প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

কান পেতে রই...

অবসর (বিশেষ) সংখ্যা , ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

 

কল্পনার আকাশ - অবাধ, রঙিন

ঈশানী রায়চৌধুরী

 

আমার ছোটবেলায় দূরদর্শনের বালাই ছিল না। দূরভাষও ছিল না অত ঘরে ঘরে। এখন যেমন এগুলো অপরিহার্যতার গন্ধ মেখে আসে। মুঠিফোন, ই মেল, ফ্যাক্স..কিচ্ছুই ছিল না। লোকে খামে, ইনল্যান্ড লেটারে বা পাতি পোস্টকার্ডে চিঠিচাপাটি লিখত। অতিমাত্রায় সু বা দুঃসংবাদ হলে তারবার্তা। তারবার্তা মানেই বুক ঢিবঢিব। আর ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার ছিল না, স্রেফ মানি অর্ডার। আর ছিল রেডিও। গ্রামোফোন।

রেডিও ছিল ফিলিপস-এর। সেই এরিয়াল দেওয়া। স্টেশন ধরতে গেলে ঘসঘস আওয়াজ হত। ভেতরে হালকা হলদে আলো জ্বলত আর একটা সরু লাল কাঁটা তিরতির করে নড়ত। আমি খুব ছোটবেলায় ভাবতাম, এইটুকু বাক্সে এত লোকজন থাকে কী করে ! পরে অবশ্য একটা মারফি ট্রানজিস্টর কেনা হয়েছিল। তবে সেটাতে দাদুর মৌরসীপাট্টা ছিল। হাতে পেতাম না। দিনরাত্তির চলত। দাদু তখন স্ট্রোক হয়ে বিছানায়। ওইটাই সর্বক্ষণের সঙ্গী। ওটা চলছে , দাদুর নাক ডাকছে ..আমি খুট করে বন্ধ করেছি...অমনি জেগে উঠে কী হম্বিতম্বি! "তুই বন্ধ করলি কেন? আমি শুনছি !" আর গ্রামোফোন? সেও ছিল একটা। এক সঙ্গে আটখানা করে ৭৮ আর পি এম চড়ানো যেত। পিন বদলে এস পি। তাতে আঙুরবালা, যূথিকা রায় থেকে শ্যামল, সতীনাথ সব। ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কীর্তন থেকে শুরু করে অনুপম ঘটকের সুরে আধুনিক গান ...মিলেমিশে থাকে।

রেডিওতে রবিবারের দুপুরে মাংস-ভাত খেয়ে বাবার পাশে চুপটি করে শুয়ে আধুনিক বাংলা গানের সোনার সংসার "অনুরোধের আসর"। এই অনুরোধের আসর বুধবার রাতেও হত। গ্রামোফোনে রেকর্ড বাজে.. পুরনো, খুব পুরনো গান হলে ঘ্যাসঘ্যাসে আওয়াজ। পিন খারাপ? আমি ছটফট করি। হাতে শারদ অর্ঘ্য। এইচ এম ভি-র সে বছরের পুজোয় নতুন গানের বই। শিল্পীদের ছবি। ইস, এরা সব দূর গ্রহের বাসিন্দা। মেগাফোনও বের করে। একটু কলেবরে কম। নতুন গান দিল? পাতা উলটে গানের বাণী মেলাই। কী কাণ্ড ! ওরাও বুঝি বই দেখে গান গায় ? একটিবারও ভুল ধরতে পারি না। আমি নতুন অঙ্ক শিখছি। হিজ মাস্টার'স ভয়েস..একটা কুকুর..গ্রামোফোনের চোঙ। একটা মোটা কালো বিন্দু। তার পাশে লেখা কলম্বিয়া। আমি বলি " দশমিক" কলম্বিয়া। আচ্ছা, বাড়ির লোক এত হাসে কেন?

