প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

পুরানো সাময়িকী ও সংবাদপত্র

মার্চ ১, ২০১৫

 

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা

দীপক সেনগুপ্ত

বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি গ্রামের হরিনাথ মজুমদার (কাঙাল হরিনাথ নামেই সমধিক পরিচিত ) ১৮৬৩ সালের এপ্রিল (মে?) মাসে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ নামে একটি মাসিক পত্র প্রকাশ করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র; অর্থাভাবে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করতে পারেন নি। শহরকেন্দ্রিক শিক্ষা ও সভ্যতা বিস্তারের ক্ষেত্রে গ্রাম ছিল সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। সেজন্যই গ্রামের লোকের উপর অত্যাচার ও শোষণের সংবাদ শাসকদের কাছে অনেক সময় পৌঁছত না। গরীবদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ছিল অমানুষিক, এ ছাড়া মহাজন ও ধনীদের উৎপীড়ন ত ছিলই। অসহায় এই গরীবদের দুর্দশা সর্বসমক্ষে নিয়ে আসাই ছিল এই পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য। শোনা যায় এই পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য তাকে অন্যের কাছে অর্থ ভিক্ষা করতে হয় বলেই তার নাম হয়েছিল ‘কাঙাল হরিনাথ’। হরিনাথ লিখেছেন :

“আমি শুনিলাম, বাঙ্গালা সংবাদপত্রের অনুবাদ করিয়া গবর্ণমেন্ট তাহার মর্ম্ম অবগত হইতে সঙ্কল্প করিয়াছেন, তন্নিমিত্ত একটি কার্য্যালয়ও স্থাপিত হইয়াছে। ‘ঘরে নাই এক কড়া, তবু নাচে গায়ে পড়া।’  আমার ইচ্ছা হইল, এই সময় একখানি সংবাদপত্র প্রচার করিয়া, গ্রামবাসী প্রজারা যে যে ভাবে অত্যাচারিত হইতেছে, তাহা গবর্ণমেন্টের কর্ণগত করিলে, অবশ্যই তাহার প্রতিকার এবং তাহাদিগের নানা প্রকার উপকার সাধিত হইবে, সন্দেহ নাই। গ্রাম ও গ্রামবাসী প্রজার অবস্থা প্রকাশ করিবে বলিয়া পত্রিকার নাম ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ রাখিয়া ‘গিরিশযন্ত্রে’র কর্ত্তা গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়কে একটি শিরোমুকুট অর্থাৎ ‘হেডিং’ আর একটি শ্লোক প্রস্তুত করাইতে প্রতিশ্রুত করিলাম।”

সম্পাদক হরিনাথ মজুমদার ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’র প্রথম সংখ্যায় (মে, ১৮৬৩) পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন -

“এ পর্যন্ত বাঙ্গালা সংবাদপত্রিকা যতই প্রচারিত হইতেছে তাহা কেবল প্রধান প্রধান নগর ও বিদেশীয় সম্বাদাদিতেই পরিপূর্ণ। গ্রামীয় অর্থাৎ মফঃসলের অবস্থাদি কিছুই প্রকাশিত হয় না। তজ্জন্য গ্রামবাসীদিগের কোন প্রকার উপকার দর্শিতেছে না। যেমন চিকিৎসক, রোগীর অবস্থা সুবিদিত না হইলে তাহার প্রতিকারে সমর্থ হন না, তদ্রূপ দেশহিতৈষী মহোদয়গণ গ্রামের অবস্থা অবিদিত থাকিলে কিরূপে তাহার প্রতিকার করতে যত্নবান হইবেন? যাহাতে গ্রামবাসীদের অবস্থা, ব্যবসায়, রীতি, নীতি, সভ্যতা, গ্রামীয় ইতিহাস, মফঃসল-রাজকর্ম্মচারীগণের বিচার, এবং আশ্চর্য্য ঘটনাদি প্রকাশিত হয় তাহাই এই পত্রিকার প্রধানোদ্দেশ্য, এবং লোকরঞ্জনার্থ, ভিন্ন দেশীয় সম্বাদ, ও গদ্য পদ্য নানারূপ চিত্তরঞ্জন বিষয়ও লিখিত হইবেক। এই পত্রিকা বর্ত্তমান বৈশাখ অবধি প্রতিমাসে একবার প্রকাশিত হইবেক।”

