প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

পুরানো সাময়িকী ও সংবাদপত্র

ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪

 

হালিসহর পত্রিকা

দীপক সেনগুপ্ত


‘হালিসহর পত্রিকা’র ১ম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১লা বৈশাখ, ১২৭৮ বঙ্গাব্দে। এটি হালিসহর থেকে প্রকাশিত একটি আঞ্চলিক পত্রিকা। কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন –“২৪ পরগনার অন্তর্গত হালিশহরের জনৈক ভদ্রলোক কলিকাতা হইতে এই পত্রিকাখানি বাহির করেন।” পত্রিকার একটি সংখ্যার সূচীসম্বলিত প্রারম্ভিক পৃষ্ঠাতে মুদ্রিত রয়েছে -

শ্রীরামপুর।
আলফ্রেড যন্ত্রে মুদ্রিত।
হালিশর হইতে প্রকাশিত।”

পত্রিকার সূচনা অংশে ‘বিজ্ঞাপন’ শিরোনামে লেখা হয়েছে – “ আমরা এক্ষণে হালিসহরস্থ কতিপয় বন্ধু একত্র হইয়া এ পত্রিকার রচনা সকল প্রকটন করিতেছি....”। অন্য একটি সূত্র থে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় – হিন্দু কলেজের কয়েকজন ছাত্র মিলিত ভাবে পত্রিকাটি প্রকাশ করে। অতএব পত্রিকাটি হালিসহর থেকেই প্রকাশিত হ’ত বলে মনে হয়। অন্য একটি তথ্যের অমিল দেখা যায় সম্পাদকের নামে। কেদারনাথ জানিয়েছেন -সম্পাদকের নাম মদনমোহন মিত্র; কিন্তু ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থে সম্পাদকের নাম রয়েছে জানকীনাথ গাঙ্গুলীর। অন্যত্রও এই শেষোক্ত নামের উল্লেখই পাওয়া যায়।

পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে প্রথম সংখ্যার শুরুতে ‘বিজ্ঞাপন’ শিরোনামে যা বলা হয়েছে তার মুখ্য অংশ তুলে দেওয়া হ’ল। হালিসহরের তৎকালীন অবস্থা এবং প্রকাশকের বক্তব্য এ থেকে স্পষ্ট হবে।

