প্রথম পাতা

শহরের তথ্য

বিনোদন

খবর

আইন/প্রশাসন

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি

শিল্প/সাহিত্য

সমাজ/সংস্কৃতি

স্বাস্থ্য

নারী

পরিবেশ

অবসর

 

আকাশ প্রদীপ জ্বলে
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

আকাশ প্রদীপ জ্বলে
দূরের তারার পানে চেয়ে;
আমার নয়ন দুটি
শুধুই তোমারে চাহি
ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে।

বয়ে চলে আঁধিয়ার রাত্রি;
আমি চলি দিশাহীন যাত্রী -
দূর অজানার পারে
আকুল আশার খেয়া বেয়ে।

কত কাল আর কত কাল -
এই পথ চলা ওগো চলবে;
কত রাত আর এ হিয়া
আকাশ প্রদীপ হয়ে জ্বলবে।

কোন রাতে মনে কি গো পড়বে,
ব্যথা হয়ে আখিঁ জল ঝরবে;
বাতাস আকুল হবে
তোমার নিশ্বাসটুকু পেয়ে।

আগের পাতা

আজ মন চেয়েছে
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো,
হারিয়ে যাবো আমি তোমার সাথে;
সেই অঙ্গিকারের রাখি পরিয়ে দিতে
কিছু সময় রেখো তোমার হাতে।

কিছু স্বপ্নে দেখা কিছু গল্প শোনা
কিছু কল্পনা জাল এই প্রাণে বোনা;
তার অনুরাগে রাঙা তুলির ছোঁয়া
নাও বুলিয়ে নয়ন পাতে।

তুমি ভাসাও আমায় এই চলার স্রোতে
চিরসাথী হয়ে রইবে পথে।

তাই যা দেখি আজ সবি ভালো লাগে,
এই নতুন গানের সুরে ছন্দ রাগে;
কেন দিনের আলোর মত সহজ হয়ে -
এলো আমার গহন রাতে।

আগের পাতা

প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে
আমারি এ দুয়ার প্রান্তে
সে তো হায়, মৃদু পােয়
এসেছিল পারিনি তো জানতে।

সে যে এসেছিল বাতাস তো বলেনি,
হায় সেই রাতে দীপ মোর জ্বলেনি;
সে আঁধার চিনিতে যে পারি নি
আমি পারি নি ফিরায়ে তারে আনতে।

যে আলো হয়ে এসেছিল কাছে মোর,
তারে আজ আলেয়া যে মনে হয়;
এ আঁধার একাকী এ মন আজ -
আঁধারেরই সাথে শুধু কথা কয়।

আজ কাছে তারে এতো আমি ডাকি গো,
সে যে মরিচিকা হয়ে দেয় ফাঁকি গো;
ভাগ্যে যে আছে লেখা হায়রে
তারে চিরদিনই হবে জানি মানতে।

আগের পাতা

সাত ভাই চম্পা
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

সাত ভাই চম্পা জাগরে জাগরে
ঘুম ঘুম থাকেনা ঘুমের এ ঘোরে
একটি পারুল বোন আমি তোমার
আমি সকাল সাঁঝে শত কাজের মাঝে
তোমায় ডেকে ডেকে সারা
দাও সাড়া গো সাড়া।

ও সাত ভাই চম্পা গো রাজার কুমার
কোথায় পক্ষীরাজ ঘোড়া তোমার তলোয়ার
আজও রাজার দেশে ঘুরে ছদ্মবেশে
ডাইনি সর্বনাশী রাক্ষসী মা আমার।

আর রাজবাড়ী সাত রাণী মায়ের ঘরে
ফিরে যাব না, যাব না, যাব না রে;
ঘরে ক্ষুধার জ্বালা পথের যৌবন জ্বালা
রাজার কুমার আর আসেনা ঘোড়ায় চড়ে।

আগের পাতা

নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখীরা
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থপাখীরা
বুঝিবা পথ ভুলে যায়;
কুলায় যেতে যেতে কি যেন কাকলি
আমারে নিয়ে যেতে চায়।

দূর পাহাড়ের উদাস মেঘের দেশে
ঐ গোধুলি রঙিন সোহাগ মিশে;
বনের মর্মরে বাতাস চুপি চুপি
কি বাঁশী ফেলে রাখে হায়।

কোন অপরূপ অরূপ রূপের রাগে
সুর হয়ে রয় আমার গানের আগে;
স্বপন কথাকলি ফোটে কি ফোটে না
সুরভি তবু আঁখি ছায়।

আগের পাতা

পা মা গা রে সা
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

পা মা গা রে সা - তার চোখে জটিল ভাষা
ধা ধা পা মা গা রে - পড়ে পড়ে বোঝার আশা
সা মা পা ধা নি সা - জানি শুধুই দুরাশা।

রে সা নি ধা নি মাপা ধা - জানি মিছেই তারে সাধা
কি চলন চলে কি বলন বলে সবই তারই কুয়াশা।

ধা নি সা নি সা রে সা গা - বলে জীবন ভরে শুধু গা;
কি যে গাহি হায়, শুধু বেদনার সুর সাধনার এ কি যাতনার;
তাই ভাবি -
সা রে গা মা পা সা পা গা সা - তান তুলে,
মা পা ধা নি সা মা সা ধা মা - গান ভুলে,
তার চোখেতে আর চাব না আর গাব না;
সা সা ধা মা নি নি পা গা মা মা গা রে সা।

আগের পাতা

যারে যারে উড়ে যারে পাখী
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

যা রে, যা রে উড়ে যা রে পাখী
ফুরালো প্রাণের মেলা
শেষ হয়ে এলো বেলা
আর কেন মিছে তোরে বেঁধে রাখি।

আকাশে আকাশে ফিরে
যা ফিরে আপন নীড়ে
শ্যামল মাটির বনছায়।
শুধু মনে মনে তোরে ডাকি
চাহিনা খেলিতে খেলা
শেষ হয়ে এলো বেলা
আর কেন মিছে তোরে বেঁধে রাখি।

আমারই স্বপন হয়ে
কত কি এনেছে বয়ে
হৃদয় পিঞ্জরে বসিয়া;
জানি সবই রয়ে গেল বাকি
এবারে ভাসাবো ভেলা
শেষ হয়ে এলো বেলা
আর কেন মিছে তোরে বেঁধে রাখি।

আগের পাতা

ও পলাশ, ও শিমুল
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর

ও পলাশ, ও শিমুল
কেন এ মন রাঙালে;
জানিনা জানিনা
আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে।

যার পথ চেয়ে দিন গুনেছি,
আজ তার পদধবনি শুনেছি;
ও বাতাস -
কেন আজ বাঁশী তব বাজায়ে
দিলে তুমি এ হৃদয় সাজায়ে।

যায় বেলা যাক্ না
আঁখি দুটি থাক না
সুন্দর স্বপনে মগ্ন;
যেন এলো আজ এই শুভলগ্ন।

এ জীবন যতটুকু চেয়েছি,
মনে হয় তারো বেশী পেয়েছি;
ও আকাশ,
কেন আজ এত আলো ছড়ায়ে -
আমারে যে দিলে তুমি ভরায়ে।


আগের পাতা

Copyright © 2014 Abasar.net. All rights reserved.


অবসর-এ প্রকাশিত পুরনো লেখাগুলি 'হরফ' সংস্করণে পাওয়া যাবে।