বিবিধ প্রসঙ্গ

জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ২০১৫
রাহুল গুহ
৭ই
পৌষ, বাংলা ১২৫০ সন – ঐ দিনই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ রামচন্দ্র বিদ্যাবাগিশের
কাছে
ছাতিমতলার প্রার্থনা সভায় আশ্রমপ্রধানদের মন্ত্রপাঠ |
ব্রাহ্মধর্মের দীক্ষা নেন। সঙ্গে ছিলেন আরও ২০ জন দীক্ষার্থী। ১২৯৮
সালে দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন
আর ১৩০১ সন থেকে সেই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি ছোট্ট মেলার আয়োজন
করেন। সেই ছোট্ট মেলা সময়ের সঙ্গে বাড়তে বাড়তে বিশাল রূপ নেয়। এখন
সেই মেলায় হাজার হাজার লোক শুধু বীরভূম জেলা বা পশ্চিমবঙ্গ থেকে
নয়, দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসে। বিদেশে বসবাসকারী বাঙালীদেরও
এটা এখন বড় একটা আকর্ষণ।
৭ই পৌষ সকাল হতে না হতেই শান্তিনিকেতনের আশ্রম প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে
সানাইয়ের আওয়াজে। তারপরে আরম্ভ হয় বৈতালিক আর ছাতিমতলায় প্রার্থনা
সভা। সেটা শেষ হলে ‘আগুনের পরশমণি গাইতে গাইতে সবাই দল বেঁধে
হাঁটতে শুরু করে উত্তরায়ণের দিকে।
 |
 |
মন্ত্রোচ্চারণের মাঝে মাঝে গান |
গায়ে চাদর দিয়ে শুভ্রবস্ত্রে ছাত্রছাত্রীরা
গাইছে |
 |
 |
আধ্যাত্মিক পরিবেশে নিমগ্ন এক শ্রোতা |
শ্রোতাদের একাংশ - শীতের কামড় উপেক্ষা
করে |

মেলার মাঠে ঢকার তোরণ
|
এই প্রার্থনার মধ্য দিয়েই যেন পরের তিন দিনের আনন্দোৎসবের সুরটা
বাঁধা হয়ে যায়। সর্বসাধারণের জন্যে আমাদের সবার যে দায়বদ্ধতা সেটা স্মরণ
করিয়ে দেওয়া হয়। মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে গিয়ে চোখে পড়ে গ্রামীন বস্তু
দিয়ে বানানো একটি সুন্দর তোরণ। খড়, শণ, দড়ি ইত্যদি ব্যবহার করে স্থানীয় শিল্পীদের অনুপম সৃষ্টি।
 |
 |
একটি ছোট্ট ছেলে মনোযোগ দিয়ে পোড়ামাটির কাজ দেখছে |
কিছু কিছু স্টল গতানুগতিক নয় - আশ্চর্য হবার মত |
 |
 |
তালপাতার বাঁশি - বাচ্চাদের হাতে পড়লে কি হবে ভাবছি! |
পৌষমেলা অথচ কাঁথা স্টিচের শাড়ি নেই - তা কি হয়!
|
 |
 |
আগন্তুক এক চারণ (কবি) |
বহুরূপী |
 |
 |
রসনা তৃপ্ত না হলে মেলায় আসব কেন? |
ফুচকা চাট... কি চাই? |
 |
 |
আরও আছে |
বাঙালীর রসনা - মাছ না হলে কি চলে? |
 |
 |
বহু পরিশ্রমের ফসল, তার ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাবে কি? |
ডালা, কুলো, বাস্কেট ইত্যাদির পসরা নিয়ে এক কন্যা। |
 |
 |
চোখের সামনেই বানানো হচ্ছে বেতের কুলো ডালা ইত্যাদি |
কাঠের কারিগর তৈরি করছে কাঠের নানান জিনিস |
 |
 |
একতারা, ডুবকি আর গুপিযন্ত্র (খামক?)। বাউল ফকিরদের
প্রিয়। পৌষমেলা থেকে কিনে নানান জায়গায় বাজিয়ে শ্রোতাদের
মনোরঞ্জন করা যায়। |
তিরিশ বছর ধরে আসছেন এই মেলায়। পেঁপে পাতার নলি, পাটকাঠি,
প্লাস্টিক টিউব সবাই ভুলেছে। এখন বুদবুদ বেরোয় বাব্ল
গান থেকে। |
 |
 |
বাউলদের আখড়ায় গিয়ে গান শোনা হল |
অতঃ কিম? |
লেখক পরিচিতি - মাইনিং ইঞ্জিয়ার। বর্তমানে
ভারত সরকারের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মাইনস সেফটি। নেশা ফটোগ্রাফি।
অবসর-এ ওঁর তোলা ছবি অনেক সময়েই ব্যবহার করা হয়েছে।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।