“........  ‘হালিসহর পত্রিকা’ প্রকাশিত হইল। পত্রিকাপাঠে কোন কোন পাঠক মহাশয় জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, হালিসহর কোথায় ?  তাহাদের ঔৎসুক্য নিবারণ জন্য হালিসহর গ্রামের সংক্ষেপে বৃত্তান্ত লিখিত হইল।
জিলা চব্বিশ পরগনার অধীন বারাসত বিভাগের অন্তঃপাতি হুগলী নগরের পূর্ব্বপারে ভাগীরথীর তীরে এই গণ্ডগ্রাম বিখ্যাত আছে। পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে হালিসহর “কুমারহট্ট” নামে প্রসিদ্ধ।
“কুমারহট্ট” নাম বিষয়ে একটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে, এইযথা - যশহর নগরাধিপ সুবিখ্যাত মহারাজা প্রতাপাদিত্য ভূপের প্রথম কুমার, দিল্লীশ্বর মহানুভব আকবর নৃপের রাজ্যকালে গঙ্গার তীরবর্ত্তীস্থলে এই গ্রাম স্থাপন করেন। এ কারণ এ গ্রাম অতি প্রাচীন এবং নবদ্বীপাধিপতি মহামতি স্বর্গীয় কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাহাদুরের সমাজচতুষ্টয়ের মধ্যে প্রধানরূপে গণ্য ছিল। কেন না এই গ্রাম মহামহিম বুধগণের আবাসভূমি ও এ গ্রামের লোকদিগের আচার ও রীতিনীতি যথাশাস্ত্র, এবং ন্যায়ানুযায়ী ছিল, হীনজাতিরাও যথাবিহিত দেবার্চ্চনা ও পিতামাতার ভক্তি করিত। গ্রামের লোকেরা ধর্ম্ম ও মানকে অমূল্য রত্ন জ্ঞান করিতেন। অবস্থা কাহারও উন্নত ছিল না, তথাপি সকলেই স্ব স্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকিয়া লোকযাত্রা নির্ব্বাহ করিতেন।   
জ্ঞাতি বা ভূম্যাদি সংক্রান্ত বিরোধ উপস্থিত হইলে, গ্রামবাসী বৃদ্ধ, পারদর্শী ও বিজ্ঞ জনগণ কর্ত্তৃক ঐ সকল বিষয়ের মিমাংসা হইত, পারতপক্ষে রাজদ্বারে অভিযোগ হইত না। কিন্তু কালসহকারে তৎসমুদয়ই পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। ১৮৬২ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে যে ভয়ানক মারীভয় উৎপন্ন হয়, সেই মারীভয়ে এই গ্রাম একেবারে প্রায় জনশূণ্য হইয়াছে। সহস্র সহস্র বালক, যুবা, পিতা, মাতা এককালে শমনসদনে প্রেরিত হইয়াছে। অনেকানেক পল্লী শ্মশানভূমির ন্যায় হইয়াছে, গ্রামের আর পূর্ব্বশোভা নাই। গ্রামবাসিদিগের আর পূর্ব্বের উৎসাহ নাই। সকলেই কেহ বা মাতা, কেহ বা পিতা, কেহ বা স্বামী, কেহ বা পুত্র, কেহ বা কলত্র, কেহ বা আত্মীয়, বিয়োগ যন্ত্রনায় ব্যথিত হইয়া, দুঃখে, মনস্তাপে ও বিমর্শে কালক্ষেপ করিতেছেন। গ্রামের যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায় সেই দিকেই শমনের নিদারুণ কার্য্য সকল দৃষ্ট হয়। গ্রামাবাসীরা আর পূর্ব্বের ন্যায় প্রফুল্ল মনে সকল কার্য্যে প্রবৃত্ত হন না। সকলেই আপনার দুঃখে কাতর। দেশের এমন কোন কার্য্যই নাই, যাহাতে সকলে একত্রে প্রণয়পাশে থাকিয়া তৎকার্য্য সম্পাদন করে। দেশের ইদানীন্তন অবস্থা দেখিয়া সকলের মন দুঃখে আর্দ্র হয়।
হালিসহরের যে প্রকার শোচনীয় অবস্থা বর্ণিত হইল, বোধ হয়, অনেক পল্লীগ্রামের একই প্রকার অবস্থা হইয়াছে। যে সকল গ্রাম পূর্ব্বে অনেকানেক কবি, গ্রন্থকার, পণ্ডিত, পরহিতৈষী ও পরদুঃখকাতর ব্যক্তিদিগের জন্মভূমি বলিয়া, দেশ বিদেশে চির পরিচিত ছিলে, এক্ষণে উহা সামান্য গ্রাম বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে।
পল্লীগ্রামস্থ লোকদিগকে সদুপদেশ প্রদানার্থে নানা প্রকার নীতিগর্ভ ও চিত্তানন্দপ্রদ প্রবন্ধ সকল এই অভিনব পত্রিকায় প্রকটন করিবার সংকল্প করা গিয়াছে, সংবাদ প্রদান করিয়া পাঠকবর্গের মনোরঞ্জন করা এই পত্রিকার উদ্দেশ্য নহে।
অধুনা বহুতর সংবাদপত্র প্রচারিত হইতেছে, এমন কি প্রতি দিবসেই এক একখানি সংবাদপত্র জন্ম গ্রহণ করিতেছে। স্বল্প ব্যয় ও পরিশ্রমে পাঠকবর্গ ভূরি ভূরি নূতন নূতন সংবাদ অবগত হইতে পারেন। ইংরাজি ভাষানভিজ্ঞ পত্রিকা পাঠাভিলাষী জনগণের সাধ্যানুসারে অভিলাষ পূর্ণ করা, ইহার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য।
সুললিত ছন্দ সম্বলিত গদ্য পদ্য ও মনোহর রচনাদ্বারা মাতৃভাষার উন্নতি সাধন ইহার অপর উদ্দেশ্য। ইহাতে নানা প্রকার ইংরাজি ও সংস্কৃত গ্রন্থ এবং নাটকের অনুবাদ ও কৌতুক বর্দ্ধক রচনা সকল প্রকাশিত হইবে। অবিকল রচনা অতি কঠিন কার্য্য, তদ্দ্বারা ভাষার লালিত্য ও মধুরতা ভঙ্গ হইবার বিশেষ সম্ভাবনা, তজ্জন্য অবিকল অনুবাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি না রাখিয়া, ভাষার লালিত্য সম্পাদনে যত্ন করা যাইবে।
আমরা যে সময়ে পত্রিকা প্রকাশে কৃতসঙ্কল্প হইলাম, সে সময় অতি দুরূহ; দেশের হিতসাধনে ও পাঠকমনোরঞ্জনে কতদূর কৃতকার্য্য হইব বলিতে পারি না। অতএব পল্লীগ্রামস্থ বন্ধুদিগের ও সহৃদয় পাঠক গ্রাহকগণের নিকট সবিনয় নিবেদন যে, তাঁহাদের উৎসাহ ব্যতিরেকে এ মহৎ সঙ্কল্প সাধন মাদৃশ জনগণের সাধ্য নহে । তাঁহারা উৎসাহ বারি সেচন করিলে, আমাদের আশালতা ক্রমে বর্দ্ধমানা হইয়া, কালে ফলবতী হইতে পারে। আমরা এক্ষণে হালিসহরস্থ কতিপয় বন্ধু একত্র হইয়া এ পত্রিকার রচনা সকল প্রকটন করিতেছি, বিদেশস্থ কোন ব্যক্তি অনুগ্রহপূর্ব্বক কোন রচনা প্রেরণ করিলে আল্হাদ ও কৃতজ্ঞতার সহিত তাহা গ্রহণ করিব ও প্রকাশযোগ্য বিবেচনা হইলে তাহা প্রকাশ করিব। ইহাতে নূতন গ্রন্থের সমালোচনাও থাকিবে কিমধিকমিতি।”  
    

