্রগত কোনও অমিল নেই । তফাত একটাই, এঁরা নিজেদের হালের বটতলার লেখক বলে চিহ্নিত করছেন না । তার ফলে আজকের সিরিয়াস সাহিত্যের পাঠকরা এগুলিকেই সাহিত্য ভেবে খানিকটা বিভ্রান্ত হচ্ছেন । তবে বিভ্রান্তি কেটেও যাচ্ছে । খানিকটা সময় নষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা ভালো বইয়ের সন্ধান পাচ্ছেন। উঁচু মানের গোয়েন্দা-কাহিনিরও চমৎকার একটি ধারা আছে বাংলা সাহিত্যে । আনন্দের কথা, সেই ধারাটি একেবারে শুকিয়ে যায়নি ।


লেখক পরিচিতি - শেখর বসু (http://sekharbasu.com/) – প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও ছোটগল্পকার। কর্মজীবনে আনন্দবাজার পত্রিকার গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু বছর। এখন পুরো সময়টাই লেখালেখির কাজ করছেন। গত চল্লিশ বছরে উনি বহু গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও গোয়েন্দাকাহিনী লিখেছেন। এযুগের যুবক সম্প্রদায়ের অনেকেই বড় হয়েছেন ওঁর লেখা ছোটদের বই পড়ে।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।