“বাঙ্গালীর
পুজো – গানে, পাঠে”!!
কাকাবাবুর হাত ধরে
সৌম্যকান্তি জানা
দু’বছর
আগে নবমীর সকালে টিভি খুলে চ্যানেল সার্ফ করতে করতে একটা নিউজ
চ্যানেলে গিয়ে থমকে গেলাম। মনে হল যেন এক নিমেষে আমাকে কেউ রেখে
দিয়ে এসেছে ‘দিকশূন্যপুরে’। নবমীতেই বিসর্জনের বিষাদ। অষ্টমীর
গভীর রাতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গেছেন
তাঁর অজস্র মনিমুক্তো- গল্প, উপন্যাস কবিতা। রেখে গেছেন নীরাকে।
আর
রেখে গেছেন আমার কৈশোরের স্বপ্নের হিরো – “কাকাবাবুকে”।
আমাদের
গ্রামের বাড়িটা ছিল শহর থেকে অনেক দূরে, এক্কেবারে অজগাঁয়ে। গ্রামের
বেশিরভাগ মানুষ খবরের কাগজ কী চিনত না। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার
বালাই তেমন ছিল না। আমাদের গ্রামে দু’টো প্রাথমিক স্কুল থাকলেও
দু’টো গ্রাম নিয়ে ছিল একটা হাইস্কুল। আমার বাড়ি থেকে দু’মাইল কাঁচা
রাস্তা ও মাঠ পার হয়ে পৌঁছতে হত স্কুলে। স্কুলও তেমন। মাটির দেয়াল
আর খড়ের ছাউনি দেওয়া স্কুল। এমন স্কুলে গ্রন্থাগার থাকার কথা নয়-
ছিলও না। বাড়ির আর্থিক অবস্থাও এমন ভালো ছিল না যাতে গল্প-উপন্যাস,
পত্র-পত্রিকা কেনার শখ পূরণ করা যায়। ফলে শৈশবে স্কুলের বই ছাড়া
অন্য কোনো বই পড়ার তেমন সুযোগ আমার হত না। তবে একটা বাংলা পত্রিকা
ডাকে নিয়মিত আসত বাবার নামে- সোভিয়েত দেশ। বেশ বড়ো সাইজের পত্রিকা,
মসৃণ কাগজ। সুন্দর সুন্দর ছবি থাকত। সেই কাগজ দিয়ে আমি বইয়ের মলাট
দিতাম। আর বাবা কলকাতা গেলে মাঝে মাঝে আমার জন্য চাঁদমামা কিনে
আনত। পড়ে পড়ে মুখস্থ হয়ে যেত। ওই দুই পত্রিকার বাইরে আর কোনো পত্রিকা
আছে কিনা অন্তত দশ বছর বয়স অবধি আমার জানা ছিল না।
সেটা
সম্ভবত: ১৯৭৯ বা ১৯৮০ সাল। পুজোর ঠিক আগে বাবা কলকাতা গেলেন স্কুলের
একটা কাজে। রাতে বাড়ি ফিরে ব্যাগ থেকে একটা বেশ মোটাসোটা বই বের
করে আমার সামনে রেখে বললেন, “বাপি, এটা তোর জন্য আনলাম।” দেখি,
বইটার উপরে দুর্গা ঠাকুরের একটা ছবি, আর লেখা আনন্দমেলা। আমি বললাম,
“এটা কী বই বাবা?” বাবা বললেন, “বই না, পত্রিকা। ছোটোদের পত্রিকা।
এটা পুজো সংখ্যা। তাই মোটা। অনেক গল্প-কবিতা আছে। ছুটিতে পড়ে ফেলিস।”
বাড়িতে
তখন বিনোদন বলতে রেডিওতে গান আর নাটক শোনা। আমরা ছোটোরা নিয়মিত
শুনতাম শিশুমহল আর গল্পদাদুর আসর। প্রতি শনিবার রাত পৌনে দশটায়
আর রবিবার পৌনে দু’টোয় বিবিধ ভারতীতে ধারাবাহিক গোয়েন্দা নাটক
শোনা ছিল আমার নেশা। ঐ নাটকের দৌলতেই আর্থার কোনান ডয়ালের শার্লক
হোমস আর নীহাররঞ্জন গুপ্তের কিরীটি-র সাথে আমার পরিচয়। দুজনেই
তখন আমার স্বপ্নের
হিরো। নিজেকে কখনো শার্লক হোমস, আবার কখনো কিরীটি ভেবে নিয়ে মনে
মনে ডিটেকটিভ গল্পের প্লট তৈরি করতাম। ফলে ওই আনন্দমেলা হাতে নিয়েই
সূচিপত্রে চোখ বোলাতে লাগলাম, দেখি শার্লক হোমস বা কিরীটিকে নিয়ে
কোনো গল্প আছে কিনা। চোখ আটকে গেল একটা গল্পে- “পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক”।
লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কী মনে হল আমার- ওটাই আগে পড়ব। তখন বোধহয়
রাত ন’টা-সাড়ে ন’টা হবে। পড়া শুরু করে দিলাম।
ক্রেভিসের
মধ্যে সন্তু তলিয়ে যাচ্ছে। কাকাবাবু, মিংমা লক্ষ্যই করছে না। ও
বাঁচবে তো! টেনশনে আমার হৃৎস্পন্দন বাড়ছিল। মায়ের তাড়ায় খেতে উঠতেই
হল। তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে ভাত-তরকারি যতটুকু না খেলাম তার চেয়ে
মায়ের বকুনি খেলাম বেশি! তা হোক। সন্তুর কী হল জানতেই হবে! আর
সত্যিই কি খোঁড়া পা নিয়ে কাকাবাবু এভারেস্টে উঠবেন? এটা কী সম্ভব?
