আমি
চলতে চলতে থেমে গেছি
শিল্পী: লতা মুঙ্গেশকর
আমি চলতে চলতে থেমে গেছি
আমি বলতে বলতে ভুলে গেছি
যে কথা তোমাকে বলবো;
আমি সপ্তসিন্ধì পার হয়ে
গোস্পদে বাঁধা পড়ে গেছি
বলনা কি করে চলবো।
জানি না, জানি না
কতদিন কখন এমন লগন যে আসবে;
দুচোখ ভরে শুধু কাঁদবো
আর বুনে যাব মুক্ত সোনা।
আমি পান্থ পান্থ সুদূরেরই
আমি ক্লান্ত ক্লান্ত হয়ে গেছি
এ ব্যথা কাহারে বলবো।
এসো না, এসো না
এ শ্যামল সজল কাজল উছল এ সন্ধ্যায়
কিছুক্ষণ বসে থাকনা
আর ভুলে যাই যত ভাবনা।
আমি রিক্ত রিক্ত হয়ে গেছি
আমি মুক্ত হতে যে চেয়েছি
এ বাঁধন কি করে খুলবো!
আগের
পাতা
স্মৃতি
তুমি বেদনার
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
স্মৃতি তুমি বেদনার
আজিও কাঁদিছে হারানো স্বপন
হৃদয়ের বেদিকায়।
আমি সব সয়ে জেগে আছি শুধু
নিশীথের নিরালায়
ভুলিতে চাহিনা ভুলিতে পারি না
মনে হয় বারে বার
তাই স্মরণের দুয়ার প্রান্তে
রেখে যাবো ব্যথা ভার।
তুমি নেই বলে পাখী গাহে
নাতো
চাঁদ ঐ ডুবে যায়
নিশীথে জাগিছে বিধুর তন্দ্রা
আঁধারের বুকে তার
আজ হৃদয়ের কামনা শ্রান্ত
ঝরে শুধু আঁখিধার।
আগের
পাতা
ধর
কোন এক শ্বেত পাথরের প্রাসাদে
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
ধর কোন এক শ্বেত পাথরের
প্রাসাদে
আমার এ গানের পাখী সোনার খাঁচায়
বন্দী যদি হয়;
সে পাখী শোনাবে যে গান
সে গান নয় গো প্রাণের নয়
নয় নয় নয়।
সে পাখী ভুলবে নাতো সোনা
দানায়
তাকে শাসন করে পোষ যে মানায়
সে কি আর বন্ধ হয়ে মনের কথা কয়
নয় নয় নয়।
সবাই ভাবে সে যেন এক গানের
পাখী
কেমনে তাদের আমি বোঝাই বল
আসলে এ যে আমার প্রাণের পাখী।
এ পাখীর বুকটা ভরা ভালবাসায়
এ যে কেঁদে কাঁদাঁয় হেসে হাসায়
আকাশের ঝড় বাদলে নেই কোন তার ভয়
নয় নয় নয়।
আগের
পাতা
জীবন
খাতার প্রতি পাতায়
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
জীবনখাতার প্রতি পাতায়
যতই লেখো হিসাব নিকাশ
কিছুই রবে না;
লুকোচুরির এই যে খেলা
প্রাণের যত দেয়া-নেয়া পূর্ণ হবে না।
কণ্ঠ-ভরা এ গান শুনে
ছুটে তুমি এলে দ্বারে,
চোখে দেখে এতো করেও
চেনো নিতো কভু তারে;
অবহেলা সয়েও তবু
আমায় তুমি নাওগো যেচে
সেতো কবে না।
যে অাঁখি হয়না খুশী
আকাশ ভরা তারা দেখে;
সেই হাসে কাচের ঝাড়ে
মোমের বাতি জ্বেলে রেখে।
জানি আমি আমারে নও
এ গান আমার ভালোবাসো;
নিজের ভুলে পথের ধুলায়
পরশ মানিক ফেলে আসো।
তোমার প্রাণের ঐ ঠিকানায়
দেখেও আমায় কভু ফিরে
যেতে হবে না।
আগের
পাতা
কার
মঞ্জীর বাজে
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
কার মঞ্জীর বাজে রিনি ঝিনি
ঝিনি
মনে হয় যেন তারে চিনি ওগো চিনি
চিনি আমি চিনি ওগো নন্দিনী
তুমি যে মায়া সঞ্চারিণী।
দেখেছি তোমারে মুখর মেলায়
পথের বাঁকে আর রঙেরই খেলায়
জেনেছি তুমি মোর অনুরাগিনী।
জীবন সাগর দোলাতে
কেউ যদি হায়, নিয়ে চলে যায়
থেকো গো আমারই সাথে।
তুমি যে আমার চোখের আলো
প্রথম দেখায় আমি বেসেছি ভাল
ওগো মোর মনবন পথচারিণী।
আগের
পাতা
ঐ
ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে
গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে
সেই সে বনছায় পাখী যে গান গায়
মনে যে চায় সেথা হাসিতে।
আকাশের ঐ দূরে নীল রঙ লেগেছে
অন্তরে আজ মোর একি সুর জেগেছে
জানিনা কে ডাকে অলখে সে থাকে
শুধু সে সাড়া দেয় বাঁশীতে।
তারি পথ চেয়ে দিন বয়ে যে
যায়
সেকি ব্যথা পেয়ে হায়
মালা হতে ফুলগুলি ঝরে যেতে চায়।
মিছে কি আমি তবে দিন শুধু গুনেছি
মনে মনে স্বপ্নের মায়াজাল বুনেছি
কেন যে কে জানে এ ব্যথা সে আনে
চায় না সে কাছে আসিতে।
আগের
পাতা
তোমারই
পথ পানে চাহি
তোমারই
পথ পানে চাহি
আমারই পাখী গান গায়
শিশির নীড়ে অবগাহি
কানন-পথ ফুলে ছায়
আমার এ গান আঁখিজলে
তোমারই লাগি পলে পলে
ফুটিয়া প্রেম শতদলে
বিরহে প্রিয় ঝরে যায়।
তোমারে গিয়েছিনু ভুলে
কুসুমে রাঙা মরুপথে
জাগায়ে মোর ফুলগুলি
দলিয়া গেলে জয়রথে।
তোমারই মালা মোর গলে
অনল হয়ে যেন জ্বলে
বাঁধিয়া রাখি হিয়া তলে
কাড়িয়া মোরে নিল হায়।
আগের
পাতা
তরী
খানি ভাসিয়ে দিলাম ঐ কূলে
শিল্পী: শ্যামল মিত্র
তরী খানি ভাসিয়ে দিলাম
ঐ কূলে
ওগো যখন তুমি এলে আবার সব ভুলে।
আমি ছিলাম আশায় আশায়
আসবে তুমি কখন আবার এই খেয়ায়;
যাত্রা শুরুর বেলায় তোমায় নেব তুলে
ওগো যখন তুমি এলে আবার সব ভুলে।
অস্ত আকাশ দিগন্তে ঐ আবীর
মেখে
তোমার মুখে তারি ছোঁওয়া গেছে রেখে।
চলার পথে দোলায় দোলায়
রইব ভুলে সকল ব্যথায় এই খেলায়;
তোমার মনে সকল বাঁধন দেব খুলে
ওগো যখন তুমি এলে আবার সব ভুলে।
আগের
পাতা