অন্যান্য বহু পত্রিকার মত একটি শ্লোক (গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন রচিত) পত্রিকাটির উপরিভাগে মুদ্রিত থাকত, সেটি ছিল :

“গুণালোকপ্রদা দোষ-প্রদোষ-ধ্বান্ত-চন্দ্রিকা।
রাজতে পত্রিকা নাম গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা।।” 

ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ১২৮১ বঙ্গাব্দের পত্রিকার একটি সংখ্যায় নিম্নে প্রদত্ত কবিতার অংশ মুদ্রিত দেখেছেন -  

Some to the fascination of a name
Surrender judgement hoodwinked -

Cowper

পত্রিকাটিকে সচল রাখতে গিয়ে হরিনাথকে একক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে হরিনাথ লিখেছেন –“আমি এইরূপে গ্রামবার্ত্তা প্রকাশের দ্বারা গ্রামবাসী ও গ্রামবার্ত্তার সেবা করিতেছি। গ্রামবার্ত্তার তৃতীয় বৎসর অনায়াসে অতিবাহিত হইল। চতুর্থ বৎসরে পত্রদ্বারা অবস্থা অবগত করিয়া গ্রাহকগণের নিকট প্রাপ্য মূল্য আদায় ক্রমেই কঠিন হইয়া উঠিল। একদিন দুইদিন দূরবর্ত্তী স্থানে নিজেই গমন করিয়া মূল্য আদায় করতে লাগিলাম। তৎসঙ্গে দুই একজন গ্রামবৎসল ব্যক্তি নূতন গ্রাহক হইতে লাগিলেন। আমি লেখক, আমিই সম্পাদক, আমিই পত্রিকা লেফাফাও বিলিকারক এবং আমিই মূল্য আদায়কারী অর্থসংগ্রাহক। আবার আমিই আমার স্ত্রী পুত্রাদি সংসারের সংসারী। দীনজনের দীনতার দিন এই ভাবে দিন দিন গত হইতেছে।”  পত্রিকাটির মাসিক মূল্য ছিল পাঁচ আনা; বার্ষিক তিন টাকা। সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশিত হলেও গ্রামের লোকদের উপর অত্যাচার ও তাদের অসহায়তাকে তুলে ধরাই ছিল পত্রিকাটির মুখ্য উদ্দেশ্য।

খবর সংগ্রহ সম্বন্ধে হরিনাথ লিখেছেন –“কেবল সংবাদদাতা, পত্রপ্রেরক ও শ্রুতিকথার প্রতি নির্ভর করিয়া গ্রামবার্ত্তার প্রকাশ হইত না। আমরা গ্রামবার্ত্তার উপযুক্ত বার্ত্তা জানিবার নিমিত্ত কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে নানা স্থান পরিদর্শন ও দূরস্থ গ্রামপল্লী অবসর মত সময়ে সময়ে ভ্রমণ করিয়াছি এবং এই প্রকার ভ্রমণ করিয়া শান্তিপুর, উলাদি উপনগর পরিদর্শনে তাহার নামোৎপত্তির কারণ ও প্রাচীন বৃত্তান্ত এবং মেহেরপুর চাকদহ উলা প্রভৃতি স্থানের মহামারীর অবস্থা অনেক সংগ্রহ করিয়াছিলাম। নানা প্রদেশের ভ্রমণবৃত্তান্ত গ্রামবার্ত্তায় প্রকাশিত হইয়া গ্রাম ও পল্লীবাসীদিগের যতদূর উপকার সাধন করিয়াছিল, আমি ততদূর অত্যাচারী লোকের বিষনেত্রে পড়িয়া নানা প্রকারে উৎপীড়িত ও অত্যাচারিত হইতে লাগিলাম।”  

‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ মাসিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক তিন ভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। এর বিশদ পরিসংখ্যান এখানে দেবার প্রয়োজন নেই তবে, বিভিন্ন প্রকাশনা সম্বন্ধে হরিনাথ যা লিখেছেন তা হল –

“যখন গ্রামবার্ত্তা মাসিক ছিল, তখন ধর্ম্মনীতি ও সমাজনীতি প্রভৃতি সাহিত্যময় প্রবন্ধ এবং রাজনীতিময় প্রস্তাব, গ্রামের ঘটনাময় সম্বাদ সহকারে গ্রামবাসীদিগের জ্ঞাতব্য রাজার অভিপ্রায়, মন্তব্য ও বিবিধ সংবাদ প্রকাশিত হইত। পাক্ষিকাবস্থায় ধর্ম্মনীতি সাহিত্য ব্যতীত পূর্ব্ববৎ আর সকলেরই প্রচার হইয়াছে। সাপ্তাহিকাবস্থায় সাহিত্যময় প্রবন্ধাদি প্রচার রহিত হইয়া বাহুল্যরূপে রাজনীতিরই আলোচনা হইতে লাগিল। কিন্তু সাহিত্য, দর্শন, ও বিজ্ঞানাদি আলোচনার নিমিত্ত স্বতন্ত্ররূপে একখানি মাসিক গ্রামবার্তাও প্রকাশিত হইত।”

১২৭৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস (এপ্রিল, ১৮৬৯) থেকে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পাক্ষিকে পরিণত হওয়ায় ১৮৬৯-এর ১১ই মে ‘সংবাদ প্রভাকর’ লিখেছে : “আমরা দেখিয়া সন্তুষ্ট হইলাম, কুমারখালীর গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা নাম্নী মাসিক পত্রিকাখানি পাক্ষিক হইয়াছে। এতৎ পত্রিকা সম্পাদক শ্রীযুক্ত হরিনাথ মজুমদার স্বদেশের হিত সাধনে উৎসাহিত হইয়া অনেক ধনবানের শরণ লইয়াছিলেন।”  উল্লেখ করা যেতে পরে যে, পত্রিকা প্রকাশে সহায়তা করতে রাজসাহীর রাণী স্বর্ণকুমারী দেবী যথেষ্ট অর্থ সাহায্য করেছিলেন।

১২৭৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস থেকে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ সাপ্তাহিকে রূপান্তরিত হয়। কিছুদিন পরে পত্রিকা চালাতে গিয়ে হরিনাথ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং পত্রিকাটি বন্ধ করে দিতে মনস্থ করেন। কিন্তু বন্ধুবর্গের অর্থ সাহায্যে পত্রিকাখানি রক্ষা পায়। 

হরিনাথের দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয় রাজীবলোচন মজুমদার বৃন্দাবন যাত্রার আগে গ্রামবার্ত্তার জন্য প্রেস ক্রয় করতে ছ’শ টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। প্রেসে পত্রিকা ছাপা ছাড়াও তার দ্বারা ‘সাত আটটি পরিবার অনায়াসে অন্ন সংগ্রহ করতে পারে’ এ বার্তাও তিনি পেয়েছিলেন। এই টাকায় ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দে ‘মথুরানাথ যন্ত্র’ স্থাপিত হয়। ১২৮০-র ১৭ই শ্রাবণ ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’-য় পরিবেশিত খবরঃ – “আমরা শুনিয়া আনন্দিত হইলাম যে, কুমারখালিতে একটি মুদ্রাযন্ত্র স্থাপিত হইয়াছে এবং তত্যত্র স্থানীয় সম্বাদপত্র গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা উক্ত যন্ত্রে মুদ্রিত হইতেছে।”    

পত্রিকা প্রকাশ করতে গিয়ে যে সমালোচনা ও অত্যাচার হরিনাথকে নিয়ত সহ্য করতে হয়েছে তার যেটুকু জানা যায় তা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। ১৩০৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখে প্রকাশিত অক্ষয়কুমার মৈত্রের একটি প্রবন্ধ থেকে জানা যায় যে এক সময়ে হরিনাথ তার স্নেহভাজন সাহিত্যসেবক একজন প্রিয় শিষ্যকে লিখেছিলেন :