না কি সত্যিই ইয়েতির খোঁজে এসেছেন কাকাবাবু? ইয়েতি!!! এ নামটা
আমি আগে কখনো শুনিনি। কিন্তু এটা যে অদ্ভুত রহস্যময় একটা প্রাণী
তা ওইটুকু পড়েই আঁচ করতে পারছিলাম। সুতরাং কোনোরকমে হাত-মুখ ধুয়ে
ফের হ্যারিকেনের আলোর সামনে।
সেই
ছোট্ট বয়সে ঐ লেখার সাহিত্যগুণ বোঝার ক্ষমতা আমার ছিল না, কিন্তু
গল্পটা পড়তে পড়তে অদ্ভুত একটা রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। শুয়ে পড়ার
জন্য বাবা-মায়ের ডাক আমার কানে ঢোকেনি। নিজে যেন চলে গিয়েছিলাম
এভারেস্টের কোলে সেই জনমানবশূন্য ধূ-ধূ বরফঢাকা এলাকায় যেখানে
শুধু দাঁড়িয়ে একটা পাথুরে গম্বুজ। আমিও যেন চোখের সামনে উত্তুঙ্গ
তুষার-সুন্দরী এভারেস্ট আর একটু দূরে কালাপাথর পাহাড় দেখতে পাচ্ছিলাম।
পড়তে
পড়তে শুধু যে রোমাঞ্চের স্বাদ পাচ্ছিলাম তা নয়, শিখছিলাম আরও অনেক
কিছু। ‘অ্যাভালান্স’ মানে যে হিমবাহ ভেঙ্গে পড়া, সেই প্রথম জানলাম।
অসাধারণ বর্ণনার গুণে সেই অ্যাভালান্সের শব্দ আমার কানে যেন শুনতে
পাচ্ছিলাম। সেই প্রথম জানলাম, বরফ ঢাকা এলাকায় রাতে স্লিপিং ব্যাগে
ঢুকে ঘুমোতে হয়। জানতাম না, মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা নির্ণয় ও
নামকরণের ইতিহাস। জানতাম না, এর পুরোনো নাম ছিল ‘পীক নাম্বার ফিফটিন’,
আর পাহাড়ে না উঠে অঙ্ক কষে পাহাড়ের উচ্চতা মাপা যায়!