পত্রিকার ১ম সংখ্যায় যে সব রচনা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলি হ’ল – ‘বিজ্ঞাপন’; ‘ইয়ুরোপের যুদ্ধ ও তাহার বিষময় ফল ’; ‘যুদ্ধ বিষয়ে সঙ্গীত’ (কবিতা); ‘হিতমালা’ (কবিতা, ক্রমশঃ প্রকাশ্য); ‘কালমাহাত্ম্য’ (ক্রমশঃ প্রকাশ্য); ‘কুমারসম্ভব’ (ক্রমশঃ প্রকাশ্য); ‘ধনেশনন্দিনী’ । কোন রচনাতেই লেখকের নাম ছাপা হয় নি।
‘হালিসহর পত্রিকা’ সম্বন্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেদারনাথের বই থেকে পাওয়া যায়। প্রাসঙ্গিক অংশটি নীচে দেওয়া হল -

“ ১৮৭৩ অব্দের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে [ ৪ঠা জুলাই ] হালিশহর পত্রিকায় গবর্নমেণ্টের প্রতি বিদ্বেষ ভাবের আঁচ পাইয়া তদানীন্তন লেফটেন্যাণ্ট গবর্নর স্যার জর্জ ক্যাম্বেল হালিশহর পত্রিকার বিরুদ্ধে গবর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক নিকট এক কড়া মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিয়া প্রেরণ করেন। লর্ড নর্থব্রুক স্যার জর্জ ক্যাম্বেলের মন্তব্যের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ না করিয়া পত্রিকার পরিচালকগণকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হইতে ধমক দিয়া ব্যাপার নিষ্পত্তি করিয়া ফেলিতে উপদেশ দেন। তদনুসারে হালিশহর পত্রিকা বহু ভাগ্যবলে স্যার জর্জ ক্যাম্বেলের প্রস্তুত দেশীয় পত্রিকা দমনরূপ যূপকাষ্ঠ হইতে আত্মরক্ষা করিয়াছিল।”

এ ভাবেই ‘হালিসহর পত্রিকা’ অল্পের জন্য মামলার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, প্রকাশকের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে শুধু তিরস্কার করে মুক্তি দেওয়া হয়।   