রবিবার আর বুধবার আধুনিক গান শুনি। ঠিক একটা নির্দিষ্ট বৃত্তে ঘুরে ফিরে আসে। হেমন্ত-সন্ধ্যা, লতা-মান্না, কিশোর -আশা। আমি শুনি। ভালো লাগে। কিন্তু আরও ভালো লাগে..জপমালা ঘোষ, আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনৎ সিংহ, অমল মুখোপাধ্যায়। গুনগুন করি "লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া ধরেছে যে বায়না, চাই তার লাল ফিতে চিরুনি আর আয়না"। তক্ষুনি আমার সবচেয়ে প্রিয় হয়ে যায় লাল টুকটুকে রং। আমি নিজের ডাকনামটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জিভে নাড়াচাড়া করি.."টুকটুক, টুকটুক"। আলপনা অদ্ভুত সুরেলা গলায় ঝংকার তোলেন "হাট্টিমাটিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম.."। আমি চোখ বুজে মিলিয়ে নিই আমার ছড়ার বইয়ের ছবির সঙ্গে। কাল মাথা ঠুকে গিয়েছিল..বন্ধুর মাথায়। কে জানে বাবা "শিং" গজাবে কিনা ! ছোট ছোট সন্দিগ্ধ হাতে মাথার দু'পাশ পরখ করি। সনৎ সিংহ গেয়ে ওঠেন,"সরস্বতী বিদ্যেবতী তোমায় দিলাম খোলা চিঠি..." আমি গুনগুনাই পরের পংক্তি..তদ্গত হয়ে " একটু দয়া কর মা গো, বুদ্ধি যেন হয়। এ সব কথা লিখছি তোমায় নালিশ করে নয়। " বিড়বিড় করে বলি, "এবারে ফার্স্ট না হলে মা খুব বকবে। " রূপকথা ছুঁয়ে থাকি অমল মুখোপাধ্যায়ের গানে.."টগবগ টগবগ টগবগ টগবগ ঘোড়া ছুটিয়ে, ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলমিল নিশান উড়িয়ে..." আমাকে জানলা দিয়ে হাতছানি দিয়ে যায় " ছোট্ট খোকন..যাচ্ছে..হাতে খোলা তলোয়ার.."..আমি মনে মনে হেঁকে উঠি.." দৈত্য দানব যেথায় আছো, সবাই হুঁশিয়ার!"

আর শুনি রবিবারে পঙ্কজ মল্লিকের গান শেখানোর আসর। রবি ঠাকুরের গান। "দিনের শেষে ঘুমের দেশে..."। সোমবার আর শুক্রবার রাতে হয় রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুরোধের আসর। আমার ঘুম কেড়ে নেয় দেবব্রত, সুচিত্রা, কণিকা, সুবিনয়, রাজেশ্বরী, নীলিমা সেন। আমি চিনে যাই, বুঝে যাই ওই দাড়িওয়ালা বুড়ো ম্যাজিশিয়ান ...ওর নাম রবি ঠাকুর। ও আমার ভোরবেলার মন ভালো, সন্ধেবেলার মন খারাপ।

আরও শুনি। ধীরেন মিত্তির কাঁপা কাঁপা গলায় এক অন্যরকম উতল করা আবেশ ছড়িয়ে গেয়ে ওঠেন , "নীলাম্বরী শাড়ি পরি , নীল যমুনায় ..কে যায়..কে যায় ..কে যায় ..."। আমি গালে হাত দিয়ে ভাবি, সত্যি তো! কে যায় ? মানবেন্দ্রর গান , "বাগিচার বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিস নে আজি দোল ", ফিরোজা বেগম ..উফ..কী সুন্দরী ..."দূরদ্বীপবাসিনী " ....আমিও ওই গানটা গেয়ে ফেলি ..সদ্য শিখে..লাল-কালো -সোনালি ফ্রক পরে ...সেবারে পাড়ার দুর্গাপুজোয়। আর সমরেশ রায়। " মোর প্রিয়া হবে এস রাণী, দেব খোঁপায় তারার ফুল ..."। এমন তো আরও কত কত গান। নজরুলের কথা শুনি। ইস. কী কষ্ট ! ও আর ভালো হবে না, না ?

এভাবেই আসে দ্বিজেন্দ্রগীতি, অতুলপ্রসাদী, কান্তকবির গান। আজও..এত দিনেও..আমার কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের গায়কীর প্রতি আনুগত্য টুটল না।

শুনি তো ! বেগম আখতার শুনি, আধুনিকের চেয়েও কান পড়ে থাকে সতীনাথের বাংলা রাগপ্রধানে.."কে পিয়া বলে ডাকে রে ..মধুনিশীথে ...."

বাজনাও শুনি। গীটার। প্রথম বাংলা পপ। রাণু মুখোপাধ্যায়.. "কুচকুচে কালো সে জাতে স্প্যানিয়েল"। ইস, মামারবাড়ির পমপম..তিব্বতী লাসা। পারত না ওরা একটা স্প্যানিয়েল কিনতে ? কত বলব ! কত ..কত ! রেডিওতেই প্রথম শিপ্রা বসু, মাধুরী চট্টোপাধ্যায় , অখিলবন্ধু, ভূপেন হাজারিকা, সুমন কল্যাণপুর, উৎপলা, প্রতিমা, সবিতা, তালাত মাহমুদ, মৃণাল চক্রবতী, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পিন্টু ভট্টাচার্য । দু'হাতের দশ আঙুলে সে সব প্রিয় গানের কলি ....গুনে শেষ করা যায় না।

আমার ছোটবেলা এভাবেই। গানে, সুরে, রূপকথায়, গল্পে, আহ্লাদে, আবদারে, বকুনিতে, আদরে, খিলখিল হাসিতে আর ঠোঁট ফোলানোয়। দূরদর্শন নেই। ভালোই, ভাগ্যিস! কল্পনার ক্যানভাস অনেক বড়, অনেক অবাধ, অনেক রঙিন !