কেইন
শিপটন যখন ধরা পড়ল তখন মনে হল দেয়াল ঘড়িটা একবার দেখা যাক। রাত
আড়াইটে!!! কোনো গল্প পড়ার জন্য এত রাত জাগা সেই প্রথম। বাবার নাসিকা-গর্জনের
শব্দ এতক্ষণে কানে ঢুকল। ঘাড় ফেরালাম। বাবা, মা, ভাই আর ছোট্টো
বোন তখন ডুবে গেছে গভীর ঘুমে। আমি হ্যারিকেনের বাতি কমিয়ে সন্তর্পণে
মশারি তুলে বাবার পাশে গিয়ে শুলাম। কিন্তু চোখে ঘুম এল না। আমি
ঘুরে বেড়াতে লাগলাম বরফের নীচে কেইন শিপটনের গোপন আস্তানায়! ঐ
কাহিনীটিতে ইয়েতিদের পায়ের ছাপের কথা ছিল আর সেই ছোটবেলাতেই আমার
একটা কৌতূহল তৈরী হয়ে গিয়েছিল ইয়েতিদের নিয়ে। বড় হয়ে ও এদের নিয়ে
কিছু পড়াশোনা করে লেখালেখি করেছি।
“পাহাড়চূড়ায়
আতঙ্ক” পড়তে পড়তে কয়েক জায়গায় কাকাবাবুর আগের দু’টো অভিযানের কথা
উল্লেখ ছিল। একটা কাশ্মীরে, আর অন্যটা আন্দামানে। ওই দু’টো অভিযানের
কাহিনী পড়ার জন্য আমার মন হাঁকপাঁক করতে লাগল। বাবার কাছে বায়না
জুড়লাম, যেভাবেই হোক ওই দুটো অভিযানের কাহিনী আমাকে জোগাড় করে
দিতেই হবে। বাবা বলল, কাকাবাবুর কাহিনী নিয়ে তপন সিংহ একটা সিনেমা
করেছেন। সিনেমার নাম “সবুজ দ্বীপের রাজা”। বাবা ই বলল, ওই সিনেমাটা
কাকাবাবুর আন্দামান অভিযানের কাহিনী নিয়ে তৈরি, পেপারে পড়েছে।
বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরের গঞ্জ শহরে দরমার বেড়া দেওয়া একটা সিনেমা
হল ছিল। সেখানে বেশিরভাগ সময় উত্তম-সুচিত্রার সিনেমা চলত। তবে
বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। বাবা-মার সাথে যেদিন ম্যাটিনি শো’তে
“সবুজদ্বীপের রাজা” দেখতে গেলাম সেদিন সকাল থেকে আনন্দে ঠিকমত
খেতেও পারিনি। সিনেমাটা গোগ্রাসে গিলেছিলাম। আজও আমার মনে কাকাবাবু
বলতে দু’বগলে ক্রাচ নিয়ে হাঁটা শমিত ভঞ্জের চেহারাটাই ভেসে ওঠে।
কাকাবাবু সন্তুকে প্রায়ই বলতেন, “এমনি বলে কোনও কথা নেই, সব কিছুর
পিছনে একটা কারণ থাকে।” - কথাটা আমি আজও মানি।
দুধের
স্বাদ ঘোলে মিটল “সবুজ দ্বীপের রাজা” দেখে। কিন্তু কাশ্মীরের অভিযানের
কাহিনীটা আমার পড়া চাইই চাই। এই ব্যাপারে আমার বায়নার জায়গা ছিল
বাবা। বাবা আশ্বাস দিল, কলকাতায় গেলে কলেজ স্ট্রিটে খোঁজ করবে।
বাবা যখনই কলকাতা যেত, আমি মনে করাতাম। আর বাবার ফেরার পথ চেয়ে
অপেক্ষা করতাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বাবা বলত, ”কলেজ স্ট্রিট
যাওয়ার একদম সময় পাইনি
রে। পরের বার আনব।” এভাবেই ‘পরের বার, পরের বার’ করে কেটে গেল
বেশ কয়েক মাস। আমি যখন হাল ছেড়েই দিয়েছি, বাবা একদিন কলকাতা থেকে
ফিরেই ব্যাগ থেকে বার করে আমার সামনে ফেলে দিল “ভয়ংকর সুন্দর”।
সশরীরে কাশ্মীর আমি আজও যেতে পারিনি, কিন্তু মানসচক্ষে কাশ্মীরভ্রমণ
আমি সেরে ফেলেছিলাম সেই রাতেই। ইতিহাস বইতে কনিষ্কের মাথাহীন ছবি
দেখেছিলাম। তখনই আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল, কেন মাথা নেই? কিন্তু
কাউকে জিজ্ঞাসা করার সাহস হয়নি। সেদিন আমি উত্তর পেয়ে গেলাম। সম্রাট
কনিষ্কের রানির কাপড়ে হাতের ছাপ নিয়ে কনিষ্কের সাতবাহন রাজ্য আক্রমণ-
প্রকৃত ঘটনা কিনা আজও জানি না, কিন্তু আমি তা মিথ্যে ভাবতেই পারিনা।
কনিষ্কের মুর্তির কাটা মুন্ডুটা কাকাবাবু উদ্ধার করার পরও যেভাবে
হাতছাড়া হল সে আফশোষ আমার আজও আছে। এজন্য আজও সূচা সিং-এর উপর
আমার ভয়ানক রাগ। কী জানি, ঝিলমের জলে সেই মুন্ডুটা কোনওদিন পাওয়া
যাবে কিনা!!! সেই কাহিনীটি ছিল সন্তুর নিজের জবানীতে, কাজেই নিজেকে
‘সন্তু’ ভাবার নেশা সেই ছোটবেলাতেই সুনীল ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
আমার