অপর একটি কৌতুকবহ ঘটনা হ’ল বঙ্কিমচন্দ্রের বিদ্যাসাগর বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে ‘হালিসহর পত্রিকা’র সমালোচনা। বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে অত্যন্ত অবমাননাকর বক্তব্য প্রকাশ করেছেন একথা সর্বজনবিদিত। যেমন – “আর একটা হাসির কথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামে কলিকাতায় কে না কি বড় পণ্ডিত আছেন, তিনি আবার একখানি বিধবাবিবাহের বহি বাহির করিয়াছেন। যে বিধবার বিবাহের ব্যবস্থা দেয়, সে যদি পণ্ডিত, তবে মূর্খ কে ?” অথবা “ট্রানশ্লেসন ছাড়া তো বিদ্যাসাগর মহাশয় সারা জীবনে আর কিছুই করেন নি।” এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্যের ‘পুরাতন প্রসঙ্গ’ থেকে উধৃতি দেওয়া হ’ল -
“বিদ্যাসাগর মহাশয় যে বঙ্কিমের লিখা পছন্দ করিতেন না, তাহা আপামর সাধারণ সকলেই জানেন। তাঁহার একজন গোঁড়া ভক্ত প্যারী কবিরত্ন এই সম্বন্ধে একটি ছড়া বাঁধিয়া গিয়াছেন। সেই ছড়াটি সিকদারপাড়া লেন নিবাসী শ্রীযুক্ত যদুনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের মুখস্থ আছে। বঙ্কিমের অপরাধ,- তিনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কিছু নরম গরম, সমালোচনা করিয়াছিলেন। অনেকেই ইহাতে চটিয়া গেলেন। ‘হালিসহর পত্রিকা’ লিখিল -

“ কভু বা ব্যাসের মাথা চিবাইয়া খেয়ে
নাচিতেছে যাদুমণি হাততালি দিয়ে
যা’রে পায় তা’রে ধরে দিগাদিগ নাই,
বাহবা বুকের পাটা বলিহারি যাই।
আবোল তাবোল বকে সকলই নীরস,
‘সাগরে’ সাঁতার দিতে করেছে সাহস।
কাল চোখে কচি খোকা পরিয়া কাজল,
আপন রূপেতে হন আপনি পাগল।
ঈশ্বরচন্দ্রেতে দিতে কলঙ্কের রেখা,
সে দিন সহরে আসি দিয়াছিল দেখা।
ভারতের মধুমাখা কবিতালহরী,
অনা’সে ফেলিল ছিঁড়ে আব্দার করি।
এখন ‘ছিঁড়িব’ বলি পাড়িয়াছে ধুম।
আয় আয় আয় ‘বঙ্গদর্শনের’ ঘুম।”

‘হালিসহর পত্রিকা’ ১ম বছর মাসিক, ২য় বছর পাক্ষিক এবং ৩য় বছরে সাপ্তাহিকরূপে প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকা সম্পাদক হয় ত শুরুতে পত্রিকা প্রকাশের যে উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছেন, সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন নি। সাপ্তাহিকে রূপান্তরিত হবার পর পত্রিকায় সংবাদ ও রাজনীতিও স্থান পেয়েছে। পত্রিকাটি কতদিন স্থায়ী হয়েছিল জানা যায় নি, তবে খুব বেশি দিন চলেছিল বলে মনে হয় না।

সংযুক্ত প্রতিলিপি পরিচয় –


চিত্র ১ :  ১২৭৮ বঙ্গাব্দ ১লা জ্যৈষ্ঠ (রবিবার) তারিখের পত্রিকার প্রারম্ভিক পৃষ্ঠা।

চিত্র ২ পত্রিকায় মুদ্রিত বিজ্ঞাপন।

চিত্র ৩ :  পত্রিকায় মুদ্রিত বিজ্ঞাপন।


লেখক পরিচিতি : বহু বছর বি.ই. কলেজে (এখন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, শিবপুর ( IIEST,shibpur )) অধ্যাপনা করেছেন। কিছুদিন হল অবসর নিয়েএখন সেখানে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে আছেন। অ্যাপ্লায়েড মেকানিক্স নিয়ে গবেষণা করলেও একাধিক বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে - জ্যোতিষশাস্ত্র, পুরনো কলকাতার সংস্কৃতি, ইত্যাদি। অবসর সময়ে 'অবসরে'র সঙ্গে সময় কাটান।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।