শুক্কুরবারে সন্ধেবেলা নাটক হয়। রবিবারের দুপুরেও। শুনি না। শোনা বারণ। বাবা পছন্দ করে না। বাড়িতে শুনি না। কিন্তু জানলা দিয়ে ভেসে আসে পাশের বাড়ির রেডিওর আওয়াজ। মা বলে, "অজিতেশ"। মামারবাড়ি গেলে ফাঁকতালে নাটক শোনা হয়। ওখানে বাবার লাল চোখ নেই। শুনি "কাবুলিওয়ালা" , "চোখে আঙুল দাদা", "ডাকঘর", "যমালয়ে জীবন্ত মানুষ।" কাবুলিওয়ালা নাটকে ছোট্ট মিনি..ওই চরিত্রে অভিনয় করত আমার বন্ধু। কঙ্কনা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকত রূপচাঁদ মুখার্জী লেন- এ।

আমি শুনি। রবিবারে শিশুমহল। ইন্দিরাদি বলে, "ছোট্ট সোনা বন্ধুরা, আদর আর ভালোবাসা নাও। কী, ভালো আছ তো সব ?" আমিও অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে গলা মেলাই। অনেকখানি ঘাড় হেলিয়ে বলি, "হ্যাঁ....."। বুধবারে শুনি গল্পদাদুর আসর। মুখে কুচিকুচি মশা ঢুকে যায়। মা বলে, "আচ্ছা হাঁ-করা মেয়ে বটে !"

আর শুনি ... বোরোলীনের সংসার। উফ, কী দারুণ গলা। শ্রাবন্তী নাম। আমি খুব খুব ভালোবেসে ফেলি। আমার ভাতের থালায় যত ভাত কড়কড়ে হিম ঠাণ্ডা করে দিয়ে শ্রাবন্তী হাস্কি গলায় গায়-

"শুষ্কতার , রুক্ষতার ..অবসান যদি চান
..বারো মাস ..সারা অঙ্গে মেখে নিন
..সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীম ..বোরোলিন।
ত্বক যদি কেটে যায়, ফেটে যায়..খসখসে যদি হয়,
রোদ্দুরে ঝলসায়..সারা অঙ্গে মেখে নিন..
সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রীম ..বোরোলিন। "

ব্যস, মা আমাকে বলে বলেও পন্ডস বা চার্মিস কী নিদেনপক্ষে বসন্ত মালতী মাখাতে পারে না। আমি চটচটে সাদা বোরোলিন মেখে বসে থাকি।

বাজনা শুনি। হিমাংশু বিশ্বাসের বাঁশি। হিমাংশু আর হাসি বিশ্বাস। মায়ের বাপের বাড়ির দিকের কে যেন হয় ! আর গীটার। লঘু সঙ্গীতের সুর। বা রবীন্দ্রসঙ্গীত। সুনীল গাঙ্গুলী , রজত আর বটুক নন্দী। আর ...কাজী অনিরুদ্ধ। আবৃত্তি শুনি ...গমগমে গলায় .. কাজী সব্যসাচী –

মহা বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেইদিন হব শান্ত
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃষাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

খবর শোনে দাদু। শুয়ে শুয়ে। "খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।" নিশ্চয়ই লোকটা দারুণ আবৃত্তিও করে। দেবদুলালের গলায় সবচেয়ে বেশী যে কবিতাটি মনে করায় তা আমার প্রিয় কবির কবিতা –

যদি নির্বাসন দাও,
আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোয়াঁবো
আমি বিষপান করে মরে যাব!
বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ
নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ
প্রান্তরে দিগন্তে নির্নিমেষ—
এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভুমি
যদি নির্বাসন দাও,
আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছোয়াঁবো
আমি বিষপান করে মরে যাব।

আজ আমার প্রবাস জীবনে যেন সেই কন্ঠ অন্য মাত্রার স্মৃতি নিয়ে আসে। খবর পড়ে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ পরিক্রমা...তরুণ চক্রবর্তী। দুজন মেয়েও খবর পড়ে। ইভা নাগের চেয়ে আমার নীলিমা সেনকে মনে ধরে বেশি। খবর বুঝি তো কচু ! তবে ভান করি খুব ! যাতে পড়ার সময়টা কয়েক মিনিট কমে যায়।