সেই প্রেমের শুরু আনন্দমেলার সাথে, কাকাবাবুর সাথেও। নিয়মিত পেতাম
না। বাবা কলকাতা গেলে মাঝে মাঝে আনত। তবে পুজো সংখ্যার জন্য মুখিয়ে
থাকতাম। আর কিচ্ছু না, স্রেফ কাকাবাবুর জন্য। সম্ভবতঃ তখন আমি
ক্লাস নাইনে পড়ি। পড়লাম “খালি জাহাজ রহস্য”। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমার বাড়ির এলাকা সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে কাহিনীর জাল বুনেছেন।
কাকাবাবু ক্যানিং হয়ে সুন্দরবনে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে খুঁজে পান
হারিয়ে যাওয়া খ্যাতনামা সুইডিশ বিজ্ঞানী ইংগমার স্মেল্টকে। তিনি
ভিয়েতনামের উপর মার্কিন আক্রমণের প্রতিবাদে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান
করেন ও রাগে-দুঃখে-অভিমানে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। গহন জঙ্গলে গাছের
তলায় বসে শীর্ণ, শ্বেতশুভ্র শ্মশ্রুকেশধারী সেই ইংগমার স্মেল্ট
মাউথ অরগ্যানের মত বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন- সে দৃশ্য আমার কল্পনায়
আজও উজ্জ্বল। ইংগমার স্মেল্টের মুখ দিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটা
অসাধারণ কথা বলিয়েছেন যা আজও আমি ভুলতে পারিনি-
“অনেক
মানুষ যত হিংস্র হয়, বনের পশুরা তত হিংস্র হয় না কখনও। তারা অনেক
সভ্য আর ভদ্র। বৈজ্ঞানীকদের অস্ত্র যত মানুষ মেরেছে, তার চেয়ে
কি পশুরা বেশি মানুষ মারতে পারে?”
কথাটা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
তখন
আমি উচ্চ-মাধ্যমিকের ছাত্র। সম্ভবতঃ ১৯৮৫ সালে পুজো সংখ্যা আনন্দমেলায়
পড়লাম “জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল”। পড়তে পড়তে আমিও কেনিয়া ভ্রমণ
করেছি। নাইরোবি শহরটা নাকি একটা চিড়িয়াখানার মতো, লোহার জালে ঘেরা,
আর খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ায় জন্তু-জানোয়ার। এ বিস্ময় আমার আজও কাটেনি!
পুজো
আসে বার বার। কিন্তু আর আসবে না কাকাবাবু। একথা অনস্বীকার্য বলে
আমার মনে হয়েছে যে শেষের দিকে কাকাবাবুর কিছু অভিযানে রোমাঞ্চকর
উপাদানের অনেকটা ঘাটতি থেকেছে । তবুও কাকাবাবু, রাজা রায়চৌধুরী,
- বাংলা কিশোর-সাহিত্যের ব্যাতিক্রমী চরিত্র। তিনি প্রকৃত অর্থে
তাঁর পূর্বসূরি দেবেন্দ্রবিজয়-অরিন্দম, জয়ন্ত-মানিক, ব্যোমকেশ
বক্সি, ফেলুদা, কিরীটি রায় কিংবা উত্তরসূরি অমল সোম, কিকিরা, দীপক
চ্যাটার্জি, ঋজু বোসদের মতো শুধু প্রাইভেট ডিটেক্টিভ নন, তিনি
এক দুঃসাহসিক অভিযাত্রী যিনি খোঁড়া পা নিয়েও দুষ্টের দমন করেন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কাকাবাবু চরিত্রের মধ্যে দিয়ে আমাদের শিখিয়েছেন
যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাটা কোনও বাধা হতে পারে না যদি মনের জোর
বজায় রাখা যায়।
লেখক
পরিচিতি - সৌম্যকান্তি
জানা - বেড়ে ওঠা, স্কুলের পড়াশুনা কাকদ্বীপে। লেখালেখি,গানবাজনার
চর্চা শৈশব থেকেই। ১৯৯২ সালে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বর্তমানে কাকদ্বীপের কাছে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। পাশাপাশি
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের একজন সক্রিয় সংগঠক। ছড়া, কবিতা, গল্প,
নাটিকা, প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত প্রথম সারির বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।
(আপনার
মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)
অবসর-এর
লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য
অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।