“....জমিদারেরা যখন আমার প্রতি অত্যাচার করে, এবং আমার নামে মিথ্যা মোকদ্দমা উপস্থিত করতে যত্ন করে, আমি তখন গ্রামবাসী সকলকেই ডাকিয়া আনি এবং আত্মবস্থা জানাই। গ্রামের একটি কুকুর কোন প্রকার অত্যাচারিত হইলেও গ্রামের লোকে তাহার জন্য কিছু করে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, ও আমার এত দূরই দুর্ভাগ্য যে, আমার জন্য কেহ কিছু করিবেন, এরূপ একটি কথাও বলিলেন না। যাঁহাদের নিমিত্ত কাঁদিলাম বিবাদ মাথায় করিয়া বহন করিলাম, তাঁহাদিগের এই ব্যবহার!”

এর পর অক্ষয়কুমার লিখেছেন -

“যে জমিদারের অত্যাচারে হরিনাথ এরূপ সকরুণ আর্ত্তনাদ করিয়া গিয়াছেন, কোনও স্থানে তাঁহার নামোল্লেখ করেন নাই। আকারে ইঙ্গিতে যাহা জানাইয়া গিয়াছেন, তাহাতে যাহাদিগের কৌতূহল দূর হইবে না, আমরা তাহাদের কৌতূহল চরিতার্থ করতে অসমর্থ। .... তিনি এ দেশের সাহিত্য সংসারে এবং ধর্ম্মজগতে চিরপরিচিত; - তাঁহার নামোল্লেখ করতে হৃদয় ব্যথিত হয়, লেখনী অবসন্ন হইয়া পড়ে! ...”  

তবে অক্ষয়কুমার না জানালেও অনেকেরই অনুমান এই জমিদার হলেন মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর। শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ এই ঘটনাটি জানতে পেরে অনুরোধ করেছিলেন যে মহর্ষির জীবদ্দশায় যেন এই লেখা প্রকাশিত না হয়।

মাসিক ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ মোট ১৯ ভাগ প্রকাশিত হয়েছিল। ১২৭৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস থেকে এটি সাপ্তাহিক রূপেই প্রকাশিত হতে থাকে। আর্থিক দুরবস্থার জন্য ১২৮৬ তে এটি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী বন্ধু, বিশেষ করে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও জলধর সেনের প্রচেষ্টায় ১২৮৯-এর বৈশাখ মাস থেকে সাপ্তাহিক পত্রিকাটি পুনঃ প্রকাশিত হতে থাকে। ১২৯২ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে পত্রিকাটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। 
১৮৯৬ সালের ১৬ই এপ্রিল ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে হরিনাথের মৃত্যু হয়। দরিদ্র গ্রামবাসীদের তিনি ছিলেন প্রকৃত সমব্যাথী। অকুতচিত্তে তিনি তাদের দারিদ্র ও শোষণের কাহিনী সংবাদের মাধ্যমে সর্বত্র প্রচার করেছেন। বৃটিশ শাসক ও স্থানীয় জমিদারদের ভীতি প্রদর্শন, বিরুদ্ধ সমালোচনা এবং অর্থাভাব কখনই তাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারে নি। সেদিক থেকে দেখলে পত্রিকাটির প্রচার ছিল মানবতার অপূর্ব প্রকাশ এবং একটি অন্যন্যসাধারণ প্রচেষ্টা।


লেখক পরিচিতি : বহু বছর বি.ই. কলেজে (এখন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, শিবপুর ( IIEST,shibpur )) অধ্যাপনা করেছেন। কিছুদিন হল অবসর নিয়েএখন সেখানে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে আছেন। অ্যাপ্লায়েড মেকানিক্স নিয়ে গবেষণা করলেও একাধিক বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে - জ্যোতিষশাস্ত্র, পুরনো কলকাতার সংস্কৃতি, ইত্যাদি। অবসর সময়ে 'অবসরে'র সঙ্গে সময় কাটান।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।