"দেশ" আসে। "অমৃত" আসে। আর আসে "বেতার জগৎ"। আমি হুমড়ি খেয়ে আঙুল সরাই এক অনুষ্ঠান থেকে অন্য অনুষ্ঠানে। স্বপ্নের পৃথিবী। এখানেই পড়ি শীর্ষেন্দুর "জীবনপাত্র " মহাশ্বেতার "অরণ্যের অধিকার ", কবিতা সিংহর কবিতা। ছোট মেয়ে? তাতে কী? বই পড়ার ছাড়পত্র আদায় করে নিই জোর করে। কী যে ভালো পত্রিকা ছিল এই "বেতার জগৎ"। সারা মাসের অনুষ্ঠান সূচি ..সঙ্গে গল্প-কবিতা-ধারাবাহিক উপন্যাস ফ্রী।

ক্রিকেট মরশুমে রিলে শুনি। রেডিওতে কান ঠেকিয়ে। সুনীল গাভাস্কার, বিশ্বনাথ। সেলিম দুরানী, আবিদ আলি। বেদী-প্রসন্ন-চন্দ্রশেখর। লর্ডসে জিতল যখন ভারত! সেই কমলদা, অজয় বোস, পুষ্পেন সরকার। আর পঙ্কজ রায়ের সেই বিখ্যাত উচ্চারণ .."কাপিলদেব, চিতন চুহান "!

ফুটবল বুঝতাম কম। শুধু জানি..আমি লাল-হলুদ...মামারবাড়িও তাই । এদিকে.. বাবা ...বেদম মেরুন-সবুজ। লাল-হলুদ গোল দিলেই রেডিও বন্ধ করে দেয় ঝপাং করে (সেই ট্র্যাডিশন এই দূরদর্শনের যুগে আজও অব্যাহত)।

আর..ওই যে... মহিষাসুরমর্দিনী ? দূর ছাই, মহালয়ার ভোরে ঠাম্মা ঠেলা মারে। বাড়িশুদ্ধু লোক চা খেয়ে গুটিশুটি মেরে বীরেন ভদ্রর চণ্ডীপাঠ শোনে। আর আমি আধঘুমে, আধজাগা। স্বপ্নে ভেসে আসে আলোর বেণুর পাগল করা সুর। ঘুমোই, জাগি, আবার ঘুমোই। যাঃ, শেষ হয়ে গেল? আমার শোনাই হল না ? কুছ পরোয়া নেহি, আসছে বছর আবার হবে। আমার জীবনে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এল...এখনও আমার মহালয়ার ভোর হল না !

আমার ছেলেরা? প্রবাসে বেড়ে ওঠে। ওদের জন্য নার্সারী রাইমস। প্রীতি সাগর। ইংরিজিতে যা যা কিছু...সব । একটু বড় হয়ে পপ, রক, ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল। আমি ঝুলোঝুলি করি। বাংলা গান যোগাড় করে আনি। বুঝি, ওরা বিদেশী ভাষাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। দূরদর্শনে ইংরিজি কার্টুন , ইংরিজি সিনেমা, সিরিয়াল দেখে বড় হয়। লালকমল নীলকমল বুদ্ধু ভুতুম শোনে , কিংবা স্বর্ণযুগের গান বা রবীন্দ্রসঙ্গীত...টুকটাক..অমনোযোগে। বলে..আমি নাকি বাঙালি সেন্টিমেন্টেই মরব এবার ! কী হয় এসব ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান শুনে ? ওরা হাসে। আমি বুঝে যাই, আমাদের দুই প্রজন্মের সুর-তাল-গান-ছন্দের জগত একেবারেই আলাদা রঙের হয়ে গেছে।


লেখক পরিচিতি - বিজ্ঞানের ছাত্রী । কিন্তু প্রথম ভালোবাসা সাহিত্য । তিন দশক ধরে ভাষান্তরের কাজে যুক্ত । বেশ কিছু অনূদিত বই প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য আকাদেমি, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইত্যাদি বিখ্যাত সংস্থা থেকে । ভাষান্তরের পাশাপাশি নিজস্ব লেখালেখির ঝোঁক । তবে খুব নিয়মিত নয় । ভালোবাসেন টুকরো গদ্য, পদ্য লিখতে ।

 

(আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে ক্লিক করুন)

অবসর-এর লেখাগুলোর ওপর পাঠকদের মন্তব্য অবসর নেট ব্লগ-এ প্রকাশিত হয়।

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.



অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।